৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
২২শে নভেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
Home Blog Page 201

বাংলাদেশে ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে-শামীম ওসমান

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য শামীম ওসমান বলেছেন, দেশে ও নারায়ণগঞ্জে নানা ধরনের ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে। বিচার বিভাগ থেকেও ষড়যন্ত্র হচ্ছে। যারা খেলছেন খেলতে থাকেন। খেলা হবে এবং আমরা জিতব। কারণ আমরা খেলোয়াড়। সেই খেলা সুপ্রিম কোর্ট হোক, বিএনপি হোক, খালেদা জিয়া কিংবা তারেক হোক, জামায়াত হোক কোনো সমস্যা না।

জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শাহাদাতবার্ষিকী উপলক্ষে শনিবার বিকেলে নারায়ণগঞ্জ শহরের চাষাঢ়ায় শোকর‌্যালির আগে অনুষ্ঠিত সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন। পরে তার নেতৃত্বে কালো পতাকা সম্বলিত একটি বিশাল র‌্যালি শহরের বঙ্গবন্ধু সড়ক প্রদক্ষিণ করে।

শামীম ওসমান বলেন, শেখ হাসিনা শেখ হাসিনাই। বাংলাদেশ পাকিস্তান নয়। শেখ হাসিনা নওয়াজ শরিফও নয়। বাংলাদেশের মানুষ পাকিস্তানে বসবাস করে না। যদি কেউ মনে করে, পাকিস্তানের আদালত দিয়ে পাকিস্তানে যে অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে তা বাংলাদেশেও একই পরিস্থিতি সৃষ্টি করা হবে- তাহলে তারা বোকার রাজ্যে বাস করছেন।

তিনি বলেন, দেশে নানা ধরনের ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে। সব শকুন একদিকে হয়েছে মরণ আঘাত হানার জন্য। আমার নেত্রী শেখ হাসিনার ওপর আল্লাহর রহমত আছে বলে আমি বিশ্বাস করি।

শামীম ওসমান আরও বলেন, বাংলাদেশে ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে। ষড়যন্ত্র শুরু না হলে রূপগঞ্জে এতো অস্ত্র পাওয়া যায় না। এ অস্ত্র সরকারকে সাহায্য করার জন্য আনা হয়নি। সেখানে শতাধিক হেভি মেশিনগান পাওয়া গেছে। রকেট লাঞ্ছার পাওয়া গেছে। গ্রেনেড পাওয়া গেছে। এসএমজি পাওয়া গেছে, এলএমজি পাওয়া গেছে। নারায়ণগঞ্জের পুলিশই সেটা উদ্ধার করেছে।

রূপগঞ্জের অস্ত্রগুলো কার জন্য আনা হয়েছে- এমন প্রশ্ন করে শামীম ওসমান বলেন, এই স্থান দিয়ে দেশের প্লেন উড়ে। এখান দিয়েই আমার নেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিমানে উড়ে যান। এই জায়গা দিয়ে অনেক নিচু দিয়ে বিমান উড়ে যায়। ওদের টার্গেট একটাই। আর সেটা হচ্ছে আমার নেত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যা করা।

তিনি বলেন, সমরাস্ত্র শক্তি, সব ষড়যন্ত্রকারী এক হয়েছে। তাদের এখন একটাই উদ্দেশ্য তারা শেখ হাসিনাকে ধ্বংস করতে চায়।

সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন জাতীয় শ্রমিক লীগের সাবেক সভাপতি আব্দুল মতিন মাস্টার, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবু হাসনাত মো. শহীদ বাদল, ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির নেতা চন্দন শীল, মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার সামিউল্লাহ মিলন, মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক আহসান হাবিব, সাংগঠনিক সম্পাদক জাকিরুল আলম হেলাল, বন্দর থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি এম এ রশিদ, মহিলা লীগের সভাপতি ইসরাত জাহান খাঁন স্মৃতি, মহানগর যুবলীগের সভাপতি শাহাদাত হোসেন সাজনু, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি এহসানুল হাসান নিপু প্রমুখ।

৫৭ ধারা বাতিলের দাবিতে সিদ্ধিরগঞ্জে সাংবাদিকদের মানববন্ধন

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ  বাকধীনতা ও মুক্ত চিন্তা চর্চার প্রতিবন্ধক তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনের বিতর্কিত ৫৭ ধারা বাতিলে সিদ্ধিরগঞ্জে রিপোর্টার্স ইউনিটির উদ্দোগে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার সকালে শিমরাইল ডাচ বাংলা পয়েন্টে এ কর্মসূচী পালন করা হয়। সংগঠনের সভাপতি নজরুল ইসলাম বাবুলের সভাপতিত্বে মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, নারায়ণগঞ্জ প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক শরীফ উদ্দিন সবুজ, অধিকারের নারায়ণগঞ্জের সমš^য়ক ও দৈনিক মানবজমিন পত্রিকার স্টাফ রিপোর্টার বিল্লাল হোসেন রবিন, দৈনিক জনকন্ঠের স্টাফ রিপোর্টার মোঃ খলিলুর রহমান, কবি লুতফর রহমান, আড়াইহাজার থানা প্রেস ক্লাবের সাধারন সম্পাদক মজিবুর রহমান, সোনারগাাঁ উপজেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি আসাদুজ্জামান নুর, সিদ্ধিরগঞ্জ রিপোর্টার্স ইউনিটির সাধারন সম্পাদক তরিকুল ইসলাম নয়ন ও নিউজ টুয়েন্টিফোরের রুপগঞ্জ প্রতিনিধি জাহাঙ্গীর আলম হানিফ।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন আইসিটি আইনের ৫৭ ধারা গণমাধ্যমের কন্ঠ রোধ ও ¯^াধীন মত প্রকাশের অনন্তরায়। এই আইন সংবিধানের ৩৯ অনুচ্ছেদের সঙ্গে সংঘর্ষিক। গনতান্ত্রিক রাষ্ট্রে এ ধরনের কালো আইন সুখকর হতে পারে না। বক্তরা মনে করেন, গনমাধ্যমকর্মীদের বস্তু নিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশ থেকে দুরে রাখতেই এই ৫৭ ধারা যথেচ্ছাভাবে ব্যবহার করে গণমাধ্যমকর্মীদের হয়রানী করা হচ্ছে। ইতমধ্যে অনেকে  মামলার শিকার হয়ে কারাভোগ করেছেন। ভবিষ্যতে এই আইন গনমাধ্যমকর্মীদের বিরুদ্ধে  আরো বেশী অপপ্রয়োগ হবে আশংকা করা হয়। তাই অবিলম্বে ৫৭ ধারা বাতিলের দাবি জানাচ্ছি।  অন্যথায় সাংবাদিক সমাজ এই আইন বাতিলের দাবিতে দুর্বার আন্দোলন গড়ে তুলবে। এক পর্যায়ে বক্তারা তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনুর পদত্যাগ ও মন্ত্রী পরিষদ থেকে তাকে বহিস্কারের দাবি জানান।
এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন, জিটিভির জেলা প্রতিনিধি আশিকুর রহমান হান্নান, আরটিভির নারায়ণগঞ্জ উত্তর প্রতিনিধি শাহাদাত হোসেন ¯^পন, ভোরের ডাকের জেলা প্রতিনিধি মোস্তাক আহামেদ শাওন, যুগান্তরের রুপগঞ্জ প্রতিনিধি এ হাই মিলন, বাংলাদেশ প্রতিদিনের সিদ্ধিরগঞ্জ প্রতিনিধি এম,এ শাহীন, সমকাল প্রতিনিধি শাজাহান জনি, মাইটিভির হাসান মজুমদার বাবলু, কালের কন্ঠের রূপগঞ্জ প্রািতনিধি এস এম সাহাদাত হোসেন, নয়া দিগন্তের সিদ্ধিরগঞ্জ প্রতিনিধি মো: এমরান হোসেনসহ টেলিভিশন, প্রিন্ট ও অনলাইনের অর্ধশতাধিক সাংবাদিক মানববন্ধনে অংশ

সালমান শাহকে খুন করা হয়েছে

ডেস্ক নিউজঃ ঢাকাই চলচ্চিত্রের রাজকুমার সালমান শাহ। মৃত্যুর দুই দশক পেরিয়েও এতটুকু কমেনি তার জনপ্রিয়তা। এখনও তিনি নায়কদের প্রিয় নায়ক, দর্শকদের বিরাট এক আক্ষেপের নাম। বাংলা চলচ্চিত্রের সর্বকালের ব্যবসাসফল সেরা ১০ চলচ্চিত্রের দুই, তিন ও চার নম্বরে আছে সালমান শাহ অভিনীত সিনেমা।

ক্যারিয়ারের তুঙ্গে থাকা অবস্থায় ১৯৯৬ সালের ৬ সেপ্টেম্বর তার রহস্যজনক মৃত্যু হয়। মৃত অবস্থায় তার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। ধারণা করা হয় তিনি আত্মহত্যা করেছেন। কিন্তু সালমান শাহের পরিবারের দাবি, তাদের সন্তানকে খুন করা হয়েছে।

এই মৃত্যুকে কেন্দ্র করে মামলাও হয়েছে। সালমান ভক্তরাও তাদের প্রিয় নায়ককে খুন করা হয়েছে দাবি করে আন্দোলন করে খুনিদের শনাক্ত করে তাদের শাস্তি দেয়ার দাবি জানিয়ে আসছেন। কিন্তু কোনো কিনারা পাওয়া যায়নি আজ অবধি। এরই মাঝে বোমা ফাটালেন রাবেয়া সুলতানা রুবি নামের এক আমেরিকা প্রবাসী বাংলাদেশি।

অনলাইনে একটি ভিডিও বার্তা ছেড়ে তিনি দাবি করেছেন, সালমান শাহকে খুন করা হয়েছে। সেই খুনের সঙ্গে জড়িত ছিলেন তারই স্বামী। চীনাদের দিয়ে এই খুন করানো হয়। এতে জড়িত ছিল সালমান শাহের স্ত্রী সামিরার পরিবারও।

এ তথ্যসম্বলিত ভিডিওটি এরই মধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হয়ে গেছে। ভিডিওতে রাবেয়া সুলতানা রুবি সালমান শাহের মা নীলা চৌধুরীকে উদ্দেশ্য করে কাতর কণ্ঠে বলেন, ‘এই খুনের বিষয়ে আমি সব জানি। যেভাবেই হোক আবার যেন মামলা তদন্তের ব্যবস্থা করা হয়। আমি যেমন করেই হোক আদালতে সাক্ষী দেব।’

রুবি তার ভিডিওতে সালমানের মাকে উদ্দেশ্য করে বারবার বলেছেন, ‘সালমান শাহ আত্মহত্যা করে নাই, তাকে খুন করা হইছে। প্লিজ কিছু একটা করেন, কিছু একটা করেন।’

রুবি বলেন, ‘সালমান শাহ আত্মহত্যা করে নাই, সালমান শাহ খুন হইছে। আমার হাসব্যান্ড এইটা করাইছে আমার ভাইরে দিয়ে। আমার হাজব্যান্ড করাইছে, এইটা সামিরার ফ্যামিলি করাইছে আমার হাজব্যান্ডরে দিয়ে, সবাইরে দিয়ে, সব চাইনিজ মানুষ ছিল। সালমান শাহ আত্মহত্যা করে নাই, শালমান শাহ খুন হইছে।’

নিজের নাম প্রকাশ করে ভিডিওতে তিনি বলেন, ‘আমি রুবি, এখানে ভেগে আসছি, আমি ভেগে আসছি, এই কেস যেন না শেষ হয়। আমি যেভাবে পারি, ঠিকমত যেন আমি সাক্ষী দিতে পারি। আপনারা আমার জন্য দোয়া করেন।’

তাকেও খুন করার চেষ্টা করা হচ্ছে জানিয়ে রুবি বলেন, ‘আমারেও খুন করার চেষ্টা করা হচ্ছে, দয়া করে আমার জন্য দোয়া করেন। আমি ভালো নাই, আমি কী করব জানি না, এতটুক জানি যে সালমান শাহ ইমন আত্মহত্যা করে নাই। ইমনরে সামিরা, আমার হাজব্যান্ড ও সামিরার সমস্ত ফ্যামিলির সবাই মিলে খুন করছে। প্লিজ দয়া করে কিছু করেন।’

তিনি আরও বলেন, ‘এরা কী মানুষ, পুরা চাইনিজ কমিউনিটি আপনারা জানেন না। আমি পুরা ভেগে আসছি এখানে, কোনো রকমে। দয়া করে একটুখানি কারোরে জানান। কারোরে জানান যে, এটা আত্মহত্যা না, এটা খুন। খুন হইছে। আমার ছোট ভাই রুমিরে দিয়া খুন করানো হইছে। রুমিরেও খুন করা হইছে। আমি জানি না রুমির কবর কোথায় আছে। রুমির লাশ যদি কবর থেকে তুলে ঠিকমত আবার পোস্টমর্টেম করে, তাহলে দেখা যাবে যে ওরা গলা টিপে মাইরা ফেলছে।

রুবি আরও কয়েকজন এই খুনের সঙ্গে জড়িত আছেন দাবি করে বলেন, ‘এর মধ্যে আমার খালু মুন্তাজ হাসান আছে, আমার খালাত ভাই জুম্মান থাকতে পারে, আমার হাজব্যান্ড চ্যাং লিং চ্যাং, জন চ্যাং নামে বাংলাদেশে পরিচিত ছিল। সাংহাই চাইনিজ রেস্টুরেন্টের মালিক ছিল ধানমন্ডি ২৭ নম্বর রোডে। দয়া করে কাউরে জানান।’

‘আমি ভেগে আসছি আমার জানের ওপর মায়ার জন্য। আমি লাস্ট মানুষ যে কি না জানে যে, এটা খুন। আমি এটা প্রমাণ করতে পারব ইনশাআল্লাহ।’

‘দয়া করে একটু সাহায্য করেন, একটু সাহায্য করেন। সাংঘাতিক অবস্থা, এরা আমারে বাসার মধ্যে খুন করার প্ল্যান করছিল। আশেপাশে সমস্ত, সুযোগ পায় নাই। আমার জামাইরে আমি জিজ্ঞাস করেছিলাম যে, তুমি আমারে খুন করতে চাও, তাই না? ও বলেছে যে, খুন করলে তো তোরে আমি কবেই খুন করে ফেলতাম।’

‘এইটা তো আমি জানি। এখন আবার খুন করতে চায়, কারণ এখন আবার কেইস ওপেন হইছে। প্লিজ দয়া করে কিছু করেন, দয়া করে জানান।’

সালমান শাহের মা নীলা চৌধুরীকে উদ্দেশ্য করে ভিডিওতে বলা হয়, ‘ভাবি, আপনার ছেলেরে খুন করা হইছে। আমার যা করার আমি করব, আমি ভেগে আছি ভাবি, নাইলে আমারেও মেরে ফেলত এরা সবাই মিলে। লুসি, আমার হাজব্যান্ড জন, সবাই মিলে আমার বাচ্চাটা, আমার বাচ্চা রিকি আর আমার জানের ওপর অনেক জিনিস আছে ভাবি। দয়া করে কিছু করেন ভাবি, কিছু করেন, কিছু করেন। যেখানেই যান ইনভেস্টিগেশন করেন। এটা খুন ছিল, ইমন আত্মহত্যা করে নাই। সালমান শাহ আত্মহত্যা করে নাই, সালমান শাহ আত্মহত্যা করে নাই ভাবি, সালমান শাহ আত্মহত্যা করে নাই। আপনার ছেলে আত্মহত্যা করে নাই, আপনার ছেলেরে খুন করানো হইছে। আমার বাপরেও মনে হয় মাইরা ফেলছে ভাবি, আমি জানি না, আমার ভাইটারেও মাইরা ফেলছে মনে হয়।

‘দয়া করেন, আল্লাহ, আপনি দয়া করেন, কিছু করেন। আসসালামো আলাইকুম আবার। আল্লাহ হাফেজ, বেঁচে থাকলে ইনশাআল্লাহ দেখা হবে’-বলে শেষ করেন রুবি।

প্রসঙ্গত, ১৯৯২ সালে ‘কেয়ামত থেকে কেয়ামত’ ছবি দিয়ে সালমান শাহের রূপালি পর্দায় যাত্রা শুরু। চার বছরের ক্যারিয়ারে তিনি মোট ২৭টি চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন। এর প্রতিটিই দর্শকপ্রিয়তা পায়।

সালমান শাহ মৃত্যুর পেছনে তার মা নীলা চৌধুরী শুরু থেকেই সালমান শাহের স্ত্রী সামিরাকে দায়ী করে আসছিলেন। তিন ১১ জনের বিরুদ্ধে মামলাও করেছিলেন। এতে সামিরা ছাড়াও আসামি ছিলেন চলচ্চিত্র প্রযোজক আজিজ মোহাম্মদ ভাই। সেখানে একজন ছিলেন এই ভিডিও বার্তা প্রচারকারী রাবেয়া সুলতানা রুবির নামও রয়েছে। তিনি এই মামলার ৭ নম্বর আসামি।

সালমান শাহের মৃত্যুর পর তার স্ত্রী সামিরা পরে মুস্তাক ওয়াইজ নামে এক ব্যবসায়ীকে বিয়ে করে সংসার করছেন থাইল্যান্ডে। তাদের সংসারে তিন সন্তানও রয়েছে। আর রুবি তার স্বামীর সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের পেনসিলভানিয়ায় অবস্থান করছিলেন।

বাংলা চলচ্চিত্রে তোলপাড় ফেলা নায়ক সালমান শাহ ১৯৯৬ সালের ৬ সেপ্টেম্বর মারা যান। তিনি আত্মহত্যা করেছেন বলে পুলিশকে জানান তার স্ত্রী সামিরা। কিন্তু সালমান শাহের পরিবার একে হত্যা বলে আসছিল।

তবে গত দুই দশকেও এই মামলার রহস্য উদঘাটন হয়নি। পুলিশ দুই দফা ময়নাতদন্ত করে একে আত্মহত্যাই বলেছিল। কিন্তু নারাজি আবেদন করেছে সালমান শাহের পরিবার। মামলাটির বিচার বিভাগীয় তদন্তও হয়েছিল। এখন মামলাটি পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন-পিবিআইয়ে রয়েছে।

সম্প্রতি মামলাটি আবার পুনরুজ্জীবিত করা হয়েছে। এবং এই মুহূর্তে রাবেয়া সুলতানা রুবি নামের ওই নারীর দুই মিনিট ৫৯ সেকেন্ডের ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে, যা এই খুন ও মামলাকে নতুন করে আলোচনায় নিয়ে এলো।

তবে এই ভিডিওটির বিষয়ে সালমান শাহের মায়ের মতামত জানতে যোগাযোগ করতে গিয়ে জানা গেল, নীলা চৌধুরী বর্তমানে লন্ডনে রয়েছে। সেখানে তার ছোট ছেলে সাহরাতের বাসায় আছেন তিনি। তবে এই ভিডিও প্রকাশের পর সালমানের আত্মীয়রা নীলা চৌধুরীর সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করছেন।

ভিডিও বার্তাকারী রুবিকে রাজসাক্ষী করে আবারও সালমান খুনের মামলার তদন্ত পুনরায় খতিয়ে দেখার পরামর্শ দিচ্ছেন।

সালমান শাহ হত্যা মামলার তদন্ত প্রসঙ্গে পিবিআই’র স্পেশাল পুলিশ সুপার আবুল কালাম আজাদ বলেন, রুবি ছিলেন সালমান শাহ’র বিউটিশিয়ান। রুবির সঙ্গে আমরাও যোগাযোগের চেষ্টা করছি। কিন্তু তিনি দেশে নেই। এ কারণে তার বক্তব্য নেয়া সম্ভব হচ্ছে না। তবে তিনি যে বিষয়টি উপস্থাপন করেছেন তা বিবেচনায় নিয়ে তদন্ত করে দেখা হবে। সূত্র-জাগো নিউজ

আলোচিত ৫ খুন মামলায় মাহফুজের ফাঁসি

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ নারায়ণগঞ্জে আলোচিত ৫ খুন মামলার একমাত্র আসামি ভাগ্নে মাহফুজকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে তাকে ৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এছাড়া ভাগ্নে মাহফুজকে পাঁচবার ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের আদেশ দেয়া হয়েছে তবে একবার ফাঁসি দিলেই এ আদেশ কার্যকর হয়ে যাবে।

সোমবার বেলা সাড়ে ১১টায় নারায়ণগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ বেগম হোসনে আরা আক্তারের আদালত এ আদেশ দেন।
নারায়ণগঞ্জ জজ কোর্টের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) ওয়াজেদ আলী খোকন জানান, আলোচিত পাঁচ খুনের মামলায় ২৩ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ সম্পন্ন করার বিজ্ঞ আদালত রায় ঘোষণার তারিখ নির্ধারণ করেন। বিচারক সকল কিছু পর্যোলচনা করে মামলার একমাত্র আসামি মাহফুজের ফাঁসির আদেশ দিয়েছেন।

তিনি বলেন, রায়ে প্রথমে তাসলিমাকে হত্যার দায়ে মাহফুজের ফাঁসি দেয়া হয়। বাকি চারজনকে হত্যায়ও তাকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের আদেশ দেয়া হয়েছে। উচ্চ আদালতের অনুমতিক্রমে অাসামিকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যু না হওয়া পর্যন্ত ঝুলিয়ে রাখার আদেশ দেয়া হয়।

এ রায়ে বাদী ও রাষ্ট্রপক্ষ সন্তুষ্ট, যত দ্রুত সম্ভব রায় কার্যকর করতে জোর দাবি জানানো হচ্ছে। তবে আসামি পক্ষের আপিল করার সুযোগ রয়েছে বলেও জানান তিনি।

নিহত তাসলিমার স্বামী মামলার বাদী শফিকুল ইসলাম জানান, মাহফুজ যেভাবে ৫ জনকে হত্যা করেছে তার জন্য আদালতের রায়ে আমরা সন্তুষ্ট। তবে আদালতের এ রায় দ্রুত কার্যকর করার পরই পুরোপুরি খুশি হতে পারব।

এদিকে আসামিপক্ষের আইনজীবী রোকনউজ্জামান জানান, আসামির কোনো লোক না থাকায় ন্যায় বিচারের জন্য মাহফুজের পক্ষে আদালতে হাজির হয়েছি। এ রায়ে আসামি ন্যায় বিচার পায়নি। আসামিপক্ষের হয়ে উচ্চ আদালতে আপিল করা হবে এবং আমি বিশ্বাস করি মাহফুজ খালাস পাবে।

উল্লেখ্য, ২০১৬ সালের ১৬ জানুয়ারি রাতে নারায়ণগঞ্জ শহরের বাবুরাইল এলাকা থেকে তাসলিমা (৩৫), তার ছেলে শান্ত (১০), মেয়ে সুমাইয়া (৫), তাসলিমার ছোট ভাই মোরশেদুল (২২) ও তার জা লামিয়ার (২৫) মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। ঘটনার পরদিন ১৭ জানুয়ারি সকালে নিহত তাসলিমার স্বামী শফিকুল ইসলাম বাদী হয়ে তার ভাগ্নে মাহফুজ, ঢাকার কলাবাগানের নাজমা ও শাহজাহানের নাম উল্লেখ করে সন্দেহভাজন আসামি হিসেবে নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানায় হত্যা মামলা করেন।

ওইদিন রাতেই মামলাটি জেলা গোয়েন্দা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়। পরদিন গ্রেফতার করা হয় মাহফুজ ও নাজমাকে। পরে ২১ জানুয়ারি আদালতে মাহফুজের দেয়া ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তি ছিল অনেকটাই গা শিউরে ওঠার মত। মামির সঙ্গে পরকীয়ার জেরে তার সঙ্গে আরও গভীর সম্পর্কে যেতে ব্যর্তোর ক্ষোভ থেকেই একে একে পাঁচজনকে হত্যা করার কথা স্বীকার করে ভাগ্নে মাহফুজ।

সিদ্ধিরগঞ্জে গুলি করে আড়াই লাখ টাকা ছিনতাই

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ সিদ্ধিরগঞ্জের মিজমিজি কান্দাপাড়া এলাকা থেকে হাফিজুল ইসলাম (৩৯) নামে এক বিকাশ ব্যবসায়ীকে গুলি করে প্রায় আড়াই লাখ টাকা ছিনিয়ে নিয়েছে অজ্ঞাত দূর্বৃত্তরা। রোববার রাত ১১টার দিকে সিদ্ধিরগঞ্জের মিজমিজি কান্দাপাড়া বোতল কারখানা সড়কের মোড় এলাকায় এ ঘটনাটি ঘটে। গুলিবিদ্ধ ঐ ব্যবসায়ীকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আশংকাজনক অবস্থায় ভর্তি করা হয়েছে। দূর্বৃত্তরা ব্যবসায়ী হাফিজুল ইসলামের পায়ে ও কোমরে অস্ত্র ঠেকিয়ে গুলি করে বলে জানিয়েছেন তারা।
গুলিবিদ্ধ ব্যবসায়ী হাফিজুল কান্দাপাড়া এলাকার শাহজাহানের বাড়ির ভাড়াটিয়া। তার পিতার নাম মোঃ আব্বাস আলী। তিনি দীর্ঘদিন যাবত ওই এলাকার আফসার উদ্দিনের টিনসেট মার্কেটে রিয়া মেডিকেল নামে একটি ঔষধের দোকান দিয়ে ব্যবসা করছেন। সেই সাথে একই দোকানে বিকাশ ব্যবসাও করতেন। প্রতিদিনের ন্যায় রোববার দোকান বন্ধ করে রাত ১১টার দিকে বাসায় ফিরছিলেন।
এ সময় মিজমিজি কান্দাপাড়া বোতল কারখানা সড়কের মোড়ে পৌঁছলে একটি এ্যাপাচি মটরসাইকেল নিয়ে পূর্ব থেকেই অবস্থানরত অজ্ঞাত ৩ জন দূর্বৃত্ত তার গতিরোধ করে টাকার ব্যাগটি ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করলে তিনি বাধা দেন। এক পর্যায়ে দূর্বৃত্তরা তার কোমরে ও পায়ে অস্ত্র ঠেকিয়ে গুলি করে টাকার ব্যাগটি ছিনিয়ে নিয়ে মোটরসাইকেল দিয়ে পালিয়ে যায়।
সিদ্ধিরগঞ্জ থানা পুলিশের পরিদর্শক (অপারেশন) মোঃ নাসির উদ্দিন সরকার জানান, ঘটনাস্থসহ আশেপাশের এলাকার বিভিন্ন সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে দূর্বৃত্তদের সনাক্ত করার চেষ্টা করা হচ্ছে। ছিনতাই হওয়ায় টাকা ও ছিনতাইকারীদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।#

মেয়র আইভীর রাগও কোরবানী হয়ে যাবে- সেলিম ওসমান

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ নারায়ণগঞ্জ-৫ (শহর ও বন্দর) আসনের সংসদ সদস্য ও বিকেএমইএ’র সভাপতি সেলিম ওসমান বলেছেন, আমাদের একটাই উদ্দেশ্য নারায়ণগঞ্জবাসী যাতে শান্তিতে বসবাস করতে পারে শান্তিতে চলাফেরা করতে পারে। আজকে মেয়র আইভী আসলে ভাল হতো। হয়তো তিনি আমাদের উপরে রাগ করে আছেন। আমি আশা করবো কোরবানী ঈদের সঙ্গে সঙ্গে মেয়র আইভীর রাগও কোরবানী হয়ে যাবে। এরপর আমাদের মধ্যে আর কোন বিভেদ থাকবেনা। আমি সিটি করপোরেশনের গোলামী করতে এসেছি। কিন্তু জনগণকে কষ্ট দিয়ে ব্যবসা করা যাবেনা। নিতাইগঞ্জের ট্রাকস্ট্যান্ডটি অপসারণ করায় ৭০ হাজার মানুষ আমাকে সাধুবাদ জানিয়েছেন। নারায়ণগঞ্জের ৫জন সংসদ সদস্য সিটি করপোরেশনের মেয়র, ডিসি এবং এসপিকে নিয়ে যে দিন এক টেবিলে বসতে পারবো আমি মনে করবো সেদিনই আমার কাজ শেষ। যেদিন সবাইকে নিয়ে এক টেবিলে বসতে পারবো সেদিন থেকে নারায়ণগঞ্জে বিরাজ করবে শান্তি আর উন্নয়ন হবে আরো অনেক বেশি গতিশীল। আশা করছি সেই দিন আর খুব বেশি দূরে নয়। বর্তমান পরিস্থিতিতে নারায়ণগঞ্জের পরিবর্তন আনতে সকলে যেভাবে সহযোগীতা করছেন এভাবে সহযোগীতা করলে খুব দ্রæতই আমরা প্রাচ্যেরডান্ডির ঐতিহ্য ফিরিয়ে এনে একটি শান্তির নগরী প্রতিষ্ঠা করতে পারবো।
রোববার দুপুরে নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে শহরে সৃষ্ট যানজট এবং ট্রাকে মালামাল লোড-আনলোড করার ব্যাপারে নিতাইগঞ্জের বিভিন্ন ব্যবসায়ী সংগঠন, বাংলাদেশ ইয়ার্ন মার্চেন্ট অ্যাসোসিয়েশন ও বাংলাদেশ ফার্টিলেজার অ্যাসোসিয়েশনের সাথে জেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসনের যৌথ মত বিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠান শেষে ৪০ জন আনসারের ২ মাস ডিউটি ও উৎসব ভাতা বাবদ আনসার কমান্ডারের হাতে মোট ১৫ লাখ ৯৮ হাজার ২০০ টাকা তুলে দেন সেলিম ওসমান।
সেলিম ওসমান আরো বলেন, চাষাঢ়া থেকে পাগলা পর্যন্ত এবং চাষাঢ়া থেকে সাইনবোর্ড পর্যন্ত সড়কের দুই পাশে ট্রাক পার্কিং করে রাখা যাবেনা। খানপুর মেট্রো হল মোড়েও ট্রাক পার্কিং করে রাখা যাবেনা। দিনের বেলায় দূরবর্তী কোন স্থান থেকে ট্রাক আসলে সেটাকে পঞ্চবটি ট্রাক টার্মিনালে রাখতে হবে। নিতাইগঞ্জের ব্যবসায়ীদের জন্য ৩০টি, ইয়ার্ন মার্চেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের জন্য ৩০টি এবং ফার্টিলেজার অ্যাসোসিয়েশনের ২০টি সহ মোট ৮০টি ট্রাক দিনের বেলায় শহরে প্রবেশ করে মালামাল লোড-আনলোড করতে পারবে। তবে কোন অবস্থায় কেউ রাস্তায় ট্রাক রেখে সাধারণ মানুষের চলাচলে বিঘœ ঘটাতে পারবে না। আইন ভঙ্গকারী ব্যক্তিকে ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে তাৎক্ষনিক জেল দেওয়ার শাস্তির বিধান রাখা হয়েছে এবং উক্ত বিধানে সকল ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দ সম্মতি প্রকাশ করেছেন। ৮০টি ট্রাকের মধ্যে প্রতিটি ট্রাক আগের নিয়মেই ৩ ঘন্টা অবস্থান করতে পারবে। এর বাইরে অন্যান্য জেলা থেকে নারায়ণগঞ্জে আসা অতিরিক্ত ট্রাক গুলো পঞ্চবটিতে সিটি করপোরেশনের ট্রাক স্ট্যান্ডে অবস্থান করবে। প্রতিটি ট্রাক নিউ মেট্রো হলের মোড় হয়ে শহরে প্রবেশ করবে। প্রবেশকালে মেট্রো হল মোড় একটি টোকেন দেওয়া হবে এবং মন্ডলপাড়া বিজ্রের সামনে থেকে আরো একটি টোকেন দেওয়া হবে। মন্ডলপাড়া থেকে টোকে দেয়ার পর নির্ধারিত ৩ ঘন্টা সময় হিসেব করা হবে। ট্রাক প্রবেশের এই নিয়মকে ডিজিটাল পদ্ধতিতে রূপান্তরিত করা হবে। এছাড়াও রাতের বেলা রাত ৯টা থেকে সকাল ৬টা পর্যন্ত পন্য লোড আনলোড করা যাবে। যত দিন পর্যন্ত নিতাইগঞ্জ এলাকায় রেলওয়ের জমিটিতে একটি স্ট্যান্ড তৈরি করা সম্ভব না ততদিন শৃঙ্খলা বজায় রাখতে এই পদ্ধতি গ্রহণ করা হয়েছে। রাতের বেলায় শহীদ বাপ্পী স্মরনীতে চালের গোডাউনের সামনে লোড আনলোড করতে পারবে। তবে জনচলাচলে বিঘœ সৃষ্টি করা যাবেনা।
সেলিম ওসমান বলেন, চাষাঢ়া মোড়ে শীতল এসি বাস পরিবহনের ৭/৮টি গাড়ি সবসময় থামিয়ে রাখা হয়। ওই বাস কাউন্টারের স্থানে যাতে করে বিত্তবানদের সুবিধা দিতে গিয়ে একটির অধিক বাস রেখে সাধারণ মানুষের দুর্ভোগ সৃষ্টি না করা হয় সেই বিষয়টির প্রতি নজর দিতে জেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসনের প্রতি অনুরোধ করেন তিনি। এছাড়া রাইফেল ক্লাবের মোড়ে, চাষাঢ়া মোড়ে খাজা সুপার মার্কেট ও সুগন্ধার সামনেও গড়ে উঠেছে টেম্পুস্যান্ড। এছাড়া যত্রতত্র স্ট্যান্ডও যানজটের অন্যতম কারণ। তিনি এ বিষয়ে জেলা প্রশাসককে ব্যবস্থা নেয়ার আহবান জানান। এছাড়া নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন থেকে কত গুলো রিকশার লাইসেন্স দেয়া হয়েছে এবং শহরে কত গুলো রিকশা চলাচল করছে এ বিষয়ে জেনে সেগুলোতে ডিজিটাল নম্বর প্লেট লাগানোর উদ্যোগ নিতেও আহবান জানান।
নারায়ণগঞ্জ বাসস্ট্যান্ড প্রসঙ্গে সেলিম ওসমান বলেন, নারায়ণগঞ্জ বাসস্ট্যান্ডটি এককভাবে নিয়ন্ত্রন করেন শহীদুল্লাহ। শহরবাসী এখন দাবী তুলছেন বাসস্ট্যান্ডটিকে শহরের বাইরে নিয়ে যেতে। স্থানীয় পত্রিকা গুলোতেও এমন সংবাদ ছাপানো হচ্ছে। কিন্তু পরে বাসস্ট্যান্ড সরানোর পর দেখা যাবে ওই একই পত্রিকায় আবার নিউজ হবে বন্দরের মানুষ নদী পাড় হয়ে বাস স্ট্যান্ডে যেতে বাস ভাড়ার অধিক টাকা রিকশা ভাড়া গুনতে হচ্ছে। করলেও দোষ আবার না করলেও দোষ। কথায় আছে যত দোষ নন্দ ঘোষ। তারপর সংসদ সদস্য এবং সিটি করপোরেশনের মেয়র আমরা সবাই জনপ্রতিনিধি। আমরা জনগনের গোলামি করতে এসেছি। জনগনকে স্বস্তি দেওয়া আমাদের নৈতিক দায়িত্ব। আমি জেলা প্রশাসকের প্রতি অনুরোধ রাখবো পরিবহণ মালিক ও শ্রমিক নেতৃবৃন্দদের সাথে আলোচনায় ব্যবস্থা করে তাদেও সাথে কথা বলেন। শহরের বাইরে বাস স্ট্যান্ড নির্মাণের জায়গা না পাওয়া পর্যন্ত তাদেরকে একটি শৃঙ্খলার মধ্যে রাখার জন্য করনীয় সম্পর্কে আলোচনা করুন তারপর আমি বিদেশ থেকে ফিরে এসে সর্ব সম্মতিক্রমে একটি চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবো। নারায়ণগঞ্জে ৪০০ বছর নোংরামি চলেছিল যেটা টানবাজার পতিতালয় হিসেবে পরিচিত ছিল। শুধু টানবাজারেই নয় কালিরবাজার নিমতলীতেও ছিল। কিন্তু নারায়ণগঞ্জবাসী দেখিয়েছে তারা ইচ্ছে করলেই অনেক কিছু পারে।
সভাপতির জেলা প্রশাসক রাব্বি মিয়া বলেন, যত্রতত্র স্ট্যান্ডের বিষয়ে আমরা শীঘ্রই অভিযান পরিচালনা করবো। নিতাইগঞ্জ ট্রাকস্ট্যান্ডেও আমাদের ৭ জন নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট কাজ করেছে। তবে আইন ভঙ্গকারীদের আমরা জরিমানা নয় জেল দিব। আমাদের মধ্যে পারস্পরিক সম্মানবোধ জাগ্রত করতে হবে। সব কাজ সিটি করপোরেশনের করতে হবে এমনটি ভাবলে চলবে না। আমরা যারা শহরে বাস করি তাদেরও দায়িত্ববোধ রয়েছে। আমাদের ছোট ছোট উদ্যোগ নারায়ণগঞ্জকে একটা পর্যায়ে নিয়ে যাবে।
পুলিশ সুপার মঈনুল হক বলেন, নিতাইগঞ্জ ট্রাক স্ট্যান্ড নিয়ে কোন ধরনের অনিয়ম যাতে সৃষ্টি না হয় সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। বাসস্ট্যান্ড ও যত্রতত্র স্ট্যান্ডের বিষয়ে ঐক্যমতের ভিত্তিতে পদক্ষেপ নিলে এ সকল বিষয় সমাধান করা সম্ভব বলে তিনি মনে করেন।
জেলা প্রশাসক রাব্বি মিঞার সভাপতিত্বে উক্ত আলোচনা সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন, জেলা পুলিশ সুপার মঈনুল হক, এডিএম হামিদুল হক, আনসার জেলা কমান্ডার লুৎফর রহমান, সহকারী পুলিশ সুপার (ট্রাফিক) আব্দুর রশিদ, সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শাহীন পারভেজ, বাংলাদেশ ইয়ার্ন মার্চেন্ট এসোসিয়েশনের সভাপতি এম সোলায়মান, মহানগর শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক কামরুল হাসান মুন্না, সিটি করপোরেশনের ১৪নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর শফিউদ্দিন প্রধান, নারায়ণগঞ্জ ট্রাক মালিক সমিতির সভাপতি মতিউল্লাহ মিন্টু, সাবেক সভাপতি হারুনুর রশিদ বাবুল, আটা ময়দা মিল মালিক সমিতির সভাপতি জসিম উদ্দিন, অটো ফ্লাওয়াল মিলস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি শেখ ওয়াজেদ আলী বাবুল, তেল চিনি ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি শংকর সাহা, ট্রাক শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি মাসুদুর রহমান মানিক সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

চাষাঢ়া মুক্তিযোদ্ধা সড়কের সংস্কার শুরু

ডেস্ক নিউজঃ অবশেষে আড়াইকোটি টাকা ব্যয়ে চাষাড়া বালুর মাঠ সংলগ্ন ভাষা সৈনিক সড়কের সংস্কার কাজের উদ্বোধন করেছেন নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের মেয়র ডা. সেলিনা হায়াত আইভি। রবিবার দুপুরে এই রাস্তার উন্নয়ন কাজের উদ্বোধন করেন তিনি।

আইভী বলেন, নগরের উন্নয়নের জন্য রাজউক সহ অন্যান্য সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের একটি সমন্বিত কর্মসূচি প্রয়োজন। সিটি করপোরেশনের পক্ষে এককভাবে নগরের উন্নয়ন সম্ভব নয়। এজন্য সিটি করপোরেশন বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের সাথে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে।

মেয়র আইভী মন্ত্রীসহ জনপ্রতিনিধিদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, ২৯ লাখ মানুষের বসবাসকারী এ নগরকে নাগরিকদের বসবাসযোগ্য করে তোলার জন্য সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। তিনি শহরে রাজউকের অধিগ্রহণকৃত অব্যবহৃত সম্পত্তি এবং সিটি করপোরেশনের নির্মিত ৫টি মার্কেট সিটি করপোরেশনের কাছে হস্তান্তরের আহ্বান জানান।

মেয়র আইভী জানান, জাইকার অর্থায়নে ৫৫০ মিটার দৈর্ঘ্যরে এই সড়কটির উন্নয়নের কাজ আগামী দেড় মাসের মধ্যে সমাপ্ত হবে। সড়কটির দুইপাশে আরসিসি ড্রেন ও জনচলাচলের জন্য ফুটপাত নির্মাণ করা হবে।

এসময় স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর মাকসুদুল আলম খন্দকার খোরশেদ, সংরক্ষিত নারী আসনের কাউন্সিলর শারমীন হাবীব বিন্নিসহ এলাকায় বসবাসকারী বিভিন্ন ব্যবসায়ী নের্তৃবৃন্দসহ সাধারণ নাগরিকরা উপস্থিত ছিলেন।

বিশ্বজিৎ হত্যা : ২ জনের ফাঁসি, চারজনের যাবজ্জীবন

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ রাজধানীর পুরান ঢাকার দর্জি দোকানি বিশ্বজিৎ দাস হত্যা মামলায় দু’জনের মৃত্যুদণ্ড বহাল রেখে রায় ঘোষণা করেছেন হাইকোর্ট। মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিদের ডেথ রেফারেন্স ও আপিলের শুনানি শেষে রোববার বিকেলে ঘোষিত রায়ে নিম্ন আদালতের দেয়া মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আটজনের মধ্যে দু’জনের দণ্ড বহাল, চারজনের যাবজ্জীবন, চারজনকে খালাস এবং বাকিদের বিভিন্ন মেয়াদে দণ্ড দেয়া হয়েছে।

একই সঙ্গে আদালত সঠিক রিপোর্ট প্রদানে ব্যর্থতায় সংশ্লিষ্ট চিকিৎসক এবং মামলার তদন্ত কর্মকর্তার বিরুদ্ধে তদন্তেরও নির্দেশ দেন।

২০১৩ সালের ১৮ ডিসেম্বর বহুল আলোচিত ওই হত্যা মামলায় নিম্ন আদালত আটজনকে মৃত্যুদণ্ড এবং ১৩ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন। ওই রায় ঘোষণার এক সপ্তাহের মধ্যে ডেথ রেফারেন্স হাইকোর্টে আসে। পাশাপাশি নিম্ন আদালতে মৃত্যুদণ্ডের বিরুদ্ধে আপিল করেন আসামিরা।

দীর্ঘ শুনানি শেষে রোববার বিচারপতি মো. রুহুল কুদ্দুস ও বিচারপতি ভীষ্মদেব চক্রবর্তীর সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ রফিকুল ইসলাম শাকিল ও রাজন তালুকদারের মৃত্যুদণ্ড বহাল রাখেন। খালাসপ্রাপ্ত চারজন হলেন- সাইফুল ইসলাম, কাইয়ুম মিঞা টিপু, এ এইচ এম কিবরিয়া ও গোলাম মোস্তফা।

নিম্ন আদালতের আদেশে মৃতুদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- রফিকুল ইসলাম শাকিল, মাহফুজুর রহমান নাহিদ, এমদাদুল হক এমদাদ, জিএম রাশেদুজ্জামান শাওন, সাইফুল ইসলাম, কাইয়ুম মিঞা টিপু, রাজন তালুকদার ও মীর মো. নূরে আলম লিমন।

যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- এ এইচ এম কিবরিয়া, ইউনুস আলী, তারিক বিন জোহর তমাল, গোলাম মোস্তফা, আলাউদ্দিন, ওবায়দুর কাদের তাহসিন, ইমরান হোসেন, আজিজুর রহমান, আল-আমিন, রফিকুল ইসলাম, মনিরুল হকপাভেল, মোশাররফ হোসেন ও কামরুল হাসান। তাদের প্রত্যেককে ২০ হাজার টাকা করে অর্থদণ্ডেও দণ্ডিত করা হয়।

গত ১৭ জুলাই ওই দুই বিচারপতির সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ আপিল শুনানি শেষে রায় ঘোষণার জন্য ৬ আগস্ট দিন ধার্য করেন। ওইদিন আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল নজিবুর রহমান এবং আসামিপক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মনসুরুল হক চৌধুরী ও অ্যাডভোকেট শাহ আলম।

গত ১৬ মে বিশ্বজিৎ দাস হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিদের ডেথ রেফারেন্স ও আপিল শুনানি শুরু হয়। চলতি বছরের ১৯ ফেব্রুয়ারি বিশ্বজিৎ হত্যা মামলার ডেথ রেফারেন্স ও আসামিদের করা আপিল শুনানির জন্য পেপারবুক প্রস্তুত হয়। ২৬ ফেব্রুয়ারি ডেথ রেফারেন্স ও আসামিদের করা আপিল অগ্রাধিকার ভিত্তিতে শুনানির জন্য বেঞ্চ নির্ধারণ করে দেন প্রধান বিচারপতি।

২০১২ সালের ৯ ডিসেম্বর ১৮ দলের অবরোধ কর্মসূচি চলাকালে রাজধানীর পুরান ঢাকার ভিক্টোরিয়া পার্কের সামনে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) ছাত্রলীগ ক্যাডাররা নির্মমভাবে কুপিয়ে হত্যা করেন দর্জি বিশ্বজিৎ দাসকে। শাখারী বাজারে বিশ্বজিতের দর্জির দোকান ছিল। তিনি থাকতেন লক্ষ্মীবাজার। তার গ্রামের বাড়ি শরীয়তপুর।

ধানখালী টেকনিক্যাল কলেজে নবীন বরন অনুষ্ঠিত

 

এ, আর, কুতুবে আলমঃ পটুয়াখালী জেলার কলাপাড়া উপজেলার ধানখালী টেকনিক্যালএন্ড বিএম কলেজের উদ্যোগে গতকাল জাতীয় শোক দিবস পালন ও একাদশ শ্রেনির ছাত্র ছাত্রীদের নবীন বরন অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। এ অনুষ্ঠানে ধানখালী ইউনিয়নের আওয়ামীলীগ সভাপতি এস,এম,সহিদুল আলম ছোমেদ সভাপতিত্ব করেন। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, কলাপাড়া উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা এ.বি.এম সাদিকুর রহমান। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পটুয়া খালী জেলা পরিষদ সদস্য মো. মোশাররফ হোসেন মৃধা। কলেজের প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক প্রফেসর মো. আলমগীর হোসেন মৃধা। সার্বিক তত্তাবধানে ছিলেন কলেজের সুযোগ্য অধ্যক্ষ মাহমুদা খানম । অন্যান্য দের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, কলেজের শিক্ষক আমিরুল ইসলাম, লিটন দে, শরিফুল ইসলাম, সাইদুর রহমান, হুমায়ুন কবির, মো. হারুন মৃধা, র্মোশেদা আক্তার, বেবী আক্তার, রাকিবুলইসলাম (খোকন),আফসারউদ্দিন, দুলাল । এছাড়া স্থানীয় আওয়ামীলীগ যুবলীগ, ছাত্রলীগের নেতা কর্মীসহ স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
এসময় বক্তারা বলেন, বঙ্গবন্ধু জন্ম না হলে বাংলাদেশের জন্ম হতো না ।্ আর বাংলাদেশ স্বাধীন না হলে আমরা আমাদের নিজস্ব সারভৌমত্ব পেতাম না। আমাদের প্রিয় নেতা দেশ প্রেমিক তুখোর সাহসী নেতা কে এই আগষ্ট মাসের ১৫ তারিখ ঘাতকরা তার স্ব পরিবারের সদস্যদের নির্মম ভাবে হত্যা করেছে। আমরা এই খুনিদের বিচার দাবী করছি যারা পালিয়ে বিদেশ আছে । বঙ্গবন্ধুই আমাদের লাল সবুজের পতাকাটি ছিনিয়ে আনতে মুক্তি যোদ্ধাদের সাহস দিয়েছেন। তিনি জেল খেটেছে মার খেয়েছেন এই বাংলা দেশ নামের নতুন সূর্যাদয়ের দেশটি স্বাধীন করতে। আজ াামরা তার ওতার পরিবারের রুহে মাগফিরাত কামনা করছি।বক্তারা আরো বলেন, বঙ্গবন্ধু সবার নেতা । তাকে সাড়া বিশ্ববাসী সম্মান করতেন এবং জানতেন। আজ আমাদের দেশ অনেক উন্নয়নের দিকে ছুটে চলছে। আমরা দক্ষিনাঞ্চলের মানুষের ভাগ্য খুলে দেয়ার লক্ষে প্রধান মন্ত্রী দেশ নেত্রী শেখ হাসিনার জন্যও দোয়া করি। যেন সে আমাদের দেশটিকে অতি তাড়াতাড়ি মধ্যম আয়ের দেশ হিসেবে নিয়ে যেতে পারেন।এসময় বক্তারা আরো বলেন, এই কলেজটি ফলাফল সবসমই ভালো হয়। এখান থেকে ভালো ফলাফল করে ঢাকা বিশ্ব াবদ্যালয়েসহ দেশের বড় বড় কলেজে পড়াশুনা করছে। তোমরা যারা আজ নতুন ভর্তি হয়েছো । তোমরাও আগের ভাইদের মতো সামনে অগ্রসর হবে। মাদককে না বলবে। মা বাবা ও শিক্ষকদের সম্মান ও শ্রদ্ধা করবে।
মিলাদ শেষে মুনাজাতের মাধ্যমে অনুষ্ঠানটি সমাপ্তি হয় বলে সূত্রে জানাযায়।

পাগলা ওয়াসায় বন্দুক যুদ্ধে সন্ত্রাসী নিহত

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ রাজধানীর কদমতলীতে র‌্যাবের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ একজন নিহত হয়েছে। নিহতের নাম ইমরান (৩৫)। তিনি দীর্ঘদিন ধরে মাদক ব্যবসার সঙ্গে জড়িত বলে দাবি র‌্যাবের। শুক্রবার রাতে কদমতলী ওয়াসা পানি শোধনাগার এলাকার একটি মাদক স্পটে বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটে। র‌্যাব দাবি, বন্দুকযুদ্ধের ঘটনায় ৩ জন র‌্যাব সদস্যও আহত হয়েছে।

এদিকে সন্ত্রাসী ইমরান মিশরী নিহত হওয়ার খবরে স্থানীয সন্ত্রাসীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পরেছে। কুতুবপুর ও কদমতলী এলাকার চিহ্নিত সন্ত্রাসীরা গাঁ ঢাকা দিয়েছে বলে স্থানীয় একাধিক সূত্রে জানাগেছে। ঘটনার পরপরই অনেক সন্ত্রাসী নিজ নিজ এলাকা ত্যাগ করেছে বলে স্থানীয় নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানাগেছে। এদিকে, সন্ত্রাসী ইমরান মিশরী বন্দুক যুদ্ধে নিহতের খবরে কুতুবপুরের রসুলপুরে স্বস্তি নেমে এসেছে। তবে দাবি উঠেছে নিহত ইমরান মিশরীর ভাই বিল্লাল মিশরীকে গ্রেফতারের।

র‌্যাব-১০ এর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মহিউদ্দিন ফারুকী বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মাদক স্পটটিতে অভিযান চালায় র‌্যাব। উপস্থিতি টের পেয়ে তারা র্যাবের উপর গুলি চালায়। জবাবে র‌্যাবও পাল্টা গুলি চালায়। বন্দুকযুদ্ধ শেষে ইমরানকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

মহিউদ্দিন ফারুকী জানান, বন্দুকযুদ্ধের সময় ইমরানের গায়ে গুলি লাগে কিন্তু বাকিরা পালিয়ে যায়। ইমরানের কাছ থেকে একটি পিস্তল, কিছু ইয়াবা ও নগদ ৭০ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়। ইমরানের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ঢামেক মর্গে রাখা হয়েছে।

উল্লেখ্য, চলতি বছরের ১৭ ফেব্রুয়ারী সন্ত্রাসী ইমরান মিশরী ও বিল্লল মিশরী মাদক ব্যবসার বিরোধ নিয়ে পাগলা রসুলপুরে একাধিক বাড়িতে হামলা চালায়। এসময় তারা প্রকাশ্যে গুলি করে এলাকায় আতঙ্ক সৃষ্টি করে।