(চাঁপাইনবাবগঞ্জ) প্রতিনিধি:চাঁপাইনবাবগঞ্জের ভোলাহাটে তিন মাসের বাচ্চা পেটে নিয়ে মাতাল স্বামী কর্তৃক মর্মান্তিকভাবে হত্যাকান্ডের শিকার হয়েছেন নুসরাত জাহান (২০)। পাষন্ড ওই ঘাতকের নাম মো. সায়েম আলী (২৫)। সে উপজেলার সদর ইউনিয়নের ফুটানীবাজার নামোহোসেনভিটা গ্রামের মৃত ফজলুর রহমানের ছেলে।বৃহস্পতিবার নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে পুৃলিশ। এবং ঘাতক স্বামীকেও আটক করেছে তারা।নিহতের স্বজন সূত্রে জানা যায়, গোমস্তাপুর উপজেলার রোহনপুর ইউনিয়নের বাবুরঘোন গ্রামের আবুল কালামের মেয়ে নুসরাতের সাথে মাত্র চার মাস আগে বিয়ে হয় মাদকাসক্ত সায়েমের। সে এর আগে আরো দু’টি বিয়ে করেছিল। তার আগের এক স্ত্রীর সংসারে একটি সন্তান রয়েছে। মাঝখানে প্রায় পাঁচ বছর সে কোরিয়ায় অবস্থান করে। কোরিয়া থেকে দেড় বছর আগে দেশে ফিরে আসে সায়েম। এরপর নুসরাতকে বিয়ে করে। সে এখন ৩ মাসের অন্তস্বত্বাও। নুসরাত ছিল রুপে-গুণে অসাধারণ। তবুও নেশা করে প্রায় রাতে ঘরে ফিরেই নুসরাতকে মারধর করতো সায়েম। এ নিয়ে একাধিকবার দু’পরিবারের মধ্যে আলোচনা হলেও কোন সমাধান হয়নি।তবে, স্থানীয় একটি অসমর্থিত সূত্র বলছে, নুসরাত ছিলেন বেশ সুন্দরী। বেশী সুন্দর হওয়ায় স্ত্রীকে বিশ্বাসই করতো না মাদকাসক্ত সায়েম। সন্দেহ থেকেই যখন-তখন মধ্যযুগীয় কায়দায় হামলে পড়তো নুসরাতের উপর।সর্বশেষ, বুধবার কোন কারণ ছাড়াই সায়েম নুসরাতকে বেধড়ক পেটাতে থাকলে সে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে।পরে নুসরাতের স্বামী ও দেবররা মুমুর্ষ অবস্থায় তাকে গতকাল হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। পরে এ ঘটনায় সায়েমসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ের করা হলে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ঘাতক স্বামী সায়েমকে গ্রেফতার করে।
পিপি ওয়াজেদ আলী খোকন বলেন, বুধবার ডাকঘর থেকে একটি চিঠি আসে। এতে প্রেরকের নাম লেখা আছে আবুল বাশার। ঠিকানা দেওয়া হয়েছে উত্তর ইসদাইর।
চিঠিতে বলা হয়েছে রিফাত নামের এক মাদকের মামলার আসামীকে না ছাড়লে কোর্ট সহ আমাকে ও আমার পরিবারকে জানে শেষ করে দেওয়া হবে।
এ বিষয়ে ফতুল্লা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এসএম মঞ্জুর কাদের বলেন, হুমকিদাতাকে খুঁজে বের করা হবে। চিঠিসহ বিভিন্ন সূত্র ধরে বাশারের সন্ধানে পুলিশের একটি টিম কাজ করছে।
এ ছাড়াও দ্রুত অভিযুক্তকে সনাক্ত করে আইনের আওতায় নিয়ে আসা যাবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।









