১৯শে আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
৪ঠা অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
Home Blog Page 256

তনুর দ্বিতীয় ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন সিআইডিতে

কুমিল্লা প্রতিনিধি: কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজের ছাত্রী ও নাট্যকর্মী সোহাগী জাহান তনুর দ্বিতীয় ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগ থেকে সিআইডিতে হস্তান্তর করা হয়েছে।

রোববার বেলা ১১টার দিকে বার্তা বাহক ফারুক হোসেনের মাধ্যমে সিলগালা খামে তা কুমিল্লা সিআইডি কার্যালয়ে হস্তান্তর করা হয়। খামটি গ্রহণ করেন সিআইডি কুমিল্লার এএসআই মোশারফ হোসেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ফরেনসিক বিভাগ ও ময়নাতদন্তকারী মেডিক্যাল বোর্ডের প্রধান ডা. কামদা প্রসাদ সাহা।

তবে তনুর বহুল আলোচিত সেই ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনে কি রয়েছে তিা নিয়ে ডা. কামদা প্রসাদ সাহা মন্তব্য করতে রাজি হননি। এদিকে রোববার দুপুর ১টার দিকে গণমাধ্যমের সঙ্গে ডা. কামদা প্রসাদ সাহা কথা বলবেন বলে জানা গেছে।

গত ২০ মার্চ রাতে কুমিল্লা সেনানিবাসের একটি জঙ্গল থেকে তনুর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। পর দিন কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজে তার প্রথম ময়নাতদন্ত করেন ডা. শারমিন সুলতানা। গত ৩০ মার্চ দ্বিতীয় দফায় ময়নাতদন্তের জন্য তনুর লাশ জেলার মুরাদনগরের মির্জাপুর গ্রামের কবর থেকে উত্তোলন ও ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ করা হয়।

গত ৪ এপ্রিল ২ সপ্তাহের মধ্যেই দেওয়া হয় প্রথম ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন। ওই প্রতিবেদনে তনুকে হত্যা ও ধর্ষণের আলামত না থাকায় দেশব্যাপী তীব্র সমালোচনার মুখে পড়ে ফরেনসিক বিভাগ। গত ১৬ মে তনুর কাপড়ে ৩ পুরুষের শুক্রানু পাওয়া যাওয়ার খবর সিআইডি থেকে বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশের পর আবারো আলোচনায় উঠে আসে প্রথম ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন। প্রথম ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন এবং ডিএনএ প্রতিবেদনের এমন গরমিল তথ্যে ঝুলে যায় দ্বিতীয় ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন।

দ্বিতীয় ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনের সহায়ক হিসেবে ডিএনএ প্রতিবেদন পেতে ফরেনসিক বিভাগের দফায় দফায় চিঠি চালাচালির পর বিষয়টি গড়ায় আদালত পর্যন্ত। গত ৫ জুন কুমিল্লার অতিরিক্ত সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট জয়নাব বেগম তনুর দাঁত, চুল, কাপড়সহ ৭টি বিষয়ের পুরো ডিএনএ প্রতিবেদনই ফরেনসিক বিভাগে হস্তান্তরের নির্দেশ দিলে গত মঙ্গলবার পুরো ডিএনএ প্রতিবেদন সিআইডি থেকে ফরেনসিক বিভাগে হস্তান্তর করা হয়। এতে গত বৃহস্পতিবার ৩ সদস্যের মেডিক্যাল বোর্ডের সভায় ২য় ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন চূড়ান্ত করে নেয় ফরেনসিক বিভাগ।

 

চমৎকার বাজেট: আওয়ামী লীগ

 

নিজস্ব প্রতিবেদক: অর্থমন্ত্রীর উত্থাপিত বাজেটকে গণমুখী আখ্যায়িত করে আওয়ামী লীগ নেতারা বলেছেন, এটি বাস্তবায়নযোগ্য, বাজারে এ বাজেটের নেতিবাচক কোনো প্রভাব ফেলবে না। এই বাজেটে ব্যবসা-বাণিজ্যের ক্ষেত্র প্রসারিত হবে। এবারের বাজেট চমৎকার বাজেট।

বৃহস্পতিবার (০২ জুন) বিকেলে জাতীয় সংসদে ২০১৬-১৭ অর্থবছরের বাজেট উত্থাপন করা হয়। অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতের বাজেট উত্থাপন শেষে সংসদ থেকে বেরিয়ে যাওয়ার সময় আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদ সদস্য ও বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদত মাহবুব-উল-আলম হানিফ সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন।

তোফায়েল আহমেদ বলেন, অর্থমন্ত্রী চমৎকার বাজেট দিয়েছেন, তার এবারের বাজেট বক্তব্য ছিল ঐতিহাসিক। বাজেট পেশ করার আগে সরকার ও ব্যবসায়ীদের মধ্যে একটা ভুল বোঝাবুঝি হয়েছিল। প্রস্তাবিত বাজেট উপস্থাপনের মাধ্যমে সেটি দূর হয়েছে।

বাজেট বাস্তবায়নের যে লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে এতে বাজারে কোনো নেতিবাচক প্রভাব পড়বে না বলেও মন্তব্য করেন তোফায়েল।

বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, উত্থাপিত বাজেট বাস্তবায়নের মধ্য দিয়ে জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন পূরণের লক্ষ্যে যে অগ্রসর হচ্ছি তা সহায়ক হবে। এ বাজেট বাস্তবায়ন যোগ্য। আর এবার রাজস্ব আয় বাড়বে।

মাহবুব-উল আলম হানিফ বলেন, এই বাজেট সময় উপযোগী ও গণমুখী। আমাদের সরকার জনগণের জন্য কল্যাণমুখী উন্নয়ন নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে। এই বাজেটেও সাধারণ মানুষের উন্নয়নকে মাথায় রেখে বাজেট উপস্থাপন করা হয়েছে।

২৪ ঘণ্টায় ৩৭ জঙ্গি আটক

চট্টগ্রামে পুলিশ সুপার (এসপি) বাবুল আক্তারের স্ত্রী মাহমুদা খাতুন মিতু হত্যাকা-ের পর সারাদেশে শুরু হওয়া পুলিশের সাঁড়াশি অভিযানের প্রথম ২৪ ঘণ্টায় ৩৭ জঙ্গি আটক হয়েছে।

শুক্রবার অভিযান শুরু হওয়ার পর থেকে শনিবার সকাল ৮টা পর্যন্ত এ ৩৭ জঙ্গিকে আটক করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন পুলিশ সদর দফতরের জনসংযোগ কর্মকর্তা কামরুল আহছান। তবে গতকালই সারাদেশে ৯ শতাধিক আটক হওয়ার খবর পাওয়া গিয়েছিল। অভিযান আজো চলছে। সব মিলিয়ে আটক সংখ্যা হাজার ছাড়িয়েছে।

কামরুল আহছান জানিয়েছেন, আটক ৩৭ জনের ২৭ জেএমবি সদস্য, সাতজন জাগ্রত মুসলিম জনতা বাংলাদেশের (জেএমজেবি) সদস্য। বাকি তিনজন অন্য সংগঠনের।

রোজাদারদের খাবার সামনে নিয়ে বসে থাকার ফযিলত

পেটে প্রচন্ড ক্ষুধা। গলায় তৃষ্ণা। সামনে শীতল শরবত। দস্তরখানে বাহারি খাবারও হাজির। কিন্তু আপনি খাচ্ছেন না। অপেক্ষা করছেন। অপেক্ষা করছেন সময়ের, নির্দেশের। আযান পড়লেই মুখে তুলে নেবেন সুন্নতি খাবার খেজুর। ভাঙ্গনে রোজা। আযানের এক মিনিটের আগেও স্পর্শ করেননি আপনি এ খাবার। কেন? কারণ মনে তাঁর (আল্লাহর) প্রতি ভালবাসা। তাঁর নির্দেশের প্রতি শ্রদ্ধা। তাকে সন্তুষ্ট করার জন্যই আপনার এ ত্যাগ। তবে তিনি কি প্রতিদান দেবেন এ ত্যাগের?

আল্লাহ রাব্বুল আলামীন বলেন, আমার নিকট সবচেয়ে প্রিয় সেই বান্দা যে ইফতার সঠিক সময়ে করে। (তিরমিযী, মেশকাত)।  তিনি ঘোষণা দিয়েছেন প্রিয়তম বান্দার। কাকে? যে সঠিক সময়ে ইফতার করে। যে খাবার সামনে নিয়ে বসে থেকেও খায় না। সে অপেক্ষা করে সময়ের। ওলামায়ে কেরাম বলেন, ইফতার রোজাদারদের জন্য একটি আনন্দময় সময়। সূর্য অস্ত যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ইফতার করা সুন্নত এবং সূর্যাস্তের আগে ইফতারি সামনে নিয়ে বসে থাকা মোস্তাহাব।

হাদিসে ইফতার সম্পর্কে যথেষ্ট গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘মানুষ কল্যাণের সঙ্গে থাকবে ততকাল, যতকাল তারা শিগগির ইফতার করবে’ (বোখারি শরীফ)। এ হাদিসে সময় হয়ে যাওয়ার পর ইফতারে বিলম্ব না করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। বলা হয়েছে যথাসময়ে ইফতার করার জন্য।  ইফতার সম্পর্কে রাসূলুল্লাহ (সা.) আরও বলেন, ‘আল্লাহতায়ালা বলেন, আমার বান্দাদের মধ্যে আমার কাছে অধিকতর প্রিয় তারাই, যারা আগেভাগে ইফতার করে’ (তিরমিজি)।

নবীদেরও স্বভাব ছিল ইফতারে দেরি না করা। (তাবারানী কাবীর, মাজমাউজ যাওয়ায়িদ ২য় খন্ড; ১০৫ পৃ) এ হাদীসগুলো প্রমাণ করে যে, ইফতারের নির্দিষ্ট সময় থেকে দেরি করা মোটেই উচিত নয়। যদি কেউ ইচ্ছা করে ইফতারে দেরি করে তাহলে সে রাসুলুল্লাহর (স.) নির্দেশ অনুযায়ী কল্যাণ থেকে বঞ্চিত হবে এবং আল্লাহর নিকট অপ্রিয় হবে।

হাদীসে কুদসীতে বর্ণিত হয়েছে, আল্লাহ রাব্বুল আলামীন প্রত্যেক নেক আমলের প্রতিদান ১০-৭০০ গুণ পর্যন্ত বাড়িয়ে দিয়ে থাকেন। তবে রমযান মাসের রোযার প্রতিদান এর ব্যতিক্রম। আল্লাহ তাআলা ঘোষণা দিয়েছেন, যেহেতু আমার বান্দাবান্দীরা আমাকে না দেখেও আমার ভয়ে আমার হুকুম পালনার্থে এবং আমার সন্তুষ্টি অর্জনার্থে দিনের বেলা পানাহার (বৈধ কামাচার) ত্যাগ করেছে, তাদের প্রবৃত্তি দমন করেছে, সুতরাং আমি নিজ হাতে তাদের এই ত্যাগের বিনিময় দান করবো। অন্য বর্ণনায় বলা হয়েছে, আমিই এসব রোযাদারের প্রতিদান। (বুখারী, মুসলিম, তিরমিযি, ইবনে মাজাহ)

বক্তাবলীর চর রাজাপুর বিদ্যুৎ লাইন নির্মাণ কাজ উদ্বোধন করেন-সাইফুল্লাহ বাদল এবং শওকত আলী

শুক্রবার সকাল ১০টায় ফতুল্লা থানাধীন বক্তাবলী ইউনিয়নের চর রাজাপুর বাসীর বহুল কাঙ্ক্ষিত বিদ্যুৎ লাইন নির্মান কাজের শুভ উদ্বোধন করেন ফতুল্লা থানা আওয়ামীলিগের সভাপতি ও কাশীপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এম সাইফুল্লাহ বাদল এবং ফতুল্লা থানা আওয়ামীলিগের সেক্রেটারী ও বক্তাবলী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এম শওকত আলী। এসময় উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ফাতেমা মনির। আরো উপস্থিত ছিলেন বক্তবলী ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ড সদস্য আতাউর রহমান, ৪নংওয়ার্ড সদস্য হাজী ওমর ফারুক,কাজী শহীদুল ইসলাম,বাদশা মাতবর ও চর রাজাপুরের পঞ্চায়েত প্রধানসহ সর্বস্তরের জনগন।

আওয়ামী লীগকে জনগন বিশ্বাস করে না : রুহুল কবির রিজভী

দেশজুড়ে একের পর এক হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটলেও কোনো তদন্ত ছাড়াই সরকার বলে দিচ্ছে এগুলো বিরোধী দলের কাজ। অথচ জনগণ বিশ্বাস করে বিরোধী দলকে দোষারোপ করতেই এসব হত্যাকাণ্ড ঘটাচ্ছে সরকার। তাই জনগণ ক্ষমতাসীনদের প্রতিটি অপকর্মের প্রতিশোধ নেবে’ বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদ।

রাজধানীর সেগুনবাগিচায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) সাগর-রুনি মিলনায়তনে ‘মেয়র অধ্যাপক এম এ মান্নান মুক্তি পরিষদ’ আয়োজিত এক প্রতিবাদ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। বিএনপির চেয়ারপারসন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মামলা প্রত্যাহার ও দলীয় নেতা কর্মীদের নিপীড়ন-নির্যাতনের প্রতিবাদ এবং গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের (জিসিসি) নির্বাচিত মেয়র আলহাজ অধ্যাপক এম এ মান্নানের নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে এ সভার আয়োজন করা হয়।

দেশজুড়ে সংঘটিত হত্যাকাণ্ডের প্রসঙ্গ টেনে রুহুল কবির রিজভী আহমেদ বলেন, সরকারবিরোধী আন্দোলন করতে গিয়ে প্রশাসনের নির্যাতনের কারণে বিএনপির অনেক নেতাকর্মীকে বিভিন্ন জায়গায় পালিয়ে থাকতে হচ্ছে। সরকার ও প্রশাসন সেখান থেকে তাদের আটক করে কারাগারে নিক্ষেপ করছে। অথচ কারা এসব হত্যাকাণ্ড ঘটাচ্ছে সরকার তাদের ধরতে পারছে না। এতে জনগণের মনে প্রশ্ন জাগে, এসব হত্যা সরকারের লোকেরা করছে কিনা?

অধ্যাপক এম এ মান্নানের বারবার গ্রেপ্তার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, অধ্যাপক এম এ মান্নানকে বারবার গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। কিন্তু কেন, তার দোষ কী? তিনি বিপুল ভোটে গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন। তার নামে কোনো মামলা ছিল না, তিনি এলাকায় অত্যন্ত জনপ্রিয়। এটাই কি তার দোষ? আসলে গাজীপুরে স্থানীয় আওয়ামী লীগের লোকেরা সব লুটপাট করে খাবে। সেজন্যই প্রশাসন দিয়ে মান্নানকে গ্রেপ্তার করিয়ে মিথ্যা মামলা দিয়েছে। আমি তার নিঃশর্ত মুক্তির দাবি করছি।

আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফের উদ্দেশে রিজভী আহমেদ বলেন, আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে বসে বিবৃতি দিলে জনগণ তা বিশ্বাস করে না। ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে কত লোক নিহত ও পঙ্গু হয়েছে তার হিসেব কি করেছেন? ক্ষমতার ঠাণ্ডা ঘরে বসে আছেন, তাই প্রকৃত অবস্থা বুঝতে পারছেন না। পঙ্গু হাসপাতালে যান, দেখেন- আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীদের হামলার শিকার হয়ে কত মানুষ পঙ্গুত্ব বরণ করছেন। জনগণ আপনাদের প্রতিটি অপকর্ম-নির্যাতনের প্রতিশোধ নেবে। সদ্যসমাপ্ত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে প্রকৃতপক্ষে কোনো নির্বাচনই হয়নি। নির্বাচনের নামে সরকারের পছন্দের লোকদের বেছে নেয়া হয়েছে। এ নির্বাচন নাটকের মাধ্যমে ১২৫ জন নিরীহ মানুষকে হত্যা এবং হাজার হাজার লোককে পঙ্গু করা হয়েছে। এ অবস্থার উত্তোরণে সরকারের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলা ছাড়া কোনো উপায় নেই। ভোটারবিহীন সরকারকে রাস্তায়-রাস্তায়, পথে-ঘাটে, অফিস আদালত সর্বত্রই প্রতিরোধ করতে হবে।

এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, অবৈধ সরকারের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলা হবে ন্যায়সঙ্গত ভাবে। বিএনপির ক্ষমতায় আসার জন্য এ প্রতিরোধ নয়, জনগণের হারানো অধিকার ফিরিয়ে দেয়ার জন্য এ প্রতিরোধ। গণতন্ত্রকে আজ বন্দি করে রাখা হয়েছে। মানুষের চিন্তা ও মত প্রকাশের স্বাধীনতাকে তালাবন্দি করে রাখা হয়েছে। আন্দোলনই হবে সে বন্ধ তালার চাবি। যে চাবি দিয়ে বন্ধ তালা খুলে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার ও মানুষের মত প্রকাশের স্বাধীনতাকে নিশ্চিত করতে পারবো।

নারায়ণগঞ্জের রাজনীতিতে তৈমুর শিবিরে জাকির খান আতঙ্ক

নিজস্ব প্রতিবেদক :বিএনপির   রাজনীতিতে   জাকির   খানের   সমর্থকদের সরব উপস্থিতিতে শঙ্কিত রয়েছে তৈমুর পন্থিরা।গত কয়েক মাস ধরে   জাকির   খানের   পক্ষে   বিএনপির   বিশাল   একটি   অংশ রাজনীতিতে সক্রিয় হওয়ার পর থেকে জেলা বিএনপির সভাপতি তৈমুর   আলম   পন্থি   নেতাকর্মীরা   অনেকটা   চিন্তিত   হয়ে পরেছে।   তবে   জাকির   খানকে   ঘায়েল   করতে   তৈমুরের   ভাই ব্যবসায়ী   নেতা   সাব্বির   আলম   খন্দকারের   হত্যা   মামলাকে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করা হতে পারে বলে জাকির খান সমর্থকদের আশঙ্কা।   তবে   দেশের  বাইরে   থেকেও জাকির খান বিএনপির   রাজনীতিতে   বড়   ধরনের   ফ্যাক্টর   তা   অনেকাট পরিস্কার।  জাকির   খান সমর্থকদের   দাবি, ব্যবসায়ী নেতা সাব্বির   আলম   খন্দকার   হত্যা   মামলা   নিয়ে   নতুন   করে রাজনীতি শুরু হয়েছে। এ হত্যা মামলা থেকে বিএনপিদলীয় সাবেক এমপি গিয়াসউদ্দিনকে রেহাই দেয়ার পর মামলার অপর আসামি   জেলা   ছাত্রদলের   সাবেক   সভাপতি   জাকির   খানকে ফাঁসানোর তোড়জোড় শুরু হয়েছে। অভিযোগ, এর পেছনে রয়েছে জেলা বিএনপির বিভক্ত রাজনীতির খেলা।

জানা গেছে, নারায়ণগঞ্জের এক সময়ের দোর্দ- প্রভাবশালী ছাত্রদল নেতা বর্তমানে থাইল্যান্ড প্রবাসী জাকির খান গত
কয়েক মাস ধরে রাজনীতিতে আবারো সক্রিয় হওয়ার চেষ্টা করছেন।   এতে   করে   জেলা   বিএনপি   সভাপতি   তৈমুর   আলম খন্দকার প্রুপের মধ্যে নতুন করে ভীতি দেখা দিয়েছে। তাদের ধারণা,   স্থানীয়   বিএনপির   একটি   গ্রুপের   সরাসরি সমর্থন   থাকায়   জাকির   খান   রাজনীতিতে   সক্রিয়   হলে নারায়ণগঞ্জে   তৈমুর   আলম   গ্রুপ   দুর্বল   হয়ে   যাবে।   এ
কারণেই   জাকির   খানের   বিরুদ্ধে   লড়তে  হাতিয়ার  হিসেবে সাব্বির হত্যা মামলাটি বেছে নেয়া হয়েছে।সূত্র জানায়, জাকির খানের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় ৪টি হত্যাসহ   তিন   ডজনেরও   বেশি   মামলা   রয়েছে।   তারপরও নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সভাপতি ও কেন্দ্রীয় কমিটির সহ আইন বিষয়ক সম্পাদক তৈমুর আলম খন্দকারের বিপরীতে জাকির খানকে বিএনপির রাজনীতিতে পুনর্বাসনের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন জেলার সাবেক এমপি ও তার অনুসারীরা। এই গ্রুপটি   মূলত   তৈমুর   আলমের   প্রতিপক্ষ   হিসেবে পরিচিত।   ২০০৯   সালের   ২৫   নভেম্বর   তৈমুর   আলম   খন্দকার জেলা   বিএনপির   সভাপতি   হওয়ার   পর   স্থানীয়   বিএনপির কর্তৃত্ব   তার   হাতে   চলে   যায়।   এতে   ক্ষুব্ধ   হয়ে   প্রতিপক্ষ গ্রুপ তাদের অবস্থান সুসংহত করতেই জাকির খানকে বেছে নিয়েছে। ওই গ্রুপের সঙ্গে যোগ দিয়েছেন জেলা ও  শহর বিএনপির কমিটিতে স্থান না পাওয়া বিতর্কিত কয়েকজন নেতা। এসব গ্রুপের মাধ্যমে গত কয়েক মাসে জাকির খান গোপনে ঢাকায় বিএনপির হাই কমান্ডের কয়েকজনের সঙ্গে একাধিকবার   বৈঠক   করেছেন   বলেও   জানা   গেছে।   জানা
গেছে, থাইল্যান্ডে হোটেল ব্যবসার মন্দা থাকায় জাকির খান দেশে   ফিরে   আসতে   চাইছেন।   চলতি   বছরের   ৮   জানুয়ারি চট্টগ্রামমুখী   বিএনপির   রোডমার্চে   ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ লিংক   রোডে   শোডাউন   করে   তার   কয়েক   হাজার   লোকজন। ওইদিন তারা জাকির খানের বিশাল ছবি ও ব্যানার বহন কর কেন্দ্রীয় নেতাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।
তৈমুর গ্রুপের আশঙ্কা, জাকির খান দেশে ফিরে এলে তাদের রাজনৈতিক   কর্তৃত্বে   আঘাত   আসবে।   এ   কারণে   তারা এবার সাব্বির হত্যা মামলাটি দ্রুত শেষ করে জাকির খানকে ঠেকাতে চাইছেন।
১৯৮৯ সালে নাসিম ওসমানের (নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের এমপি ও   জাতীয়   পার্টির   সভাপতিম-লীর   সদস্য)   হাত   ধরে
ছাত্রসমাজে   যোগ   দিয়ে   জাকির   খান   নারায়ণগঞ্জের   ছাত্র রাজনীতি   নিয়ন্ত্রণে   নেন।   ১৯৯১   সালে   বিএনপি   ক্ষমতায় আসার  পর জাকির খানের সঙ্গে নাসিম ওসমানের বিরোধ বাঁধে।   পরে   তিনি   বিএনপি   নেতা   কামালউদ্দিন   মৃধার নেতৃত্বে ১৯৯৪ সালে বিএনপিতে যোগ দেন। ১৯৯৫ সালে দেওভোগ   এলাকার   শীর্ষ   সন্ত্রাসী   দয়াল   মাসুদকে   শহরের সোনার বাংলা মার্কেটের পেছনে প্রকাশ্যে গুলি করে হত্যা করে   ব্যাপকভাবে   আলোচিত   হন   জাকির   খান।   ১৯৯৬   সালে বিএনপি   সরকারের   শেষ   দিকে   তার   শহরের   খাজা   সুপার মার্কেটে হামলা ও ভাংচুরের ঘটনায় ৭ বছরের জেল হয়। কিন্তু রাষ্ট্রপতির সাধারণ ক্ষমায় মুক্ত হন। সে সময়ের স্বরাষ্টমন্ত্রী আবদুল মতিন চৌধুরীর নাতি হিসেবে শহরে পরিচিত হয়ে ওঠেন জাকির খান। ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার ৭ মাসের মাথায় কাশীপুর বাংলাবাজার এলাকায় এক ঠিকাদারের   কাছে   চাঁদা   দাবির   অভিযোগে   দায়েরকৃত  মামলায় দ্বিতীয় দফায় তার ৫ বছরের জেল হয়। আওয়ামী লীগের ৪ বছর তিনি জেলে থাকেন। ১৯৯৯ সালে স্বল্প সময়ের জন্য জেল থেকে বের হয়ে জাকির খান জেলা ছাত্রদলের সভাপতি হন। ২০০  সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে গ্রেফতার হয় জাকির খান। ২০০১ সালে বিএনপি ক্ষমতায় আসার পরও প্রায় ৫ মা জেলে থাকে জাকির। ২০০৩ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি সাব্বির আলম খন্দকার খুন হওয়ার পর এ মামলার আসামি হওয়ায় তিনি  নারায়ণগঞ্জ   ছেড়ে   থাইল্যান্ডে   পাড়ি   জমান।   সেখানে সুকুমবিকে কয়েক কোটি টাকা দিয়ে ‘গ্রেস’ নামে ৮ তলার একটি থ্রি-স্টার হোটেল কেনেন তিনি।

উল্লেখ্য, ২০০৩ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশ নিটওয়্যার অ্যান্ড   ম্যানুফেকচারার্স   অ্যাসোসিয়েশনের (বিকেএমইএ)   প্রতিষ্ঠাকালীন   পরিচালক   ও   সাবেক   সহ- সভাপতি   সাব্বির   আলম   খন্দকার   শহরের   মাসদাইর   এলাকায়
নিজ বাড়ির অদূরে গুলিতে নিহত হন। হত্যাকান্ডের পর তার বড় ভাই   তৈমুর   আলম   বাদী   হয়ে   নারায়ণগঞ্জ-৪   (ফতুল্লা)আসনের   তৎকালীন   বিএনপিদলীয়  এমপি  গিয়াসউদ্দিনসহ জাকির খানকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা করেন।

ক্ষমতাসীনদের ইঙ্গিতে গুপ্তহত্যা হচ্ছে : মির্জা অালমগীর

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ ক্ষমতাসীনদের ইঙ্গিতেই সাম্প্রতিক গুপ্তহত্যা চলছে। বৃহস্পতিবার বেলা ১২টার দিকে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।

মির্জা আলমগীর বলেন, দেশে কোনো অঘটন ঘটলে প্রধানমন্ত্রী বরাবরের মত বিএনপিকে আক্রমন করে বক্তব্য দেন। কোনো রকম তথ্য উপাত্ত ছাড়াই বলে দেন বিএনপি জড়িত। বিএনপি নয়, ক্ষমতাসীনদের ইঙ্গিতেই সাম্প্রতিক গুপ্তহত্যা হচ্ছে।

সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন, বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুস সালাম আযাদ, সহ দফতর সম্পাদক  আসাদুল করিম শাহীন, তাইফুল ইসলাম টিপু প্রমুখ।

গুপ্তহত্যার সব তথ্য আমার কাছে আছে : শেখ হাসিনা

গত কয়েক দিন ধরে গুপ্তহত্যার ঘটনায় দেশের দু’টি দলের সংশ্লিষ্টতা রয়েছে এমন অভিযোগ এনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘একটা কথা ভুলে গেলে চলবে না। আমি হেড অব দ্য গভর্নমেন্ট (সরকারপ্রধান)। আমার কাছে নিশ্চয়ই তথ্য আছে। তদন্তের স্বার্থে হয়তো সব কথা সব তথ্য প্রকাশ করা যাবে না। কিন্তু সূত্রটা জানা যায়। আর সেই সূত্র ধরেই আমরা কথা বলি।’

এসপির স্ত্রীসহ গুপ্তহত্যাগুলোর ঘটনায় রাজনৈতিক বক্তব্য দেওয়ার কারণে মূল অপরাধীরা আড়ালে চলে যায় উল্লেখ করে এক সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন। তিনি আরো বলেন, যারা এ ধরনের কথা বলেন, তারা যদি তথ্য পেয়ে থাকেন, তাহলে তা প্রকাশ করুন। পার পেয়ে যাওয়া জঙ্গিরা কারা? পরিচয় পেলে জানান। হত্যাকারী যে পরিচয়েরই হোক, রেহাই পাবে না। সরকার বসে নেই, গোয়েন্দা সংস্থাও বসে নেই।

জাপান, বুলগেরিয়া ও সৌদি আরব সফর সম্পর্কে অবহিত করতে বুধবার দুপুরে গণভবনে এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। সেখানেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এসব কথা বলেন।

গুপ্তহত্যার ঘটনায় বিএনপি-জামায়াতের সংশ্লিষ্টতার ইঙ্গিত করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিভিন্ন সংগঠন বিভিন্ন নাম নিয়ে হত্যার দায় স্বীকার করলেও এদের হত্যার প্রক্রিয়া একই রকম। ঘটনা যারা ঘটাচ্ছে, তাদের সঙ্গে দুটি রাজনৈতিক দলের যোগসূত্র রয়েছে। আবার অনেকে ওই দলগুলোকে বাঁচাতে চায়। এর মধ্যে ‘লাল গোলাপে শুভেচ্ছা জানিয়ে বেড়ান’ এক ব্যক্তি সজীব ওয়াজেদ জয়ের হত্যাচেষ্টার সঙ্গে জড়িত। সব জেনেও অনেকে ওই ব্যক্তির গ্রেপ্তার হওয়ায় ব্যাকুলতা প্রকাশ করেন।

ব্যাংক ও আর্থিক খাতে শুধু পুকুর নয় সাগর চুরি হয়েছে : অর্থমন্ত্রী

অর্থমন্ত্রী বলেছেন, প্রকল্প ব্যয় প্রাক্কলিত ব্যয় থেকে বেশি হয়ে যাওয়ায় মঞ্জুরি দাবি এসেছে। দুর্নীতি প্রকল্প ব্যয় বাড়িয়ে দেয়। স্বতন্ত্র সাংসদ রুস্তম আলী ফরাজীর সঙ্গে একমত পোষণ করে তিনি বলেন, ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান খাতের কিছু কিছু ক্ষেত্রে যে লুটপাট হয়েছে, সেটা শুধু পুকুর চুরি নয়, সাগর চুরি।

মঙ্গলবার সকালে জাতীয় সংসদে ব্যাংক ও আর্থিক খাতের মঞ্জুরি দাবির ওপর আলোচনায় স্বতন্ত্র সাংসদ রুস্তম আলী ফরাজীর বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে অর্থমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

সংসদে ২০১৫-১৬ সালের সম্পূরক বাজেটের ওপর দেওয়া বিরোধী দল ও স্বতন্ত্র সদস্যদের দেওয়া ছাঁটাই প্রস্তাবের আলোচনায় অর্থমন্ত্রী ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের জন্য ২৩৮ কোটি ২ লাখ ৪৪ হাজার টাকা মঞ্জুরি বরাদ্দের দাবি তোলেন। সম্পূরক বাজেট সম্পর্কে বিরোধীদলীয় সদস্যদের সমালোচনার জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, প্রকল্প ব্যয় প্রাক্কলিত ব্যয় থেকে বেশি হয়ে যাওয়ায় মঞ্জুরি দাবি এসেছে। যে বাজেট দেওয়া হয়েছে, তা যৌক্তিক। তবে এটা ঠিক, দুর্নীতি প্রকল্প ব্যয় বাড়িয়ে দেয়।

দাবির বিরোধিতা করে স্বতন্ত্র সাংসদ রুস্তম আলী ফরাজী বলেন, ডেসটিনি ও হলমার্ক কেলেঙ্কারির পাশাপাশি সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশ ব্যাংকর রিজার্ভ চুরির ঘটনা ঘটেছে। ব্যাংক খাত থেকে টাকা চুরি হয়েছে। সব ব্যাংকের একই অবস্থা। বাংলাদেশ ব্যাংকে যখন পচন ধরেছে, তখন অন্য ব্যাংকগুলোর অবস্থা আর বলা লাগে না। ৮০০ কোটি টাকা কর্মকর্তাদের যোগসাজশে চুরি হয়ে গেল। সব চুরির সঙ্গে ওই ব্যাংকের কর্মকর্তারা জড়িত। পৌনে তিন লাখ হাজার কোটি পাচার হয়েছে। ৩০ হাজার কোটি টাকা চুরি হয়েছে। এগুলোকে পুকুর চুরি না বলে সাগর চুরি বলা যায়। এ ব্যাপারে তাঁর সঙ্গে অর্থমন্ত্রীও একমত প্রকাশ করেন।

এর আগে সম্পূরক বাজেটের ওপর আলোচনায় অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘প্রজেকশন ইজ প্রজেকশন। এটা পরিবর্তন হতেই পারে। আমরা যেটা দিয়েছি, আগামী তিন মাসে পরে আমাদেরটাই সঠিক হবে। সেটা তারা মেনে নেবে। প্রবৃদ্ধি কোনোভাবেই ৭ দশমিক ৫-এর কম হবে না। আমাদের নিজস্ব গবেষণা আছে। আমাদের পরিসংখ্যান ব্যুরো অনেক দক্ষ। আমাদের তথ্য নিয়েই তারা (আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান) কাজ করে।

আমলাতন্ত্রের কারণে বাজেট বাস্তবায়ন হচ্ছে না—বিরোধী দলের এমন দাবির জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, আমরা যে বাজেট দিয়েছি, তারা তাদের জীবনে এত বড় বাজেট দেখেননি, যা গত সাত বছরে বাজেট ৯১ হাজার কোটি টাকা থেকে ৩ লাখ ৪০ হাজার ৬০৫ কোটিতে এসে দাঁড়িয়েছে। চ্যালেঞ্জটা অনেক বড়। সেটার সঙ্গে যে তারা চলতে পারছেন। এ জন্যই তাদের ধন্যবাদ পাওয়া উচিত।

একই সময়ে জাতীয় পার্টির ফখরুল ইমামের এক বক্তব্যের জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, আমি দুইবার জাতীয় পার্টির বাজেট দিয়েছি। এটা সর্বৈব মিথ্যা। আমি কখনো জাতীয় পার্টির বাজেট দিইনি। আমি যখন বাজেট দিয়েছি, তখন জাতীয় পার্টির জন্মই হয়নি। আমি দিয়েছি এরশাদ সাহেবের বাজেট, যখন নির্দলীয় সরকার ছিল।

মাধ্যমিক স্তরে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তকরণ নিয়ে অর্থমন্ত্রী বলেন, ১৯৮৮ সালে মাধ্যমিক স্তরে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ছিল মাত্র নয় হাজার। এখন এই সংখ্যা ২৮ হাজার। এই ২৮ হাজারের মধ্যে এক-তৃতীয়াংশকে অযথাই এমপিওভুক্ত করা হয়েছে। তিনি বলেন, একজন এমপি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের এমপিওভুক্তি নিয়ে কথা বলেছেন। শিক্ষকেরা অনশন করেন এমপিওভুক্তির জন্য। আমি তাঁদের জিজ্ঞেস করতে চাই। অন্তর্ভুক্তি সম্পর্কে তারা সব সময় সোচ্চার, কিন্তু কত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আছে ভুঁইফোড়, চারজন শিক্ষক একজন ছাত্র নিয়ে একটি প্রতিষ্ঠান। সেসব প্রতিষ্ঠানের ব্যাপারে তাঁরা কেন প্রতিবাদ করেন না।