২১শে কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
৬ই নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
Home Blog Page 239

সিদ্ধিরগঞ্জে জাতীয় শোক দিবস পালিত

জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর শেখ মজিবুর রহমানের ৪১তম শাহাদাত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস পালন করেছে আওয়ামীলীগ, সহযোগী সংগঠন, ব্যবসায়ী সংগঠন ও ব্যক্তিগত উদ্যোগে বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্যে দিয়ে সিদ্ধিরগঞ্জে দিবসটি পালন করা হয়। সোমবার সকাল থেকে সন্ধ্যা ৬ টা পর্যন্ত পাঠানতুলী, আইলপাড়া, চৌধুরীবাড়ি, ২নং ঢাকেশ্বরী বাসষ্ট্যান্ড, এসও রোড, সুমিলপাড়া, আদমজী সিএমবি ব্যবসায়ী সমাজ, মিজমিজি. মৌচাক, সানাড়পাড়, মুক্তিনগর, হিরাঝিল, জালকুড়ি, সিদ্ধিরগঞ্জ কবরস্থান সংলগ্ন ঈদগাঁ মাঠসহ ২শতাধিক স্থানে কোরআন খানি, মিলাদ মাহফিল ও গরীব- দুঃখিদের মাঝে খাবার বিতরন করে দিবসটি পালন করা হয়। নারায়ণগঞ্জ ৪ আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ্ব একেএম শামীম ওসমান প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত থেকে খাবার বিতরন করেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন, কেন্দ্রীয় শ্রমিকলীগের সাবেক সভাপতি আব্দুল মতিন মাষ্টার, মহানগর আওয়ামীলীগের ত্রাণ ও সমাজ কল্যাণ সম্পাদক কাজী আতাউর রহমান সিদ্ধিরগঞ্জ থানা আওয়ামীলীগের সভাপতি আলহাজ্ব মজিবুর রহমান, সহ সভাপতি সাদেকুর রহমান,আলহাজ্ব অশহ আলম সাধারন সম্পাদক ইয়াছিন মিয়া, যুগ্ন-সম্পাদক জহিরুল হক, সাংগঠনিক সম্পাদক আবু বক্কর সিদ্দিক, সিদ্ধিরগঞ্জ থানা যুবলীগের সভাপতি আলহাজ্ব মতিউর রহমান মতি, থানা শ্রমিকলীগের সভাপতি আবদুল সামাদ ব্যাপারী, ঢাকা বিভাগ শ্রমিকলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির মহিলা সম্পাদক শামীম আরা লাভলী, থানা কৃষক লীগের সাধারন সম্পাদক ইয়াছিন মিয়া, সেচ্ছা সেবক লীগের সভাপতি মিজানুর রহমান মিজান, নাসিক ৮নং ওয়ার্ড কাউন্সিল রুহুল আমিন মোল্লা, ৬নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর সিরাজুল ইসলাম মন্ডল, পাঠানটুলী আইলপাড়ায় যুবলীগ নেতা, শাহজাহান, শহিদুল্লাহ, সাইদুল ইসলাম, এমদাদ হোসেন, মোতালিব, নাছিরসহ দলের নেতাকর্মীরা। বামষ্ট্যান্ড এলাকায় বাংলাদেশ ট্যাংকলরী ওনার্স এসোসিয়সনের উদ্যোগে মিলাদ মাহফিল ও রান্না করা খাবার বিরতন করা হয়। এসময় উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ ট্যাংকলরী ওনাস এসোসিয়সনের সভাপতি আনোয়ার হোসেন মেহেদী, সাধারন সম্পাদক মাসুদ পারভেজ, ট্যাংকলরী শ্রমিক ইউনিয়নের পদ্মা শাখার সভাপতি জাহিদ হোসেন, সাধারন সম্পাদক ফারুক হোসেন। এদিকে বিকাল সাড়ে ৫ টায় ব্যবসায়ী ও সমাজ সেবক শিক্ষানুরাগী আলহাজ্ব আনোয়ার হোসেনর নিজ উদ্যোগে নাসিক ১নং ওয়ার্ড মিজমিজি কবরস্থান ঈদগাঁ মাঠে মিলাদ মাহফিল ও বঙ্গবন্ধু ও সকল শহিদদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে বিশেষ দোয়া করা মধ্যে দিয়ে জাতীয় শোক দিবস পালন করা হয় । এ সময় তিনি মাদ্রাসার ছাত্র ও গবীর দুঃখিদের মাঝে রান্না করা তবারক বিতরন করা হয়। এদিকে আদমজী সিএমবি ব্যবসায়ী সমাজের উদ্যোগে সংগঠনের কার্যালয়েগবীর দুঃখি মানুষের মাঝে রানাœ করা খবার বিতরন করা হয়েছে। এ সময়  উপস্থিত ছিলেন,সভাপতি লিটন আহমেদ,সহ সভাপতি ওয়াছেক, সাধারন সম্পাদক স্বপন আহমেদ,সাংগঠনিক সম্পাদক বাদল,সহ ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দ। দুপর ২ টায় আদমজী কোমল মিনিবাস মালিকÑশ্রমিক যৌথ উদ্যোগে সংগঠনের কার্যালয় প্রাঙ্গনে মিলাদ মাহফিল ও জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমানসহ সকল শহিদদের প্রতি বিশেষ দোয়া  ও খাবার বিতর করা হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন, মালিক সমিতির চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান, এমডি জাহাঙ্গীর আলম, তৌহিদ ভুঁইয়া, আমানুর হক মন্ডল, আলিম, মাহবুব, ইব্রাহিম, শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি সালাউদ্দিন, সহ সভাপতি জাহাঙ্গী আলম, সাধারন সম্পাদক শাহাজালাল, যুগ্ন সম্পাদক সামসুল, সাংগঠনিক সম্পাদক রহম আলী, অর্থ সম্পাদক সাত্তার, প্রচার সম্পাদক নবী হোসেন, সহ প্রচার সম্পাদক রাসেল, মিলন।  বিকালে শিমরাইল মোড়ে রেন্ট এ কার ষ্ট্যান্ডে মালিক সমিতির উদ্যোগে মিলাদ মাহফিল অনুষ্টিত হয়। এসময় বঙ্গবন্ধুর জন্য দোয়া করা হয়। এসময় উপস্থিত ছিলেন, সমিতির সভাপতি আমিনুল কহ রাজু, সাধারন সম্পাদক সালাউদ্দিন, সাংগঠনিক সম্পাদক বিশু বাবু, মাইন উদ্দিন, সাইফুলম লিটন প্রমুখ। অপরদিকে, সিদ্ধিরগঞ্জ মিজমিজি কবরস্থান ঈদগাহ মাঠে মাদ্রাসার ছাত্র, এতিম, দুস্থ ও গরিবদের মাঝে রান্না করা খাবার বিতরণ করেন বিশিষ্ট শিক্ষানুরাগি ও সমাজ সেবক হাজ্বী আনোয়ার ইসলাম। এসময় উপস্থিত ছিলেন সিদ্ধিরগঞ্জ থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি আলহাজ্ব মুজিবুর রহমান, সাধারন সম্পাদক হাজ্বী ইয়াছিন মিয়া, সোহেল পারভেজ। এসময় বঙ্গবন্ধুর রুহের মাগফেরাত কামনা করে মোনাজাত করা হয়। এর আগে হাজ্বী আনোয়ার ইসলাম দুপুর থেকে বিকেল পর্যন্ত নারায়নগঞ্জ-৪ আসনের মাননীয় সাংসদ আলহাজ্ব এ.কে.এম শামীম ওসমানের সাথে সিদ্ধিরগঞ্জের বিভিন্ন ওয়ার্ডের নেতাকর্মী কর্তৃক আয়োজিত শোক দিবসের বিভিন্ন অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন।

১৫ আগস্ট খালেদা জিয়া জন্মদিনের কেক কাটবেন না

বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার ৭১তম জন্মদিন সোমবার। দেশের এই চলমান সঙ্কট, বর্ন্যাত মানুষের প্রতি সহমর্মিতা, জঙ্গিবাদ, দলের নেতা কর্মীরা জেল, হামলা, মামলা গুম ও হত্যার দিক বিবেচনা করে দলীয় নেতা কর্মীদের জন্মদিন পালন করতে নিষেধ করেন তিনি। দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তিন বছর আগে খালেদা জিয়ার সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলার সময়ও ১৫ আগস্ট শোকের দিন কেক না কাটার আহ্বান জানিয়েছিলেন। সর্বশেষ গত ৪ আগস্ট খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করতে গিয়ে তাকে ১৫ আগস্ট জন্মদিনের কেক না কাটতে পরামর্শ দেন কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী। এছাড়া এবার জাতীয় ঐক্যে উদ্যোগ নেওয়ার আহ্বান সরকার প্রত্যাখ্যান করার পর বিএনপি সমর্থক অন্যতম পেশাজীবী নেতা জাফরুল্লাহ চৌধুরীও কেক না কাটতে খালেদা জিয়াকে পরামর্শ দিয়েছিলেন।

বিএনপি চেয়ারপারসনের এ্ই সিদ্ধান্তের কারণে সোমবার দিবাগত রাতে কেক কেটে তার জন্মদিন উদযাপন করা হচ্ছে না। প্রতি বছর ১৫ আগস্টে দলীয় নেতাকর্মীদের নিয়ে আসা কেক কেটে নিজের জন্মদিন পালন করলেও এ বছর এ ধরণের সকল অনুষ্ঠান বাতিল করার সিদ্ধান্ত নেন তিনি। এরআগে গত বছর জন্মদিনের প্রথম প্রহরে কেক না কেটে নিজের জন্মদিন আগামীতে পালন না করার বিষয়ে ইঙ্গিতও দিয়েছিলেন খালেদা জিয়া। তবে ওই বছরের ১৫ আগস্ট শনিবার সন্ধ্যায় রাজনৈতিক কার্যালয়ে নেতাকর্মীদের নিয়ে কেক কাটেন তিনি। চলতি বছরের এপ্রিলে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে খালেদা জিয়া বলেছিলেন, জাতীয় নেতাদের বিতর্কের ঊর্ধ্বে রাখতে হবে। তাদের নিয়ে বিতর্ক বন্ধ করতে হবে।

এদিকে চেয়ারপারসনে কার্যালয় সূত্র জানায়, প্রতি বছর খালেদা জিয়া নেতাকর্মীদের আনা কেক কেটে নিজের জন্মদিন পালন করতেন। গ্রহণ করতেন নেতাকর্মীদের ফুলেল শুভেচ্ছা। কাটা কেক তিনি এতিমখানাসহ দরিদ্র অনেকের মাঝে বিলিয়ে দিতেন। তবে এবার সেটি হচ্ছে না। দেশের বর্তমান সংকট, বন্যা পরিস্থিতি মিলিয়ে তিনি নিজের জন্মদিন উদযাপন বাতিল করেছেন।

সূত্র আরও জানায়, দেশের সঙ্কটময় পরিস্থিতির দিকে লক্ষ্যে রেখে তার প্রয়াত ছোট ছেলে আরাফাত রহমান কোকোর জন্মদিনও তিনি পালন করা থেকে বিরত থাকেন তিনি  ও দলের নেতাকর্মীরা।

র্দীঘদিন আওয়ামী লীগসহ দেশের বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ বিএনপি নেত্রীকে জাতীয় শোকের দিনে তার জন্মদিন পালন না করার আহ্বান জানিয়ে আসছিলেন।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, উত্তরাঞ্চল-মধ্যাঞ্চলে ব্যাপক বন্যায় মানুষের দুর্দশা, সর্বত্র গুম-খুনে মানুষের লাশ আর লাশ, দলের নেতা-কর্মীদের ওপর গ্রেফতার-নিপীড়ন-নির্যাতনের সার্বিক অবস্থা বিবেচনা করেই ম্যাডামের জন্মদিনে এবার আমরা কেক কাটার অনুষ্ঠান করছি না। খালেদা জিয়ার এই নির্দেশনা পাওয়ার পর যুবদল, মহিলা দল ও ছাত্রদল সহ বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠনের নেতারা জানান, এবছর কেক কাটার কোনো কর্মসূচি রাখেনি। তবে তারা বিভিন্ন মসজিদ ও মন্দিরে প্রার্থনা সভা করবে বলে জানিয়েছে।

গত দুই যুগ ধরে ১৫ আগস্ট খালেদা জিয়ার জন্মদিন উদযাপন হলেও তার আরও কয়েকটি জন্মদিনের হদিস পাওয়া যায়। তার জন্ম সাল নিয়েও দুই রকম তথ্য পাওয়া যায়। খালেদা জিয়ার জন্ম ১৯৪৬ সালে বলে তার নতুন করা পাসপোর্টে থাকলেও দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় গত বছর জানান, তার নেত্রীর জন্ম ১৯৪৫ সালে। বাংলা পিডিয়াসহ খালেদা জিয়ার জীবনীর ওপর রচিত কয়েকটি গ্রন্থে তার জন্ম বছর ১৯৪৫ সালের ১৫ আগস্ট দেখানো হয়েছে।

হাসপাতালে আল্লামা শফী, দোয়া কামনা

হেফাজতে ইসলামের আমির আল্লামা শাহ আহমদ শফীকে (৯০) চট্টগ্রামের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বার্ধক্যজনিত শারীরিক দুর্বলতার কারণে চিকিৎসকদের পরামর্শে তাকে শনিবার রাত সাড়ে আটটার দিকে নগরীর সিএসসিআর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

হেফাজতের সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা আজিজুল হক ইসলামাবাদী জানান, ‘হুজুর কয়েকদিন ধরে শারীরিকভাবে দুর্বল অনুভব করায় হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি উচ্চ রক্তচাপ ও ডায়াবেটিসসহ বার্ধক্যজনিত নানা রোগে ভুগছেন।

অসুস্থ আহমদ শফীকে হাসপাতালের এইচডিইউতে (হাই ডিপেনডেন্সি ইউনিট) রেখে সেবা দেওয়া হচ্ছে বলে জানান তিনি।

হেফাজত আমিরের প্রেস সচিব মাওলানা মুনির আহমদ গণমাধ্যমেক বলেন, হুজুরের অসুস্থতা নিয়ে নেতা-কর্মীদের উদ্বেগের কিছু নেই। সবাই দোয়া করলেই হবে। হাসপাতালে অযথা ভিড় করার প্রয়োজন নেই।

শাহ আহমদ শফী আল জামিয়াতুল আহলিয়া দারুল উলুম মঈনুল ইসলাম-এর প্রধান। সাধারণভাবে এটি হাটহাজার

যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে ইমাম হত্যার ঘটনাকে ‘টার্গেট কিলিং’ ভাবছে পরিবার

যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কের একটি মসজিদের ইমামসহ দুইজন বাংলাদেশি অজ্ঞাত সন্ত্রাসীর গুলিতে নিহত হয়েছেন শনিবার স্থানীয় সময় দুপুরে। এই দু্ই বাংলাদেশীর আত্মীয়-পরিজন এই ঘটনায় একেবারেই হতবিহ্বল হয়ে পড়েছেন। নিহতরা ‘টার্গেট কিলিং’ এর শিকার বলে মনে করছে পরিবার।

যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমানোর আগে বাংলাদেশের উত্তর পূর্বাঞ্চলীয় হবিগঞ্জে একটি বড় মসজিদের ইমাম ছিলেন আলাউদ্দিন আকুঞ্জি। ছেলেমেয়েদের সাথে বসবাসের উদ্দেশ্যে সস্ত্রীক নিউইয়র্কে পাড়ি জমানোর পরও ধরে রেখেছিলেন পুরনো সেই পেশা।

কুইন্সের ওজোন পার্কের মসজিদে নামাজ পড়িয়ে বের হয়েই আততায়ীর গুলিতে নিহত হয়েছেন ৫৫ বছর বয়স্ক মি: আকুঞ্জি। ওই মসজিদটি ছিল ইমাম হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রে তার দ্বিতীয় কর্মক্ষেত্র।

বাংলাদেশের সিলেটে হবিগঞ্জের নিজ বাড়িতে বসে টেলিফোনে বিবিসিকে এসব কথা জানান মি. আকুঞ্জির ছোট ছেলে ফয়েজ উদ্দিন আকুঞ্জি। পিতার হত্যাকাণ্ডকে ‘টার্গেট কিলিং’ বা পরিকল্পিত হত্যা বলে মনে করছেন ফয়েজ।

মি: আকুঞ্জির এই একটি ছেলেই বাংলাদেশে রয়ে গেছেন, বাকি চার ছেলে এবং আরো দুই মেয়ে পরিবার নিয়ে নিউইয়র্ক থাকেন। তাদের বাসার দুরত্ব ওজোন পার্কের ওই আল ফোরকান জামে মসজিদ থেকে ৫ মিনিটের হাঁটা পথ।

মি: আকুঞ্জির নিউইয়র্ক প্রবাসী ছেলেদের একজন নাইম উদ্দিন আকুঞ্জি জানাচ্ছেন, পুলিশ তাদেরকে জানিয়েছ যে তার পিতার মৃতদেহ তাদের কাছে হস্তান্তর করতে আরো সময় লাগবে। মৃতদেহ পেলেই তারা ঠিক করবেন তাদের বাবাকে যুক্তরাষ্ট্রে দাফন করবেন নাকি বাংলাদেশে নিয়ে আসবেন। নাইম উদ্দিন কথা বলতে বলতে এক পর্যায়ে কেঁদে ফেলেন। তার বাড়িতে শোকাবহ পরিস্থিতি, তার মা শোকে অজ্ঞান হয়ে পড়ে আছেন বলে জানান মি: নাইম।

নিহত আরেক বাংলাদেশী তারা মিঞা ইমাম আলাউদ্দিন আকুঞ্জির প্রতিবেশী ছিলেন এবং প্রতিদিন দু’জনে একসঙ্গে মসজিদে যেতেন নামাজ পড়তে, জানিয়েছেন নাইম। তারা মিঞার বয়স ৭৫। তিনি বছর চারেক আগে সিলেটের গোলাপগঞ্জ থেকে নিউইয়র্ক প্রবাসী ছেলেমেয়েদের কাছে পাড়ি জমান। বার্ধ্যক্যজনিত নানা অসুখ-বিসুখে ভোগা এই ব্যক্তি তেমন কোনো কাজকর্ম করতেও অক্ষম ছিলেন।

গোলাপগঞ্জ থেকে মি: মিঞার একজন জামাতা ইমরান হোসেন শাহীন বিবিসিকে বলছিলেন, ঘটনার আকস্মিকতায় তারা বিস্ময়ে বিমূঢ় হয়ে পড়েছেন।

মি: হোসেনের সাথে কথা বলতে বলতেই তার বাড়িতে র‍্যাবের সদস্যরা যান জিজ্ঞাসাবাদের জন্য, এর আগে পুলিশও এক দফা জিজ্ঞাসাবাদ করে এসেছে।

কেন এই জিজ্ঞাসাবাদ জানতে চাইলে গোলাপগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জানান, যেহেতু নিহতদের পরিবারের সদস্যরা বাংলাদেশে থাকেন এবং এখানে তাদের বাড়িঘর আছে, তাই তারা ঘটনা সম্পর্কে স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে অবহিত হচ্ছেন এবং তথ্য সংগ্রহ করছেন।

নারায়ণগঞ্জের রাজনীতি আহবায়ক আর আংশিক কমিটির বেড়াজালে আবদ্ধ

আহবায়ক ও আংশিক কমিটিতে সীমাবদ্ধ রয়েছে নারায়ণগঞ্জের বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের রাজনৈতিক কর্মকান্ড। দলের ভেতরে নিজের আধিপত্য, স্বজন প্রীতি, অগণতান্ত্রির আচরনসহ নানা কারনে এসব কমিটি পূর্নাঙ্গ রূপ পাচ্ছে না। ফলে দিনে দিনে রাজনৈতিক দলগুলোতে অগণতান্ত্রিক ও সাংগঠন বিরোধী কাজের দিকে অগ্ররস হচ্ছে। যে কারনে রাজনৈতিক দলগুলোতে বিরোধ, সংঘাতের ঘটনা বেড়ে চলেছে বলে মনে করছেন রাজনীতির সাথে সংশ্লিষ্টরা। তবে এ অবস্থা চলতে থাকলে নারায়ণগঞ্জের রাজনৈতিক দলগুলোতে সংঘাতের মাত্র বৃদ্ধির পাশাপাশি চেই অব কামন্ড ভেঙ্গ পরার আশঙ্কা বোদ্ধা মহলের। উল্লেখ্য, নারায়নগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের পূর্নাঙ্গ কমিটি নেই প্রায় দেড়যুগ ধরে। বিএনপির রাজনীতিতে পরিচালিত হচ্ছে আংশিক জেলা কমিটি দিয়ে। এছাড়া বেশীর ভাগ অঙ্গ সংগঠনের কমিটির মেয়াদ একযুগ কিংবা তারা বেশী সময় পার করেছে। মেয়াদ উর্ত্তীণ কমিটি রয়েছে আওয়ামী লীগ, বিএনপি ও জাতীয় পার্টিতে। অন্যদিকে, দলের নেতাকর্মীদের মতামতের ভিত্তিতে কমিটি গঠনের দাবি যেমন জোরালো হচ্ছে, তেমনি যোগ্য নেতৃত্ব গড়ে তোলার ব্যাপারেও শীর্ষ নেতাদের প্রতি কর্মীদের মধ্য থেকে চাপ বাড়ছে। সূত্রমতে, নারায়ণগঞ্জের রাজনীতিতে গণতান্ত্রিন আচরন কমতে শুরু করেছে। দলের তৃনমূলের নেতাকর্মীদের মতামতকে উপেক্ষা করে চলছে কমিটি গঠন থেকে শুরু করে রাজনেতিক সিদ্ধান্ত গ্রহনের বিষয়টি। এছাড়া নারায়ণগঞ্জে আহবায়ক কমিটি ও আংশিক কমিটি দিয়ে দল পরিচালনার প্রবনা বৃদ্ধি পেয়েছে। সূত্র জানায়, নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের কমিটি নেই প্রায় দেড়যুগ ধরে। জেলা কমিটি বিলুপ্তির পর আহবায়ক কমিটি গঠন করা হলেও সময় অতিবাহিত হওয়ার সাথে সাথে আহবায়ক কমিটিও এক সময় বিলুপ্ত হয়ে যায়। নারায়ণগঞ্জ মহানগর আওয়ামী লীগের কমিটি চলছে সভাপতি-সাধারন সম্পাদককে দিয়ে দুই বছর পরিচালনা পর পূর্নাঙ্গ কমিটি গঠিত হয়। অঙ্গ সংগঠনগুলোরও এইক অবস্থা। মহানগর ছাত্রলীগ ছাড়া অন্যান্য অঙ্গ সংগঠনগুলোও মেয়াদহীন। এসব কমিটিগুলো নতুন কওে গঠন না করার ফলে নতুন নেতৃত্ব সৃষ্টিতে প্রতিবন্ধকতা দেখা দিচ্ছে। এর ফলে আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনের মধ্যে নতুন নেতৃত্ব গড়ে উঠছে না। অপরদিকে, জেলা বিএনপির আংশিক কমিটি গঠন হয়েছে তা প্রায় সাড়ে ছয় বছর। ৬/৭টি পদ পূরন করে চলছে জেলা কমিটির কর্মকান্ড। জেলা বিএনপির মেয়াদহীন আংশিক কমিটিতে যারা পদ আকড়ে আছে তাদের তাদের বেশীর ভাগই রাজনীতিতে নিস্ক্রীয়। দলীয় কর্মীদেরমতে, নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির পূর্নাঙ্গ কমিটি না থাকায় বিগত দিনের সরকার বিরোধী আন্দোলনে জেলা বিএনপি রাজপথে তেমন প্রতিবাদ কিংবা প্রতিরোধ গড়ে তুলতে পারেনি। অঙ্গ সংগঠনগুলোর প্রায় একই অবস্থা বিরাজ করছে। জেলা যুবদলের কমিটি থাকলেও মহানগর যুবদল চলছে আহবায়ক কমিটি দিয়ে। স্বেচ্ছা সেবকদলের জেলা ও মহানগর কমিটি আহবায়ক কমিটিতে সীমাবদ্ধ রয়েছে। জেলা ও মহানগর ছাত্রদলের রাজনীতিও আহবায়ক কমিটির দখলে রয়েছে। তবে এসব কমিটিগুলো কবে নাগাদ পূর্নতা পাবে এ নিয়ে সন্দিহান বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনে নেতাকর্মীরা। আহবায়ক কমিটিরে বেড়াজালে বন্দি রয়েছে জেলা ও মহানগর জাতীয় পার্টির রাজনীতিও। আহবায়ক কমিটি দিয়ে চলছে জাতীয় সংসদের প্রধান বিরোধ দল জাতীয় পার্টির কর্মকান্ড। প্রয়াত সাংসদ নাসিম ওসমানের মৃত্যুর পর জেলা ও মহানগর জাতীয় পার্টির রাজনৈতিক কর্মকান্ডে স্থবিরতা নেমে আসে। তবে দলের তৃনমূলের মতামতের ভিত্তিতে রাজনৈতিক দলগুলো পরিচালিত হলে দলের গণতান্ত্রিক ধারা ফিরে আসবে। ফলে রাজনীতিতে সঠিন নেতৃত্ব গড়ে উঠবে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষক মহল।

ট্রেনের ছাদ থেকে ছোড়া ঢিলে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে রেল লাইনের পাশের বাসিন্দা-যানবাহন

ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ রেল সড়কের ট্রেনের ছাদে টোকাইদের ছোড়া ঢিলে আহত হচ্ছে হচ্ছে সড়কের পাশে বসবাসকারী বাসিন্দা ও যানবাহন। ট্রেনের ছানে ভ্রমনকারী এসক টোকাইরা ট্রেনের টিটিদের সাথে আতাঁত করেই সব সময় ট্রেনের ছাদে অবস্থান নিয়ে থাকে বলে ভূক্তভোগীদের অভিযোগ। এসব টনার জন্য রেল কর্তৃপক্ষের উদাসিনতা ও তদারকিকে দায়ি করছেন ভুক্তভোগী মহল। এদিকে, ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ রেল সড়কের এ ঘটনা প্রতিনিয়ত ঘটলেও ভুক্তভোগীরা এর কোন প্রতিকার পাচ্ছে না। যে কারনে ট্রেনের ছাদ থেকে ছোড়া ঢিলে একের পর এক দূঘর্টনা অব্যাহত রয়েছে। আর ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে যান ও মালের। এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্টদের হস্তক্ষেপ দাবি করেছে ভুক্তভোগী মহল। এদিকে, ট্রেনের ছাদা থেকে ঢিল ছুড়ে মানুষকে হতাহত ও যানবাহনের ক্ষতি করায় ফতুল্লার ষ্টেশন এলাকার বাসিন্দা সাবের হোসেন নামে এক ভুক্তভোগী ফতুল্লা মডেল থানায় একটি সধারন ডায়েরী দায়ের করেছে। যারা নং ৭৫৭। সূত্রমতে, ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ রেল সড়কের পাশে প্রায় সময়ই হতাহতের ঘটনা ঘটে থাকে। এ নিয়ে রেল কর্তৃপক্ষের কোন মাথা ব্যাথা নেই। ভূক্তভোগীদের অভিযোগ, এই সড়ক দিয়ে চলাচলকারী ট্রেনের ছাদে সব সময়ই কিছু টোকাই অবস্থান নিয়ে থাকে। এসব টোকাইরা ইটের টুকরো, পাথরের টুকরো নিয়ে ট্রেনে ছাদে অবস্থান নিয়ে রেললাইনের পাশে অবস্থিত দোকান, বসত বাড়ি কিংবা যান বাহন লক্ষ্য করে ঢিল ছুড়ে মারে। এর ফলে প্রায় সময়ই রেল লাইনের পাশে অবস্থিত বাসিন্দা, পথচারী গুরুতর আহত হয়। সম্প্রতি, কদমতলীর চাকদা এলাকায় ট্রেনের ছাদ থেকে ছোড়া ঢিলে (ঢাকা মেট্রো-ম-১১-০৫৯৭) ট্রাক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এছাড়া প্রায় সময়ই টোকাইদের ছোড়া ইট, পাথরের আঘাতে যানবাহন ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ভূক্তভোগীদের অভিযোগ, রেল কর্তৃপক্ষের চরম উদাসিনতার কারনেই টোকাইরা সব সময় ট্রেনের ছাদে অবস্থান নিয়ে এসব অঘটনের জন্ম দিচ্ছে। এর জন্য ট্রেনে টিটিদেরও দায়ি করেছে অনেকে। একাধিক যাত্রীর সাথে আলাপকালে জানাগেছে, এসব টোকাইরা শুধু ট্রেনের ছাদেই অবস্থান নিয়ে ক্ষ্যন্ত হয় না। এরা ট্রেনের প্রবেশ পথগুলোতেও অবস্থান নিয়ে যাত্রীদের পকেটে থাকা ম্যানিব্যাগ, মোবাইল রেখে দিচ্ছে। টিটিরা এসব টোকাইদের ব্যাপারে সব সময়ই উদাসিন। তাদের মতে, টিটিরা যদি একটু সতর্ক এবং কঠোর হতো তা হলে এসব ঘটনার সূত্রপাত হতো না। এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্টদের হস্তক্ষেপ দাবি করেছে ভুক্তভোগী মহল।

নিস্ক্রীয় হয়ে পরেছে ফতুল্লা যুবদল

নিস্ক্রীয় হয়ে পরেছে ফতুল্লা থানা যুবদলের রাজনীতি। কমিটি গঠনের আগে পদের আশায় নেতাদেও বিরোধ তৃঙ্গে থাকলেও কমিটি গঠনের পর নেতারা অনেকটাই আড়ালে চলে গেছে। দলীয় কর্মকান্ডেও অনেক পদধারী নেতাকে দেখা যাচ্ছে না। এছাড়া থানা কমিটির সভাপতি, সাধারন সম্পাদকের পদ ভাগিয়ে নেয়ার পর ফতুল্লার তৃনমূলের কমিটি গঠনে এখন ব্যর্থ রয়েছে থানা যুবদলের নেতারা। কর্মীদেও অভিযোগ, থানা যুবদলের পদের আশায় নানা আন্দোলন কর্মকসূচি এবং প্রতিযোগী থাকলেও কমিটি গঠনের মধ্যদিয়ে পদ পাওয়ার পর ফতুল্লা থানা যুবদলের শীর্ষ নেতাদের খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। মাঝে মধ্যে বিএনপি কর্মসূচি আসলেও ফটোসেশনেই সিমাবদ্ধ থাকছে ফতুল্লা থানা যুবদলের রাজনীতি। ফতুল্লা থানা যুবদলের কর্মীদের অভিযোগ, ফতুল্লা থানা যুবদলের বর্তমান কমিটি নিস্ক্রীয় নেতাদের সমন্বয়ে গঠিত না হওয়ার কারণে থানা যুবদলের রাজনীতিতে স্থবিরতা দেখা দিয়েছে। এছাড়া যারা শীর্ষ পদে রয়েছে তাদের বেশীর ভাগই জেলা বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের শীর্ষ নেতাদের চাটুকারিতার মাধ্যমে। আর ওইসব শীর্ষ নেতাদেও মনরঞ্জন কওে রাখার কারনে মাঠ পর্যায়ের রাজনীতি থেকে বিরত রয়েছে থানা যুবদলের শীর্ষ নেতারা। যে কারণে ওয়ার্ড, ইউনিয়ন কমিটিগুলো নতুন করে সাজাতে পারছে না। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ফতুল্লা থানা যুবদলের রাজনীতিতে সক্রিয় পদহীন ক’জন নেতা জানান, থানা যুবদলের শীর্ষ নেতাদের সাথে যুবদলের মাঠ পর্যায়ের নেতাদের সাথে তাদের কোন যোগাযোগ নেই নতুন করে সাজাতে পারেনি ফতুল্লা থানা যুবদলের ওর্য়াড কিংবা ইউনিয়ন কমিটিগুলো। এছাড়া এবার বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের শাহাদাৎ বাষির্কীতেও থানা যুবদলকে বড় ধরনের কোন কর্মসূচির আয়োজন করতে দেখা যায়নি। থানা বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি(বহিস্কৃত) মনিরুল আলম সেন্টুকে দল থেকে বহিস্কারের পর ফতুল্লা থানা যুবদলের রাজনীতিতে ভাটা পড়ে। থানা যুবদল মূলতো মনিরুল আলম সেন্টুর শক্তিতে বলিয়ান তা আরো একবার প্রামানিত হয়েছে। ফতুল্লা থানা যুবদলের তৃনমূলের নেতাকর্মী অভিযোগ, ফতুল্লা থানা যুবদলের রাজনীতি নিস্ক্রীয় হয়ে পরেছে। থানা যুবদলের সভাপতি শহিদুল ইসলাম টিটু ও সাধারন সম্পাদক মাসুদুর রহমানের সাথে যুবদলের নেতাকর্মীদের দূরত্ব বৃদ্ধি পাচ্ছে। থানা যুবদলের কমিটি গঠনের আগে পদ পেতে আন্দোলন সংগ্রাম করলেও পদ পাওয়ার পর থেকে তারা নিস্ক্রীয় হয়ে পরে। থানা যুবদলের সভাপতি টিটুর রাজনীতি কুতুবপুর কেন্দ্রীক হয়ে পরেছে এবং সাধারন সম্পাদক মাসুদুর রহমানের রাজনীতি পঞ্চবটিতেই সিমাবদ্ধ রয়েছে বলে কর্মীদের অভিযোগ। এছাড়া এই কমিটি গঠনের পর থেকে ওর্য়াড কিংবা ইউনিয়ন কমিটিগুলোও গঠন করতে পারেনি থানা যুবদলের শীর্ষ দুই নেতা। এ নিয়ে যুবদলের মাঠ পর্যায়ের নেতাকর্মীদের মধ্যে চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছে বলেও যুবদলের বিভিন্ন সূত্রে জানাগেছে। ফতুল্লা থানা যুবদলে রাজনীতিকে সক্রিয় করতে থানা বিএনপির শীর্ষ নেতাদের হস্তক্ষেপ দাবি করেছে যুবদলের তৃনমূলের নেতাকর্মীরা।

হজের প্রস্তুতি কেমন হবে?

হজের সফরের জন্য দুই ধরনের প্রস্তুতি রয়েছে। একটা যাহেরি বা বাহ্যিক প্রস্তুতি। অর্থাৎ বৈষয়িক বিষয়াদির প্রস্তুতি গ্রহণ। নানা প্রয়োজনীয় বস্তু সামগ্রী সংগ্রহ করেন নিজ ঘর থেকে বায়তুল্লাহ পর্যন্ত পৌঁছার যাবতীয় ব্যবস্থাপনা ইত্যাদি। দ্বিতীয়টি বাতেনি ও রুহানি তথা অভ্যন্তরীণ ও আধ্যাত্মিক প্রস্তুতি। যারা বিশাল অংকের অর্থ ব্যয় করে, অনেক দূরত্বের পথ অতিক্রম করে, অনেক দুঃখ-কষ্ট স্বীকার করে হজের উদ্দেশ্যে বায়তুল্লাহ সফরে যাবেন। তাদের জন্য রুহানি প্রস্তুতি গ্রহণ করা অধিকতর প্রয়োজন ও আবশ্যক। তাদের উচিত সফরের বেশ কিছুদিন পূর্ব থেকে নিজেদের অন্তর ও হৃদয়কে আধ্যাত্মিক প্রস্তুতি গ্রহণে বেশি মনোযোগ দেয়া হজের মৌলিক গুণ ও লক্ষ্য-উদ্দেশ্য লাভ করাকে সর্বাধিক অগ্রাধিকার দেয়া।

অনেকেই হজের জন্য রুহানি বা আত্মিক প্রস্তুতির প্রয়োজনই বোধ করে না। ফলে অধিকাংশ হজযাত্রী যেভাবে যায়, সেভাবে ফিরে আসে। তাদের জীবনে হজের কোনো প্রভাব পরিলক্ষিত হয় না। তাদের জীবনাচারে হজের কোনো প্রতিক্রিয়া দেখা যায় না। তাদের কাজকর্মে কোনো পরিবর্তন আসে না।

বৈষয়িক চাহিদা ও প্রয়োজনগুলোর ব্যবস্থা করা যদিও জায়েজ, প্রয়োজনীয় পরিমাণ তো আবশ্যক। কিন্তু এটা হজের প্রকৃত প্রস্তুতি নয়। হজের প্রকৃত প্রস্তুতি হলো হজের আহকাম ও মাসায়েল শিখে নেয়া, তার নিয়ম-পদ্ধতি ও আদব-কায়দা জেনে নেয়া এবং তার যথাযথ প্রশিক্ষণ গ্রহণ করা। নিজ দেশে থেকে গমন ও প্রত্যাগমন পর্যন্ত পুরো সফর, হজ জিয়ারতসহ সব আমল কবুল হওয়ার জন্য আল্লাহতায়ালার কাছে প্রার্থনা করা, স্বীয় হৃদয় ও অন্তরকে হজের বারাকত ও কল্যাণ ধারণের উপযোগী করে তোলা।

দুর্নীতির দায়ে চার বিচারককে বরখাস্ত করেছে সুপ্রিম কোর্ট

দুর্নীতি, অনিয়ম ও অসদাচরণের অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় চার বিচারকের বরখাস্ত অনুমোদন করেছে সুপ্রিম কোর্ট। এখন অপেক্ষা শুধুই আইন মন্ত্রণালয়ের আদেশ জারির। বর্তমানে এ চারজনই আইন মন্ত্রণালয়ে সংযুক্ত আছেন। আরও দুই বিচারকের বিরুদ্ধে দুর্নীতির প্রমাণ মিললেও অবসরে যাওয়ায় তাদের বিরুদ্ধ ব্যবস্থা নেয়া হয়নি।

অধস্তন আদালতের বিচারকদের নিয়োগ, বদলি, পদোন্নতি এবং অনিয়ম দুর্নীতির বিষয়গুলো দেখভাল করে সুপ্রিম কোর্টের জেনারেল এডমিনিস্ট্রেটিভ বা জিএ কমিটি। যার প্রধান হলে প্রধান বিচারপতি।

কোন বিচারকের বিরুদ্ধে দুর্নীতি, অনিয়ম অসদারচণের অভিযোগ প্রাথমিক ভাবে প্রমাণিত হলে তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের নির্দেশ দেয় এই কমিটি। দুর্নীতি অনিয়মের এমনই কিছু সুর্নিদিষ্ট অভিযোগের প্রমাণ হওয়ায় কুমিল্লার সাবেক নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক এস এম আমিনুল ইসলাম, ঠাকুরগাঁওয়ের সাবেক জেলা জজ মো. রুহুল আমিন খোন্দকার, জামালপুরের সাবেক অতিরিক্ত জেলা জজ মোহাম্মদ সিরাজুল ইসলাম এবং খুলনার সাবেক অতিরিক্ত জেলা জজ মঈনুল হকের বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা দায়েরের জন্য আইন মন্ত্রনালয়কে নির্দেশ দিয়েছিলো সুপ্রিম কোর্ট। তাদের বিরুদ্ধে এসব অভিযোগের প্রমাণও পায় তদন্ত কর্মকর্তা।

এই চার বিচারকের দেয়া কোন ব্যাখ্যাই সন্তুষ্ট করতে পারেনি জিএ কমিটিকে। পরে তাদের বরখাস্তের বিষয়টি ফুল কোর্ট সভায় অনুমোদনের জন্য উপস্থাপন করে। তদন্ত প্রতিবেদন পর্যলোচনা করে হাইকোর্ট বিভাগের সকল বিচারপতির উপস্থিতিতে প্রধান বিচারপতি চার বিচারককে চাকরি থেকে বরখাস্তের অনুমোদন দেয়।

বরখাস্ত বিচারক এস এম আমিনুল ইসলাম ঢাকায় কর্মরত থাকাকালীন জামিন অযোগ্য ২০টি মামলায় আসামীদের অর্থের বিনিময়ে জামিন দিয়েছেন।

সাবেক জেলা জজ মো. রুহুল আমিন খোন্দকারের বিরুদ্ধে অভিযোগ-ঠাকুরগাঁওয়ের বিচারক থাকাকালীন ঘুষ নিয়ে সেখানে নিচু পদে অসংখ্য কর্মচারী নিয়োগ দিয়েছেন।

তৃতীয় বরখাস্ত বিচারক সাবেক অতিরিক্ত জেলা জজ মোহাম্মদ সিরাজুল ইসলাম জামালপুরে থাকাকালীন আদালতে অনিয়মিত ছিলেন এবং সেখানে অবৈধভাবে জমি দখলও করেছেন।

সর্বশেষ সাবেক অতিরিক্ত জেলা জজ মঈনুল হকের বিরুদ্ধে ৬৮ জন আইনজীবী অভিযোগ করেছেন তিনি খুলনায় দায়িত্ব পালনের সময় টাকা নিয়ে মামলার রায় দেন।

দুর্নীতির অভিযোগ উঠলেও প্রমাণ না পাওয়ায় অব্যাহতি দেয়া হয়েছে কক্সবাজারের সাবেক চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট বর্তমানে সিলেটের অতিরিক্ত জেলা জজ সৈয়দ হুমায়ুন আজাদ ও ময়মনসিংহের জেলা জজ আদালতের অধীন ঈশ্বরগঞ্জ চৌকি আদালতের সাবেক সিনিয়র সহকারী জজ মোহাম্মদ কামাল খানকে।

গত বৃহস্পতিবারই এই চার বিচারককে বরখাস্ত অনুমোদনের নথি পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে আইনমন্ত্রণালয়ে। নিয়মানুযায়ী আইন মন্ত্রণালয় এই চার বিচারককে বরখাস্তের আদেশ জারি করবেন। তারা এখন আইনমন্ত্রণালয়ে সংযুক্ত আছেন। -চ্যানেল ২৪

বঙ্গবন্ধুকে জানাযা ছাড়াই দাফন করতে চেয়েছিলো ঘাতকরা

বাংলাদেশের স্থপতি, জাতির জনককে হত্যার পর জানাযা ছাড়াই দাফন করতে চেয়েছিলো ঘাতকদের সহযোগীরা। শেষ পর্যন্ত স্থানীয় ইমামের দৃঢ়তায় জানাযা হলেও আসতে দেয়া হয়নি টুঙ্গিপাড়াবাসীকে। গোসল করানো হয়েছিলো কাপড় ধোয়ার সাবান দিয়ে আর দাফনের জন্য আনা হয়েছিল ত্রানের কাপড়।

পরে জন্মস্থান গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় মা-বাবার কবরের পাশেই কবর দেয়া হয় জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানকে।

জাতির জনক বঙ্গবন্ধুকে ৭৫এর ১৫ আগস্ট হত্যার পর ঘাতকরা, তাঁর লাশ চরম অবমাননায় পরের দিন সকাল পর্যন্ত ফেলে রাখে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের বঙ্গবন্ধু ভবনে। পরে জাতির জনকের লাশ হেলিকপ্টারে করে নিয়ে যাওয়া হয় গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায়। কফিনটি কাঁধে করে নিয়ে আসেন এলাকাবাসী। লাশ পৌঁছার আগেই দ্রুত কবর খোঁড়ার নির্দেশ দেওয়া হয়।

কফিন আনার পর তা খোলা যাচ্ছিল না, ধরে আনা হয় এক কাঠমিস্ত্রীকে। ইমাম আব্দুল হালিমের দৃঢ়তায় গোসল করানো হয় জাতির পিতাকে। পড়ানো হয় জানাজা। মা-বাবার কবরের পাশেই কবর দেয়া হয় সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে।

বঙ্গবন্ধু মানেই স্বাধীনতা, বঙ্গবন্ধু মানেই বাংলাদেশ। সেই টুঙ্গিপাড়াই আজ স্বাধীনতার শপথের তীর্থস্থান।