২১শে আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
৬ই অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
Home Blog Page 226

গণতন্ত্র নির্বাসনে দেয়ার ষড়যন্ত্র চলছে : খালেদা জিয়া

বাংলাদেশ থেকে গণতন্ত্রকে নির্বাসনে দিয়ে একদলীয় সরকার ব্যবস্থা চালু হয়েছে দাবি করে এর বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া।

শহীদ নূর হোসেন দিবস উপলক্ষে বুধবার এক বাণীতে তিনি বলেন, যে স্বপ্ন চোখে নিয়ে জীবন উৎসর্গ করে ছিলেন নূর হোসেন, তার সে স্বপ্ন আজো পুরোপুরি সফল হয়নি। ৫ জানুয়ারির নির্বাচনের মধ্যদিয়ে ১৯৯০ এর মুক্ত হওয়া গণতন্ত্র আবার শৃঙ্খলিত হয়েছে।

সাবেক এ প্রধানমন্ত্রী বলেন, ষড়যন্ত্র চলছে, এদেশ থেকে গণতন্ত্রকে চিরতরে নির্বাসনে দেয়ার। সেজন্য একতরফা নির্বাচন করে একদলীয় সরকার ব্যবস্থা পুনরায় চালু করা হয়েছে। স্বৈরাচারী শক্তির এ চক্রান্ত্র রুখতে হবে যে কোন মূল্যে।

শহীদ নূর হোসেন দিবস উপলক্ষে স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনের বীর শহীদ নূর হোসেনের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানান খালেদা জিয়া। একই সঙ্গে তার রুহের মাগফিরাত কামনা করেন তিনি।

বিএনপি চেয়ারপারসন বলেন, আমাদের গণতান্ত্রিক আন্দোলনের ইতিহাসে নূর হোসেন একটি অবিস্মরণীয় নাম। ১৯৮৭ সালের ১০ নভেম্বর স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনের এক লড়াকু সৈনিক হিসেবে তিনি রাজপথে নেমে এসেছিলেন বুকে পিঠে’ গণতন্ত্র মুক্তি পাক, স্বৈরাচার নিপাত যাক’ স্লোগান লিখে।

খালেদা জিয়া বলেন, গণতন্ত্রের দাবিতে সোচ্চার এই যুবকের কণ্ঠকে স্তব্ধ করে দিয়েছিল স্বৈরাচারের বন্দুক। স্বৈরাচারের বুলেট বুকে বরণ করে নিয়েছিলেন নূর হোসেন। নূর হোসেনের সে অবদান বৃথা যায়নি। তার রক্তের ধারা বেয়েই ৯০ এর গণঅভ্যুত্থানে স্বৈরশাসকের পতন ঘটে, মুক্ত হয় আমাদের গণতন্ত্র।

গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের সংগ্রামে শহীদ নূর হোসেন প্রেরণার নাম উল্লেখ করে বিএনপি চেয়ারপারসন বলেন, তার দৃষ্টান্ত অনুসরণ করে বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক বিকাশ নিশ্চিত করতে হবে। আর এজন্য আমাদেরকে সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকারে প্রস্তুত থাকতে হবে। দলমত নির্বিশেষে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার আহ্বান জানান খালেদা জিয়া।

দিবসটি উপলক্ষে অপর এক বাণীতে শহীদ নূর হোসেনের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা ও তার রুহের মাগফিরাত কামনা করেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

তিনি বলেন, নূর হোসেনের আত্মদানকে আমরা বৃথা যেতে দিতে পারি না। নব্বইয়ে অর্জিত গণতন্ত্রের পথচলাকে আবারো বাধাগ্রস্ত করা হয়েছে। এই বাধা দূর করে আমাদেরকে মানুষের নাগরিক স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে হবে। নূর হোসেনের মতো সাহসিকতা নিয়ে আমাদের সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।

ট্রাম্পকে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর অভিনন্দন

বুধবার অনানুষ্ঠানিকভাবে ফল প্রকাশের পর রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী পৃথক অভিনন্দন বার্তা পাঠিয়েছেন ট্রাম্পকে। ওয়াশিংটনে বাংলাদেশ দূতাবাসের মাধ্যমে ওই বার্তা পাঠানো হয়েছে বলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে।

বার্তায় ট্রাম্পের নেতৃত্বগুণের প্রশংসা করে শেখ হাসিনা বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে বিজয়ই আপনার অনন্য সাধারণ নেতৃত্বগুণ এবং আমেরিকার জনগণ ও বিশ্ব মানবতার সেবা করার যোগ্যতার প্রমাণ।

বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক আগামীতে আরও দৃঢ় হবে বলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিশ্বাস করেন।

যুক্তরাষ্ট্রের নতুন প্রেসিডেন্ট এবং তার স্ত্রী মেলানিয়া ট্রাম্পকে বাংলাদেশের উন্নয়ন দেখতে আসারও আমন্ত্রণ জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। এছাড়া প্রধানমন্ত্রী ট্রাম্পের সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনা করেছেন।

রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ তার অভিনন্দন বার্তায় ট্রাম্পকে শুভেচ্ছা জানানোর পাশাপাশি দুই দেশের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক ও সমৃদ্ধি কামনা করেছেন।

ট্রাম্পকে খালেদা জিয়ার অভিনন্দন

জনগণের ভোটে মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ায় রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্পকে অভিনন্দন জানিয়েছেন বিএনপির চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া।

বুধবার বিকালে খালেদা জিয়ার পক্ষ থেকে এ অভিনন্দন জানানো হয়েছে।

বিএনপির চেয়ারপারসনের গুলশান কার্যালয় সূত্র এ তথ্য জানিয়েছেন।

ফল ঘোষণার পর ট্রাম্পকে অভিনন্দন জানিয়েছেন স্বয়ং হিলারি ক্লিনটনও।

নির্বাচনের শুরু থেকে জনমত জরিপগুলোতে ডেমোক্রেটিক পার্টির প্রার্থী হিলারি ক্লিনটন এগিয়ে থাকলেও আজ শেষ হাসি হাসলেন রিপাবলিকানদের প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প।

২৮৯টি ইলেক্টোরাল কলেজ ভোট পেয়ে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করেছেন তিনি। নির্বাচনের ফল প্রকাশের শুরুতে গুরুত্বপূর্ণ তিনটি অঙ্গরাজ্যে জিতে ডোনাল্ড ট্রাম্প লড়াইয়ে এগিয়ে যান। তবে হিলারি প্রবল পরাক্রমে এগিয়ে আসেন। এরপর ট্রাম্পের জয়জয়কার দেখা যায়।

মাত্র ০.৪ ভাগ ভোটে হেরেছেন হিলারি

মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ইলেক্টোরাল ভোটে ২৮৯-২১৮ ব্যবধানে হিলারি ক্লিনটনকে পরাজিত করেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। বেশ বড় ধরনের ব্যবধানই মনে হতে পারে।

তবে প্রকৃত ভোটে রিপাবলিকান প্রার্থী এবং ডেমোক্র্যাটিক প্রার্থীর মধ্যে খুব বেশি পার্থক্য নেই। মাত্র ০.৪ ভাগ।

রিপাবলিকান প্রার্থী ট্রাম্প পেয়েছেন ৪৭.৮ ভাগ ভোট। আর ডেমোক্র্যাটিক পার্টির হিলারি পেয়েছেন ৪৭.৪ ভাগ।

ট্রাম্পের অবিশ্বাস্য জয়!

অনেক জরিপের ফল ও বিশ্লেষকদের আভাস উল্টে দিয়ে হোয়াইট হাউসের উত্তরাধিকারী নির্বাচিত হলেন রিপাবলিকান পার্টির প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প। আগামী চার বছর বিশ্বের অন্যতম পরাশক্তি যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হিসেবে ট্রাম্পকেই বেছে নিল মার্কিন জনগণ।

সিএনএনের দেওয়া তথ্যমতে, এখন পর্যন্ত পাওয়া ভোটের ফলাফলে ট্রাম্প পেয়েছেন ২৮৮ ইলেকটোরাল কলেজ ভোট। আর হিলারি পেলেন ২১৫টি ইলেকটোরাল কলেজ ভোট। সর্বমোট ৫৩৮টি ইলেকটোরাল কলেজ ভোটের মধ্যে প্রেসিডেন্ট হওয়ার জন্য প্রয়োজন ২৭০ ভোট।

মঙ্গলবার প্রেসিডেন্ট পদ ছাড়াও মার্কিন কংগ্রেসের নিম্নকক্ষ প্রতিনিধি পরিষদের ৪৩৫ আসনের সব কটিতে ও উচ্চকক্ষ সিনেটের ১০০ আসনের মধ্যে ৩৪ আসনের নির্বাচনে ভোট দেন মার্কিনরা। ফলাফলে দেখা যায়, আগে থেকে রিপাবলিকানদের নিয়ন্ত্রণে থাকা প্রতিনিধি পরিষদ তাদের হাতেই থাকল।

নিউইয়র্ক টাইমসের তথ্যমতে, শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত প্রতিনিধি পরিষদে রিপাবলিকানরা ২৩৫ আসন পেয়েছে। ডেমোক্র্যাটরা পেয়েছে ১৭৬ আসন। আর সিনেটে রিপাবলিকানরা ৫১ আসন পেয়েছে। এখানে ডেমোক্র্যাটরা পেয়েছে ৪৭ আসন।বিভিন্ন সংস্থার জরিপে বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্রের ৫৮তম প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রায় ৫৪ শতাংশ ভোটার ভোট দিয়েছেন।

এএফপির প্রতিবেদনে বলা হয়, রিপাবলিকান প্রার্থী ট্রাম্প আলাবামায় ৯, আরকানসাসে ৬, ফ্লোরিডায় ২৯, জর্জিয়ায় ১৬, আইডাহোতে ৪, ইন্ডিয়ানায় ১১, আইওয়াতে ৬, কানসাসে ৬, কেনটাকিতে ৮, লুইজিয়ানায় ৮, মিসিসিপিতে ৬, মিজৌরিতে ১০, মন্টানায় ৩, নেব্রাস্কায় ৫, নর্থ ক্যারোলাইনায় ১৫, নর্থ ডাকোটায় ৩, ওহাইওতে ১৮, ওকলাহোমায় ৭, সাউথ ক্যারোলাইনায় ৯, সাউথ ডাকোটায় ৩, টেনেসিতে ১১, টেক্সাসে ৩৮, ইউটাহতে ৬, ওয়েস্ট ভার্জিনিয়ায় ৫ ও ওয়াইওমিংয়ে ৩টি ইলেকটোরাল কলেজ ভোট পেয়েছেন।

এএফপি জানায়, হিলারি ক্যালিফোর্নিয়ায় ৫৫, কলোরাডোতে ৯, কানেটিকাটে ৭, ডেলাওয়ারে ৩, হাওয়াইতে ৪, ইলিনয়ে ২০, মেরিল্যান্ডে ১০, ম্যাসাচুসেটসে ১১, নিউজার্সিতে ১৪, নিউ মেক্সিকো ৫, নিউইয়র্কে ২৯, অরেগনে ৭, রোড আইল্যান্ডে ৪, ভারমন্টে ৩, ভার্জিনিয়ায় ১৩, ওয়াশিংটনে ১২ ও ওয়াশিংটন ডিসিতে ৩টি ইলেকটোরাল কলেজ ভোট পেয়েছেন।

ভোটের প্রাথমিক ফল প্রকাশের শুরু থেকেই ট্রাম্প ও হিলারি হাড্ডাহাড্ডি লড়াই চলছিল। তবে পরে অনেকটাই স্পষ্ট হয়ে যায়, হোয়াইট হাউসের উত্তরসূরি হচ্ছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। তাই পূর্ণাঙ্গ ফল প্রকাশের আগেই হিলারির সমর্থকদের মুষড়ে পড়তে দেখা যায়। কাঁদতে দেখা যায় অনেক সমর্থককে।

সিএনএন অনলাইনের প্রতিবেদনে জানানো হয়, নিউইয়র্কে হিলারির প্রচারণা সদর দপ্তরের পরিবেশ বদলে গেছে। তাঁর সমর্থকেরা কাঁদছেন। বিষণ্ন মনে অনেকে বাড়ি ফিরছেন।

নির্বাচনী প্রক্রিয়া শুরুর দিকে বেশির ভাগ জরিপেই এগিয়ে ছিলেন হিলারি। তবে নির্বাচনের দিনকয়েক আগে হিলারি-ট্রাম্প হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের আভাস মেলে। একপর্যায়ে দুয়েকটি জরিপে এগিয়েও যান ট্রাম্প। তবে বেশির ভাগ বিশ্লেষকের রায় ছিল হিলারির পক্ষেই। কিন্তু সব হিসাব উল্টে দিয়ে অবিশ্বাস্য চমক দেখিয়ে জয় পেলেন ট্রাম্প।

নারায়ণগঞ্জ বিএনপির রাজনীতির নাটকীয় মোড়

মোঃ আব্দুর রহিমঃ পাল্টে যাচ্ছে বিএনপির ভোটের হিসেব। আইনজীবী সমিতির নির্বাচনকে কেন্দ্র করে জেলা বিএনপির শীর্ষ পর্যায়ের নেতারা এক টেবিলে বসতে যাচ্ছে। নির্বাচনে কাউনডাউন শুরুর পর বিএনপি পন্থি আইনজীবীদের মধ্যে বিভাজন থাকলেও মান অভিমানের পাট সমাপ্তি ঘটিয়ে পূর্বের ঐক্য ফিরে এসেছে নেতারা। দলীয় প্যানেলকে নির্বাচিত করতে এক টেবিলে বসেছে বিএনপির শীর্ষ আইনজীবী নেতারা। শুধু আইনজীবী সমিতির নির্বাচন নিয়েই নয়। বিএনপি নারায়নগঞ্জ সিটি করপোরেশনের নির্বাচন নিয়েও প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে। দলের বিভাজন মিটিয়ে নেতারা এক টেবিলে বসে দলীয় প্রার্থীকে বিজয়ী করতে কাজ করবে তা সময়ের ব্যাপার মাত্র বিএনপির একাধিক সূত্র এমনই আভাস দিয়েছে। বিএনপির নেতার নজরে জেলা পরিষদের নির্বাচনের বিষয়ও রয়েছে বলে ওই সূত্রগুলোর দাবি। এছাড়া কেন্দ্রীয় নেতারা চাচ্ছেন বিএনপি নির্বাচনগুলোতে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করুন। আর এসব দিক নিদের্শনা রয়েছে বল বিএনপির ঘনিষ্ঠ সূত্রে জানাগেছে। বিএনপির ভিন্নি ভিন্ন সূত্রে জানাগেছে, আগামীতে সবগুলো নির্বাচনে বিএনপির অংশ গ্রহন থাকছে। আর এ লক্ষ্যেই বিএনপির বিরোধ মিটানোসহ ঐক্য হয়ে নির্বাচনগুলোতে দলীয় প্রার্থীর পক্ষে মাঠে নামবে বিএনপির সর্বস্তরের নেতাকর্মীরা। তবে বিএনপি যদি নিজেদের ঐক্যে ফিরে আসতে ব্যর্থ হয় তা আসন্ন নির্বাচনগুলোতে চরম ভরাডুব ঘটবে। পাশাপাশি বিএনপি সাংগঠনিক ভাবে অস্থিত্ব সংকটে পরবে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষক মহল। সূত্রমতে, নারায়ণগঞ্জ বিএনপির রাজনীতিতে নাটকীয় মোড় নিতে শুরু করেছে। যে কোন সময় দলের নেতারা এক মঞ্চে চলে আসতে পারে তা অনেকটা সময়ের ব্যাপার মাত্র। ইতোমধ্যে জেলা আইনজীবী সমিতির নির্বাচনকে ঘিরে বিএনপি বেশ কিছু নেতা এককাতারে এসে দাঁড়িয়েছে। জেলা বিএনপির সভাপতি তৈমুর ও এড.শাখাওয়াত হোসেন খান এখন এককাতারে রয়েছে। আইনজীবীদেও বিভাবজ অনেকটাই মিটে গেছে। আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে দলীয় প্যানেলকে বিজয়ী করতে বিএনপির শীর্ষ নেতারা মাঠে নামবে বলেও বিএনপি পন্থি আইনজীবীদের বিশ্বাস। এদিকে, জেলা আইনজীবী সমিতির নির্বাচনকে ঘিরে বিএনপি পন্থি শীর্ষ আইনজীবীদের বিরোশ নিস্পত্তি হওয়ায় বিএনপি পন্থি আইনজীবীদের মধ্যে প্রাণ চাঞ্চল্য ফিরে এসেছে। বিএনপির অপর একটি সূত্রে জানাগেছে, বিএনপির বিরোধ যে কোন সময় মিটে যাবে। আসন্ন নাসিক নির্বাচনকে ঘিরে বিএনপির শীর্ষ নেতারা যে কোন সময় এক মঞ্চে এসে দাঁড়াবে। বিগত নির্বাচনে বিএনপির প্রার্থী এড. তৈমুর আলম খন্দকারকে নির্বাচনের আগের রাতে নির্বাচনী মাঠ ত্যাগ করতে বাধ্য করা হলেও বিএনপি এবার নির্বাচনী মাঠ ছাড়তে চাচ্ছে না। নির্বাচনের শেষ সময় পর্যন্ত বিএনপি নির্বাচনী মাঠে থাকবে বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আর এ জন্য জেলা বিএনপির বিভাজন মিটাতেও কেন্দ্রীয় নেতারা উদ্যোগ নিতে যাচ্ছে বলে বিএনপির ঘনিষ্ঠ সূত্রে জানগেছে। এবারের নির্বাচনে জেলা বিএনপির সভাপতি তৈমুর আলম খন্দকার আবারো প্রার্থী হতে পারেন। দলের চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া তৈমুর আলম খন্দকারকে সবুজ সংকেতও দিয়েছেন। যদিও এড. তৈমুর বেশ কয়েকবার ঘোষণা দিয়েছেন তিনি নারায়নগঞ্জ সিটি করপারেশনের নির্বাচনে প্রার্থী হবেন না। তবে দল চাইলে তিনি তার সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসবেন বলেও তার ঘনিষ্ঠ সূত্র নিশ্চিত করেছে। অন্যদিকে, বিএনপির নজরে জেলা পরিষদের নির্বাচনও রয়েছে। অবস্থা বুঝে বিএনপি এই নির্বাচনে অংশ নিবেন। তবে পরিস্থিতি তাদের অনুকুল না থাকলে এ নির্বাচনে অংশ নেয়া থেকে বিরত থাকবেন বলে বিএনপির একাধিক সূত্রে জানাগেছে। বোদ্ধা মহলের মতে, বিএনপির শীর্ষ নেতারা যদি দলের ঐক্য ফিরিয়ে আনতে ব্যর্থ হয় তা হলে আগামী নির্বাচনগুলোতে বিএনপির চরম ভরাডুবি ঘটবে। এর ফলে বিএনপি নতুন করে অস্থিত্ব সংকটে পরবে।

নারায়ণগঞ্জের শীর্ষ নেতাদের বিতর্কীত কর্মকান্ডে সাংগঠনিক ভাবে দূর্বল হয়ে পরেছে বিএনপি

বিরোধেই ধংস হচ্ছে নারায়ণগঞ্জ বিএনপি। সাংগঠনিক ভাবে ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করেও কোন কজা হচ্ছে না। এ নিয়ে দলের তৃনমূলে শীর্ষ নেতাদের নিয়ে ক্ষোভ যেন বেড়েইে চলছে। বিএনপির মাঠ পর্যায়ের নেতাকর্মীদের অভিযোগ, বিএনপি সাংগঠনিক ভাবে পিছিয়ে থাকার পেছনে দলের শীর্ষ নেতারাই দায়ি। শীর্ষ নেতাদের কারণে বিএনপি বার বার ঘুরে দাঁড়াতে গিয়ে ব্যর্থ হচ্ছে। কর্মীদের অভিযোগ, দলের শীর্ষ নেতাদের নিজেদের অবস্থান টিকিয়ে রাখতে গিয়ে দলের একে অপরের সাথে দ্বন্ধে লিপ্ত হয়ে দলকে বিপদে ঠেলে দিচ্ছে। যে কারণে নারায়ণগঞ্জ বিএনপির নেতাকর্মীরা কোন কর্মসূচি পালন করতে গিয়ে বার বার হয়রানীর শিকার হচ্ছে। বিএনপি সাংগঠন ভাবে দূর্বল হয়ে পরায় পুলিশি নির্যাতনেরও শিকার হচ্ছে দলের নেতাকর্মীরা। এ নিয়ে কর্মীদের মধ্যে ক্ষোভের যেন অন্ত নেই। এদিকে, জেলা বিএনপির আংশিক কমিটি গঠন হলেও প্রায় ৭ বছরেও পূর্নাঙ্গ কমিটি দিতে পারেনি বিএনপির শীর্ষ নেতারা। এ নিয়ে বিএনপির তৃনমূলে চরম ক্ষোভ বিরাজ করছে। এছাড়া বিএনপির কেন্দ্রীয় সম্মেলনের পর জেলা কমিটি নতুন করে পূর্নগঠনের তাগিদ থাকলেও জেলা বিএনপির পদধারী নেতারা কেন্দ্রীয় নিদের্শ পালনেও ব্যর্থতার পরিচয় দিয়ে এমন অভিযোগ বিএনপির মাঠ পর্যায়ের নেতাকর্মীদের। অন্যদিকে, নতুন কের জেলা ও মহানগর কমিটি গঠন নিয়ে বিএনপিতে বিরোধ চরমে পৌছেছে। কমিটির সভাপতি পদ নিয়ে একাধিক নেতারা নানা ভাবে লবিং গ্রুপিং অব্যাহত রেখেছে। ইতোমধ্যে একাধিক নেতা প্রকাশ্যে বিরোধে জড়িয়েও আলোচিত-সমালোচিত হয়েছে। তবে কমিটিতে কে সভাপতি আর কে সাধারন সম্পাদক হবে এ সিদ্ধান্ত দলের চেয়ারপারসন খালেদাই জিয়াই নিবেন। আর এই সিদ্ধান্তের জন্য খালেদা জিয়ার দিকে তাকিয়ে রয়েছে নারায়নগঞ্জ বিএনপির নেতাকর্মীরা। তবে কবে নাগাদ এসব কমিটিগুলো নতুন করে গঠন করা হবে তা অনেক অনিশ্চত ।
সূত্রমতে, দিন যতো সামনে দিকে অগ্রসর হচ্ছে বিএনপিতে ততোই বিরোধ শক্তিশালী হচ্ছে। জেলা বিএনপির শীর্ষ নেতাদের বিরোধের কারণে নারায়ণগঞ্জ বিএনপির সাংগঠনিক ভীত দূর্বল হয়ে পরেছে। নেতারা নিজেদের অবস্থধান ধরে রাখতে গিয়ে একে অপরের সাথে বিরোধে জড়িয়ে দলীয় কর্মীদের মধ্যে বিভাজ সৃষ্টি করে নিজেরা লাভবান হতে চাইছেন এমন অভিযোগ বিএনপির তৃনমূলের নেতাকর্মীদের। কর্মীদের অভিযোগ, বিএনপির শীর্ষ পর্যায়ের বেশ কিছু নেতার কারণেই বিএনপির বর্তমান বেহাল অবস্থা হয়েছে। এসব নেতারা পদ ও নিজেদের অবস্থানে অনঢ় থাকতে গিয়ে দলকে সাংগঠনিক ভাবে দূর্বল করে দিচ্ছে। আর এর খেসারত দিতে হচ্ছে দলের সাধারন নেতাকর্মীদের। তৃনমূলের অভিযোগ, নারায়ণগঞ্জ বিএনপির নেতারা দলের মধ্যে নিজেদের অবস্থান শক্ত রাখতে গিয়েই দলের মধ্যে বিরোধ সৃষ্টি করছে। নেতাদের মধ্যে এই চলমান বিরোধ দলকে বিপদের দিকে ঢেলে দিচ্ছে। যা আগামীদিনের জন্য আরো কঠিন হয়ে দাঁড়াবে বলে মনে করছেন বিএনপির তৃনমূলের নেতাকর্মীরা।
এদিকে, প্রায় ৭ বছরেও পূর্নঙ্গ কমিটি গঠনে ব্যর্থ হওয়ায় বিএনপির তৃনমূলে রয়েছে চরম ক্ষোভ। এরমধ্যে কেন্দ্রীয় কমিটি গঠন হলেও নারায়ণগঞ্জ বিএনপি নতুন করে ঢেলে সাজাতে পারেনি জেলা বিএনপির শীর্ষ নেতারা। যদি জাতীয় সম্মেলনের পর নারায়নগঞ্জ বিএনপি নতুন করে গঠনের তাগিদ দেয়্ াহয়েছি। কিন্তু জেলার শীর্ষ নেতারা দলের হাই কামন্ডে নিদের্শ পালনে ব্যর্থ হয়েছে এমন অভিযোগ বিএনপির তৃনমূলের নেতাকর্মীদের। বিএনপির মাঠ পর্যায়ের নেতাকর্মীদের মতে, নারায়ণগঞ্জ বিএনপি নতুন করে গঠন করা হলে বিএনপি নতুন করে ঘুরে দাঁড়াতে সক্ষম হবে। রাজনৈতিক বোদ্ধা মহলের মতে, নারায়ণগঞ্জ বিএনপিকে সাংগঠন ভাবে শক্তি অর্জণ করতে হলে জেলা বিএনপি তৃনমূল থেকে নুতন কের সাজাতে হবে। আর এসব কমিটিতে তরুনদের প্রধান্য দেয়া হলে বিএনপি আগের অবস্থানে ফিরে আসতে সক্ষম হবে। অন্যথায় নারায়নগঞ্জ বিএনপির জন্য আগামী আরো কঠিন সময় অপেক্ষা করছে।

শাহবাগে বিক্ষোভের মুখে হানিফ

শাহবাগে অবরোধ চলাকালে বিক্ষোভের মুখে পড়েন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় হিন্দু সম্প্রদায়ের মন্দির এবং বাড়িঘর ভাঙচুরের প্রতিবাদে রাজধানীর শাহবাগ মোড় অবরোধ করেছেন বিক্ষোভকারীরা।

বিক্ষোভকারীরা তার গাড়ি ঘিরে ধরেন। কেউ কেউ তার গাড়িতে লাথি মারতে থাকেন। একপর্যায়ে তিনি গাড়ি থেকে নেমে এসে বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে সংহতি জানিয়ে বক্তব্য দেন।

শুক্রবার দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি অনুষ্ঠান শেষে ফেরার পথে মাহবুব উল আলম হানিফ এ ঘটনার শিকার হন।

এ ব্যাপারে মাহবুব উল আলম হানিফ বলেন, আমি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি অনুষ্ঠানে অংশ নিতে গিয়েছিলাম। শাহবাগে আসার পরে নাসিরনগরে হামলার প্রতিবাদে আন্দোলনকারী কিছু ছাত্র আমার গাড়ি রোধ করে। আমি গাড়ির ভেতরে ছিলাম। তারা দেখেনি। পরে আমি নেমে এসে সংহতি জানিয়ে বক্তব্য দিয়েছি। আমি বলেছি, নাসিরনগরে হামলায় জড়িতদের আইনের আওতায় আনা হবে।

তিন নির্বাচন নিয়ে তৎপর আওয়ামী লীগ

নারায়ণগঞ্জ আওয়ামী লীগের নেতারা এখন নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন, জেলা পরিষদের নির্বাচন নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পরেছে। নেতাদের তৎপরতায় জেলা আইনজীবী সমিকির নির্বাচন রয়েছে। শুরু হয়েছে আইনজীবী সমিতির নির্বাচন নিয়ে আওয়ামী লীগ-বিএনপির নেতাদের তৎপরতা। এবারের আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে আওয়ামী লীগের পুরো প্যানেলকে বিজয়ী করতে তৎপর রয়েছে আওয়ামী লীগের নেতারা। এদিকে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন ও নারায়ণগঞ্জ জেলা পরিষদের নির্বাচন নিয়ে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের চলছে নানা গ্রæপি লবিং। এছাড়া নাসিক ও জেলা পরিষদের নির্বাচন নিয়ে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির মধ্যে নানা হিসেব নিকেষও চলছে বলে বিভিন্ন সূত্রে জানগেছে। নাসিক নির্বাচন নিয়ে আওয়ামী লীগের দু’টি অংশ মুখোমুখি অবস্থান করছে। দলীয় মনোনয়ন পেতে আওয়ামী লীগের দুই নেতা মাঠে তৎপর রয়েছে। তবে দুই নির্বাচনে আওয়ামী লীগ থেকে কে মনোনয়ন পায় এ নিয়ে চলছে আলোচনা-পর্যালোচনা। তবে নির্বাচনকে ঘিরে আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতাদের দৌড়ঝাপ শুরু হয়েছে। ইতোমধ্যে নাসিক নির্বাচনে মেয়র আইভী ও মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি আনোয়ার হোসেন নির্বাচনী মাঠে তৎপর রয়েছে। ভিন্নি ভিন্ন সূত্রে জানাগেছে, নারায়ণগঞ্জ জেলা পরিষদ নির্বাচনে বর্তমান প্রশাসক আব্দুল হাই, রূপগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান শাহজাহান, আড়াইহাজার আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুর রশিদ, বন্দর থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুর রশিদের নাম শোনা যাচ্ছে। নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন ও জেলা পরিষদ নির্বাচনে দল কাকে মনোনয়ন দেয় এটা নিয়ে দলের নেতাকর্মীদের মধ্যে নানা কৌতুহল দেখা দিয়েছে। অন্য একটি সূত্রে জানাগেছে, নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের নির্বাচন নিয়ে মেয়র আইভী ও আনোয়ার হোসনের মধ্যে সমঝোতা হলে মেয়র আইভীকে নাসিকে ও আনোয়ার হোসেনকে জেলা পরিষদের প্রশাসক হিসেবে মনোনিত করা হবে হতে পারে। তবে এটা নির্ভর করছে আওয়ামী লীগের হাই কমান্ডের উপর। জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আ:হাই বর্তমানে জেলা পরিষদের চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হওয়ায় তা এ পদ ছাড়তে হতে পারে। আওয়ামী লীগের বিরোধ কমিয়ে আনতে এ পদে অন্যকাউকে বসানোর সম্ভাবনা রয়েছে বলে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা মনে করছেন। আওয়ামী লীগ ও বিভিন্ন সূত্রে জানাগেছে, চলতি বছরই নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন ও নারায়ণগঞ্জ জেলা পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। জেলার এই দু’টি নির্বাচনকে ঘিরে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা সক্রিয় হয়ে উঠেছে। বিশেষ কওে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের নির্বাচন নিয়ে। তবে তৎপরতা থেমে নেই নারায়ণগঞ্জ জেলা পরিষদের নির্বাচনে নিয়েও। নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের নির্বাচন নিয়ে ইতোমধ্যে মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি আনোয়ার হোসেন নির্বাচনী মাঠে সক্রিয় রয়েছে। থেমে নেই মেয়র আইভীও। দু’জনই তাদের নিজ নিজ অবস্থান থেকে নির্বাচনী প্রচারনায় অংশ নিতে শুরু করেছে। তবে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের নির্বাচন নিয়ে অনেক হিসেব নিকেশ চলছে। দলীয় প্রতীকে নির্বাচন হওয়ার সিদ্ধান্তে হিসেব পাল্টে গেছে। এদিকে, নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের নির্বাচনকে ঘিরে মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি আনোয়ার হোসেনকে মহানগর আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা এ বিশেষ বর্ধিত সভা থেকে সমর্থন জানিয়েছেন। এছাড়া ২৯ অক্টোবরের সমাবেশ থেকেও আনোয়ার হোসেনকে আসন্ন নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের নির্বাচন দলীয় প্রার্থী হিসেবে সমর্থন দিয়েছে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। এখন অপেক্ষা কেবল কেন্দ্রীয় নেতাদের সমর্থনের। তবে মেয়র আইভী ও আনোয়ার হোসেন উভয়ই দলীয় সমর্থন পাওয়ার ব্যাপারে শতভাগ আশাবাদী। এ ক্ষেত্রে মেয়র আইভী দলীয় সভানেত্রী শেখ হাসিনার দিকে তাকিয়ে আছেন। উল্লেখ্য, নভেম্বরের শেষে দিকে জেলা আইজীবী সমিতির নির্বাচনে, ডিসেম্বরের শেষে দিকে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন ও জেলা পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।

হিন্দুদের মন্দিরে হামলা পরিকল্পিত : রিজভী আহমেদ

পবিত্র কাবা শরিফের অবমাননার অভিযোগে ব্রাহ্মণবাড়ীয়ার নাসিরনগরে হিন্দুদের বাড়িঘর ও মন্দিরে হামলার ঘটনা পরিকল্পিত বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদ।

মঙ্গলবার দুপুরে রাজধানীর নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ মন্তব্য করেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।

রুহুল কবির রিজভী বলেন, রবিবার ব্রাহ্মণবাড়ীয়া জেলার নাসিরনগরে রসরাজ দাস নামে একজন ব্যক্তি পবিত্র কাবা শরিফ অবমাননা করে আপত্তিকর ছবি ফেসবুকে পোস্ট করার পরিপ্রেক্ষিতে উদ্ভুত পরিস্থিতিতে ওই এলাকায় হিন্দু সম্প্রদায়ের বাড়িঘর ও মন্দিরে যে তাণ্ডব চালানো হয়েছে তা নজীরবিহীন। এই ঘটনা অত্যন্ত সুপরিকল্পিত এবং সামাজিক শান্তি, স্থিতিশীলতা ও ধর্মীয় স্বাধীনতার ওপর নগ্ন হস্তক্ষেপ।

রিজভী আহমেদ অভিযোগ করে বলেন, হুজুগ সৃষ্টি করে দোষারোপের মাধ্যমে একটি সংঘাতপূর্ণ অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টিতে একটি মহল বিশেষ ইন্ধন যুগিয়ে থাকে। বিএনপি সব ধর্মীয় সম্প্রদায়ের ধর্ম বিশ্বাসকে শ্রদ্ধা করে এবং দেশের সব জনগোষ্ঠীর নিরাপত্তা বিধান ও ধর্মীয় স্বাধীনতাকে নিশ্চিত করতে বদ্ধপরিকর।

তিনি বলেন, সরকার নিজেদের উদ্দেশ্য হাসিলের জন্য বিভিন্ন ধর্ম সম্প্রদায়ের মধ্যে পরস্পরের শুভেচ্ছাবোধ, সামাজিক বন্ধন ভেঙে তছনছ করে দিয়েছে, সমাজের অভ্যন্তরে অসহিষ্ণুতা ও বিদ্বেষ এখন মহামারি আকার ধারণ করেছে।

রিজভী আহমেদ বলেন, নাসিরনগরে হিন্দু সম্প্রদায়ের বাড়িঘর, মন্দির, দত্তবাড়ি মন্দির ও জগন্নাথবাড়ি মন্দিরসহ ১৩টি বাড়িঘর লুটপাট ও ভাংচুরের ঘটনায় স্থানীয় প্রশাসন কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। এছাড়া সরকারি দলের উচ্চ পর্যায়ের কোনো নেতা বা সংসদ সদস্য কিংবা মন্ত্রী এলাকা পরিদর্শন ও সংকট উত্তরণে কোনো উদ্যোগ নেয়নি।

৭ নভেম্বর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বিএনপিকে সরকার সমাবেশের অনুমতি দেবে বলে মনে করেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব। এদিকে সিপাহী বিপ্লব দিবসের নামে বিএনপিকে কোনো সমাবেশ করতে দেয়া হবে না-আওয়ামী লীগ নেতা মাহবুবল আলম হানিফের বক্তব্যকে ব্যক্তিগত বলে দাবি করেন রুহুল কবির রিজভী।

এক প্রশ্নের জবাবে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব বলেন, ৭ ন‌ভেম্বর স্বাধীনতা সুরক্ষা ও আওয়ামী লী‌গের পুনর্জন্ম হ‌য়ে‌ছে। এ দিন আওয়ামী লী‌গের একদলীয় শাসনতন্ত্র থে‌কে বহুদলীয় শাসন ব্যবস্থা শুরু হ‌য়ে‌ছিল। এ রকম একটা দিন নি‌য়ে আওয়ামী লী‌গের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল আলম হা‌নি‌ফের বক্তব্য অনাকা‌ঙ্খিত।

সংবাদ স‌ম্মেল‌নে উপ‌স্থিত ছি‌লেন – বিএন‌পির যুগ্ম মহাস‌চিব খায়রুল ক‌বির খোকন, প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক এ‌বি এম মোশাররফ হো‌সেন, সহ দপ্তর সম্পাদক তাইফুল ইসলাম টিপু, মুনির হো‌সেন।