৭ই কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
২৩শে অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
Home Blog Page 225

শীতলক্ষ্যা নদীতে ব্রীজ হচ্ছে না

শীতলক্ষ্য নদীতে ব্রীজ হচ্ছে, হবে এ নিয়ে ভোটের রাজনীতি হয়েছে অনেক। বিগত চার দলীয় জোট সরকারের সময়ে শীতলক্ষ্যা সেতুর ভিত্তিপ্রস্তর স্থানপনও করেছিলেন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া। নির্বাচন আসলে এই সেতুকে কেন্দ্র করে ভোটের রাজনীতি করে থাকেন অনেকে। সদর-বন্দরের ভোট পেতেই জনপ্রতিনিধিরা এই সেতু নিয়ে রাজনীতি করে থাকে। তবে শেষ পর্যন্ত শীতলক্ষ্যা নদীতে ব্রীজ হচ্ছে না বলে আভাস দিয়েছে সরকারের একটি সংস্থা। তবে নারায়ণগঞ্জ সদর-বন্দরের মধ্যে সেতু বন্ধনের জন্য বিকল্প চিন্তা করছে সরকার। নদীর তলদেশ দিয়ে ক্যানেল নির্মাণের উদ্যোগ নেয়া হবে বলে ওই সংস্থাটি নিশ্চিত করেছে। তবে তা কবে নাগাদ হচ্ছে তা নিশ্চিত করে কিছু জানাযায়নি। তবে হতাশার কিছু নেই। বর্তমান সরকারের সময়ে সদর-বন্দরের সেতু বন্ধনে কাজ শুরু হবে বিভিন্ন সূত্রে জানাগেছে। শীতলক্ষ্যা সেতু সদর-বন্দরবাসীর দীর্ঘদিনের প্রত্যাশা থাকলেও কোন সরকারের সময়ে এই প্রত্যাশা পূরনে সক্ষম হয়নি। এই নদীতে ব্রীজ কিংবা ক্যানেল নির্মাণ না হওয়ায় পর্যন্ত সদর-বন্দরবাসীর মধ্যে সব সময়ই এ নিয়ে হতাশা থেকেই যাচ্ছে। তবে এই হতাশা কাটাতে দ্রæত পদক্ষেপ নেয়া প্রয়োজন বলে মনে করছেন সচেতন মহল। সূত্রমতে, নির্বাচন আসে এবং চলেও যায়। সরকার বদল হয়েছে একাধিক বার। কিন্তু সদর-বন্দরের মানুষের যাতায়াতের জন্য শীতলক্ষ্য নদীতে দ্বিতীয় সেতু আর হয়নি। এই সেতু নিয়ো ভোরটের রাজনীতি করেছে সরতারের শীর্ষ মহল থেকে শুরু করে স্থানীয় অনেক জনপ্রতিনিধি। নির্বাচন আসলেই শীতলক্ষ্যা নদীর সেতুকে ইস্যু করে ভোটারদের দৃষ্টি আকর্ষনের চেষ্টা করা হয়। এই সেতু তৈরীর করা হবে এমন প্রতিশ্রæতি দিয়ে মানুষকে আকৃষ্ট করার চেষ্টা করে থাকে রাজনীতিকরা। নির্বাচনের পর কেউ কথা রাখেনা। আর এ ভাবেই সরকার বদলের পাশাপাশি বদলে যায় এই নদীতে দ্বিতীয় সেতু নির্মাণের সিদ্ধান্ত। প্রয়াত সাংসদ নাসিম ওসমান এই নদীতে সেতু করার স্বপ্ন দেখেন। সেতু নির্মাণে অনেক চেষ্টাও করেন, কিন্তু তার আগেই তিনি মারাযায়। এছাড়া বিগত চারদলীয় জোট সরকারের শেষ সময়ে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া নারায়ণগঞ্জে এসে শীতলক্ষ্যা নদীতে সেতু নির্মাণে ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন এবং বিএনপির প্রার্থী এড.কালামকে আবারো নির্বাচিত করার আহবান জানান। নির্বাচনে চার দলীয় জোট সরকারের ভরাডুবি ঘটলে শীতলক্ষ্যা সেতু নির্মাণ কাজ থমকে দাঁড়ায়। সদর-বন্দরের বর্তমান সাংসদ সেলিম ওসমান শীতলক্ষ্যা সেতু নির্মাণের জন্য সরকারের কাছে বারবার অনুরোধ করে আসছেন। সেতু হচ্ছে হবে বলে নানা জল্পনা-কল্পনা শুরু হয়। এই সেতু নিয়ে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের মেয়র ডা: সেলিনা হায়াত আইভীও প্রতিশ্রæতি দিয়েছিলেন। আর এ ভাবে রাজনৈতি দলের শীর্ষ নেতা থেকে শুরু করে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের আশ্বাসে বন্দরবাসী আশায় বুক বাঁধলেও তা বরাবরই অপূরনীয় থেকে যাচ্ছে। বন্দরবাসী প্রশ্ন আর কতোদিন অপেক্ষায় থাকলে শীতলক্ষ্যা সেতু হবে কবে? তবে সব প্রশ্ন এবং জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে বেড়িয়ে এসেছে থলের বিড়াল। শেষতক এই ব্রীজ আর হচ্ছে না। নদী বন্দরের কথা মাথায় রেখেই এই নদীর নবীগঞ্জ কিংবা মদনগঞ্জ দিয়ে আর সেতু হচ্ছে না। এই এলাকাগুলোতে বড় ধরনের জাহাজ এবং উদ্ধারকারী জাহাজের ঘাঁটি হওয়ায় এসব এলাকায় সেতু করার সম্ভব হচ্ছ না। তবে বিকল্প চিন্তা করছে সরকারের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। এ ক্ষেত্রে নদীর তলদেশ দিয়ে ক্যানেলের মাধ্যমে সদর-বন্দরবাসীর মধ্যে সেতুবন্ধন স্থাপনের চিন্তা করছে সরকার।

৬ ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি মামলা

বরগুনায় বাস কাউন্টারে চাঁদাবাজির ঘটনায় জেলা ছাত্রলীগের প্রথমসারির ৬ নেতাকে আসামি করে বরগুনা থানায় একটি মামলা হয়েছে। এ ঘটনায় আরো ৪ জনকে বহিষ্কার করা হয়েছে।

চাঁদা না দেয়ায় বরগুনা জেলা কৃষক অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক একে আজাদ বাবলুর উপর হামলা চালিয়েছে জেলা ছাত্রলীগের বখাটে সন্ত্রাসীরা।

সোমবার রাত ৮টার দিকে শহরের চরকলোনী এলাকার তাজবিন হোটেলের নীচতলায় গোল্ডেন লাইন বাস কাউন্টারে এ ঘটনা ঘটে।

গুরুতর আহত অবস্থায় একে আজাদ বাবলুকে প্রথমে বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হলে উন্নত চিকিৎসার জন্যে তাকে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।

এ ঘটনায় আহত একে আজাদ বাবলুর পিতা মুক্তিযোদ্ধা মো. দারুল ইসলাম মাস্টার বাদী হয়ে সোমবার রাতেই বরগুনা থানায় একটি মামলা (নং ২০/১৫-১১-১৬) দায়ের করেন।

মামলার বিবরণী সূত্রে জানা গেছে, জেলা ছাত্রলীগ নেতা মেহেদি হাসান, মঞ্জুরুল ইসলাম রাজিব এবং বেলাল হোসেন সুজন ও তাদের সহযোগীরা প্রায়ই কৃষক নেতা একে আজাদ বাবলুর ব্যবসায়ীক প্রতিষ্ঠানে চাদা দাবি করে আসছিলো।

সর্বশেষ সোমবার রাত ৮টার দিকে জেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মেহেদি হাসান, সহসভাপতি মঞ্জুরুল ইসলাম রাজিব, সাংগঠনিক সম্পাদক বেলাল হোসেন সুজন ও রেজোয়ানুল ইসলাম বাবু, সাহিত্য সম্পাদক রম্নহুল আমিন এবং তাদের সহযোগী নোমানসহ ১৫-১৬ জনের একটি দল কৃষক অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক একে আজাদ বাবলুর ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান গোল্ডেন লাইন বাস কাউন্টারে এসে ৫০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করে।

এ সময় চাঁদা দিতে অস্বীকার করায় ধারাল অস্ত্র দিয়ে একে আজাদ বাবলুর উপর হামলা চালায় এবং ভাঙচুর করে। এতে একে আজাদ বাবলুর মাথায় গুরুতর জখম হয়। হামলার সময় একটি স্বর্ণের চেইন, ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান গোল্ডেন লাইনের ক্যাশ কাউন্টার থেকে নগদ অর্থ এবং একটি মোবাইল ছিনিয়ে নেয় হামলাকারীরা।

এ বিষয়ে জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি জোবায়ের আদনান অনিক দাবি করেন, ‘উভয় পক্ষের তর্কবিতর্কের কারণে নিজেদের মধ্যে একটা ভুল বোঝাবুঝি হয়েছিল। আলোচনার মধ্য দিয়ে তা মিমাংসা করা হবে।’

বরগুনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রিয়াজ হোসেন জানান, এ ঘটনায় ছয়জনকে এজাহারভুক্ত এবং আট-দশজনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করে পেনাল কোড ১৪৩/৪৪৮/৩৮৫/৩২৩/৩২৬/৩০৭/৩৭৯/৩৮০/৪২৭/৫০৬ ধারায় একটি মামলা রেকর্ড করা হয়েছে। আসামিদের গ্রেপ্তারে সচেষ্ট রয়েছে পুলিশ।

উৎসব মুখোর হচ্ছে নাসিক নির্বাচন

দীর্ঘদিন ধরে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের নির্বাচন নিয়ে আলোচনা-পর্যালোচনা চলছে। নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থীকে হবেন আর বিএনপি থেকে কে মনোনয়ন পাবেন এ নিয়ে চলছে নানা জল্পনা-কল্পনা। মেয়র প্রার্থীদের পাশাপাশি প্রচারনায় ব্যস্ত রয়েছে সম্ভাব্য কাউন্সিলর প্রার্থীরাও। প্রায় প্রতিদিনই নাসিককের ২৭টি ওয়ার্ডে কাউন্সিলর প্রার্থীরা তাদের নির্বাচনী প্রচারনা চালিয়ে যাচ্ছে। নানা কৌশল অবলম্ভন করে অংশ নিচ্ছে নির্বাচনী কাজে। তবে বিএনপি নাসিক নির্বাচন নিয়ে অনেকটা রহস্যজনক নিবরতা পালন করলেও ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগে মেয়র প্রার্থী নিয়ে জোর প্রচারনা শুরু হয়েছে আরো কয়েক মাস আগে থেকেই। আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা মেয়র প্রার্থী নিয়ে দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে প্রচারনায় অংশ নিচ্ছে। আসন্ন নাসিক নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ণ কে পাচ্ছে এ নিয়েও দলীয় কর্মী ও রাজনৈতিক বোদ্ধাদের মধ্যে চলছে নানা বিশ্লেষন। ইতোমধ্যে নাসিক নির্বাচন নিয়ে আওয়ামী লীগের দুইগ্রæপই নিজ নিজ সমর্থিত মেয়র প্রার্থী ডা: সেলিনা হায়াত আইভী ও মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি আনোয়ার হোসেনের পক্ষে নির্বাচনী প্রচারনা অব্যাহত রেখেছে। নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের নির্বাচনের তফসিল আগামী সপ্তাহে ঘোষণা হতে পারে বলে ধারনা করা হচ্ছে। আর তফসিল ঘোষণার পরই সব জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি থেকে কে হচ্ছে দলীয় প্রার্থী তা জানাযাবে। রাজনৈতিক বোদ্ধা মহলের মতে, বিগত নাসিক নির্বাচনের চেয়ে এবারের নির্বাচনী প্রচারনা ও আলোচনা সব চেয়ে বেশী হওয়ায় নাসিকের ভোটার ও সাধারন মানুষের মধ্যে আগ্রহ বৃদ্ধি পেয়েছে। আর এ কারণে এবারের নির্বাচন হবে অনেকটা উৎসব মুখোর পরিবেশে হবে। সূত্রমতে, দিন যতো সামনের দিকে অগ্রসর হচ্ছে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের নির্বাচন নিয়ে ততোই আগ্রহ বাড়ছে সাধারন মানুষের মধ্যে। নির্বাচন নিয়ে শুরু হয়েছে নানা জল্পনা-কল্পনা। নাসিকের প্রার্থী হতে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি থেকে একাধিক ব্যাক্তি নাম শোনা যাচ্ছে। বিএনপি থেকে তেমন কোন জোরালো আলোচনা না শোনা গেলেও নাসিক নির্বাচন নিয়ে আওয়ামী লীগে সব চেয়ে বেশী আলোচনা-পর্যালোচনা হচ্ছে। আওয়ামী লীগ থেকে কেবল মাত্র মেয়র আইভী ও আনোয়ার হোসেনের নাম আলোচিত হচ্ছে। আসন্ন নাসিক নির্বাচনে কে হবেন আওয়ামী লীগের মনোনিত প্রার্থী এ নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই আলোচনা চলছে। বিভিন্ন সভা-সমাবেশ করে মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি আনোয়ার হোসেনকে নাসিক নির্বানে মেয়র প্রার্থী হিসেবে সমর্থন দিলেও এ দিক দিয়ে মেয়র আইভী অনেকটা নিরবতা পালন করছেন। তবে মেয়র আইভীর কর্মী সমর্থকরা মাঝে মধ্যে মেয়রের পক্ষে প্রচারনা অংশ নিয়ে থাকেন। অন্যদিকে, মেয়র প্রার্থীদের পাশাপাশি জমে উঠেছে নাসিককের সম্ভাব্য কাউন্সিলর প্রার্থীদের নির্বাচনী প্রচারনা। ওয়ার্ড ভিত্তিক এলাকাগুলোতে প্রার্থীরা প্রায় প্রতিদিনই প্রচারনায় অংশ নিচ্ছে। শহরের বাইরের ওয়ার্ডগুলোর পাশাপাশি শহরের বিভিন্ন ওয়ার্ডে প্রার্থী ও তাদের কর্মী সমর্থকরা নানা ভাবে প্রচারনায় অংশ নিচ্ছে। শহরের ১৮ নং ওয়ার্ডে কামরুল হাসান মুন্না, কবির হোসেন, আলহাজ্ব মাকসুদুর রহমান জাবেদ প্রায় প্রতিদিইন নির্বাচনী প্রচারনায় অংশ নিচ্ছে। এই ওয়ার্ডটিতে নির্বাচনী উৎসব শুরু হয়েছে বলে মনে করছেন স্থানীয়রা। ১৪ নং ওয়ার্ডে প্যানেল মেয়র মনিরুজ্জামান মনির, সাবেক কাউন্সিলর শফিউদ্দিন প্রধান, ময়না, বিন্নির কর্মী সমর্থকরা প্রতিদিনই নবর্িাচনী প্রচারনা অব্যাহত রেখেছে। ১৬ নং ওয়ার্ডে প্যানেল মেয়র হাজী ওবায়েদ উল্লাহ, ১৭ নং ওয়ার্ডে আব্দুল করিম বাবু, ওলি ও বর্তমান কাউন্সিলর আলমগীরের কর্মী সমর্থকরা নির্বাচনী প্রচারনায় অংশ নিচ্ছে। আর এভাবে ধীরে ধীরে জমে উঠেছে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের নির্বাচন। রাজনৈতিক বোদ্ধ মহলের মতে, এবারের নির্বাচন হবে সব চেয়ে বেশী উৎসব মুখোর।

নাসিক নির্বাচন ২২ ডিসেম্বর

নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের (নাসিক) নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে আগামী ২২ ডিসেম্বর।সোমবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ের নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের মিডিয়া সেন্টারে এ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী রকিবউদ্দিন আহমদ। নির্বাচনে মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ সময় আগামী ৪ ডিসেম্বর।

নরসিংদীতে দুই চেয়ারম্যান গ্রুপের সংঘর্ষে নিহত ৪

নরসিংদীর রায়পুরার নিলক্ষায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে বিবাদমান দুই চেয়ারম্যান গ্রুপের মধ্যে আবারো সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। তৃতীয় দফায় এ সংঘর্ষ চলাকালে অন্তত ৪ জন নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। এসময় ৫ পুলিশ সদস্যসহ কমপক্ষে ২০ জন আহত হয়েছেন। আগুন দেয়া হয়েছে অর্ধশতাধিক বাড়ি ঘরে।

সোমবার দুপুরে  জেলার রায়পুরা উপজেলার নিলক্ষায় এই ঘটনা ঘটে। নিহতরা হলেন- আমিরাবাদ গ্রামের আলতাফ মিয়ার ছেলে মানিক মিয়া (২৫), সোনাকান্দি গ্রামের অরব আলীর ছেলে খোকন মিয়া (৪০), মঙ্গল মিয়ার ছেলে মামুন মিয়া (২৫) ও নিলক্ষা গ্রামের আব্দুস সালামের ছেলে শাহাজাহান মিয়া (৪০)।

আহতদের মধ্যে ৫ পুলিশ সদস্যকে নরসিংদী জেলা হাসপাতাল ভর্তি করা হয়েছে। এরা হলেন রায়পুরা থানার ওসি আজহারুল ইসলাম সরকার, উপ-পরিদর্শক আসাদ মিয়া, মোজাম্মেল হক, জিয়াউর রহমান ও কনস্টেবল জিল্লুর রহমান। অন্যান্যদের মধ্যে ৭ জনকে নরসিংদী সদর হাসপাতালে নেয়া হলে সেখান থেকে ঢাকায় নেয়ার পথে মারা যায় একজন। বাকীরা পুলিশী গ্রেফতার এড়াতে অজ্ঞাত স্থানে চিকিৎসা নিচ্ছে।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, আধিপত্য বিস্তার নিয়ে নিলক্ষা ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান তাজুল ইসলাম ও সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুল হকের সমর্থকরা সকাল থেকে টেঁটা, বল্লম ও ককটেলসহ দেশিয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়ায়। এসময় অর্ধশতাধিক বাড়িতে অগ্নিসংযোগ ও লুটপাট করা হয়।

খবর পেয়ে অতিরিক্ত পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ফাকা গুলি ছুঁড়ে। এসময় পুলিশের গুলি, ককটেল, টেঁটা ও বল্লমের আঘাতে ৫ পুলিশ সদস্যসহ উভয় পক্ষের কমপক্ষে ২০ জন আহত হয়। এসময় ঘটনাস্থলেই মারা যায় মানিক মিয়া, খোকন মিয়া ও মামুন মিয়া নামে তিন গ্রামবাসী। পরে হাসপাতালে নেয়ার পথে মারা যায় শাহাজাহান মিয়া নামে আরো একজন। নিহতদের পরিবারের দাবি পুলিশের গুলিতে তাদের মৃত্যু হয়েছে।

রায়পুরা থানা পুলিশসহ নরসিংদী থেকে অতিরিক্ত পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করছে।

সোনারগায়ে পুলিশ হত্যা মামলায় আটক ১

নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁওয়ে এলাকাবাসীর হামলায় নিহত পুলিশ কনস্টেবল আরিফ খানের হত্যা মামলায় মিন্টু (২৩) নামে এক যুবককে আটক করেছে জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ।

সোমবার (১৪ নভেম্বর) ভোররাতে সোনারগাঁও রাজধীয়া এলাকা থেকে তাকে আটক করা হয়েছে। আটক মিন্টু সোনারগাঁও উপজেলার রাজধীয়া এলাকার সিরাজ উদ্দিনের ছেলে।

ডিবির ওসি (তদন্ত) নজরুল ইসলাম আটকের সত্যতা স্বীকার করেছেন।

প্রসঙ্গত, নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও পৌরসভার আদমপুর বাজারের পান-সুপারির দোকানদার আবদুল মতিন (৫০) চলতি বছরের ৫ আগস্ট বুধবার বিকেলে বাড়ির সামনের সড়কের পাশে খড়ের গাদা তৈরি করছিলেন। এ সময় সোনারগাঁও থানার সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) ফখরুল ইসলাম ও কনস্টেবল আরিফুর রহমান সাদাপোশাকে মোটরসাইকেলে করে ওই সড়ক দিয়ে যাচ্ছিলেন। তারা ওই দোকানদারকে মাদক বিক্রেতা আখ্যা দিয়ে আটক করার চেষ্টা করেন। এ সময় মতিন সড়কের পাশে খাদের পানিতে লাফ দিলে পানিতে তলিয়ে মারা যায়।

এ ঘটনা দেখে এলাকাবাসী ক্ষুব্ধ হয়ে পুলিশ কনস্টেবল আরিফুর রহমানকে আটক করে। পরে এলাকার কয়েক’শ মানুষ একত্র হয়ে আরিফুর রহমানকে পিটুনি দিলে তিনি মারা যান। এর আগে সুযোগ বুঝে এএসআই ফখরুল সরে পড়েন।

না’গঞ্জে আ’লীগের ২ গ্রুপের গুলাগুলিতে সৈনিকলীগ নেতা নিহত ॥ আহত-১০

নারায়ণগঞ্জে রূপগঞ্জে বালু ও মাদক ব্যবসার আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে আ’লীগের দু’গ্রুপের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া, গুলাগুলি ও রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। সংঘর্ষ চলাকালীন সময়ে গুলিবিদ্ধ হয়ে তারা মিয়া (৩৮) নামে সৈনিকলীগের সভাপতি নিহত হয়েছেন।

একই সাথে নারীসহ অন্তত ১০ জন আহত হয়েছে। দুটি বাড়িতে পেট্রোল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয়া হয়।

সোমবার (১৪ নভেম্বর) দুপুরে উপজেলার মুড়াপাড়া ইউনিয়নের মঙ্গলখালী এলাকায় ঘটে এ ঘটনা।

নিহত তারা মিয়া মঙ্গলখালী এলাকার মৃত চাঁন মিয়ার ছেলে। তারা মিয়া মুড়াপাড়া ইউনিয়নের বঙ্গবন্ধু সৈনিকলীগের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। এ ঘটনায় নজরুল ইসলাম নামে এক জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয় সুত্রে জানা গেছে, মঙ্গলখালীসহ আশ-পাশের এলাকার বালু ও মাদক ব্যবসা থেকে শুরু করে বিভিন্ন আধিপত্য বিস্তার নিয়ে বঙ্গবন্ধু সৈনিকলীগের সভাপতি তারা মিয়াসহ তার লোকজনের সঙ্গে অপর আওয়ামীলীগ নেতা আইবুর মিয়া, আক্তার হোসেন চুন্নু, বিল্লাল মুন্সী, শিপনসহ তাদের লোকজনের বেশ কয়েক দিন ধরেই বিরোধ চলে আসছিলো।

ওই বিরোধের জের ধরেই দুপুর ২টার দিকে আইবুর মিয়াসহ তার লোকজন আগ্নেয়াস্ত্র ও ধারালো অস্ত্রেশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে তারা মিয়াকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে এবং হামলা চালায়। এসময় তারা মিয়াসহ তার লোকজনও পাল্টা হামলা চালায়।

এক পর্যায়ে উভয় পক্ষের লোকজনই ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। এসময় বেশ কয়েক রাউন্ড গুলি বর্ষণ করা হয়।

প্রায় ঘন্টা ব্যপী সংঘর্ষে উভয় পক্ষের তারা মিয়া, নয়ন মিয়া, সুমন, হোসেন মিয়া, সুরুজ মিয়া, আকাশ, পাপ্পু, খোকন, আনোয়ার হোসেন, ফাতেমা, মাসুদা বেগম, পলি আক্তার, আফসানা আক্তার, রাহিমা বেগমসহ অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন।

এদের মধ্যে তারা মিয়াকে গুলিব্ধি অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। নিহতের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পুলিশ বক্সের উপ-পরিদর্শক (এসআই) বাচ্চু মিয়া।

এদিকে, সংঘর্ষ চলাকালীন সময়ে দুটি বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয়া হয়। আগুনে বাড়িঘরসহ আসবাবপত্র পুড়ে ছাই হয়ে যায়। স্বর্ণালংকার ও নগদ টাকাসহ মালপত্র লুট করা হয় বলে দাবি করেছেন ক্ষতিগ্রস্থ্যরা। আশ-পাশের হাটবাজারের দোকানপাট বন্ধ করে দেয় ব্যবসায়ীরা। পরে ঘটনাস্থল অতিরিক্তি পুলিশ পৌছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।

অপর দিকে, তারা মিয়া নিহত হয়েছেন এমন সংবাদ ছড়িয়ে পড়লে বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসী মুড়াপাড়া-ভুলতা সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু করে। পুলিশ বিক্ষোভকারীদের শান্তনা দেয়ার চেষ্টা করে। এছাড়া এলাকায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। যে কোন সময় ফের সংঘষের্র ঘটনা ঘটতে পারে বলে স্থানীয়রা আশঙ্কা করছেন।

নিহতের চাচাতো ভাই সুমন মিয়া জানান, আইবুর মিয়া, আক্তার হোসেন চুন্নু, বিল্লাল মুন্সী, শিপনসহ তাদের লোকজন দীর্ঘ দিন ধরে এলাকায় মাদক ব্যবসা করে আসছে। মাদক ব্যবসা করায় এদের বিরুদ্ধে মুড়াপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান তোফায়েল আহাম্মেদ আলমাছের কাছে অভিযোগ করেন তারা মিয়া। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে ওই মাদক ব্যবসায়ীরা পায়ে গুলি এবং মাথায় আঘাত করায় তারা মিয়া নিহত হন। জেলা পুলিশের সহকারী পুলিশ সুপার আব্দুর রশিদ ঘটনাস্থল পরিদর্শণ করেছেন।

রূপগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইসমাইল হোসেন বলেন, পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। অভিযুক্তদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।

রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম বাদ দেয়ার চিন্তা নেই: ওবায়দুল কাদের

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, সংবিধান থেকে রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম বাদ দেয়ার পরিকল্পনা আওয়ামী লীগের নেই।

ধানমণ্ডিতে দলীয় সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে নতুন কমিটির কার্যক্রম শুরু উপলক্ষে রবিবার আয়োজিত মিলাদ মাহফিল শেষে এ কথা বলেন তিনি।

সংবিধান থেকে রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম বাদ দেয়ার বিষয়ে আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্যে ড. আব্দুর রাজ্জাকের এ সংক্রান্ত শনিবারের বক্তব্যের বিষয়ে সাংবাদিকরা জানতে চাইলে ওবায়দুল কাদের এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, সংবিধান থেকে রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম বাদ দেয়ার বিষয়ে আওয়ামী লীগ দল হিসেবে বা সরকারের কোনো চিন্তা-ভাবনাই নেই। এটি জাতীয় সংসদে মীমাংসিত বিষয়।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, সংবিধানের স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে দীর্ঘ আলোচনার ভিত্তিতে সংবিধান সংশোধন করা হয়েছে। এটি নিয়ে আর নতুন করে বলার কিছু নেই।

ড. আব্দুর রাজ্জাকের বক্তব্যকে তার ব্যক্তিগত মত বা অভিমত উল্লেখ করে তিনি বলেন, হঠাৎ করে তিনি কেন এমন বক্তব্য দিলেন জানি না। তবে একটি মীমাংসিত বিষয়কে অস্থিতিশীল করার প্রশ্নই ওঠে না।

এ সময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ, সাংগঠনিক সম্পাদক সাইদ আল মাহমুদ স্বপন, এনামুল হক শামীম, মুহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, কৃষি ও সমবায় সম্পাদক ফরিদুন্নাহার লাইলী, সাংস্কৃকি সম্পাদক অসীম কুমার উকিল, কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সদস্য এস এম কামাল হোসেন প্রমুখ।

প্রসঙ্গত, গত শনিবার জাতীয় প্রেসক্লাবের একটি অনুষ্ঠানে ড. আব্দুর রাজ্জাক বলেন, বাংলাদেশ অসাম্প্রদায়িক দেশ। এদেশের মানুষ চাইলে একদিন সময়-সুযোগমত সংবিধান থেকে রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম বাদ দেয়া হবে।

রূপগঞ্জে নারীসহ ওয়ারেন্টভুক্ত ৪ পলাতক আসামী গ্রেফতার

নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে পৃথকস্থানে অভিযান পরিচালনা করে চার ওয়ারেন্টভুক্ত পলাতক আসামীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। রোববার বেলা ১১ টার দিকে উপজেলার দক্ষিন রূপসী, কর্নগোপ ও চনপাড়া এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতাকৃতরা হলেন,দক্ষিন রূপসী এলাকার জয়নাল আবেদীনের স্ত্রী মিনারা বেগম, কর্নগোপ এলাকার মৃত রাঙ্গা মিয়ার ছেলে আব্দুল ওহাব, আব্দুল ওহাবের ছেলে রনি আহম্মেদ ও চনপাড়া এলাকার আব্দুল মালেকের ছেলে সাদ্দাম হোসেন।

রূপগঞ্জ থানা সূত্রে জানা যায়, মিনারা বেগম, আব্দুল ওহাব, রনি আহম্মেদ ও সাদ্দাম হোসেনের বিরুদ্ধে রূপগঞ্জ থানায় মাদকসহ বিভিন্ন অভিযোগে মামলা হয়। আর মামলা হওয়ার পর থেকেই গ্রেফতারকৃতরা পলাতক রয়েছেন। রোববার বেলা ১১ টার দিকে অভিযান পরিচালনা করে তাদের নিজ নিজ এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃতদের নারায়ণগঞ্জ আদালতে প্রেরন করা হয়েছে।

সিদ্ধিরগঞ্জে হত্যা মামলার আসামি লালচাঁন গ্রেফতার

সিদ্ধিরগঞ্জ বাজার রেল লাইন এলাকার গৃহবধূ মিতু আক্তার (২০) হত্যা মামলার প্রধান আসামি স্বামী মাদক ব্যবসায়ী লালচাঁনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গতকাল রোববার বিকেল ৪ টায় ঢাকার বায়তুল মোর্কারম এলাকা থেকে নিহতের পিতা মানিক ও চাচা কবির হোসেন স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় ঘাতক লালচাঁনকে আটক করে সিদ্ধিরগঞ্জ থানা পুলিশের কাছে সোপর্দ করে। ধৃত লালচাঁন ওই এলাকার মোঃ নূর ইসলামের ছেলে। গত ৩ নভেম্বর বিকেলে লালচাঁন তার স্ত্রী মিতুকে গলাটিপে হত্যা করে লাশ হাসপাতালে ফেলে পালিয়ে যায়। পরে নিহতের পিতা মোঃ মানিক মিয়া বাদী হয়ে হত্যা মামলা দায়ের করে। ঘটনার পর থেকেই লালচাঁন পলাতক ছিল। মাদক ব্যবসা করতে নিষেধ করায় লালচাঁন তার স্ত্রী মিতুকে সব সময়ই নির্যাতন করতো। কিন্তু স্ত্রী বারবারই তার ব্যবসা ও মাদক সেবনে বাঁধা হয়ে দাঁড়ালে শেষ পর্যন্ত ঘটনার দিন গলা টিপে ধরলে এক পর্যায় মারা যায় স্ত্রী মিতু। পরে স্বামী লালচাঁন স্ত্রীর লাশ ঘরে রেখে দরজা লাগিয়ে বাহিরে ঘুরা ফিরা করতে থাকে। সন্ধার পর তার ননদ এসে ঘরে গিয়ে দেখে মিতুর নিথর দেহ পড়ে রয়েছে। তখন সে ডাক চিৎকার করতে থাকলে মিতুর মা এসে দ্রুত সাজেদা হাসপাতালে নিয়ে যায়। স্থানীয় সাজেদা হাসপাতালে না রাখলে মিতুকে নিয়ে যাওয়া হয় নারায়ণগঞ্জ খানপুর হাসপাতালে। তখন কর্মরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষনা করে জানায় হাসপাতালে নেওয়ার অনেক আগেই মিতু মারা গেছে।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই মোঃ সামছুল আলম জানায়,বাদী পক্ষের লোকজন স্ত্রী হত্যা মামলার আসামি লালচাঁনকে আটক করে পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছে। পরে তাকে গ্রেফতার করে থানা হাজতে রাখা হয়েছে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে আদালতে প্রেরণ করা হবে।