১৯শে আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
৪ঠা অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
Home Blog Page 255

নাঃগঞ্জে ১ শ ৮২ বোতল ফেন্সিডিলসহ মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার-১

নারায়ণগঞ্জ জেলার সোনারগাঁও থানাধীন কাবিলগঞ্জ এলাকায় র‌্যাব-১১’র সিপিসি-১’র অভিযানে ১ শ ৮২ বোতল ফেন্সিডিলসহ সেলিম (৪২) নামের এক মাদক ব্যবসায়ী’কে গ্রেফতার করা হয়।
উপজেলার কাবিলগঞ্জ এলাকায় ফেন্সি সেলিম নামের এক ব্যক্তি আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর চোখ ফাঁকি দিয়ে মাদক ব্যবসা করে আসছিল। বিভিন্ন সময়ে ঐ এলাকায় মাদক বিরোধী অভিযান চলমান থাকলেও ফেন্সি সেলিম সুকৌশলে ধরা ছোয়ার বাহিরে থেকে যায়। কিন্তু র‌্যাবের গোয়েন্দা নজরদারি অব্যাহত থাকে এবং ১৪ জুন ২০১৬ তারিখ রাত সাড়ে ১২ টায় র‌্যাব-১১, সিপিসি-১’র নারায়ণগঞ্জ এর একটি দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারে যে, আসামীর বসত ঘরে মাদক (ফেন্সিডিল ও বিয়ার) ক্রয় বিক্রয় করছে। উক্ত সংবাদের সত্যতা যাচাইপূর্বক র‌্যাব-১১, সিপিসি-১, নারায়ণগঞ্জ এর ভারপ্রাপ্ত কোম্পানী অধিনায়ক এএসপি শাহ্ শিবলী সাদিক এর নেতৃত্বে সঙ্গীয় ফোর্সসহ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে সু-কৌশলে মাদক বিরোধী অভিযান পরিচালনা করে ১৪/০৬/২০১৬ তারিখ ০১.৩০ ঘটিকার সময় ১৮২ বোতল ফেন্সিডিল এবং ১৯ ক্যান বিয়ারসহ আসামী মোঃ সেলিম (৪২), পিতা-মৃত নরুল ইসলাম, সাং-কাবিলগঞ্জ, থানা-সোনারগাঁও, জেলা-নারায়ণগঞ্জকে গ্রেফতার করেন। আসামী এলাকায় দীর্ঘদিন যাবৎ মাদক ব্যবসা করে যুব সমাজকে ধ্বংস করে আসতেছিল। উদ্ধারকৃত মাদক (ফেন্সিডিল ও বিয়ার) এর আনুমানিক মূল্য ১ লক্ষ ৬০ হাজার ৮ শ (এক লক্ষ ষাট হাজার আটশত) টাকা। আসামীর বিরুদ্ধে নারায়ণগঞ্জ জেলার সোনারগাঁও থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের সংশ্লিষ্ট ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।

নূরে আলম ছাত্রলীগের সহ-সম্পাদক নির্বাচিত

নিজস্ব প্রতিবেদক: তরুণ লেখক, কবি  ও সাংবাদিক নূরে আলম জীবন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ছাত্রলীগের পূনার্ঙ্গ কমিটিতে সহ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছে।

ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ছাত্রলীগের বিপ্লবী সভাপতি লাখো ছাত্রের নেতৃত্বের প্রতিধ্বনি বায়জিদ আহম্মেদ খানের আস্থাভাজন তরুণ লেখক কবি নূরে আলম জীবনকে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ছাত্রলীগের সহ সম্পাদক নির্বাচিত করায় সবুজবাগ ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের মাঝে আনন্দের জোয়ার বইছে।

নূরে আলম জীবন বলেন, আমি বঙ্গবন্ধুর আদর্শে বিশ্বাসী দেশরত্ন শেখ হাসিনার ডিজিটাল বাংলাদেশ বির্নিমানে মহানগর দক্ষিণ ছাত্রলীগের সভাপতি বায়জিদ আহম্মেদের সৈনিক। পদ আমার কাছে বড় নয়।  ছাত্রলীগের যেকোনো দায়িত্ব পালন করতে আমি প্রস্তুত। মহানগর ছাত্রলীগের কার্যক্রমকে গতিশীল করতে আমি সর্বচ্চো চেষ্টা করবো।

 

আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অভিযানে দলের দুই হাজার নেতাকর্মী গ্রেফতার : রিজভী

নিজস্ব প্রতিবিদেক: গত শুক্রবার থেকে শুরু হওয়ায় দেশব্যাপী পুলিশের সাঁড়াশি অভিযানে বিএনপির দুই হাজার ১০০ নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ‘গত কয়েক দিনের সাঁড়াশি অভিযানে সারাদেশে সাত হাজারের মতো ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এর মধ্যে বিএনপির দুই হাজার ১০০ নেতাকর্মী রয়েছে।

সোমবার দুপুরে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী এ দাবি করেন।

রিজভী বলেন,  ‘সরকার এখন পর্যন্ত কোনো জঙ্গিকে চিহ্নিত করতে পারেনি। অথচ রমজান মাসে সারাদেশে অনেক সাধারণ মানুষকে গ্রেফতার করছে।’

সরকারের বিদায়ের তৃতীয় ঘণ্টা বেজে গেছে বলে মন্তব্য করে রুহুল কবির রিজভী বলেন, সরকার মৃত্যু যন্ত্রণায় ছটফট করছে।

সরকার আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে উর্দিপড়া ক্রিমিনাল বাহিনীতে পরিণত করেছে বলেও দাবি করেন রিজভী। সংবাদ সম্মেলনে রিজভী সারাদেশের আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সাঁড়াশি অভিযান ও সাম্প্রতিক হত্যাকাণ্ড ও সরকারের নানা বক্তব্য নিয়ে কথা বলেন।

তনু হত্যার দ্বিতীয় ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন আদালতে

কুমিল্লা প্রতিনিধি : কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজছাত্রী সোহাগী জাহান তনুর দ্বিতীয় ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন আদালতে জমা দিয়েছে সিআইডি। সোমবার দুপুরের দিকে প্রতিবেদনটি সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মুনতাহিম বিল্লাহর আদালতে জমা দেওয়া হয়। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কুমিল্লা সিআইডির পরিদর্শক গাজী মোহাম্মদ ইব্রাহিম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

প্রসঙ্গত, গত ২০ মার্চ কুমিল্লা সেনানিবাসের বাসার নিকটের একটি জঙ্গল থেকে তনুর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। পরদিন কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজে তনুর প্রথম ময়নাতদন্ত করেন ডা. শারমিন সুলতানা। গত ৪ এপ্রিল দেওয়া হয় প্রথম ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন। ওই প্রতিবেদনে তনুকে হত্যা ও ধর্ষণের আলামত না থাকায় দেশব্যাপী সমালোচনার মুখে পড়ে ফরেনসিক বিভাগ।

পরে আদালতের নির্দেশে ৩০ মার্চ দ্বিতীয় দফায় ময়নাতদন্তের জন্য তনুর মরদেহ মুরাদনগর উপজেলার মির্জাপুর গ্রামের কবর থেকে উত্তোলন করে ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ ও দ্বিতীয় ময়নাতদন্ত করা হয়। ডিএনএ রিপোর্টে তনুর কাপড়ে ৩ পুরুষের শুক্রানু পাওয়া যায়। গত রোববার দ্বিতীয় ময়নাতদন্তের রিপোর্ট প্রকাশ করা হলে সেখানে তনুর মৃত্যুর আগে যৌন সম্পর্কে কথা বলা হলেও ধর্ষণের কথা বলা হয়নি। এদিকে তনুর মৃত্যুর সঠিক কারণ নিশ্চিত করতে পারেনি ময়নাতদন্ত বোর্ড।

কে এই ওমর মতিন?

আর্ন্তজাতিক ডেস্ক : যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডার অরল্যান্ডোতে যে বন্দুকধারীর গুলিতে একটি সমকামী নাইট ক্লাবে ৫০ জন নিহত হয়েছে, তার নাম ওমর মতিন। ২০১৩ সাল থেকেই গোয়েন্দা সংস্থা এফবিআই মার্কিন নাগরিক ওমর মতিন সম্পর্কে জানতো। খবর- বিবিসি বাংলা।

রবিবার রাতে পালস নাইট ক্লাবে তার চালানো হামলাটি আধুনিক যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে সবচেয়ে রক্তক্ষয়ী গুলিবর্ষণের ঘটনা।

এফবিআইয়ের কর্মকর্তারা বলছেন, পুলিশের গুলিতে নিহত ২৯ বছর বয়স্ক ওমর মতিনের উগ্র ইসলামপন্থী ভাবধারার দিকে ‘ঝোঁক ছিল’। তবে তার এই হামলা আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদের সাথে সংশ্লিষ্ট কিনা তা এখনো পরিষ্কার নয়।

হামলা চালানোর সময় মতিন জরুরী নম্বর ৯১১-এ কল দিয়ে কথিত ইসলামিক স্টেটের প্রতি তার আনুগত্য প্রকাশ করে। পরবর্তীতে আইএস এক বার্তায় বলে যে তাদের এক ‘যোদ্ধা’ এই হামলাটি চালিয়েছে, তবে তারা সরাসরি জড়িত ছিল নাকি তাকে উৎসাহ যোগানোর জন্য তারা কৃতিত্ব দাবি করছে সেটি তারা সুনির্দিষ্টভাবে বলেনি।

মতিনের বাবা, সাদিক মতিন মার্কিন একটি সংবাদ সংস্থাকে বলেছেন, ‘হামলার সাথে ধর্মের কোনো সম্পর্ক নেই। তার ছেলে কিছুদিন আগে মায়ামিতে দুজন পুরুষ পরস্পরকে চুম্বন করছে দেখে ‘খুবই ক্রুদ্ধ’ হয়ে ওঠে। সে যে একটি হামলার পরিকল্পনা করছে সে বিষয়ে পরিবারের কোনো ধারণাই ছিল না।

বন্দুকধারীর ইতিহাস নিয়ে প্রশ্ন ওঠার পর এফবিআইয়ের বিশেষ এজেন্ট রন হপার সাংবাদিকদের বলেন, ‘আইএসের সাথে সংশ্লিষ্টতার কথা বলে সহকর্মীদের প্রতি বিরূপ মন্তব্য করায় তাকে ২০১৩ সালে এফবিআই কর্মকর্তারা দুবার জিজ্ঞাসাবাদ করে।

কর্মকর্তারা অভিযোগের প্রমাণ না পাওয়ায় তদন্ত শেষ করা হয়। তবে ২০১৪ সালে আবারো সিরিয়ায় এক আত্মঘাতী বোমা হামলাকারীর সাথে যোগাযোগের অভিযোগে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। সেবারও এ ধরণের যোগাযোগের কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি এবং তদন্তটি সেখানেই শেষ করা হয়।’

এফবিআইয়ের নজরে থাকলেও মতিনকে কখনো সন্ত্রাসবাদের অভিযোগে নজরদারির আনুষ্ঠানিক তালিকায় রাখা হয়নি এবং আইনগতভাবেই তার একটি আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্স ছিল।

এটিও জানা যাচ্ছে যে ওমর মতিন ২০০৭ সাল থেকে নিরাপত্তা সংস্থা জিফোরএস-এর একজন সশস্ত্র নিরাপত্তারক্ষী হিসেবে কাজ করে আসছে।

পুলিশ বলছে, পালস নাইট ক্লাবের হামলায় মতিন একটি অ্যাসল্ট রাইফেল এবং একটি ছোট আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহার করেছে। তার কাছে হয়তো কিছু বিস্ফোরকও ছিল, তবে সেটি নিশ্চিত করা হয়নি।

মতিনের জন্ম নিউইয়র্কে এবং তার মা-বাবা দুজনই আফগান। পরবর্তীতে সে ফোর্ট পিয়ার্সে বসবাস শুরু করে, অরল্যান্ডো থেকে শহরটি গাড়িতে দুই ঘণ্টার রাস্তা।

তার সাবেক স্ত্রী, সিতোরা ইউসুফি বলেছেন, মতিন ছিলেন সহিংস, মানসিকভাবে অস্থিতিশীল এবং তাকে নিয়মিত পেটাতো।

অনলাইনে পরিচয়ের পর ফোর্ট পিয়ার্সে ২০০৯ সালে দুজনের বিয়ে হয়, তবে তার ওপর নির্যাতনের কথা জানার পর ইউসুফিকে তার বাবা-মা তাকে সেখান থেকে নিয়ে যান।

২০১১ সালে স্ত্রীর সাথে ওমর মতিনের বিবাহ বিচ্ছেদ হয়।

 

মাহফুজ আনামের সব মামলার কার্যক্রম স্থগিত

 

নিজস্ব প্রতিবেদক: মানহানি ও রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগে দেশের বিভিন্ন জেলায় ডেইলি স্টার সম্পাদক মাহফুজ আনামের বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া ১০ মামলার কার্যক্রম স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট। বিচারপতি সৈয়দ মোহাম্মদ দস্তগীর হোসেন ও বিচারপতি এ কে এম সাহিদুল হকের হাইকোর্ট বেঞ্চ সোমবার এই আদেশ দেন। আদালতে মাহফুজ আনামের পক্ষে ব্যারিস্টার রফিক-উল হক শুনানি করেন।

এর আগে হাইকোর্টের একই বেঞ্চ মাহফুজ আনামের বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া আরও ৭২ মামলার কার্যক্রম স্থগিত করেন। সোমবারের আদেশের ফলে মাহফুজ আনামের বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া ৮২টি মামলার সবকটির কার্যক্রম স্থগিত হয়ে গেল।

মাহফুজ আনামের বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া সব মামলা থেকে তাকে জামিনও দেন হাইকোর্ট।

সেনা নিয়ন্ত্রিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় দেশের শীর্ষ রাজনীতিকদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অসংখ্য মামলা হয়। বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াসহ বহু রাজনীতিককে গ্রেফতার করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।

সে সময় প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা সংস্থা ডিজিএফআই শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ‘দুর্নীতির খবর’ সরবরাহ করেছিল জানিয়ে গত ৬ ফেব্রুয়ারি এক টেলিভিশন আলোচনায় মাহফুজ আনাম বলেন, যাচাই না করে তা প্রকাশ করা ছিল ‘বিরাট ভুল।’

ওই স্বীকারোক্তির পর ডেইলি স্টার সম্পাদক মাহফুজ আনামের বিরুদ্ধে সারাদেশে মানহানি ও রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগে মামলা হয়।

চলে গেলেন অধ্যাপক মনিরুজ্জামান মিঞা

নিজস্ব প্রতিবেদক : ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি মনিরুজ্জামান মিঞা ইন্তেকাল করেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। সোমবার দুপুর পৌনে ১২টায় রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় এই শিক্ষাবীদ মারা যান। তাঁর বয়স হয়েছিল ৮৩ বছর।

দেশের খ্যাতিমান শিক্ষাবিদ মনিরুজ্জামান মিঞা ১৯৩৫ সালে ভারতের মুর্শিদাবাদে জন্ম গ্রহণ করেন। পাঁচ ভাই-এক বোনের মধ্যে তিনি তৃতীয়। বাবা মোদ্দাছের হোসেন ছিলেন স্কুল শিক্ষক, মা আনোয়ারা খাতুন ছিলেন গৃহিণী। পরে তার পরিবার পাইনবাবগঞ্জ জেলায় স্থায়ী হয়। মনিরুজ্জামান মিঞা ব্যক্তিজীবনে চিরকুমার ছিলেন।

অধ্যাপক মনিরুজ্জামান কৃঞ্চ গোবিন্দ হাই স্কুল থেকে এসএসসি, রাজশাহী কলেজ থেকে বিএসসি পাস করে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে এমএসসি করেন। জগন্নাথ কলেজে শিক্ষকতা শুরু করেন। ১৯৬১ সালে উচ্চতর ডিগ্রীর জন্য প্যারিসে যান। ১৯৬৬ সালে প্যারিস থেকে ফিরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগে যোগদান করেন। ১৯৯০ সালের ২৪ মার্চ থেকে ১৯৯২ সালের ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের দায়িত্ব পালন করেন।

জাতীয় শিক্ষানীতি ২০০১ প্রণয়ন কমিটিতে মনিরুজ্জামান মিঞা চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। এটিকে মনিরুজ্জামান মিঞা শিক্ষানীতি বলা হয়। পরবর্তী সময়ে তিনি ইবাইস বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) কমিশনার ও সেনেগালের রাষ্ট্রদূতের দায়িত্ব পালন করেন।

মেয়র মান্নানের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা

গাজীপুর প্রতিনিধি: গাজীপুরের সিটি করপোরেশেনের বরখাস্তকৃত মেয়র অধ্যাপক এমএ মান্নানের বিরুদ্ধে ত্রাণ ও দরিদ্র তহবিলের প্রায় অর্ধ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে জয়দেবপুর থানায় মামলা করেছে দুদক।

দুদকের উপ-পরিচালক মো. সামসুল আলম বাদী হয়ে এ মামলাটি দায়ের করেন। এতে করপোরেশনের হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা মো. গোলাম কিবরিয়াকেও আসামি করা হয়েছে।

মামলার বিবরণ থেকে জানা যায়, মেয়র হিসাবে দায়িত্ব পালনকালে করপোরেশনের ত্রাণ ও দরিদ্র তহবিলে মোট ১ কোটি ৩ লাখ ৮ হাজার ১৩২ টাকা আয় দেখানো হয়। এর মধ্যে ৯০ লাখ ৪৭ হাজার ৮৪৬ টাকা খরচ দেখানো হয়। এই খরচের টাকার মধ্যে থেকে ৪৯ লাখ এক হাজার ৮৪৮ টাকা কোটি টাকা ভুয়া গ্রহীতা দেখিয়ে ৯৯৯টি সৃজিত ভাওচারের মাধ্যমে আত্মসাৎ করার প্রমাণ পায় দুদক। এর প্রেক্ষিতে অভিযোগে দুদকের অনুমোদন নিয়ে ফোজদারি কার্যবিধি ও ১৯৪৭ সালের দুদক আইনের ৫(২) ধারায় মামলাটি দায়ের করা হয়।

গাজীপুর পুলিশ সুপার  মো. হারুন অর রশিদ মামলা দায়েরের বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, প্রায় ৪৯ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে দুদকের দায়ের করা মামলাটি গ্রহণ করা হয়েছে। পরবর্তী আইনগত দিক দেখা হচ্ছে।

বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সভাপতি হতে পারবেন না এমপিরা : হাইকোর্ট

নিজস্ব প্রতিবেদক: সংসদ সদস্যরা বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি হতে পারবেন না বলে হাইকোর্টের দেওয়া রায় বহাল রেখেছেন আপিল বিভাগ। রবিবার সকালে প্রধান বিচারপতি এসকে সিনহার নেতৃত্বাধীন আপিল বেঞ্চ এই আদেশ দেন। এর আগে গত বুধবার এক রিট আবেদনের শুনানি শেষে বিচারপতি জিন্নাত আরা ও একেএম জহিরুল হকের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ উক্ত আদেশ দেন।

আদেশে বেসরকারি বিমান চলাচল ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী রাশেদ খান মেননকে সভাপতি করে রাজধানীর ভিকারুননিসা নুন স্কুলের গঠিত ম্যানেজিং কমিটি বাতিল ও অবৈধ ঘোষণা করা হয়।ওইদিন রিটকারী আইনজীবী ইউনুস আলী আকন্দ জানান, এখন থেকে নির্বাচনের মাধ্যমে পরিচালনা পরিষদ গঠনের আদেশ দিয়েছেন আদালত।

চলতি বছরের ১৬ জানুয়ারি বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পরিচালনা সংক্রান্ত গভর্নিং বডি প্রবিধানমালা ২০০৯ এর ধারা ৫ (সংসদ সদস্যদের সভাপতি থাকার বিধান), ধারা ৫০ (বিশেষ কমিটি গঠনের মাধ্যমে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পরিচালনা) ও ভিকারুননিসা নুন স্কুলের ম্যানেজিং কমিটির বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিট আবেদনটি করা হয়।

এই ধারা বাতিলের আগে প্রো-বিধানের ৫ ধারায় ক্ষমতা বলে স্থানীয় সংসদ সদস্য চারটি বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সভাপতি অধিষ্ঠিত হতে পারতেন।

মিতু হত্যা মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পরিবর্তন

চট্টগ্রাম প্রতিনিধি : চট্টগ্রামের পুলিশ সুপার বাবুল আক্তারের স্ত্রী মিতু হত্যা মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পরিবর্তন করা হয়েছে।হত্যাকাণ্ডের এক সপ্তাহ পেরিয়ে গেলেও মামলার উল্লেখযোগ সাফল্য দেখাতে না পারা এবং আসামি গ্রেপ্তার ও আদালতে সোপর্দ করা নিয়ে নানা সমালোচনার মুখে মামলার প্রথম তদন্ত কর্মকর্তা নগর গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক কাজি রকিব উদ্দিনকে পরিবর্তন করা হয়েছে। তার পরিবর্তে নতুন তদন্ত কর্মকর্তা নিয়োগ পেয়েছেন নগর গোয়েন্দা পুলিশের দক্ষিণ জোনের সহকারী কমিশনার মোহাম্মদ কামরুজ্জামান। শনিবার রাতে এই পরিবর্তন করেন নগর পুলিশ কমিশনার ইকবাল বাহার।

 

জানা গেছে, মিতু হত্যাকাণ্ডের পর নগরীর পাঁচলাইশ থানায় স্ত্রী হত্যায় মামলা দায়ের করেন পুলিশ সুপার বাবুল আক্তার। মামলা দায়েরের একদিন পরেই এই মামলাটি নগর গোয়েন্দা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়। মামলা তদন্তে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল নগর গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক কাজী রকিব উদ্দিনকে। তদন্ত কর্মকর্তা হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে আবু নসর গুন্নু নামে এক ব্যক্তিকে হাটহাজারীর ফরহাদাবাদ থেকে গ্রেপ্তার করেন। গুন্নুকে গত বৃহস্পতিবার আদালতে হাজির করার পর রিমান্ডের আবেদন করা হয়। কিন্তু সংশ্লিষ্ট কাগজপত্র উপস্থাপন করতে না পারায় রিমান্ড আবেদন মঞ্জুর করেনি আদালত। এতে সমালোচনার মুখে পড়েন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কাজি রকিব উদ্দিন। এ ছাড়া এই গ্রেপ্তার নিয়ে পুলিশ ৩০ লাখ টাকার বাণিজ্য করেছে বলে গুন্নুর পরিবারের পক্ষ থেকে সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করা হয়। এমন সমালোচনার মুখে আলোচিত এ মামলাটি নতুন করে তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে চট্টগ্রাম গোয়েন্দা বিভাগের দক্ষিণ জোনের সহকারী কমিশনার মো. কামরুজ্জামানকে।