৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
২২শে নভেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
Home Blog Page 253

গাড়ি থাকলেও সাগরকে হাসপাতালে পাঠানো হয় রিক্সায়-নির্যাতনের প্রতিবাদ করায় হত্যা ?

পায়ুপথে বাতাস ঢোকানোর পর মিলের কর্মচারি ও শ্রমিকরা শিশু সাগরকে স্থানীয় একটি ক্লিনিকে নিয়ে যায়। মিলের বেশ কয়েকটি গাড়ি থাকলেও মূমূর্ষ সাগরকে হাসপাতালে পাঠানো হয় রিক্সায়। ক্লিনিক থেকে সাগরকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যেতে বলে। কিন্তু সেখান থেকে তাকে সরাসরি ঢাকা মেডিক্যালে না নিয়ে আবার আনা হয় মিলে। এমন অমানবিক আচরনের শিকার হয়ে পরপারে চলে যায় সাগর। এ ঘটনায় দায়ের করা মামলায় মিলের এমডি লায়ন মোজাম্মেল হক, তিন ডিরেক্টর, চারজন কর্মকর্তার নাম উল্লেখসহ মোট দশজনকে আসামী করা হয়েছে। পুলিশ গ্রেফতার করেছে প্রশাসনিক কর্মকর্তা নাজমুলকে। মিলে মারপিট গালিগালাজের প্রতিবাদ করায় মিলের কোন কর্মকর্তা অন্যদের সহযোগিতায় এ ঘটনা ঘটিয়ে বলে অভিযোগ করেছে নিহতের পরিবার।
রুপগঞ্জ থানায় শিশু সাগরের বাবা রতন বর্মণ বাদি হয়ে এ মামলা দায়ের করেন। মামলায় রতন বর্মণ বলেন, আমি ও আমার নয় বছর বয়েসি ছেলে সাগর বর্মণ সাত মাস ধরে রুপগঞ্জ থানার যাত্রামুড়াস্থ জবেদা টেক্সটাইল এর ৫ নং ইউনিটে সকাল ছয়টা থেকে দুপুর দুইটা পর্যন্ত কাজ করি। গত ২৪ জুলাই দুপুর বারোটায় আমার ছেলে সাগর অন্যান্য দিনের মতো কাজ শেষ করে শরির থেকে তুলা ও ধুলাবালি পরিস্কার করার জন্য হাওয়া মেশিনের সামনে যায়। একটু পরেই একজন মহিলা ঝাড়–দার আমার কাছে এসে বলে যে আমার ছেলে মাটিতে গড়াগড়ি যাচ্ছে। তার পেট ফুলে গেছে। কথা বলতে পারছে না। আমি দৌড়ে গিয়ে দেখি সবাই মিলে আমার ছেলেকে অফিসে নিয়ে গেছে। তখন অফিসের লোকজন আমার ছেলেকে রিক্সায় উঠিয়ে কাচপুরে একটি হাসপাতালে নিয়ে যায়। কিন্তু এ হাসপাতালে আমার ছেলের চিকিৎসা হবেনা বলে ডাক্তার জানিয়ে দেয়। ফলে তারা আমার ছেলেকে আবার ফ্যাক্টরিতে আনে। আমার ছেলের অবস্থা দেখে আমি কান্নাকাটি করতে থাকলে প্রতিষ্ঠানের লোকজন ছেলেকে ও আমাকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। তখন হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক আমার ছেলেকে মৃত ঘোষনা করে।
মামলায় সাগরের বাবা আরো বলেন, প্রতিদিন এই ফ্যাক্টরির এডমিন নাজমুল হুদা, উৎপাদন ম্যানেজার মোহাম্মদ হারুন অর রশিদ, সিনিয়র উৎপাদন অফিসার আজহার ইমাম সোহেল, সহকারি উৎপাদন ম্যানেজার রাশেদুল ইসলামসহ অজ্ঞাতনামা তিন-চারজন লাইনম্যান, সুপারভাইজার প্রায়ই কাজকর্মের সামান্য ত্রুটি পেলে আমাকে ও আমার ছেলে সাগরকে মারপিট ও গালিগালাজ করতো। আমার ছেলে মাঝে মধ্যে এর প্রতিবাদ করতো। যার কারনে উল্লেখিতরাসহ আরো তিন-চারজন শ্রমিক ২৪ জুলাই বেলা সাড়ে বারোটায় হাওয়া মেশিনের পাইপ আমার ছেলের পায়ুপথে ঢুকিয়ে তাকে হত্যা করেছে।
সাগরের বাবা এ হত্যাকান্ডের জন্য মিলের মালিকদেরও দায়ি করেন। মামলার এজাহারে তিনি বলেন, মিলের এমডি মোজাম্মেল হক ভূইয়া, ডিরেক্টর মাজহারুল ইসলাম ভূইয়া, আজহারুল হক ভূইয়া, জাফর হোসেন ভূইয়া এই কারখানায় শিশু শ্রমিক নিয়োগ দিয়ে কম বেতনে কারখানার উৎপাদন কাজ করে আসছেন। এই মালিকরা ঘটনাস্থলের হাওয়া মেশিন রক্ষনাবেক্ষন বা পরিচালনার জন্য দক্ষ অফিসার বা কর্মচারি নিয়োগ করলে আমার ছেলে সাগরের এমন করুন মৃত্যু হতো না।
তবে মামলার প্রাথমিক তথ্য বিবরনিতে পুলিশ চার মালিকের নাম লেখেনি। নারায়ণগঞ্জের বিশিষ্ট আইনজীবি ও বাংলাদেশ টেক্সটাইল গার্মেন্ট শ্রমিক ফেডারেশন এর সভাপতি এডভোকেট মাহবুবুর রহমান ইসমাইল জানান, পুলিশ প্রাথমিক তথ্য বিবরনিতে চার মালিকের নাম আসামীর তালিকায় লেখেনি। হয়তো পুলিশ এখানে মালিকদের পক্ষে অবস্থান নেয়ার চেষ্টা করেছে। কিন্তু এতে লাভ হবেনা। কারন এজাহারে তাদের নাম আছে। এবং তারা এর মধ্যেই মামলার আসামী হয়ে গেছেন। ঘটনার প্রতিবাদে সোমবার সকালে তার নেতৃত্বে নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাবের সামনে একটি মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। এখানে বক্তব্যে তিনি বলেন, টাকা ছড়িয়ে মিলের মালিক মোজাম্মেল হক বিষয়টিকে ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা করছেন।
এ ব্যাপারে রুপগঞ্জ থানার ওসি ইসমাইল হোসেনের মোবাইল ফোনে বেশ কয়েকবার ফোন দিলেও তিনি ধরেননি।
যোগাযোগ করা হলে বড় ভাই রিপনের স্ত্রী অঞ্জনা জানান, সাগরকে প্রায়ই কারখানার কর্মকর্তারা নির্যাতন করতো। দুই মাস আগে বারি দিয়ে তার মাথা ফাটিয়ে ফেলে তারা। নির্যাতনের প্রতিবাদ করার কারনেই সাগরকে এমন নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে বলে তারা মনে করছেন।
সাগরের বাবা রতন বর্মন জানান, ঘটনার পরপর মিলের গাড়ি দিয়ে যদি ছেলেকে ঢাকায় পাঠাতো তাহলে হয়তো সে বেঁচে যেতো। মিলের অনেক গাড়ি থাকলেও আমার ছেলেকে হাসাপাতালে পাঠানো হয় রিক্সা দিয়ে। পরে ঢাকায় পাঠানো হয় সিএনজি দিয়ে।
অন্যদিকে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মহিবুল ইসলাম (প্রশাসন) জানান, সোমবার দুপুরে অভিযান চালিয়ে এ মিল থেকে ২৭ জন শিশু শ্রমিককে উদ্ধার করে তাদের পরিবারের কাছে দিয়ে দেয় পুলিশ। এ ঘটনায় মামলার প্রেক্ষিতে মিলের প্রশাসনিক কর্মকর্তা নাজমুল হুদাকে গ্রেফতার করে আদালতে পাঠানো হলে আদালত সাতদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন।
নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে রূপগঞ্জের যাত্রামুড়া এলাকায় অবস্থিত জোবেদা সাইজিং এন্ড স্পিনিং মিলে রোববার দুপুরে কাজ করার সময় কয়েকজন লোক সাগর বর্মনের পায়ুপথে মেশিন দিয়ে বাতাস ঢুকিয়ে হত্যা করে। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতলে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। নিহত শিশুটি নেত্রকোনা জেলার খালিয়াজুড়ি উপজেলার রাজিবপুর গ্রামের রতন বর্মণের ছেলে। তারা বর্তমানে কারখানার পাশেই বাসা ভাড়া নিয়ে বসবাস করে। তিন ভাইয়ের মধ্যে সাগর ছোট।
ঘটনার প্রতিবাদে বিভিন্ন সংগঠনের প্রতিবাদ
এ ঘটনার ঘাতকদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও বিচারের দাবি জানিয়েছে সন্ত্রাস নির্মূল ত্বকী মঞ্চ। সোমবার দুপুরে মঞ্চের আহবায়ক রফিউর রাব্বি ও সদস্য সচিব হালিম আজাদ স্বাক্ষরিত প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত বছর খুলনায় ১২ বছরের রাকিবকে ঠিক একইভাবে পায়ুপথে কমপ্রেসার দিয়ে বাতাস ঢুকিয়ে তার নাড়ীভুঁড়ি ছিন্ন ভিন্ন করে হত্যা করা হয়েছিল। এসব হত্যাকান্ড সমাজের নৈতিক-ধস ও মানবিক মূল্যবোধ থেকে ক্রমাগত দূরে সরে যাওয়ারই বহিঃপ্রকাশ, সমাজে কতিপয় বিকারগ্রস্থ ব্যক্তির বিকৃত মানসিকতার ফল। সামাজিক ও রাজনৈতিক অস্থিরতা মানুষকে আজ কতটা হিংস্র করে তুলেছে এ সবই তার প্রমান। খুলনার রাকিব হত্যার বিচার তিন মাসের মধ্যে সম্পন্ন করে সরকার একটি নজির স্থাপন করেছিল; আমরা চাই সাগর হত্যার বিচারও তেমনি দ্রুত সম্পন্ন করা হবে।
সাগর বর্মণের হত্যাকারীদের অবিলম্বে গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবী জানিয়েছে বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি। সংগঠনের কেন্দ্রীয় নেতা আবু হাসান টিপু এক বিবৃতিতে বলেন, কোন অজুহাতেই এই মানুষরূপী নরঘাতকরা যেন ছাড় পেয়ে না যায় সেদিকে সরকারসহ সংশ্লিষ্ট প্রশাসনকে খেয়াল রাখতে হবে।

পুলিশ সোর্স শিপুর সহযোগীতায় দিপু-অপুর মাদক ব্যবসা তুঙ্গে – পুলিশ নীরব

দিপু, অপু ও শিবু তিন ভাই। এক ভাই শিপু ফতুল্লা পুলিশের প্রভাবশালী সোর্স। দিপু এখন ফতুল্লার শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ীদের একজন। অপর ভাই অপু মাদক ব্যবসায়ীদের শেল্টাদাতা এবং মাদক সেবী। আর এই তিন ভাই-ই নিয়ন্ত্রণ করছে ফতুল্লার লালখাঁ, তক্কার মাঠ ও ফতুল্লা পাইলট স্কুলের পূর্বপাশের মাদক ব্যবসা। পুলিশ সোর্স শিপুর সহযোগীতা নিয়ে অপর দুই ভাই দিপু ও অপু মদক ব্যবসায় জড়িয়ে পরেছে এমন অভিযোগ স্থানীয়দের। দীর্ঘদিন ধরে এই তিন ভাই এলাকায় মাদক ব্যবসা করলেও রহস্যজনক কারণে থানা পুলিশ এদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছে না বলে অভিযোগ স্থানীয় বাসিন্দাদের। অভিযোগ রয়েছে, দিপু মাদক ব্যবসায়ী হওয়ার পর তর ব্যবসার পরিধি খোঁজপাড়া এলাকায়ও ছড়িয়ে দিয়েছে। আর এসব সম্ভব হচ্ছে দিপুর ভাই পুলিশ সোর্স শিপুর বদৌলতে। এই মদক ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পুলিশ সুপার ও র‌্যাব প্রধানের সহযোগীতা কামনা করেছে এলাকাবাসী।
বিভিন্ন সূত্রে জানাগেছে, দিপু ডায়াগনোষ্টিক সেন্টারের ব্যবসা ছেড়ে দিয়ে দিপু মাদক ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে দীর্ঘদিন ধরে। দিপুর ছোট ভাই ফতুল্লা থানা পুলিশের প্রভাবশালী সোর্স শিপুর মাধ্যমে দিপু মাদক ব্যবসায় জড়িয়ে পরেছে। প্রায় অর্ধশত সেলসম্যান নিয়ে মাদক ব্যবসা চালাচ্ছে দিপু। খোঁজপাড়া এলাকার যুবদল নেতা মুসলিশের সাথেও তার সখ্যতা রয়েছে। স্থানীয় সূত্রে জানাগেছে, মুসলিমও মাদক ব্যবসার শেল্টারদাতা। অফরদিকে, পুলিশ সোর্স শিপুর মাধ্যমে দিপু অন্যান্য মাদক ব্যবসায়ীদের পুলিশ দিয়ে হয়রানী করে দিপুর পথ পরিস্কার রাখছে বলে স্থানীয়দের অভিযোগ। শিপু ফতুল্লা মডেল থানার এসআই নাহিদ ও এএসআই কামরুলের সোর্স হিসেবে পরিচিত। অভিযোগ রয়েছে, শিপুর কারণে অপরাধী থেকে শুরু করে সাধারন মানুষও নানা ভাবে হয়রানীর শিকার হচ্ছে। এদিকে, দিপু ও শিপুর বড় ভাই অপু লালখাঁ, তক্কার মাঠ, উকিল বাড়ি মোড় এলাকায় মাদক ব্যবসায়ীদের শেল্টারদাতা হিসেবে কাজ করছে। এছাড়া অপু এলাকার চিহ্নিত মাদক সেবী হিসেবেও পরিচিত। আর এসবই হচ্ছে ছোট ভাই পুলিশ সোর্স শিপুর মাধ্যমে। এই তিন ভাইয়েরে মাদক ব্যবসা বন্ধে পুলিশ সুপার ও জেলা র‌্যাব কমান্ডারের হস্তক্ষেপ দাবি করেছে ফতুল্লাবাসী।

তারেক জিয়া সরকারের টার্গেটে পরিণত- নাসির উদ্দিন

রূপগঞ্জ প্রতিনিধি:বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে নিম্ন আদালতে বেকসুর খালাস দেয়ার পর উচ্চ আদালতে ৭ বছরের কারাদন্ড ও একই সঙ্গে ২০ কোটি টাকা জরিমানার রায়ের ঘটনায় তীব্র ক্ষোভ ও নিন্দা প্রকাশ করেছেন রূপগঞ্জ উপজেলা বিএনপির  সিনিয়র যুগ্ন সম্পাদক আলহাজ্ব মোঃ নাসির উদ্দিন। এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, অবৈধ সরকার দেশনায়ক তারেক রহমানের জনপ্রিয়তায় ভীত। দেশ ও দেশের মানুষের গণতন্ত্র মুক্তির সংগ্রামে নেতৃত্ব দিচ্ছেন বলেই বর্তমান অবৈধ প্রধানমন্ত্রী ও সরকারের টার্গেটে পরিণত হয়েছেন তিনি। তারেক রহমান শুধু বিএনপির নয় জাতির আশা-আকাঙ্খার প্রতীক। আজ তার কারাদন্ডের রায়ে পুরো দেশ ও জাতি স্তম্ভিত।  মহান স্বাধীনতার ঘোষক শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান ও পরপর তিনবারের সফল প্রধানমন্ত্রী দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার সন্তান তিনি, এটাই তার বড় অপরাধ। শহীদ জিয়া রনাঙ্গনে যুদ্ধ করে এদেশকে স্বাধীন করেছিলেন, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে ভূমিকা রেখে দেশের মানুষের কাছে আপষহীন নেত্রী হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন। আজ দেশী-বিদেশী ষড়যন্ত্রকারীদের কারনে দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব ও গণতন্ত্র হুমকির মুখে। জাতির এই ক্রান্তিকালে মুক্তির দিশারী হয়ে তারেক রহমান কোটি জনতার হৃদয়ে বিরাজমান। তাই কোন ষড়যন্ত্র ও অপপ্রচারে দেশনায়ক তারেক রহমানের অগ্রযাত্রা রুখা যাবে না।
তারেক রহমানের মামলার বিচারক এনায়েতুর রহিম প্রসংগে তিনি বলেন,এনায়েতুর রহমান একজন দাঙ্গাবাজ উকিল হিসেবে আদালত পাড়ায় পরিচিত ছিলেন।তিনি এক সময় দেশের প্রধান বিচারপতিকে অসন্মান করেছেন ও তার কক্ষে লাথি মেরেছেন।পুরস্কার হিসেবে আওয়ামীলীগ তাকে বিচারপতি পদে নিয়োগ দিয়েছে।তাকে দিয়েই দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় নেতা তারেক জিয়ার বিরুদ্ধে রায় পড়িয়েছে অবৈধ সরকার।অথচ একই মামলায় এ সরকারের আমলেই নি¤œ আদালত থেকে সসন্মানে খালাস পান তারেক জিয়া। তিনি আরো বলেন,সর্বোচ্চ আদালতকে দলীয় অঙ্গসংগঠনে পরিনত করেছে এই অনির্বাচিত সরকার।দলীয় লোককে বিচারপতি পদে নিয়োগ দিয়ে সমগ্র বিচার ব্যবস্থাকে কলুষিত করেছে।আওয়ামীলীগ রাজনৈতিক ভাবে দেউলিয়া হওয়ার কারনে প্রতিপক্ষকে রাজনৈতিক ভাবে মোকাবেলা করার শক্তি হারিয়ে ফেলেছে।তাই তারা এখন এশর পর এক কল্পনাপ্রসূত মামলা রুজু করে নিজেদের নিয়োজিত লোক দিয়ে রায় বের করে নিচ্ছে।এর জন্য শেখ হাসিনা কে কড়া মাশুল দিতে হবে।ভোটারবিহীন সরকার জিয়া পরিবারকে ধ্বংস করতে নীল নকশা করছে। তাই দেশকে ও জিয়া পরিবারকে রক্ষা করতে আমাদের সকলকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে আন্দোলনে ঝাপিয়ে পরতে হবে। আর শত ষড়যন্ত্র করেও এদেশের মানুষের হৃদয় থেকে জিয়া পরিবার তথা তারেক রহমানকে মুছে ফেলা যাবে না।

রুহুল কবীর রিজভীর বিরুদ্ধে গ্রেফতারী পরোয়ানা সরকারের অন্ধ প্রতিহিংসার প্রতিফলন-মিলন মেহেদী

জাতীয়তাবাদী মৎস্যজীবী দলের সাধারণ সম্পাদক মিলন মেহেদী বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব এ্যাড রুহুল কবীর রিজভীসহ ০৯ জনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারী পরোয়ানার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছেন। বিবৃতিতে তিনি বলেন, সারাদেশ যখন জঙ্গী আতংকে উৎকন্ঠিত, যখন দেশের মানুষ তারেক রহমানের মিথ্যা ও বানোয়াট রায়ের বিরুদ্ধে রাজপথে নামতে শুরু করেছে, তখন আন্দোলনকে নস্যাৎ করতেই তাদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারী পরোয়ানা জারী করা হলো। যা সরকারের অন্ধ প্রতিহিংসার প্রতিফলন ছাড়া আর কিছুই নয়। সরকার বিএনপি ও বিএনপি পরিবারকে ধ্বংস করার জন্যই একের পর এক মামলা, হামলা,গুম, হত্যা করে ক্ষমতায় টিকে থাকার যে অলিক স্বপ্ন দেখছে তা কখনই সফল হবে না। সরকার জনগণের অধিকার হরণ,গনতন্ত্রকে হত্যা, দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বকে বিকিয়ে দেয়ার চক্রান্তে লিপ্ত থেকে গণ-বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছেন। আর তাই নিজেরাই কখনো মামলা-গুম করছে, আবার কখনো জঙ্গী তৎপরতার মাধ্যমে দেশের মানুষকে আতংকিত করছে অন্যদিকে দেশের ভাবমূর্তিক্ষুন্ন করে বিদেশী বিনিয়োগকারীদের বিদেশে ফিরিয়ে দিচ্ছে। যা দেশের জন্য ৭৪- এর মত দূর্ভিক্ষের অশনি সংকেত। জনাব মিলন মেহেদী অবিলম্বে নেতৃবৃন্দের বিরূদ্ধে মিথ্যা গ্রেফতারী পরোয়ানা বাতিল করার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।

সৌদিতে নির্যাতিত গৃহকর্মী মমতাজের দেশে ফেরার আকুতি

আমি ভুল করেছি। আমাকে মাফ করে দে। উদ্ধার করে নিয়ে যা। তা না হলে আমি মরে যাবো। ওরা আমাকে খুব মারধর করে। পা তুলে দেয়। কান দিয়ে রক্ত পড়ে।’ দালালের খপ্পরে পড়ে সৌদি আরবে যাওয়া ষাটোর্ধ্ব মমতাজ বেগম এভাবেই দেশে ফিরে আসার আকুতি জানান তার মেয়ের কাছে। তিনি কাউকে না জানিয়ে সৌদি আরবে গমন করেন। তার ভিসার মেয়াদ তিন মাস। তারা বলেছিলো সেখানে একজনের ডেলিভারি হবে। তিন মাস তার পরিচর্যা করতে হবে। তারপরই দেশে ফেরত পাঠাবে। কিন্তু সেখানে গিয়ে তাকে গৃহকর্মীর কাজ দেয়া হয়েছে। এদিকে মমতাজের মেয়ে অভিযোগ করেছেন, রিক্রুটিং এজেন্সি তাকে সতর্ক করে দিয়েছে তার সৌদি গমনের কথা গোপন রাখতে। বলে, কাউকে জানানো যাবে না। এমনকি নিকট আত্মীয়-স্বজনদেরও। সহজ সরল মমতাজ বেগম তাই কাউকে না জানিয়েই দালালের ফাঁদে পা দিয়েছিলেন। এখন বৃদ্ধা মমতাজ বেগম ঠিকমতো কাজ করতে পারছেন না। তার ওপর চলছে নির্যাতন। তাই তিনি মারা যাওয়ার আগেই দেশে ফেরার আকুতি জানিয়েছেন সন্তানদের কাছে।

সন্ত্রাসীর বিরুদ্ধে যুদ্ধ এই নামে ইরাকে ২৬ বছরে ৩২ লক্ষ মুসলমান হত্যা করেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র-ড.এনায়েতুল্লাহ আব্বাসী

শুধু ইসলামের জিহাদ ও খেলাফতকে সবচেয়ে বেশী ভয় পায় কাফের মুশরেকরা । এই ২টা জিনিসকে যারা বাদ দিবে, সেইসব নামধারী মুনাফেক মুসলমানদের সাথে কাফের মুশরেকদের কোন দন্দ নাই । কাফেরদের একটা সূত্র হল, একটা মিথ্যাকে ৭০ বার বললে মানুষ সেটাকে সত্য বলে মেনে নিতে পারে । এটা মুসলমান বিশ্বাস করে না । মুসলমানদের সূত্র হল, একটা সত্যকে ৭০ বার না, ৭০ কোটি বার বললেও তা সত্য হবে না । কাফেরদের কথা হল, একটা মিথ্যাকে বারবার বললে মানুষ সেটাকে সত্য বলে মেনে নিতে পারে । কিন্তু মুসলমানদের কথা হল, সত্যকে মিথ্যার ছাই দিয়ে ঢাকা যায় না, যেমন কাগজের ফুল থেকে কখনোই গোলাপের সুঘ্রাণ আসে না ।

২টা জিনিসের বিরুদ্ধে কাফের মুশরেকদের সবচেয়ে বেশী প্রচার- একটি হল জিহাদ, আরেকটি হল খেলাফত । আইএস-এর সাথে ইসলাম ও মুসলমানের কোন সম্পর্ক নাই । আইএস এর সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের দায় কখনোই ইসলাম ও মুসলমান নিবে না । আইএস ইহুদী মোসাদের আবিষ্কার । আর তাদেরকে অস্ত্র দিয়েছে আমেরিকা । আইএস-এর বিরোধিতা করতে যেয়ে কোন অবস্থায়ই জিহাদের বিরোধিতা করার সুযোগ নাই । কারণ জিহাদকে যে অস্বীকার করবে, জিহাদের বিরোধিতা করবে সে মুসলমান নয় । জিহাদ ইসলামের মূল একটি বিষয় । জিহাদ ইসলামের মূল একটি বিষয় । সোনারগাঁও-এ যুদ্ধ হয়েছিল ঈসাখাঁর সাথে । বাদশা আকবরের একটা হিন্দু ছেলে ছিল । বাদশা নিজেও মুসলমান ছিল না । বাদশা নিজেও হিন্দু ছিল । মানসিংহ ঈসাখাঁর সাথে যুদ্ধ চলাকালীন মানসিংহের অস্ত্র ভেঙ্গে গেছে । ঈসাখাঁ যুদ্ধ বন্ধ করে দিল । মানসিংহ বললো আপনি ইচ্ছা করলে তো আমাকে হত্যা করতে পারতেন যুদ্ধ বন্ধ করলেন কেন ? ঈসাখাঁ বললো নিরস্ত্রকে আঘাত করা ইসলাম শিক্ষা দেয় না । তুমি অস্ত্র নিয়ে আসো তারপর যুদ্ধ করবো । কাফের মুশরেকরা যদি তাদের গণ্ডি পার হয়ে ইসলাম ও মুসলমানের উপর আঘাত করতে আসে তখন মুসলমানকে অস্ত্র ধারণ করতেই হবে । সেটা ডিফেন্সিভও হতে পারে অফেন্সিভও হতে পারে ।

আইএস যা করছে তার জন্য শুধু তারা দায়ী নয়, পরিস্থিতিও দায়ী । আইএস পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে হামলা করেছে ইউরোপ আমেরিকাতে তারা হামলা করেছে । মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র World Agents Terrorism (সন্ত্রাসীর বিরুদ্ধে যুদ্ধ) এই নামে ১৯৯১ সালে প্রথম ইরাকে হামলা করেছে । আজকে ২০১৬ , ২৬ বছর পার হয়েছ । ২৬ বছরে সমৃদ্ধ ইরাকে আমেরিকা তার নেতৃত্বাধীন ন্যাটোযোদ্ধা নিয়ে মোট ৩২ লক্ষ্য মুসলমানকে হত্যা করেছে । এই ২৬ বছরে একটি স্বাধীন সমৃদ্ধ রাষ্ট্রে মিথ্যা আজুহাতে হামলা করে ৩২ লক্ষ্য মুসলমানকে শহীদ করা হয়েছে । আর এই ২৬ বছরে ইরাকে ঘরবাড়ী বাবা মা ছাড়া হয়েছে ১ কোটি ২০ লক্ষ্য । এমন একটি দেশ ছিল যেখানে তেলের পয়সা বিক্রি হলে প্রত্যেক নাগরিকের একাউন্টে পয়সা চলে যেত । বাড়ীতে বসে বসে তারা তেলের পয়সায় চলতো । সেই দেশে ঐ আমলে শিক্ষা ব্যবস্থা ছিল অবৈতনিক । মাস্টার পর্যন্ত পড়াশুনা করতে কোন টাকা লাগতো না, ফ্রি ছিল । টিটমেন্ট ফ্রি । দেশের খনিজ সম্পদ বিক্রি হতো প্রত্যেকের একাউন্টে টাকা যমতে থাকতো । বছর শেষে দেখা যেত কয়েক লক্ষ্য রিয়েল জমা আছে । এরকম একটা দেশকে ধ্বংস করা হলো । ৩২ লক্ষ্য মুসলমান শহীদ হয়েছে । ১ কোটি ২০ লক্ষ্য মানুষ নিঃস্ব হয়েছে । সেই ২৬ বছর আগে যেই বাচ্চাটার বয়স ছিল ৪ । যে তার নিজের চোখে দেখেছে তার নিজের দেশকে অগ্নিগর্ভে পরিণত হতে । যে নিজের চোখে দেখেছে তার নিজের মাকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের খৃস্টানরা ধর্ষণ করেছে । পিতাকে হত্যা করেছে । আজ সে যুবকের বয়স ৩০ । সে যদি তার দেশের স্বাধীনতার প্রতিশোধ নিতে গিয়ে, ৩২ লক্ষ মানুষের রক্তের প্রতিশোধ নিতে গিয়ে, মা বোনের ধর্ষণেত প্রতিশোধ নিতে গিয়ে, আমেরিকা ফ্রান্সে হামলা করে কয়েকশ খ্রিষ্টান মেরে ফেলে, সমাজ চোখে এটা অপরাধ হলেও আমি সেটাকে অপরাধ বলতে পারি না । অতএব সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের দায় শুধু আইএসকে দিলে হবে না, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ইসরাইল, ব্রিটেন এবং ইউরোপীয় সমাজকে দায় দিতে হবে ।

আড়াইহাজারে অজ্ঞাত ব্যক্তির গলিত লাশ উদ্ধার

নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারে অজ্ঞাত পরিচয় (৩২) এক ব্যক্তির গলিত লাশ উদ্ধার করেছে আড়াইহাজার থানা পুলিশ। আড়াইহাজার থানার ওসি (তদন্ত) সফিউল ইসলাম জানান, রবিবার সকালে এলাকাবাসীর কাছ থেকে খবর পান যে উপজেলার হাইজাদী ইউনিয়নের নারান্দী গ্রামের একটি ধনিচা ক্ষেতের পানিতে একটি লাশ ভাসছে। লাশটি পুরুষের। পুলিশ লাশটি উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে। লাশের পরনে জিন্সের প্যান্ট ও নীল শার্ট পড়া অবস্থায় ছিল। উদ্ধার করা লাশটি ফুলে পঁচে যাওয়ায় তাকে চেনা যাচ্ছে না। স্থানীয় লোকজনও লাশটি সনাক্ত করতে পারেনি। মনে হচ্ছে ৩-৪দিন আগে তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে এখানে ফেলে যায় হত্যাকারীরা। এ ব্যাপারে থানায় হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। হত্যার সাথে জড়িতদের খুজে বের করার চেষ্টা হচ্ছে

আড়াইহাজারে ব্যবসায়ির রগ কর্তন

নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারে আনোয়ার হোসেন খাঁন (৩৯) নামে এক ব্যবসায়ির হাত ও পায়ের রগ কেটে দিয়েছে পাভেল (২৮) নামের এক সন্ত্রাসী। গতকাল রোববার সকাল ১০ টার দিকে উপজেলার ব্রাহ্মন্দী ইউনিয়নের মনোহরদী ঋষেরচর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। গুরুতর আহত অবস্থায় আনোয়ারকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ঋষেরচর গ্রামের গোÑখাদ্যের ব্যবসায়ি আনোয়ার হোসেন খাঁন সকাল ১০টার দিকে দেড় লাখ টাকা নিয়ে ব্যাবসার কাজে ঢাকা যাওয়ার জন্য তৈরী হচ্ছিলেন। এমন সময় পুর্ব শত্রæতার জের ধরে একই গ্রামের মৃত হেকিম ভূঁইয়ার ছেলে পাভেল ৩/৪ জন সহযেগি নিয়ে তাকে ধারালো অস্ত্র নিয়ে তার বাড়ির উঠানে কোপায়। এবং তার সঙ্গে থাকা নগদ দেড় আখ টাকা নিয়ে যায়। আনোয়ারের ডান পায়ের এবং বাম হাতের একাধিক রগ কেটে যায় । তাকে প্রথমে আড়াইহাজার উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ও পরে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। এ ব্যাপারে আনোয়ারের ভাই সাফায়েত খান বাদী হয়ে আড়াইহাজার থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছে।

নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে ৪৯ হাজার পিস ইয়াবা আটকের ঘটনায় ২জনের পনের বছরের সাজা

নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জের সৌদিয়া ভিলা থেকে ২০১৫ সালের এপ্রিলে ৪৯ হাজার পিস ইয়াবা আটক করেছিলো র‌্যাব-১১। এ ঘটনায় দায়ের করা মামলায় এক আসামীকে দশ বছর ও অন্যজনকে পাচ বছরের সাজা দিয়েছে নারায়ণগঞ্জ জেলা জজ আদালত। নারায়ণগঞ্জ জেলা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) এডভোকেট ওয়াজেদ আলি খোকন জানান, র‌্যাব-১১ এর ডিএডি মোহাম্মদ রিয়াজ উদ্দিন এ মামলার বাদি। ২০১৫ সালের এপ্রিলে সৌদিয়া ভিলা থেকে সাতচল্লিশ হাজার পিস ইয়াবা সহ আসামী দেলোয়ার হোসেনকে ও আরো দুই হাজার ২৪২ পিস ইয়াবাসহ শফিকুল ইসলামকে গ্রেফতার করা হয়। এ ব্যাপারে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় দায়ের করা মামলার প্রেক্ষিতে আদালতে মোট ৯ জন সাক্ষ প্রদান করেন। সাক্ষ প্রমানের ভিত্তিতে আদালত দেলোয়ার হোসেনকে দশ বছরের সশ্রম কারাদন্ড, এক লাখ টাকা জরিমানা করে। জরিমানা না দিলে তাকে আরো এক বছর জেলে থাকতে হবে। অন্যদিকে শফিকুল ইসলামকে পাচ বছরের কারাবাস ও বিশ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। জরিমানা না দিলে তাকে আরো এক বছর কারাগাওে থাকতে হবে। রায় ঘোষনার সময় দু’জনেই আদালত কক্ষে উপস্থিত ছিলেন। তাদের এখান থেকে জেল হাজতে পাঠানো হয়।#

নারায়ণগঞ্জের মিতু ক্লিনিকে ডাক্তারের অবহেলায় নবজাতকের মৃত্যু

সিজারিয়ান অপারেশন না করায় এক রোগীর বাচ্চা প্রসবের সময় সামনে যাননি ডাক্তার বা নার্স। ফলে রোগীর বাচ্চা স্বাভাবিকভাবে ভূমিষ্ঠ হলেও সে বিছানা থেকে পরে মারা যায়। রোববার সকাল ছয়টায় নগরীর প্রেসিডেন্ট রোড এলাকায় অবস্থিত মিতু ক্লিনিকে এ ঘটনা ঘটে। রোববার সকালে মিতু ক্লিনিকে কথা হয় এখানে চিকিৎসা নেয়া রোগী রিনা বেগম ও তার স্বামী মোহাম্মদ রফিক এর সাথে। তারা জানান, নগরীর বাবুরাইল বৌবাজার এলাকার আজিজ মিয়ার বাড়িতে তারা ভাড়া থাকেন। রিনা বেগম গর্ভবতী হওয়ার পর থেকে বাড়ির অদূরের সূর্যের হাসি ক্লিনিকে চিকিৎসা নিচ্ছিলো। এ ক্লিনিকের ডাক্তার তন্নি তার চিকিৎসা করছিলো। রোববার সকালে তার প্রসব বেদনা উঠলে তার স্বামী তাকে এখানে নিয়ে আসে। ক্লিনিকের ৩০২ নাম্বার কক্ষে ভর্তী করা হয়। ডাক্তার তন্নী ও ক্লিনিকের ম্যানেজার তাদেও সিজারিয়ান করতে চাপ দেয়। কিন্তু তারা রাজি হননি। এ কারনে তারা চিকিৎসা না করে দো’তলায় অফিস কক্ষে গিয়ে বসে থাকে। রিনা বেগমের স্বামী বারবার বলার পরেও ডাক্তার, নার্স শেফালিসহ কেউ সেখানে যাচ্ছিলেন না। এদিকে রিনা বেগমের স্বাভাবিক প্রসব হয়ে যায়। কিন্তু বাচচাকে দেখার জন্য সেখানে কেউ না থাকায় নবজাতক খাট থেকে পড়ে মারা যায়। এ প্রতিবেদক যখন তাদের সাথে কথা বলছিলেন তখন তাদের বারবার বাধা দিচ্ছিলেন স্থানীয় মাস্তান ও ক্লিনিকের ম্যানেজার। এ ব্যাপারে কথা বলতে তারা ক্লিনিকের মালিক ও ডাঃ তন্নির ফোন নাম্বার দেননি। ডাঃ মনিরুজ্জামান এ ক্লিনিকের মালিক বলে এলাকাবাসি জানান। ক্লিনিকের অন্যতম পরিচালক সিরাজুল ইসলামকে পরে ফোন করা হলে তিনি জানান, এটি তুচ্ছ বিষয়। তাদের সাথে আমাদের মিটমাট হয়ে গেছে। তাদের বলা হয়েছিলো সিজারিয়ান করতে। সিজার করলে এমন ঘটনা ঘটতো না। তিনি দাবী করেন, সিজার না করায় বাচ্চাটি পেটে মারা গেছে। নারায়ণগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসাদুজ্জামান জানান, ঘটনা শুনে ঘটনাস্থলে এস আই বাশারের নেতৃত্বে একদল পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। তারা প্রাথমিকভাবে ঘটনার সত্যতা পায়। কিন্তু যাদের বাচ্চা তারা এ ব্যাপারে কোন মামলা করতে রাজি হননি।