২৩শে আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
৮ই অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
Home Blog Page 210

টাচ্ স্টোন এডুকেশনাল হোমে পুরস্কার বিরণ অনুষ্ঠিত

ফতুল্লা প্রতিনিধি
পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখছেন, প্রধান অতিথি নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার নির্বাহী অফিসার তাসনিম জেবিন বিনতে শেখ। অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন ফতুল্লা ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান খন্দকার লুৎফর রহমান স্বপন। এসময় উপস্থিত ছিলেন আলহাজ্ব এম, শওকত আলী, চেয়ারম্যান বক্তাবলী ইউনিয়ন পরিষদ, ফতুল্লা প্রেসক্লাবের সভাপতি আলহাজ্ব সৈয়দ ওবায়েদউল্লাহ সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক আনিসুজ্জামান অনু, ফতুল্লা প্রেস ক্লাবের সহ-সভাপতি রুহুল আমীন প্রধান, ফতুল্লা রিপোর্টার্স ক্লাবের সভাপতি রনজিৎ মোদক, সাধারণ সম্পাদক কাজী আনিসুর রহমান, ফতুল্লা রিপোর্টার্স ইউনিটি সভাপতি নূরুল ইসলাম নুরু,
শাহ ফতেহউল্লাহ মাদ্রাসার সভাপতি হামিদুর রহমান চৌধুরী , আলহাজ্ব কাজী আব্দুল করিম,মোবারক হোসেন চৌধুরী সমাজ সেবক, সৈয়দ মিজানুর, আলহাজ্ব এড. মশিউর রহমান শাহীন, একরামুল কবির মামুন প্রমুখ। অনুষ্ঠানের সার্বিক অসহযোগীতায় ছিলেন টাচ্ স্টোনের পরিচালক অধ্যক্ষ সেলিনা সুলতানা।

আড়াইহাজারে ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করেছেন দুগ্ধ খামারিরা

আড়াইহাজার প্রতিনিধি
ন্যায্য দাম না পাওয়া, কাঙ্খিত উৎপাদন না হওয়া ও গো খাদ্যের সংকটসহ বিভিন্ন কারণে লোকসানের মুখে পড়ে খুঁড়িয়ে খুঁিড়য়ে চলছিল স্থানীয় দুগ্ধ খামারগুলি। লোকসানে পড়ে অনেকেই খামার গুটিয়ে ফেলে ছিলেন। তিন বছরের ব্যবধানে স্থানীয় পর্যায়ে ব্যাপক চাহিদা সৃস্টি হওয়ায়, দুধের ন্যায্য দাম পাওয়া এবং কাঙ্খিত উৎপাদনের ফলে নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজার উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় জিমিয়ে পড়া দুগ্ধ খামারিরা আবারও ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করেছে। নতুন করে এশিল্পের সঙ্গে জড়িত হয়ে বেকারত্বের অভিশাপ থেকে মুক্ত হচ্ছেন অনেক যুবক। উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিস জানায়, উপজেলার দুইটি পৌরসভা ও দশটি ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় নিবন্ধিত ৬২৩ টি খামার এছাড়াও ছোট, বড় প্রায় অনিবন্ধিত আরো প্রায় দুই শতাধিক দুগ্ধ খামার গড়ে উঠেছে। খামারে ফ্রিজিয়ান, শাহীয়াল, সিন্দি ও দেশীয় শংকরজাতসহ স্থানীয় বিভিন্ন জাতের গাভী পালন করা হচ্ছে। জানা গেছে, উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় অনেকে গরু মোটাজাতা করেও স্থানীয় পর্যায়ে বছর জুড়ে মাংসের জোগান দিয়ে যাচ্ছেন। এতে বাড়তি টাকা আয়ের পাশাপাশি হ্রাস পাচ্ছে বেকারত্ব। তবে খামারিদের দাবী পর্যাপ্ত ঋণ সুবিধা পেলে এশিল্পে আরও অগ্রগতি হতো। অনেকে পুঁজির অভাবে খামারের পরিধি বাড়াতে পারছে না। দুগ্ধ খামারে প্রতিদিন প্রায় ৪৭ হাজার লিটার দুধ উৎপাদন হচ্ছে। প্রতি লিটার দুধ গড়ে ৫৫ থেকে ৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এতে প্রতিটি খামারি লাভের মুখ দেখছেন। প্রতিটি বছর শেষে বকনা বাছুর বিক্রি করেও লাখ টাকা আয় করছে খামারিদের। উৎপাদিত দুধ স্থানীয় পর্যায়ে চাহিদা মিঠিয়ে উপজেলার আপশাশের বিভিন্ন এলাকায়সহ রাজধানীতে রপ্তানী করা হচ্ছে। উৎপাদন ধরে রাখতে প্রাণিসম্পদ অধিদফতর থেকে খামারিদের পরার্মশ দিয়ে সাহায্য দিয়ে যাচ্ছেন। জানা গেছে, গত কোরবানীর ঈদে এই উপজেলায় প্রায় ৫০ হাজার গরু মোটাজাতা করা হয়। এতে স্থানীয় চাহিদা মিঠিয়ে উদ্বৃত্ত হয়েছিল। এছাড়াও বছর জুড়ে ছাগল, খাসি ও ভেড়া, ষাঁড় পালন করে অনেকেই দারিদ্রতাকে গুডবাই জানিয়েছেন। প্রাকৃতিক পদ্ধতির পরিবর্তে প্রযুক্তি নির্ভর (কৃত্রিম) পদ্ধতিতে প্রজনন করায় উন্নত জাতের গাভীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়াসহ বাছুর মৃত্যুর হার করেছে। প্রান্তিক পর্যায়ের দারিদ্র খামারিদের বিনামূল্যে দেয়া হচ্ছে কৃষি নাশক ওষধ। স্থানীয় বিভিন্নœ তফসিলী ব্যাংক থেকে বকনা বাছুর প্রকল্পের অধিনে ৫ পার্সেন সুদে সর্বোচ্চ ২ লাখ টাকা পর্যন্ত ঋণ দেয়া হচ্ছে। উপজেলা যুবউন্নয়ন অধিদফত থেকে বেকার যুবক-যুবতীকে গাভী পালনের ওপর প্রশিক্ষণ প্রদানসহ ঋণ দেয়া হচ্ছে।
সম্ভবনাময় এই শিল্পটি নিয়ে অনেকে সোঁনালী দিনের স্বপন বুনছেন। ইচ্ছা আর কঠোর পরিশ্রমে বেকারত্বের অভিশাপ থেকে মুক্ত হয়ে তারা এখন সঞ্চয় মুখী হয়ে উঠেছেন। এসব পরিবার দারিদ্রতার অভিশাপ থেকে মুক্ত হয়ে প্রতিনিয়তই আত্মনির্ভরশীল হয়ে উঠছেন। প্রত্যন্ত গ্রামঞ্চলে দারিদ্রতার কষাঘাতে জর্জরিত এসব পরিবারে আর্থিক সচ্ছলতার পাশাপাশি পূরণ হচ্ছে প্রোটিন ও আমিষের চাহিদা। পুষ্টিহীতায় আক্রান্ত সন্তানদের খাওয়াতে পারছেন দুধ-ভাত। খামারের মালিকের অধিকাংশই শিক্ষিত ও এক সময়ের বেকার যুবক। পুরুষদের সাথে তাল মিলিয়ে সংসারের কাজের পাশাপাশি অনেক গৃহবধূ বাড়িতে গড়ে তোলেছেন ক্ষুদ্র দুগ্ধ খামার। ক’দিন আগেও যাদের নূন আনতে পানতা ফুরাতো, তারা এখন আদরের সন্তানদের উচ্চশিক্ষা গ্রহণ করাচ্ছেন। গাভী পালন করে তারা দিন বদলের স্বপ্ন দেখছেন। খামারগুলিতে শ্রমিকের কাজ করে অনেকের আত্মকর্মসংস্থানের সুযোগ পেয়েছেন। দুধ দিয়ে দই, মিষ্টি, মাখন ও ঘি-সহ দুগ্ধজাত বিভিন্ন খাবার তৈরি করে বাজারজাত করছেন। এতেও অনেকের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃস্টি হয়েছে। প্রতিটি খামারি গোবর সার থেকে তৈরি জৈবসার দিয়ে বিভিন্ন ধরনের শাক-সবজির চাষ করছেন। সেখান থেকেও তারা বাড়তি টাকা আয় করছেন।
দুগ্ধ খামারে আত্মনির্ভরশীল হয়ে উঠেছেন সদাসদীর সিরাজ মিয়া, হযরত আলী, নোয়াব আলী, বারেক, নজরুল, সুবেদ আলী, মানিক, আয়ুবুর রহমান, আনিছ, আবু দায়েরন, কুদ্দুস, আরিফ, মনির,আহাদ মিয়া, মোতাহর হোসেন, নাজিরুল ইসলাম, আমজাত হোসেন, ফারুক,কবির হোসেন, মোক্তার, শাহাজালাল, সফর আলী, গৃহবধূ ইয়াছমিন, ফজিলা ও পারভীনের মত আরো অনেকে।
আড়াইহাজার পৌরসভাধীন বাগানগর এলাকার দুগ্ধ খামারি ইয়াছমিন জানান, স্বামী ছাদেক মিয়া পাওয়ালুমের শ্রমিক। সপ্তাহ শেষে যে টাকা পেতেন। তা দিয়ে সংসার চালাতে অনেক কষ্ট হতো। তিনি ২০০২ সালে স্থানীয় গ্রামীণ ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে ১টি গাভী পালন করেন। প্রথম বছরেই তিনি লাভের মুখ দেখতে পান। পরে তিনি ঋণ নিয়ে আরো ৩টি গাভী কেনেন। তার খামারে ৬টি গাভী রয়েছে। এখন শ্রমিকের কাজ ছেড়ে ছাদেক মিয়া স্ত্রীকে সাহায্য করছেন। তিনি আরও জানান, ৩ বছর আগে দুধের ন্যাষ্য দাম পাওয়া যায়নি। এতে লোকসান দিতে হয়েছে। এলাকায় অনেকে খামার বন্ধ করে দিয়েছিল। প্রতিদিন তার খামারে প্রায় ৪০ লিটার দুধ উৎপাদন হচ্ছে। বর্তমানে প্রতি লিটার দুধ ৫০ থেকে ৬০ টাকা দরে বিক্রি করা হচ্ছে। এতে প্রতি মাসে ঋণের কিস্তি পরিশোধ করে এবং সংসারের সকল খরচ মিটিয়ে বভিষ্যতের জন্য তিনি মাসে ১ হাজার টাকা সঞ্চয় করছেন। এবছর তিনি ৩টি বাছুর বিক্রি করেও প্রায় ১ লাখ টাকা আয় করেছেন। খামারে মানিক নামে একজন শারীরিক প্রতিবন্ধি শ্রমিক মাসিক ৭ হাজার টাকা বেতনে কাজ করছেন। তিনি কোনো প্রকার প্রশিক্ষণ ছাড়াই খামার পরিচালনা করছেন। তার ১ ছেলে ১ মেয়ে। ছেলে ইমন স্থানীয় স্কুলে সপ্তম শ্রেণিতে পড়ছেন। মেয়ে হাবীবা আক্তার পড়ছেন দ্বিতীয় শ্রেণিতে। গোবর সার দিয়ে শাক-সবজির চাষ করেছেন। সেখান থেকেও বাড়তি টাকা আয় করছেন তিনি।
২০১১ সালে এনজিও থেকে মাত্র ২০ হাজার টাকা ঋণ নিয়ে একটি দেশীয় প্রজাতির গাভী কিনে বিশ্বনন্দী এলাকার বারেক মিয়ার জীবন সংগ্রাম শুরু হয়। বছর না ঘুরতেই গাভীটি জন্ম দেয় একটি বকনা বাছুর। এটিকেও লালন-পালন করে বড় করে তোলেন তিনি। ২০১২ সালে ফের ১ লাখ টাকা ঋণ নেয় বারেক। লালন-পালন করা দেশীয় প্রজাতির দুটি গাভী স্থানীয় বাজারে বিক্রি করে ঋণ নেয়া অর্থে সঙ্গে ওই টাকা সমন্বয় করে ফ্রিজিয়ান প্রজাতের চারটি মাঝারি আকারের গাভী ক্রয় করে গড়ে তোলেন একটি খামার। এরপর থেকে  বারেক মিয়ার পরিবারকে আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। চারটি থেকে আজ তার খামারে অস্ট্রেলিয়ান প্রজাতির ১১টি গরু রয়েছে। এর মধ্য ৪টি গাভী এবং চারটি ষাঁড়। এর আয় থেকে সংসারের প্রয়োজনীয় মিঠিয়ে দুই সন্তান লেখাপড়া করছেন।
উচিৎপুরা এলাকার খামারি ফারুক জানান, স্থানীয় পশু সম্পদ বিভাগের চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী তিনি তার খামারের পরিচর্যা করে থাকেন। বাড়তি কোনো খরচ হয় না তার খামারে। গাভীগুলিকে খাওয়ানো  হচ্ছে খড়, ভুসি, খৈল, কাঁচাঘাস, ক্যাটেল ফিড দিয়ে থাকেন তার খামারের গরুকে। প্রতিদিন তার খামার থেকে প্রায় ১৮০ লিটার দুধ উৎপাদন হয়, যার বর্তমান বাজার মূল্য প্রতি লিটার ৬০ টাকা হিসাবে ১০ হাজার আটশ’ টাকা। প্রতিদিন খাবার ও ওষুধসহ নানা খরচে ব্যয় হয়  ৬ হাজার টাকা। বাকি টাকা উদ্বৃত্ত থেকে যায়। ফারুক আরও জানান, খামারের আয় দিয়ে বেশ কিছু জমিও ক্রয় করেছেন তিনি। সঠিক পরিচর্যা আর মনোবল তাকে চলার পথ দেখিয়েছে। বর্তমানে তার খামারে স্থানীয় একজন মহিলাসহ তিনজন সহযোগী রয়েছেন। তাদের প্রতি মাসে দুই জনকে ১৮ হাজার টাকা বেতন দিচ্ছেন। তার খামারে বর্তমানে পূর্ণবয়স্ক ২২টি গাভী রয়েছে। প্রতিবছর ১৫টি বকনা বাছুর বিক্রি করে তিনি লাখ টাকা আয় করছেন।
একই এলাকার কবির সংসারে অসচ্ছলতায় যখন হতাশায় ভুগছিলেন, ঠিক তখনই পাশের গো খামারি আনিসের পরামর্শে গাভী পালন শুরু করেন তিনি। মাত্র ৭ বছরের ব্যবধানে আজ তিনি একটি গো খামারের মালিক। স্বাবলম্বী এ যুবক জানান, পাঁচ সদস্যের পরিবার তার। বাবার একার আয়ে সংসার চালাতে হিমশিম খেতে হচ্ছিল। এ সময় প্রতিবেশী আনিসের গাভী পালন দেখে নিজেই ইচ্ছা পোষণ করেন গাভী পালনের। সেই থেকে পথচলা। তাকে আর পেছন ফিরে তাকাতে হয়নি। নিজের ইচ্ছাশক্তি আর দৃঢ় মনোবল নিয়ে ২০১১ সালের শেষ দিকে আনিসের কাছ থেকে একটি অস্ট্রেলিয়ান গাভী নিয়ে শুরু করেন উন্নয়নের যাত্রা। এখন তার ৮টি গাভী ও চারটি বাছুর রয়েছে। গাভী থেকে প্রতিদিন প্রায় ৭০ লিটার দুধ উৎপাদন হয়। গাভীগুলিকে দানাদার জাতীয় খাবারের পাশাপাশি ঘাস খাওয়ানোর জন্য তিনি ৫০ শতাংশ জমিতে ইপিল ইপিল চাষ করছেন।
সিঙ্গাপুর ফেরত যুবক হাইজাদী ইউনিয়নের তিলচন্দ্রী এলাকার আমান উল্যাহ জানান, তিনি ২০১৬ সালের প্রথম দিকে ২৪টি গাভী দিয়ে খামার শুরু করেন। খামারে প্রতিদিন ২৪০ লিটার দুধ উৎপাদন হচ্ছে। ক্যাটেল ফিডসহ গাভীগুলিকে অন্যান্য দানাদার খাবার খাওয়াচ্ছেন। পাইকাররা ৫৫ থেকে ৬০ টাকা দরে দুধ কিনে নিয়ে যাচ্ছেন। তার খামারে ১৭টি বাছুর রয়েছে। তিন জন শ্রমিক ১০ হাজার, ১১ হাজার ও ৭ হাজার টাকা বেতনে কাজ করছেন। তিনি আরও জানান, তার খামারে আড়াইলাখ টাকা দামের গাভী রয়েছে। খাবার এবং ওষধের দাম কম হলে আরও বেশী লাভ হতো। স্থানী ব্যাংকগুলি থেকে স্বল্প সুদে বড় আকারে ঋণ দেয়া হলে খামারের পরিধি তিনি বাড়াতে পারতেন। প্রথমে তিনি শখের বসে শুরু করলেও, বর্তমানে তিনি বাণিজ্যিক ভিত্তিতে খামার গড়ে তোলেছেন।
সাতগ্রাম এলাকার নাজিরুল ইসলাম বলেন, তিনি ২০০০ সালে  খামার গড়ে তোলেছেন। তার খামারে পূর্ণবয়স্ক ১১টি গাভী রয়েছে। প্রতিদিন ৮০ লিটার দুধ উৎপাদন হচ্ছে। এছাড়াও প্রতি বছর কোরবানীর ঈদের বিক্রির জন্য তিনি পাঁচটি ষাঁড় গরু পালন করেন। এতে খরচ বাদে তার প্রায় দুই লাখ লাভ হয়। আগামী ঈদকে সামনে রেখে তিনি সাতটি গরু পালন করছেন। বাজার ভালো থাকলে চার লাখ আয়ের স্বপন দেখছেন তিনি। তিনি আরও বলেন, গরু বিক্রির আয় দিয়ে তিনি সারা বছর সংসারের খরচ চালাচ্ছেন। তার দেখাদেখি অনেক বেকার যুবক এলাকায় খামার গড়ে তোলেছেন। তার খামারে দুইজন শ্রমিক মাসিক ১৬ হাজার টাকা বেতনে দিচ্ছেন।
শফিকুল জানান, প্রশিক্ষণ শেষে শেষে আড়াইহাজার উপজেলা যুবউন্নয়ন অধিদফতর থেকে ৫০ হাজার টাকা ঋণ নিয়ে প্রথমে একটি গাভী নিয়ে খামার শুরু করেন। বছর ঘুরতেই তিনি লাভ দেখতে পান। দুধ বিক্রির টাকা থেকে ঋণের টাকা পরিশোধ করছেন। স্বল্প পুঁজি নিয়ে শুরু করলেও, লাভজনক হওয়ায় খামারের পরিধি বুদ্ধি করার চিন্তাভাবনা করছেন। গোবর দিয়ে তিনি বাড়িতে একটি বায়ুগ্যাস প্লানও স্থাপন করেছেন। এটি থেকে পরিবারের সকল রান্না-বান্নার কাজ চলছে।
দুগ্ধ খামারকে কেন্দ্র করে মের্সাস ভাই বোন ট্রেডার্স, সিরাজ ফিড, লিটন ট্রেডার্স, মা ফিড, মদিনা ফিড ও ভাই ভাই ফিডসহ উপজেলার বিভিন্ন বাজারে গবাদীর পশুর সুষম খাদ্যের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেছে। এসব প্রতিষ্ঠান থেকে স্থানীয় খামারিরা ফিড কিনে নিচ্ছেন। অন্যান্য খাবারের সঙ্গে মিশিয়ে সুষম এই খাবার খাওয়ানোর ফলে খামারে আগের তুলনায় দুধের উৎপাদন কয়েক গুন বৃদ্ধি পেয়েছে। খাদ্য বিক্রয়কারী প্রতিষ্ঠান স্থানীয় লিটন ট্রেডার্সের মালিক লিটন জানান, প্রতিদিন গড়ে দুইশ’ বস্তা বিক্রি হচ্ছে। ২৫ কেজির একটি বস্তা ৬শ’ টাকা থেকে ৬৫০ টাকা বিক্রি হচ্ছে। তিনি আরও জানান, সুষম খাবার খামারে ব্যবহার করে খামারিরা লাভবান হচ্ছেন। আগের তুলনায় ফিডের বিক্রিও বেড়েছে।
আড়াইহাজার উপজেলা প্রাণিসম্পদ অধিদফতরের কর্মকর্তা ডাক্তার মো: ফারুক আহাম্মদ আলোকিত বাংলাদেশকে বলেন, বাছুর মৃত্যুর হার আগের তুলনায় অনেক কম। উপজলার নীচু এলাকায় দারিদ্র খামারিদের বিনামূল্যে কৃষিনাশক বড়ি দেয়া হচ্ছে। তৃণমুল পর্যায়ে ভেকসিনেশন চালু হওয়ায় তরকা (এনথ্্রাক্স) রোগের পার্দুভাব কমে গেছে। এতে এলাকায় গাভীর সংখ্যাও বৃদ্ধি পেয়েছে। তিনি আরও বলেন, ৩০ জন করে খামারির অংশ গ্রহণে ইউনিয়ন পর্যায়ে কমন ইস্টারেস্ট ( সি,আই, জি) প্রকল্প চালু করার প্রস্তুতি চলছে। এত খামারিরা উপকৃত হবেন। দুগ্ধ খামারগুলিতে প্রতিদিন ৪৭ হাজার লিটার দুধ উৎপাদন হচ্ছে। স্থানীয় পর্যায়ে ক্রেতা (কনজুমার) সৃস্টি হওয়ায় উৎপাদিত দুধ বিক্রিতে কোনো সমস্যা হচ্ছে না।
আড়াইহাজার পৌরসভা শাখা কৃষি ব্যাংকের ব্যবস্থাপক মুক্তিযোদ্ধা  মো: মতিউর রহমান জানান, ২০১৬-১৭ অর্থবছরে সরকারের বকনা বাছুর প্রকেল্পের অধিনে বরাদ্দ অনুযায়ী স্থানীয় আর্দশ ডেইরী ফার্ম ও মেসার্স নাসিব মিক্স নামে দুই দুগ্ধ খামারে ৫ পার্সেন সুদে চার লাখ টাকা ঋণ দেয়া হয়েছে। উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা ই, আ, ম, মামুন মজুমদার বলেন, দুগ্ধ খামারে উৎসাহিত করতে স্থানীয় বেকার যুবক প্রশিক্ষণ দেয়া হচ্ছে। এরই মধ্যে ৩০ জন যুবক-যুবতীকে ৭ দিনের প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়েছে।

বুলুসহ ৩৫ জনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা

নিজস্ব প্রতিবেদক: রাজধানীর পল্টন থানার বিস্ফারক আইনে দায়ের করা মামলায় বিএনপি নেতা বরকত উল্লাহ বুলুসহ ৩৫ জনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত।

বৃহস্পতিবার ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কামরুল হোসেন মোল্লা অভিযোগপত্র আমলে নিয়ে এ পরোয়ানা জারি করেন।

মামলার উল্লেখযোগ্য আসামিরা হলেন-বিএনপি নেতা মারুফ কামাল খান সোহেল, শিমুল বিশ্বাস ও শিরিন সুলতানা।

উল্লেখ্য, ২০১৫ সালের জানুয়ারি মাসে বিএনপির হরতাল অবরোধ চলাকালে পল্টন থানা এলাকায় নাশকতার অভিযোগে মামলাটি দায়ের করা হয়।

গ্যাসের মূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির অবস্থান কর্মসূচি

নিজস্ব প্রতিবেদক: গ্যাসের মূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির উদ্দ্যেগে নারায়ণগঞ্জ প্রেস ক্লাবের সামনে সকাল ১০-১১টা পর্যন্ত অবস্থান ধর্মঘট পালন করেন মহানগর বিএনপির নেতাকর্মীরা। মহানগর বিএনপির সভাপতি ও সাবেক এমপি এড. আবুল কালামের সভাপতিত্বে সাংগঠনিক সম্পাদক এডঃআবু আল ইউসুফ খান টিপুর সঞ্চালনে বক্তব্য রাখেন মহানগর বিএনপির সাধারন সম্পাদক এটিএম কামার, সিনিয়নর সহ-সভাপতি এডঃ সাখাওয়াত হোসেন খান,সহ-সভাপতি এডঃ জাকির হোসেন,সহ-সভাপতি এড. সরকার হুমায়ূন কবীর, সহ -সাংগঠনিক আওলাদ হোসেন, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক রুহুল আমিন শিকদার, মহানগর যুবদলের যুগ্ম আহবায়ক মনোয়ার হোসেন শোখন, মহানগর ছাত্রদলের যুগ্ম আহবায়ক নেতা আবুল কাওসার আশা, মহানগর স্বেচ্ছাসেবকদলের যুগ্ম আহবায়ক নেতা আকরাম প্রধান, এড. এম এইচ আনোয়ার প্রধান, ফারুক চৌধুরী, মোস্তাক আহমেদ, মহিলাদল নেত্রী রাশিদা জামাল, শ্রমিকদল নেতাা নজরুল ইসলাম, মনির মল্লিক, যুবদল নেতা মোস্তাকিম শিপলু, স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা জাকির হোসেন প্রমূখ।

নারায়ণগঞ্জ জেলা পরিষদের চেয়ারম্যানকে গোপলগঞ্জ আ’লীগ নেতাদের ফুলের শুভ্চ্ছো

নিজস্ব প্রতিবেদক: গত ২৫ ফেব্রুয়ারী শনিবার নারায়ণগঞ্জ জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আনোয়ার হোসেন জেলা পরিষদের সদস্যদের নিয়ে গোপালগঞ্জ টঙ্গীপাড়ায় অবস্থিত বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এর আগে স্থানীয় আওয়ামী লীগ,যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা আনোয়ার হোসেনকে ফুল দিয়ে বরণ করে নেয়। এসময় গোপালগঞ্জ থানা আওয়ামীলীগ সভাপতি এবং মেয়র লিয়াকত হোসেন লেকু, গোপালগঞ্জ শহর যুবলীগ এর সাধারন সম্পাদক, জাহেদ মাহমিদ বাপ্পী,  বঙ্গবন্ধু কলেজের সাবেক ভি,পি উৎপল, সোহেল চৌধুরী, গোপালগঞ্জ জেলা যুবলীগের প্রচার সম্পাদক শিমুল চৌধুরীসহ স্থানীয় নেতাকর্মীরা।
এ সময় আরও ছিলেন চেয়াম্যান সাহেবের সহধর্মীনি সুলতানা রাজিয়া,এবংতাদের ছোট মেয়ে, এ,পি,স,ডাঃকামরু ইসলাম সরকার, নারায়ণগঞ্জ মহানগর মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্মলীগের সভাপতি মাসুম আহমেদ সুমন, সাধারন সম্পাদক রিয়াজ আহমেদ রিপন,যুগ্ম সম্পাদক সোহেল মাহমুদ, সাংঠনিক সম্পাদক মোঃমুস্তাহিদ খান, সোনারঁগা থানা ছাএলীগ নেতা এবং জেলা পরিষদের সদস্য নূর আলম খান প্রমুখ।

সোনারগাঁয়ে ১০ ভুয়া ডিবি পুলিশ আটক

সোনারগাঁয়ের ঢাকা চট্টগ্রাম মহাসড়ক এলাকা থেকে ১০ ভুয়া পুলিশ (ডিবি) আটক করেছে সোনারগাঁ থানা পুলিশ। বুধবার দুপুরে ৬৫ লাখ টাকা ছিনতাই করবে বলে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে খবর পেয়ে সোনারগাঁ থানার এসআই মো: আ: হক শিকদারের নেতৃত্বে ঢাকা চট্টগ্রাম মহাসড়কের মোগড়াপাড়া চৌরাস্তা লিজা পাম্পের সামনে ডিবি পুলিশ পরিচয়ে ছিনতাই করাকালে তাদেরকে আটক করা হয়। নারায়ণগঞ্জ অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোস্তাফিজুর রহমান সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন।
আটককৃতরা হলেন, ভোলা জেলা ও থানার তালুকদারচর এলাকার খালেক ব্যাপারীর ছেলে নূর ইসলাম (৩২), মানিকগঞ্জ জেলা ও থানার জয়বা এলাকা নুরুল ইসলামের ছেলে নুরুজ্জামান ওরফে মোক্তার (৪৫), কুমিল্লা জেলার মুরাদনগর থানার কামেলা এলাকার মোতালেব মিয়ার ছেলে কুদ্দুছ (৩০), নওগাঁ জেলার বদরগাছী থানার বালু ভরা এলাকার আব্দুল জলিলের ছেলে হেলাল (৩৬), গোপালগঞ্জ জেলার কোঠালিপাড়া থানার টাপুরিয়া এলাকার মৃত শেক মোশারফ হোসেনের ছেলে শেখ মোজাম্মেল হোসেন (৪৪), পাবনা জেলার বেড়া থানার বিজয়গঞ্জ এলাকার মৃত আ: মজিদের মনির হোসেন (৩৬), ফেনী জেলার সোনাগাজী থানার চরদবেশ এলাকার মৃত মজিবর রহমানের ছেলে এনামুল হক (৪০), সিরাজগঞ্জ জেলার উল্লাপাড়া থানার দেহকোলা এলাকার মৃত মোক্তার হোসেনের ছেলে মাসুদ করিম (৩২) ও টাংগাইল জেলা ও থানার বাতকুড়া এলাকার মৃত আ: রশিদ খানের ছেলে মিঠু খান (৫০)।
এসময় তাদের কাছ থেকে পুলিশ ও সাংবাদিক লেখা দুটি প্রাইভেটকার (ঢাকা মেট্টো গ-২৫-৯০৬৮ ও ঢাকা মেট্টো চ-১১-৪৭৮৬), এক জোড়া হ্যান্ডকাপ, ‘ডিবি পুলিশ’ লেখা ৩টি পোশাক, পুলিশের ব্যবহৃত দুটি লাঠি, একটি ওয়াকিটকি ও একাধিক ভুয়া ওয়ারেন্ট উদ্ধার করা হয়।
এছাড়াও মিঠু খান নামে ‘ইত্তেফাক’ এর ভুয়া আইডি কার্ড ও হেলাল হোসেন নামে হিউম্যান রাইটসের একটি আইডি কার্ড উদ্ধার করা হয়।

বন্দরে ড্রেন ও রাস্তার দাবীতে বিক্ষোভ

স্টাফ রিপোর্টার: বন্দরের হরিপুর এলাকার নাজিরগঞ্জ মহল্লার নারী-পুরুষরা রাস্তা ও ড্রেনের দাবিতে ক্ষোভ প্রকাশ করেছে। বুধবার সকাল ১১ টায় তারা মহল্লায় বেরিয়ে এসে বিক্ষোভ করে।
মহল্লাবাসী জানান, নির্বাচনের আগে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন হরিপুরের নাজিরগঞ্জ মহল্লায় ড্রেন নির্মাণের জন্য মুরাদপুর প্যাকেজের সাথে ৩ কোটি ৮০ লাখ টাকা বরাদ্ধ দেয়। ড্রেন নির্মাণ ঠিকাদার হরীপুরে ৫শ’ মিটার ড্রেনের পরিবর্তে মাত্র ২শ’ মিটারের মতো ড্রেন নির্মাণ করে কাজ বন্ধ করে দেয়। নাজিরগঞ্জ মহল্লায় ড্রেন না থাকায় সামন্য বৃষ্টিতে এলাকাবাসী কৃতিম জলাবদ্ধতার শিকার হন। এ মহল্লাবাসী প্রধান রাস্তায় বের হওয়ার মতো কোন রাস্তা নেই। কেউ মারা গেলে লাশও বের করার রাস্তা নেই। ড্রেনটি নির্মাণ হলে পয়নিস্কাশনসহ মানুষের যাতায়তের রাস্তা হবে। বর্তমানে বাহাউদ্দিন ভূইয়ার বাড়ি হতে আমিনুল ভূইয়ার বাড়ির পাশ দিয়ে আবুল মিয়ার বাড়ি সংলগ্ন দিয়ে সোজা অক্ষনদী খাল পর্যন্ত ড্রেন নির্মাণ হলে এ মহল্লাবাসীর সমস্য সমাধান হবে বলে তারা দাবি করে। এ মহল্লার প্রায় ২ শতাধিক পরিবার রাস্তা ও ড্রেন না থাকায় মানবেতর জীবন যাপন করছেন। তাই তারা সিটি করপোরেশনের মেয়রের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন।
এ ব্যপারে ২৭ নং ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর সিরাজুল ইসলাম বলেন, নির্বাচনের আগেই এ মহল্লার ড্রেন নির্মাণের বরাদ্ধ সিটি করপোরেশন দেয়। বাহাউদ্দিন ভূইয়ার বাড়ি পর্যন্ত ড্রেন নির্মাণ হলে আমিনুল ও বজলুর রহমানের বাড়ির সীমানা নিয়ে বিরোধের কারণে কাজ এগোতে পারেনি।
এ ব্যপারে আমিনুল ইসলাম জানান, বাড়ির সীমানা বিরোধ মিটে গেলেও ড্রেন নির্মাণ ঠিকাদার জাকির কনস্ট্রাকশন কর্তৃপক্ষকে বার বার বললেও তারা কাজ ধরেনি। এ ব্যপারে বর্তমান কাউন্সিলর কামরুজ্জামান বাবুল জানান, আমার জানা মতে সিটি করপোরেশনের দেয়া বরাদ্ধ পর্যন্ত কাজ হয়েছে। নাজিরগঞ্জ মহল্লার ভিতর দিয়ে ড্রেন ও রাস্তা নির্মাণের প্রজেক্ট তৈরী করা হচ্ছে তা শিগ্রই জমা দেয়া হবে।

পরিবহন ধর্মঘটের ২য় দিনে ফতুল্লায় বিক্ষোভ

স্টাফ রিপোর্টার: পরিবহন শ্রমিকদের ধর্মঘটের দ্বিতীয় দিনে যানবাহন সংকটে পড়ে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে নারায়ণগঞ্জের স্কুল কলেজের শিক্ষার্থী, কর্মজীবি ও সাধারন যাত্রীদের। নারায়ণগঞ্জের চাষাড়া ডন চেম্বার মোড়, পঞ্চবটি, সাইনবোর্ড, ফতুল্লা ও পাগলা এলাকা সহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ন ষ্ট্যান্ডে গাড়ি না পেয়ে যাত্রীদের মালামাল নিয়ে বসে থাকতে দেখা গেছে।
চলচ্চিত্রকার তারেক মাসুদ ও মিশুক মুনীর সহ পাঁচজনের নিহতের ঘটনায় ঘাতক বাসচালক জামির হোসেনকে যাবজ্জীবন কারাদন্ডাদেশ বাতিলের দাবিতে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশন এই ধর্মঘট কর্মসূচির ঘোষণা দেন।  ঘোষণা অনুযায়ী গত মঙ্গলবার থেকে দেশের ১৭টি জেলায় একযোগে চলছে এ ভোগান্তির ধর্মঘট।
এদিকে ধর্মঘটের পাশাপাশি ফতুল্লার পঞ্চবটি এলাকায় সড়ক অবরোধ ও ট্রায়ারে আগুন জ্বালিয়ে বিক্ষোভ করে পরিবহন শ্রমিকরা। একই সাথে ইট ও পাথরসহ ট্রাক ও লড়ি দ্বারা সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করে। এসময় সাজা প্রাপ্ত বাস চালক  জামির হোসেনকে মুক্তির দাবী জানিয়ে বিভিন্ন শ্লোগাণ তুলে বিক্ষোভকারীরা।
বিক্ষোভের সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে বিক্ষোভকারীদের তোপের মুখে পরেন ফতুল্লা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামাল উদ্দিন। পরে তাদের বুঝিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়।
এদিকে বড় পরিবহন ও বাস চলাচল বন্ধ থাকার সুযোগ লুফে নিচ্ছেন সিএনজি, ইজি বাইক, রিক্সা ও চালকরা। তুলনা মূলক ভাবে যাত্রীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত হারে ভাড়া আদায় করছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, চাষাড়া মোড় এলাকায় ঢাকা গামী বাসের অপেক্ষায় দীর্ঘক্ষন বসে আছেন মাহমুদা নামে মধ্য বয়ষ্ক এক নারী। তাঁর বাবা রাজধানীর একটি হাসপাতালে ভর্তি। কিন্তু গাড়ির অভাবে হাসপাতালে ভর্তি অসুস্থ্য বৃদ্ধ বাবাকে দেখতে যেতে পাড়ছেন না। শেষ পর্যন্ত উপায় না পেয়ে অতিরিক্ত ভাড়া গুনে সিএনজি যোগে ঢাকার হাসপাতালের উদ্দেশ্যে রওয়ানা হলেন তিনি।

রূপগঞ্জে স্কুল শিক্ষিকাকে অপহরনের অভিযোগ

স্টাফ রিপোর্টার: নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে আমেনা আক্তার বিউটি (৩২) নামে এক স্কুল শিক্ষিকাকে অপহরন করা হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। মঙ্গলবার সকালে উপজেলার কাঞ্চন পৌরসভার কেন্দুয়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
অপহৃতের ভাই মঞ্জুরুল হক বাদল জানান, তার বোন আমেনা আক্তার বিউটি স্থানীয় ভারত চন্দ্র কিন্ডার গার্ডেনে শিক্ষকতা করেন। একই এলাকার সুমন চন্দ্র দাস দীর্ঘ ধরে আমেনা আক্তার বিউটিকে স্কুলে আসা যাওয়ার সময় প্রেমের কুপ্রস্তাব দিয়ে আসছিলো। সুমন চন্দ্র দাসের প্রস্তাবে রাজি না হলে আমেনা আক্তার বিউটিকে উঠিয়ে নিয়ে যাবে বলে ভয়ভীতি প্রদান করে আসছিলো। প্রতিদিনের ন্যায় আমেনা আক্তার বিউটি স্কুল থেকে বাসায় আসার পথে সুমন চন্দ্র দাস ও তার সহযোগী মিরার চন্দ্র দাস, খোকন চন্দ্র দাস, কাতির্ক চন্দ্র দাস অজ্ঞাত ৪/৫ জন তার বোন আমেনা আক্তার বিউটিকে একটি মাইক্রো বাসে করে অপহরন করে নিয়ে যায়। এ ব্যাপারে অভিযুক্তদের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তারা তাদের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ মিথ্যা বলে জানায়। এ ব্যাপারে রূপগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইসমাইল হোসেন জানান, এ ধরনের একটি অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত মোতাবেক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

রূপগঞ্জে এসএসসি পরীক্ষার্থীকে লাটিপেটা

স্টাফ রিপোর্টার: নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে জমি সংক্রান্ত বিরোধকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের লোকজন মাসুদ (১৮) নামে এক এসএসসি পরীক্ষার্থীকে লাঠিপেটা করে আহত করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। বুধবার সকালে উপজেলার মাঝিনা সুতিরপাড় এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
আহতের মা বাছিরুন বেগম জানান, একই এলাকার মনির হোসেনের সঙ্গে তাদের ধীর্ঘ দিন ধরে জমি সংক্রান্ত বিরোধ চলে আসছিলো। এর জের ধরেই মনির হোসেন, আলাউদ্দিন, লিয়াকত আলী, সজীব, সাইফুল, শফিকুলসহ অজ্ঞাত ৪/৫ জন দেশীয় অস্ত্র শস্ত্রে সজ্জিত হয়ে বাছিরুন বেগমের বাড়িতে প্রবেশ করে ঘর-বাড়ি ভাংচুর করে। ভাংচুরে বাঁধা প্রদান করতে আসলে প্রতিপক্ষের লোকজন মাসুদকে লাঠিপেটা করে আহত করে। এক পর্যায়ে কোদাল দিয়ে হত্যার চেষ্টা চালানো হয়। তাদের ডাক-চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে আসলে প্রতিপক্ষের লোকজন পালিয়ে যায়। এ ব্যাপারে রূপগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইসমাইল হোসেন জানান, এ ধরনের একটি অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত মোতাবেক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।