দুঃস্থ ও অসহায়দের মাঝে চ্যানেল এস ও নিউজ প্রতিদিন ডট নেট এর উদ্যোগে মহানগর ব্লাড ব্যাংক এন্ড ট্রান্সফিউশন সেন্টারে বুধবার সকাল ১০টায় শীতবস্ত্র বিতরণ করা হয়। এসময় উপস্থিত ছিলেন নিউজ প্রতিদিন ডট নেট এর সম্পাদক মোঃ আবুল কালাম আজাদ,চ্যানেল এস এর স্টাফ রিপোর্টার মোঃ জিয়াউল হোসেন জুয়েল,দৈনিক ডান্ডি বার্তার বার্তা সম্পাদক মোঃ আব্দুল রহিম,মহানগর ব্লাড ব্যাংক এন্ড ট্রান্সফিউশন সেন্টার এর ব্যাপস্থাপনা পরিচালক মাহমুদুল হাসানসহ আরো গণ্যমাণ্য ব্যক্তিবর্গ।
নির্বাচন নিয়ে আগ্রহী হচ্ছে নারায়ণগঞ্জের রাজনৈতিক দলগুলো
স্টাফ রিপোর্টারঃ হাঁটি হাঁটি পা পা করে আওয়ামী লীগ এখন নির্বাচনের দিকে হাটছে। দলীয় এমপি এবং নেতাদের জনসম্পৃক্ততা বৃদ্ধি, দলীয় বিরোধ মিটানো ও উন্নয়নমূলক কর্মকান্ডকে দৃশ্যমান করতে দলের হাই কমান্ডের পক্ষ থেকে তাগিদ দেয়া হয়েছে। মাঠে নেমেছে আওয়ামী লীগের নিজস্ব গোয়েন্দা টিম। তারা দলীয় এমপি ও শীর্ষ নেতাদের জনপ্রিয়তা এবং জনগণের সাথে কেমন সম্পৃক্ততা রয়েছে তা নিয়ে কাজ করছে। দ্বাদশ নির্বাচনে দল কাকে মনোনিত করবেন আর কে মনোনয়ন পাওয়ার যোগ্য তা নিয়ে আওয়ামী লীগ কাজ শুরু করে দিয়েছে। দলের তৃনমূল থেকে নানা তথ্য উপাথ্য সংগ্রহ করতে শুরু করেছে বলে আওয়ামী লীগের ঘনিষ্ঠ সূত্রে জানাগেছে। নারায়ণগঞ্জ নিয়েও কাজ শুরু করে দিয়েছে আওয়ামী লীগের হাই কান্ড। আগামী নির্বাচনে দল কাকে মনোনিত করবে এ নিয়েও কাজ শুরু করে দিয়েছে। তবে আগামীতে নারায়ণগঞ্জের পাঁটি আসনের জন্য প্রার্থী খুঁজতে শুরু করেছে আওয়ামী লীগ। জাতীয় পার্টির আগামীতে সবগুলো আসনে প্রার্থী দিতে প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে। পৃথক ভাবে নির্বাচনের লক্ষ্যে পরোক্ষভাবে কাজ শুরু করেছে জাতীয় পার্টির নীতিনির্ধারনী ফোরাম। সব কিছু ঠিক থাকলে নারায়ণগঞ্জেও জাতীয় পার্টিসবগুলো আসনে প্রার্থী দিবে বলে জাতীয় পার্টিও নির্ভরযোগ্যি সূত্রে জানাগেছে। বসে নেই বিএনপিও। রাষ্ট্রপতির সাথে ইসি নিয়ে আলোচনার পর নির্বাচনী প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে বিএনপি। নির্বাচনে অংশ নিতে আগ্রহী নারায়ণগঞ্জের নেতারাও নির্বাচনী প্রস্তুতি নিচ্ছে বলে জানাগেছে। বোদ্ধা মহলের মতে, নারায়ণগঞ্জের রাজনৈতিক দলগুলো এখন নির্বাচনী তৎপরতায় ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছে। রাজনৈতিক বিএনপি নির্বাচনে অংশ না নিয়ে যে ভুল করেছিল তা আর আগামীতে করতে চাচ্ছে না। ফলে বিএনপি নির্বাচনী নিয়ে বেশী আগ্রহী হয়ে উঠেছে। সূত্রমতে, দ্বাদশ নির্বাচন নিয়ে শুধু আওয়ামী লীগেই প্রস্তুতি শুরু হয়নি। বিএনপি ও জাতীয় পার্টিও নির্বাচন নিয়ে ভাবতে শুরু করেছে। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগে এই প্রস্তুতি অনেকটা বেশী। আগামীতে দল কাকে মনোনিত করবে, কার জনপ্রিয়তা বেশী, নেতাদের জনপ্রিয়তা কেমন এসব নিয়ে কাজ শুরু করে দিয়েছে আওয়ামী লীগ। নির্বাচনের আগে দলীয় বিরোধ মিটানো এবং অঙ্গ সংগঠনগুলোতে নতুন করে ঢেলে সাজানোরও নিদের্শনা রয়েছে। ইতোমধ্যে আওয়ামী লীগের তাদের প্রায় সবগুলো সাংগঠনিক জেলা কমিটিগঠনে সক্ষম হয়েছে। বাকীগুলোকে নতুন করে সাজাতে কাজ চলছে। তবে আওয়ামী লীগ বরাবরই নারায়ণগঞ্জকে গুরুত্বের সাথে দেখছেন। যদিও আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটিতে নারায়ণগঞ্জের কোন নেতাকে স্থান দেয়া হয়নি। তবে নিারায়ণগঞ্জের নেতাদের কোন অংশ কম গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে না। আর এসব কারণে আগামী নির্বাচনের আগে জেলা আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনকে নতুন করে সাজাতে তৎপর হয়েছে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমান্ড। যে কোন সময় জেলা আওয়ামী লীগের পূর্নাঙ্গ কমিটি ঘোষাণা করা হবে। পাশাপাশি নারায়ণগঞ্জ আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠনগুলোতে নতুনদের হাতে নেতৃৃত্ব তুলে দেয়ারও তৎপরতা চলছে। আওয়ামী লীগের ঘনিষ্ঠ সূত্রে জানাগেছে, আগামী নির্বাচনে বর্তমান এমপিদের কর্মকান্ডের উপর নির্ভর করছে আগামীতে দলীয় মনোনয়ন। আওয়ামী লীগের প্রার্থীতার ক্ষেত্রে পরিবর্তনও আসতে পারে বলে জানাগেছে। অপরদিকে, বসে নেই জাতীয় পার্টি ও বিএনপি। জাতীয় পার্টি আগামীতে সবগুলো আসনে প্রার্থী দেয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে। নারায়ণগঞ্জের ৫টি আসনেও জাতীয় পার্টি একক প্রার্থী দিতে পারে বলে জানাগেছে। নারায়ণগঞ্জের রাজনীতিতে সম্পৃক্ত জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় একাধিক নেতা দলীয় নেতাকর্মীদের সংগঠিত করতে কাজ শুরু করে দিয়েছে। বিএনপি পরোক্ষ ভাবে প্রস্তুতি নিচ্ছে নির্বাচনের জন্য। নারায়ণগঞ্জ থেকে বিএনপির যে সমস্ত নেতা নির্বাচন করতে আগ্রহী সেসব নেতারা নিজ নিজ কর্মী সমর্থকদের সংগঠিত করতে কাজ করে যাচ্ছে। কেন্দ্রীয় লবিংও অব্যাহত রেখেছে কোন কোন নেতা। কমিটি গঠন এবং কমিটিতে স্থান পেতে জেলা বিএনপির একাধিক নেতা নির্বাচনে প্রার্থী হতে তৎপর রয়েছে বলে বিএনপির একাধিক সূত্রে জানাগেছে।
জোয়ার হোসেন জুয়েল এর কুলখানী অনুষ্ঠিত
সিদ্দিরগঞ্জ থানাধীন আইলপাড়া এনায়েতনগরের হযরত শহজালাল (র) জামে মসজিদের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মৃত মোঃ জোয়ার হোসেন জুয়েলের কুলখানী তার নিজ বাসভবনে অনুষ্ঠিত হয়েছে। কুলখানী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন,সমাজ সেবক মোঃ মহসিন ভূইয়া, মোঃ শাহজাহান, মোঃ শহিদুল্লাহ,মোঃ মোতালেব ও আঃ হকসহ এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।
মুক্তিযোদ্ধ প্রজন্ম লীগের নেতাকর্মীদের নিয়ে যুবলীগ নেতা খালেকের শোডাউন
স্টাফ রিপোর্টারঃ নারায়ণগঞ্জ জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি আনোয়ার হোসেন দলীয় নেতাকর্মীদের সাথে নিয়ে দায়িত্ব বুঝে নিয়েছেন। ফুলের শুভেচ্ছায় সিক্ত হয়ে প্রথমবারের মতো নারায়ণগঞ্জ জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে দায়িত্বভার গ্রহণ করলেন মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি আনোয়ার হোসেন। একই সাথে পরিষদের নব-নির্বাচিত সাধারণ সদস্যরা তাদের নিজ নিজ দায়িত্বভার গ্রহণ করেন। এদের মধ্যে সংরক্ষিত নারী আসনে সদস্যরাও রয়েছে। আনোয়ার হোসেনের দায়িত্ব গ্রহন অনুষ্ঠানে জেলার বিভিন্ন স্থান থেকে দলীয় নেতাকর্মীরা অংশ গ্রহন করেছে। এই শোডাউনে কুতুবপুর ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারন সম্পাদক দলীয় নেতাকর্মীদের নিয়ে শোডাউনে অশ নেয়। প্রায় দুই শতাধিক হোন্ডা বহর নিয়ে তিনি শোডাউন করেন। এ সময় নারায়ণগঞ্জ মহানর মুক্তিযোদ্ধ প্রজন্মলীগের নেতাকর্মীরাও অংশ নেয়। এসময় উপস্থিত ছিলেন, তরুন লীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক রোমান, যুবলীগ নেতা রুবেল, আদর্শনগর ইউনিট আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক আ: কাউয়ূম সরকার শাহিন, কুতুবপুর ইউনিয়ন যুবলীগের যুগ্ম সম্পাদক নিশাদ আহমেদ, মহানগর মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্মলীগের সভাপতি মাসুম আহমেদ সুমন, সাধারন সম্পাদক রিয়াজ আহমেদ রিপন, সাংগঠনিক সম্পাদক মোস্তাহিদ খান, যুগ্ম সম্পাদক সোহেল হোসেন, নূর হোসেন, শেখ সেলিম, আব্দুল আজিজ, সিনবাদ, টিটু,ডা:কামরুল হাসান সরকার প্রমুখ।
সিদ্দিরগঞ্জের এনায়েতনগরবাসী ডাকাত পান্নার অত্যাচারে অতিষ্ঠ
স্টাফ রিপোর্টারঃ সিদ্দিরগঞ্জের এনায়েতনগর এলাকায় তিতাস রোডে কাঁচা বাজার বসিয়ে চাঁদা আদায়ের অভিযোগ উঠেছে এক ডজন মামলার আসামী ডাকাত সালাউদ্দিন পান্নার বিরুদ্ধে। এতে করে বেপরোয়া এই চাঁদাবাজের কর্মকান্ডের কারনে এলাকার মানুষ অতিষ্ট হয়ে উঠেছে। মানছেনা এলাকার জনপ্রতিনিধি সহ পুলিশ প্রশাসনকেও। একের পর এক অপকর্ম করে পার পেয়ে যাওয়া ডাকাত পান্নার বিরুদ্ধে এলাকার লোকজন ফুঁসে উঠেছে। জানাগেছে, সিদ্দিরগঞ্জের এনায়েতনগর এলাকার তিতাস রোডে কাঁচাবাজার বসিয়ে দীর্ঘদিন যাবৎ চাঁদা আদায় করে আসছে সালাউদ্দিন পান্না ওরফে ডাকাত পান্না। কাঁচাবাজারের ময়লা পানি ও আর্বজনার কারনে নবনির্মিত এই পাকা রোডটি স্যাঁতস্যাঁতে হয়ে ঢালাই নস্ট হওয়ার উপক্রম হয়েছে। সরকারী এই পাকা রোডে প্রায় ১ শত দোকান বসিয়ে প্রতিটি দোকান থেকে প্রতিদিন ৩০ থেকে ৫০ করে চাঁদা আদায় করছে ডাকাত পান্না। এই ব্যাপারে কেউ বাঁধা প্রদান করলেই তার উপর চলে ডাকাত পান্না বাহিনীর নির্যাতন। এই নিয়ে গত কয়েকদিন ধরে এলাকাবাসী ও এই চাঁদাবাজের সাথে কয়েক দফা সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। আহত হয়েছে হয়েছে দু-গ্রুপের প্রায় ১০ জন। এই ঘটনায় এনায়েতনগর তিতাস রোড এলাকায় উত্তেজনা সৃষ্টি হলে সিদ্দিরগঞ্জ থানা পুলিশ রোড থেকে অবৈধ দোকানপাট উঠিয়ে দেয়। কিন্তু পুনরায় এই পাকা রোডে অবৈধ দোকানপাট বসাবার জন্য পাঁয়তারা করছে ডাকাত পান্না। এই ঘটনায় ৮নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর রুহুল আমির মোল্লা বলেন, আমি সালাউদ্দিন পান্নাকে মেইন রোডে অবৈধ দোকানপাট বসানোর জন্য নিষেধ করার পরও তা কর্নপাত করেনি পান্না। তাই পুলিশ প্রশাসন এই রোড থেকে অবৈধ দোকানপাট সরিয়ে দিয়ে দায়িত্ব পালন করছে। এদিকে এলাকাবাসী জানায়,বহু অপকর্মের হোতা সালাউদ্দিন পান্না ওরফে ডাকাত পান্না আবারও বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। পান্নার ছত্রছায়ায় এলাকায় চলছে চুরি ছিনতাই ও মাদক ব্যবসাসহ বিভিন্ন অপরাধ মূলক কর্মকান্ড। তার কাজে কেউ বাঁধা হলেই তার কোন রক্ষা নেই। ডাকাত পান্না একেক সময় একেক রূপ ধারণ করে। তার কর্মকান্ডের কারণে এলাকার লোকজন অতিষ্ট হয়ে উঠেছে। এই ডাকাতের বিরুদ্ধে থানায় একাধিক অভিযোগ থাকলেও তার বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা না নেয়ায় বেপরোয়া হয়ে উঠেছে ডাকাত পান্না। এই চাঁদাবাজ ডাকাতকে গেপ্তার করা হলে এলাকায় শান্তি বিরাজ করবে বলে মনে করে এলাকার সচেতন মহল।
সব দলের সহযোগিতায় শক্তিশালী ইসি গঠন সম্ভব : রাষ্ট্রপতি
সব রাজনৈতিক দলের সহযোগিতায় শক্তিশালী নির্বাচন কমিশন (ইসি) গঠন সম্ভব বলে মন্তব্য করেছেন রাষ্ট্রপতি মো. আব্দুল হামিদ।
বুধবার বঙ্গভবনে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সঙ্গে ইসি নিয়ে আলোচনাকালে তিনি এই মন্তব্য করেন। বৈঠক শেষে রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব জয়নাল আবেদীন সাংবাদিকদের এ তথ্য দেন।
রাষ্ট্রপতির উদ্ধৃতি দিয়ে জয়নাল আবেদীন বলেন, রাষ্ট্রপতি আলোচনায় অংশ নেয়ার জন্য আওয়ামী লীগের প্রতিনিধি দলকে ধন্যবাদ জানান। তিনি বলেন, নির্বাচনের জন্য নির্বাচন কমিশন গুরুত্বপূর্ণ। অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য রাজনৈতিক দলগুলোর সহযোগিতা গুরুত্বপূর্ণ। সব রাজনৈতিক দলের সহযোগিতায় শক্তিশালী নির্বাচন কমিশন গঠন সম্ভব।
প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের উদ্ধৃতি দিয়ে রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব আরো জানান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ভবিষ্যতে নির্বাচন নিয়ে কোনো বিতর্ক হোক এটা তিনি চান না। জনগণ যাদের চাইবে, তারাই নির্বাচিত হয়ে সরকার পরিচালনা করবে। আর সেটাই আওয়ামী লীগ চায়।
আগামী ফেব্রুয়ারিতে বর্তমান ইসির মেয়াদ শেষ হচ্ছে। নতুন ইসি গঠন নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে ১৮ ডিসেম্বর থেকে সংলাপ শুরু করেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। প্রথমে সংসদের বাইরে থাকা বিএনপিকে দিয়ে সংলাপ শুরু হয়। এরপর ধারাবাহিকভাবে নির্বাচন কমিশনে নিবন্ধিত ২২টি দলের সঙ্গে পৃথকভাবে সংলাপে বসেন রাষ্ট্রপ্রধান।
নাসিক মেয়র-জেলা পরিষদের চেয়ারম্যানকে ঘিরে দালালচক্র সক্রিয়
বিশেষ প্রতিনিধি : নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন ও জেলা পরিষদকে ঘিরে এক শ্রেণীর দালাল চক্র সক্রিয় হয়ে উঠেছে। নাসিকের মেয়র ও জেলা পরিষদের নব নির্বাচিত চেয়ারম্যানের ঘনিষ্ঠজন পরিচয় দিয়ে কিংবা ঘনিষ্ঠজনের আস্থাভাজন হিসেবে নিজেকে দাবি করে এই চক্রটি সক্রিয় রয়েছে। ইতোমধ্যে তাদের অনেকের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগও উঠেছে। তবে সচেতন মহল মনে করছেন, নারায়ণগঞ্জ জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন ও নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের মেয়র সেলিনা হায়ত আইভী এ দু’জনই দলীয় নেতাকর্মীর কাছে ক্লিন ইমেজের নেতা হিসেবে পরিচিত। তাদের বিতর্কীত করতেই সুবিধাবাদী দালালরা তাদের পাশে অবস্থান নিয়েছে। এসব দালাল আর সুবিধাবাদীদের কাছ থেকে জেলা অন্যতম কর্নধর এই দুই জনপ্রতিনিধিকে সাবধানতা অবলম্বন করে চলতে হবে। অন্যথায় আস্থাভাজন আর ঘনিষ্ঠজন পরিচয় দিয়েই তাদের যে কোন সময় বিতর্কীত করতে দ্বিধাবোধ করবে না। নগরবাসীর মতে, নারায়ণগঞ্জের উন্নয়নের ধারাবাহিকতা রক্ষা করতে হবে জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও নাসিক মেয়রকে বুঝে পাঁ ফেলতে হবে। আর এ কাজে তারা সফল হলে নারায়ণগঞ্জের কাঙ্খিত উন্নয়ন সময়ের ব্যাপার মাত্র। সূত্রমতে, নারায়নগঞ্জসিটি করপোরেশন নির্বাচনের আগে নারায়ণগঞ্জের রাজনীতিতে নানা নাটকীয়তার সৃষ্টি হলেও নির্বাচনে সেলিনা হায়াত আইভী নির্বাচিত হওয়ার পর পুরো দৃশ্যপট পাল্টে যায়। নতুন করে উন্নয়নের স্বপ্ন বুনতে থাকে নগরবাসী। অসম্পন্ন কাজ সম্পন্ন হওয়ার পাশাপাশি নতুন করে আরো বেশী উন্নয়নের ব্যাপারে আশাবাদী নারায়ণগঞ্জের মানুষ। এছাড়া নারায়ণগঞ্জ জেলা পরিষদের দীর্ঘদিন পর নির্বাচিত চেয়ারম্যান হয়েছেন মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি আলহাজ্ব আনোয়ার হোসেন। তার কাছেও জেলাবাসীর অনেক প্রত্যাশা। সচেতন মহলমনে করছেন, নাসিক মেয়র আইভী ও জেলাপরিষদের চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন দু’জনই ক্লিনম্যান হিসেবে পরিচিত। যে কারণে এই দুই জনপ্রতিনিধির কাছে উন্নয়ন প্রত্যাশী সাধারন মানুষ। উন্নয়নের পরীক্ষায় মেয়র আইভী ইতোমধ্যে উত্তীর্ণ হলেও এ ক্ষেত্রে আনোয়ার হোসেন নতুন। যে কারণে উন্নয়নের পরীক্ষায় এখন তাকেও উর্ত্তীণ হতে হবে। তবে নারায়ণগঞ্জের সাধারন মানুষ মনে করছেন দু’জনই উন্নয়নের প্রতীক হবে। আইভী জনপ্রতিনিধি হিসেবে সফল হলেও মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি রাজনীতিক হিসেবে সাফল্যেও পরিচয় দিয়েছেন। তবে আইভী ও আনোয়ার হোসেন নতুন করে দায়িত্বশীল পদে আসিন হওয়ায় তাদের চারপাশ ঘিরে একটি সুবিধাবাদী ও দালালদের বলয় গড়ে উঠেছে। এই বলয়ে যারা রয়েছে তারা আইভী ও আনোয়ার হোসেনের ঘনিষ্ঠ স্বজন কিংবা ঘনিষ্ঠজনের আস্থা ভাজন দাবি করে নাসিক ও জেলা পরিষদ থেকে সুবিধা নিতে তৎপরতা শুরু করেছে। অনুসন্ধ্যানে জানাগেছে, সুবিধাবাদী চক্রটি বিগত দিনে নানা বিতর্কীত কর্মকান্ড করে বেশ আলোচিত-সমালোচিত হয়েছে। তারাই আবার ফুল দিয়ে ঢাকঢোল পিটিয়ে নিজেদেও আনোয়ার হোসেন কিংবা আইভীর আস্থাভাজন বলে জাহির করছে। এছাড়া এদের কেউ কেউ পর্দার আড়ালে থেকে দুই জনপ্রতিনিধির স্বজনদের ঘারে বসে নানা ফন্দি আটছে। তবে এই চক্র থেকে মেয়র আইভী ও আনোয়ার হোসেনকে সতর্ক থাকতে হবে বলে মনে করছেন সচেতন মহল।
আমি সকলের সহযোগীতা কামনা করছি: আনোয়ার হোসেন
নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি : নারায়ণগঞ্জ জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি আনোয়ার হোসেন বলেছেন, আমার রাজনীতি মানুষের মঙ্গল আর উন্নয়নের জন্য। আমি নারায়ণগঞ্জবাসীকে কিছু দিতে চাই। আমি বঙ্গবন্ধু ও নৌকাকে ভালবেসে জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে উন্নয়নে অবদান রাখতে জেলাবাসী ও দলীয় নেতাকর্মীর সহযোগীতা কামনা করছি। আমার বিশ্বাস আমার দল আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী ও জেলাবাসী আমার পাশে থাকবে। আনোয়ার হোসেন বলেন, নারায়ণগঞ্জ আওয়ামী লীগে কোন বিরাধ নেই। আমরা সবাই এক সাথে মিলেমিশে নারায়ণগঞ্জকে আধুনিক নারায়ণগঞ্জ হিসেবে গড়ে তুলবো। এ জন্য আমি সকলের সহযোগীতা কামনা করছি। গত মঙ্গলবার সন্ধ্যায় তার নিজ বাসভনে আয়োজিত অস্থায় মঞ্চে তিনি এসব কথা বলেন। জেলা পরিষদের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আনোয়ার হোসেনকে কুতুবপুরবাসীর পক্ষে ফুলে নৌকা উপহার দিয়ে শুভেচ্ছা জানিয়েছে কুতুবপুর ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারন সম্পাদক আব্দুল খালেক মুন্সি, যুগ্ম সম্পাদক নিশাদ আহমেদ, আদর্শনগর ইউনিট আওয়ামী লীগের সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম, সাধারন সম্পাদক আ: কাইয়ুম সরকার শাহিন প্রমুখ। এসময় মহানগর মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্মলীগের সভাপতি মাসুম আহমেদ সুমন,সাধারন সম্পাদক রিয়াজ আহমেদ রিপন, যুহ্ম সম্পাদক সোহেল, সাংগঠনিক সম্পাদক মুস্তাহিদ খান, নূর হোসেন,সিনবাদ উপস্থিত ছিলেন।
না’গঞ্জে পুলিশ বেষ্টনির মধ্যে মহানগর বিএনপির বিক্ষোভ কর্মসূচী কর্মসূচি পালন
পুলিশ বেষ্টনির মধ্যে কেন্দ্রীয় কর্মসূচীর অংশ হিসেবে বিক্ষোভ কর্মসূচী পালন করলো নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপি। রবিবার বেলা ৩টায় নগরীর ডিআইটি এলাকার দলীয় কার্যালয়ের সামনে এ কর্মসূচী পালন করে।
কর্ম সূচিতে নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপি নেতা এ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খান প্রশাসনের উদ্দেশ্যে বলেছেন, আপনারা জনগনের সেবক। জনগনের প্রতি নিরপেক্ষ থেকে আপনারা দায়িত্ব পালন করবেন, কারো দ্বারা প্রভাবিত হয়ে নয়। বর্তমান সরকার জনগনের কথা বলার অধিকার ও মিটিং মিছিল করার গণতান্ত্রিক অধিকার ছিনিয়ে নিয়েছে। আমাদের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচীতে বাঁধা দিয়ে নেতাকর্মীদেরকে নির্মমভাবে আহত করছে, গ্রেফতার করে মিথ্যা মামলা দিচ্ছে।
তিনি বলেন, আমি আজকের এই সভা থেকে নেতাকর্মীদের সকল মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার দাবী করছি। সেইসাথে জনগনের ভোটের অধিকার, কথা বলার অধিকার প্রতিষ্ঠার আন্দোলন অব্যাহত রাখার প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি। নগর বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক এটিএম কামাল বলেন, ৭ জানুয়ারী ঢাকার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জনসভা করার অনুমতি চেয়েছিলো বিএনপি। যেখানে প্রধাণ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকার কথা ছিলো দলীয় চেয়ারপার্সণ বেগম খালেদা জিয়ার। কিন্তু সরকার সেই জনসভা করার অনুমতি দেয়নি। গত ৫ জানুয়ারী সারাদেশের বিএনপি নেতাকর্মীদের উপর বর্বরোচিত হামলা চালানো হয়েছে। আজকে আমরা সেইসব ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে এর বিচার দাবী করছি।
কর্মসূচীতে আরো উপস্থিত ছিলেন, মহানগর বিএনপি নেতা এড. আবু আল ইউসুফ খান টিপু, কেন্দ্রীয় যুবদলের সদস্য সাদেকুর রহমান সাদেক, রাসেল আহমেদ মনির, হাজী ইসমাইল হোসেন, ফারুক হোসেন, আওলাদ হোসেন, মনির খান, মীর আলমগীর, সুমন হোসেন, শওকত আলী লিটন, ফেরদৌস আহমেদ, যুবদল নেতা মোয়াজ্জেম হোসেন মন্টি, আলী নেওয়াজ, জাহাঙ্গির হোসেন, স্বপন চৌধুরী, মন্টু মেম্বার, রিপন খান, মনির হোসেন, স্বেচ্ছাসেবকদল নেতা এইচএম আনোয়ার প্রধান, সাখাওয়াত হোসেন, বেলাল খান, হিমেল, ইশাণ, পলাশ, কৃষকদল নেতা উজ্জল হোসেন, আ: রাজ্জাক প্রমূখ।
ঘুষ গ্রহনের সময় দুদকের জালে গ্রেফতার উপসচিব
ঘুষ নেওয়ার সময় হাতেনাতে একজন উপসচিবকে গ্রেপ্তার করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। রোববার রাতে রাজধানীর খিলগাঁওয়ের একটি ফাস্ট ফুডের দোকান থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার হওয়া উপসচিবের নাম মিজানুর রহমান। তিনি প্রেষণে সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের আইন কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
দুদকের ঢাকা বিভাগীয় কার্যালয়ের পরিচালক নাসিম আনোয়ার গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, সড়ক ও জনপথ থেকে ইজারাগ্রহীতা মাইনুদ্দিন চৌধুরীর অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে দুদক এ অভিযান চালায়। মিজানুর রহমান একটি তদন্ত প্রতিবেদনের জন্য মাইনুদ্দিনের কাছ থেকে এর আগে এক লাখ ৯০ হাজার টাকা ঘুষ নেন। পরে আরও নয় লাখ টাকা দাবি করেন। এ বিষয়ে মাইনুদ্দিন অভিযোগ করেন দুদকের কাছে। সকল আইনি প্রক্রিয়া শেষে আজ রাতে দুদকের একটি দল খিলগাঁওয়ের ওই ফাস্ট ফুডের দোকানে অবস্থান নেয়। ঘুষের টাকাসহ মিজানকে গ্রেপ্তার করে দলটি।
দুদক সূত্র জানিয়েছে, গ্রেপ্তারের পর মিজানুর রহমানকে খিলগাঁও থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। কাল সোমবার তাঁকে আদালতে হাজির করা হবে