৩০শে কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
১৫ই নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
Home Blog Page 212

বন্দরে ড্রেন ও রাস্তার দাবীতে বিক্ষোভ

স্টাফ রিপোর্টার: বন্দরের হরিপুর এলাকার নাজিরগঞ্জ মহল্লার নারী-পুরুষরা রাস্তা ও ড্রেনের দাবিতে ক্ষোভ প্রকাশ করেছে। বুধবার সকাল ১১ টায় তারা মহল্লায় বেরিয়ে এসে বিক্ষোভ করে।
মহল্লাবাসী জানান, নির্বাচনের আগে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন হরিপুরের নাজিরগঞ্জ মহল্লায় ড্রেন নির্মাণের জন্য মুরাদপুর প্যাকেজের সাথে ৩ কোটি ৮০ লাখ টাকা বরাদ্ধ দেয়। ড্রেন নির্মাণ ঠিকাদার হরীপুরে ৫শ’ মিটার ড্রেনের পরিবর্তে মাত্র ২শ’ মিটারের মতো ড্রেন নির্মাণ করে কাজ বন্ধ করে দেয়। নাজিরগঞ্জ মহল্লায় ড্রেন না থাকায় সামন্য বৃষ্টিতে এলাকাবাসী কৃতিম জলাবদ্ধতার শিকার হন। এ মহল্লাবাসী প্রধান রাস্তায় বের হওয়ার মতো কোন রাস্তা নেই। কেউ মারা গেলে লাশও বের করার রাস্তা নেই। ড্রেনটি নির্মাণ হলে পয়নিস্কাশনসহ মানুষের যাতায়তের রাস্তা হবে। বর্তমানে বাহাউদ্দিন ভূইয়ার বাড়ি হতে আমিনুল ভূইয়ার বাড়ির পাশ দিয়ে আবুল মিয়ার বাড়ি সংলগ্ন দিয়ে সোজা অক্ষনদী খাল পর্যন্ত ড্রেন নির্মাণ হলে এ মহল্লাবাসীর সমস্য সমাধান হবে বলে তারা দাবি করে। এ মহল্লার প্রায় ২ শতাধিক পরিবার রাস্তা ও ড্রেন না থাকায় মানবেতর জীবন যাপন করছেন। তাই তারা সিটি করপোরেশনের মেয়রের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন।
এ ব্যপারে ২৭ নং ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর সিরাজুল ইসলাম বলেন, নির্বাচনের আগেই এ মহল্লার ড্রেন নির্মাণের বরাদ্ধ সিটি করপোরেশন দেয়। বাহাউদ্দিন ভূইয়ার বাড়ি পর্যন্ত ড্রেন নির্মাণ হলে আমিনুল ও বজলুর রহমানের বাড়ির সীমানা নিয়ে বিরোধের কারণে কাজ এগোতে পারেনি।
এ ব্যপারে আমিনুল ইসলাম জানান, বাড়ির সীমানা বিরোধ মিটে গেলেও ড্রেন নির্মাণ ঠিকাদার জাকির কনস্ট্রাকশন কর্তৃপক্ষকে বার বার বললেও তারা কাজ ধরেনি। এ ব্যপারে বর্তমান কাউন্সিলর কামরুজ্জামান বাবুল জানান, আমার জানা মতে সিটি করপোরেশনের দেয়া বরাদ্ধ পর্যন্ত কাজ হয়েছে। নাজিরগঞ্জ মহল্লার ভিতর দিয়ে ড্রেন ও রাস্তা নির্মাণের প্রজেক্ট তৈরী করা হচ্ছে তা শিগ্রই জমা দেয়া হবে।

পরিবহন ধর্মঘটের ২য় দিনে ফতুল্লায় বিক্ষোভ

স্টাফ রিপোর্টার: পরিবহন শ্রমিকদের ধর্মঘটের দ্বিতীয় দিনে যানবাহন সংকটে পড়ে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে নারায়ণগঞ্জের স্কুল কলেজের শিক্ষার্থী, কর্মজীবি ও সাধারন যাত্রীদের। নারায়ণগঞ্জের চাষাড়া ডন চেম্বার মোড়, পঞ্চবটি, সাইনবোর্ড, ফতুল্লা ও পাগলা এলাকা সহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ন ষ্ট্যান্ডে গাড়ি না পেয়ে যাত্রীদের মালামাল নিয়ে বসে থাকতে দেখা গেছে।
চলচ্চিত্রকার তারেক মাসুদ ও মিশুক মুনীর সহ পাঁচজনের নিহতের ঘটনায় ঘাতক বাসচালক জামির হোসেনকে যাবজ্জীবন কারাদন্ডাদেশ বাতিলের দাবিতে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশন এই ধর্মঘট কর্মসূচির ঘোষণা দেন।  ঘোষণা অনুযায়ী গত মঙ্গলবার থেকে দেশের ১৭টি জেলায় একযোগে চলছে এ ভোগান্তির ধর্মঘট।
এদিকে ধর্মঘটের পাশাপাশি ফতুল্লার পঞ্চবটি এলাকায় সড়ক অবরোধ ও ট্রায়ারে আগুন জ্বালিয়ে বিক্ষোভ করে পরিবহন শ্রমিকরা। একই সাথে ইট ও পাথরসহ ট্রাক ও লড়ি দ্বারা সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করে। এসময় সাজা প্রাপ্ত বাস চালক  জামির হোসেনকে মুক্তির দাবী জানিয়ে বিভিন্ন শ্লোগাণ তুলে বিক্ষোভকারীরা।
বিক্ষোভের সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে বিক্ষোভকারীদের তোপের মুখে পরেন ফতুল্লা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামাল উদ্দিন। পরে তাদের বুঝিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়।
এদিকে বড় পরিবহন ও বাস চলাচল বন্ধ থাকার সুযোগ লুফে নিচ্ছেন সিএনজি, ইজি বাইক, রিক্সা ও চালকরা। তুলনা মূলক ভাবে যাত্রীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত হারে ভাড়া আদায় করছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, চাষাড়া মোড় এলাকায় ঢাকা গামী বাসের অপেক্ষায় দীর্ঘক্ষন বসে আছেন মাহমুদা নামে মধ্য বয়ষ্ক এক নারী। তাঁর বাবা রাজধানীর একটি হাসপাতালে ভর্তি। কিন্তু গাড়ির অভাবে হাসপাতালে ভর্তি অসুস্থ্য বৃদ্ধ বাবাকে দেখতে যেতে পাড়ছেন না। শেষ পর্যন্ত উপায় না পেয়ে অতিরিক্ত ভাড়া গুনে সিএনজি যোগে ঢাকার হাসপাতালের উদ্দেশ্যে রওয়ানা হলেন তিনি।

রূপগঞ্জে স্কুল শিক্ষিকাকে অপহরনের অভিযোগ

স্টাফ রিপোর্টার: নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে আমেনা আক্তার বিউটি (৩২) নামে এক স্কুল শিক্ষিকাকে অপহরন করা হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। মঙ্গলবার সকালে উপজেলার কাঞ্চন পৌরসভার কেন্দুয়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
অপহৃতের ভাই মঞ্জুরুল হক বাদল জানান, তার বোন আমেনা আক্তার বিউটি স্থানীয় ভারত চন্দ্র কিন্ডার গার্ডেনে শিক্ষকতা করেন। একই এলাকার সুমন চন্দ্র দাস দীর্ঘ ধরে আমেনা আক্তার বিউটিকে স্কুলে আসা যাওয়ার সময় প্রেমের কুপ্রস্তাব দিয়ে আসছিলো। সুমন চন্দ্র দাসের প্রস্তাবে রাজি না হলে আমেনা আক্তার বিউটিকে উঠিয়ে নিয়ে যাবে বলে ভয়ভীতি প্রদান করে আসছিলো। প্রতিদিনের ন্যায় আমেনা আক্তার বিউটি স্কুল থেকে বাসায় আসার পথে সুমন চন্দ্র দাস ও তার সহযোগী মিরার চন্দ্র দাস, খোকন চন্দ্র দাস, কাতির্ক চন্দ্র দাস অজ্ঞাত ৪/৫ জন তার বোন আমেনা আক্তার বিউটিকে একটি মাইক্রো বাসে করে অপহরন করে নিয়ে যায়। এ ব্যাপারে অভিযুক্তদের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তারা তাদের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ মিথ্যা বলে জানায়। এ ব্যাপারে রূপগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইসমাইল হোসেন জানান, এ ধরনের একটি অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত মোতাবেক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

রূপগঞ্জে এসএসসি পরীক্ষার্থীকে লাটিপেটা

স্টাফ রিপোর্টার: নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে জমি সংক্রান্ত বিরোধকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের লোকজন মাসুদ (১৮) নামে এক এসএসসি পরীক্ষার্থীকে লাঠিপেটা করে আহত করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। বুধবার সকালে উপজেলার মাঝিনা সুতিরপাড় এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
আহতের মা বাছিরুন বেগম জানান, একই এলাকার মনির হোসেনের সঙ্গে তাদের ধীর্ঘ দিন ধরে জমি সংক্রান্ত বিরোধ চলে আসছিলো। এর জের ধরেই মনির হোসেন, আলাউদ্দিন, লিয়াকত আলী, সজীব, সাইফুল, শফিকুলসহ অজ্ঞাত ৪/৫ জন দেশীয় অস্ত্র শস্ত্রে সজ্জিত হয়ে বাছিরুন বেগমের বাড়িতে প্রবেশ করে ঘর-বাড়ি ভাংচুর করে। ভাংচুরে বাঁধা প্রদান করতে আসলে প্রতিপক্ষের লোকজন মাসুদকে লাঠিপেটা করে আহত করে। এক পর্যায়ে কোদাল দিয়ে হত্যার চেষ্টা চালানো হয়। তাদের ডাক-চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে আসলে প্রতিপক্ষের লোকজন পালিয়ে যায়। এ ব্যাপারে রূপগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইসমাইল হোসেন জানান, এ ধরনের একটি অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত মোতাবেক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

‘জঙ্গিবাদের পথ থেকে ফিরলে পুনর্বাসন’-সংসদে প্রধানমন্ত্রী

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, জঙ্গি সদস্য যারা জঙ্গিবাদের পথ থেকে ফিরে আসবে তাদের আইনি সহায়তা প্রদান ও পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করা হবে।

বুধবার বিকেলে জাতীয় সংসদে প্রধানমন্ত্রীর জন্য নির্ধারিত প্রশ্নোত্তরে টেবিলে উত্থাপিত সরকার দলীয় সংসদ সদস্য কামাল আহমেদ মজুমদারের প্রশ্নের জবাবে তিনি একথা বলেন। এর আগে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে দিনের কার্যসূচি শুরু হয়।প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ। এদেশের মানুষ সাম্প্রদায়িকতা, জঙ্গিবাদকে ঘৃণা করে। দেশের সুষম উন্নয়ন ও নিরাপত্তার জন্য সন্ত্রাস, সাম্প্রদায়িকতা ও জঙ্গিবাদ হুমকি স্বরূপ। আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর জঙ্গিবাদ দমনে ‘জিরো টলারেন্স’ নীতির ভিত্তিতে কার্যকর পদক্ষেপ ও পরিকল্পনা গ্রহণ করে। এজন্য জঙ্গি দমনে সারা বিশ্বে বাংলাদেশ আজ রোল মডেল  হিসেবে বিবেচিত।’

জঙ্গিবাদ দমনে সরকারের গৃহীত বিভিন্ন পদক্ষেপ ও সাফল্যের কথা তুলে ধরে সংসদ নেতা বলেন, ‘জঙ্গি সংগঠনগুলোর অনলাইন ভিত্তিক প্রচারণার দিকে গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর নজরদারি আরো বৃদ্ধি করা হবে। জনগণের মধ্যে জঙ্গিবাদী মতাদর্শের র‌্যাডিক্যালাইজেশন যাতে না ঘটে সেজন্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এবং গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর মাধ্যমে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। সন্ত্রাসী ও জঙ্গি কর্মকাণ্ড তাৎক্ষণিকভাবে মোকাবেলার জন্য একটি যুগোপযোগী স্টান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিডিউর (এসওপি) তৈরির বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।’

প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, ‘পূর্বের সরকারের সময় মাদ্রাসা শিক্ষা ব্যবস্থা দীর্ঘদিন অবহেলিত ছিল। ফলে কর্মক্ষেত্রে তাদের নানাবিধ প্রতিবন্ধকতা ছিল। কিন্তু এখন তারা যাতে শিক্ষা শেষ করে কর্মক্ষেত্রে সম্মানের সাথে নিজেদের মেধাকে কাজে লাগাতে পারে সে দিকটিও সরকারের বিবেচনায় রয়েছে।’

সর্বস্তরের জনগণকে সাথে নিয়ে ঐক্যবদ্ধভাবে জঙ্গিবাদ ও উগ্র সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলা হবে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘ভবিষ্যতে যে সকল জঙ্গি সদস্য জঙ্গিবাদের পথ থেকে ফিরে আসবে তাদেরকে আইনি সহায়তা দেয়া হবে ও তাদের পুনর্বাসনের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।‌’

চাষাঢ়ায় ‘ইষ্টিশনের গপ্প’ ফাস্টফুডে সন্ত্রাসী তাঈম বাহিনীর তান্ডব

স্টাফ রিপোর্টার: চাষাঢ়া প্লাটফরর্মের রেলওয়ে সুপার মাকের্টে চারবন্ধুর প্রতিষ্ঠান ‘ইষ্টিশনের গপ্প’ ফাস্টফুডে চাঁদার দাবিতে হামলা চালিয়েছে সন্ত্রাসী তাঈম বাহিনী। গত মঙ্গলবার  ও বুধবার কয়েক দফায় সন্ত্রাসীরা প্রতিষ্ঠানটিতে হামলা চালিয়ে চার বন্ধুকে মারধর ও প্রাণ নাশের হুমকী দেয়। সন্ত্রাসীদের ভয়ে চার বন্ধু প্রাণের ভয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছে। এ ঘটনায় গতকাল বুধবার সন্ধ্যায় ফতুল্লা মডেল থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়েছে। অভিযোগ রয়েছে, সন্ত্রাসী তাঈম বাহিনী দীর্ঘদিন ধরে চাষাঢ়া রেলষ্টেশনে অবস্থান নিয়ে রেলে যাত্রীদের নানা ভাবে হয়রানী ও প্রতারনা করে আসছে। এই বাহিনী এলাকায় ছিনতাই ও মাদক ব্যবসার সাথে জড়িত রয়েছে বলে স্থানীয়দের অভিযোগ।
অভিযোগে জানাযায়, চাষাঢ়া রেষ্টশন এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে তাঈম, আপন,হৃদয়,রাসেল বাহিনী নানা ধরনের সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের সাথে জড়িত রয়েছে। এই বাহিনী ষ্টেশনে বিভিন্ন ধরনের মাদক বিক্রি ও সেবনসহ চাঁদাবাজী, ট্রেনের যাত্রীদের কাছ থেকে মোবাইল ছিনতাই ও বøাকমেইলিং করে টাকা হাতিয়ে নেয়াসহ বিভিন্ন ধরনের সন্ত্রাসী কর্মকান্ড করে আসছে। গত সোমবার সন্ত্রাসী তাঈম,হৃদয়, আপন,রাসেলসহ ১০/১২জন সন্ত্রাসী চাষাঢ়া রেলষ্টেশনে অবস্থিত ‘ইষ্টিশনের গপ্প’ ফাস্টফুডে গিয়ে চাঁদা দাবী করে। পরেরদিন মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ফাস্টফুডে গিয়ে আবারো চাঁদা দাবি করে নানা ধরনের হুমকী দিলে প্রতিষ্ঠানের মালিক প্রমিত ও মমিন এর প্রতিবাদ জানালে তাদের মারধর করে। এ সময় ফাস্টফুডের ক্রেতা রাসেলকেও মারধর করে চলে যায়। গতকাল বুধবার দুপুরে সন্ত্রাসী তাঈম বাহিনী পূনরায় চাষাঢ়া রেলষ্টেশনে গিয়ে প্রতিষ্ঠানের মালিকদের মারধর ও প্রাণ নাশের হুমকী দেয়। এসময় সন্ত্রাসীদের ভয়ে প্রতিষ্ঠানের মালিকরা পালিয়ে যায়।

ফতুল্লা দাবড়িয়ে বেড়াচ্ছে ৫০ সন্ত্রাসী !

বিভিন্ন কারনে অনেকে ছিটকে পড়লেও ফতুল্লায় থেমে নেই সন্ত্রাসী কর্মকান্ড। এলাকায় প্রভাব ও বিভিন্ন সেক্টর দখলে রাখতে ওরা ছুটছে বেপরোয়া গতিতে। মাঝে মধ্যে প্রশাসন নড়ে বসলেও তা গায়েই মাখে না চিহ্নিত সন্ত্রাসীরা। রাজনৈতিক দলের নেতা ও প্রভাবশালীদের ছত্রছায়ায় নির্বিগ্নে নানা অপকর্ম করে বেড়াচ্ছে ক্যাডাররা।
সমাজ বিশ্লেষকদের মতে, অপরাধ করেও পার পেয়ে যাওয়ায় বেপরোয়া হয়ে উঠছে সন্ত্রাসীরা। অন্য জেলার থানার সাথে সংযোগ থাকায় বহিরাগত সন্ত্রাসীরাও এখানে এসে আশ্রয় নেয়।
গত বছরের শেষ দিকে পাগলায় মাদক বিক্রেতা বিল্লাল হোসেনকে কুপিয়ে হত্যা করে মোক্তার ওরফে কিলার মোক্তার। ২২ ফেব্রুয়ারি রাতে ডিবি পুলিশের সাথে বন্ধুক যুদ্ধে সহযোগীসহ নিহত হলেও তার বাহিনীর অন্য সদস্যরা এখনো ধরা ছোঁয়ার বাইরে।
২০১৫ সালের ১৯ জানুয়ারি পশ্চিম মাসদাইরের সৈনিকলীগ নেতা মোকলেছকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে হত্যা একই এলাকার কথিত যুবলীগ নেতারা। এ ঘটনায় সিআইডি ১০জনকে দায়ী করে অভিযোগপত্র দেয়।
এরা হলো মিজান ওরফে বড় মিজান, জামান, জসীম, তুহিন, জুয়েল প্রধান, হাসেম, গাফফার, মন্টু , দেলু ও মাসুদ ওরফে মাসুম।
প্রধান আসামীসহ অধিকাংশ এখনো জামিনে থেকে নানা অপকর্ম করছে। এই দশজনের সবাই মাদক সেবন করে, কেউ কেউ মাদক বিক্রি করে।
কবরীর আমলে ফতুল্লায় সেচ্ছাসেবকলীগ নেতা শ্যুাটার সোহেল খুন হয় দলীয় আধিপত্যের কোন্দলে। এ মামলার আসামী কেউ কায়দা করে চার্জসিট থেকে রেহাই পেয়েছে। আবার কারো নাম থাকলেও তারা বীরদর্পে এলাকা চষে বেড়াচ্ছে।

বিশ্লেষকদের অনেকের মতে, খুন করার পর ছাড় পেয়ে গেলে অপরাধী আরো বেপরোয়া হয়ে উঠে। যা আমাদের সমাজে অহরহ ঘটছে। সমাজ থেকে অপরাধ প্রবণতা নিয়ন্ত্রণে আনতে সকল অপরাধীদের দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তি কার্যকর করতে হবে। যাতে তারা পূনরায় অপরাধ কর্মকান্ডে জড়াতে সাহস না পায়।
বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, ‘৯৬ আমলে ফতুল্লায় প্রকাশ্যে গোলাগুলি করতো সৈয়দ মাসুদ ওরফে টুন্ডা মাসুদ। এখন টুন্ডা সে ছ্যাচড়া, চেয়ে চিন্তে খায়।
অন্যদিকে একসময়ের যুবদল ক্যাডার পিস্তল মিঠু খ্যাত তুষার আহমেদ মিঠু এখন লেবাস পাল্টে একটি স্কুল কমিটির সাথে জড়িত রয়েছে। তবে এখনো ফতুল্লা দাবড়ে বেড়ায় অনেক ভয়ংকর সন্ত্রাসী।
এ ছাড়াও ভূমি দস্যুতা, তেল চোর, ডাকাতি, ছিনতাই, ভাড়াটে খুনী ও মাদক বিক্রেতাদের অভয়স্থলে পরিণত হয়েছে ফতুল্লা।
এদের মধ্যে ফতুল্লার ফরহাদ, বাঘা আরিফ, পোস্টঅফিস সরদার পাড়া এলাকার ইয়াছিন, যুবদল ক্যাডার মুসলিম, দাপা এলাকার ডাকাত সেন্টু কাজী, জাকির, ডাকাত শহীদ, সেচ্ছাসেবকলীগ সভাপতি লিটনের ভাই মাসুম, রেলস্টেশন ব্যাংক কলোনী এলাকার পলাতক খেলাফত, ফেলা, বর্তমানে জেলে থাকা দিন ইসলাম ও লিপু, মাথা ফাটা জসীম, আলীগঞ্জের ডাকাত ফারুক, কিলার মতি, ইবু, পাগলা শাহী মহল্লার মীর হোসেন মীরু, ভাগনে শাকিল, লাঁলখার ডাকাত রতন, সাহাবুদ্দিন, তল্লা এলাকার আলী (মাস্টার দেলুর ভায়রা ), উত্তর মাসদাইর গাবতলীর নাডা শাহিন, রফিক, মাসদাইর এলাকার আব্দুল, আলী, স্বপন, ছোট মিজান, জহির, নাডা ফারুক, নাদিম, পশ্চিম দেওভোগের পোড়া মামুন, শাসনগাঁওয়ের ফেন্সী রাসেল, মিন্টু, রুবেল, এনায়েতনগরের রহমান, সুমন, কাশিপুরের ইকবাল শেখ, খোকা মেম্বার, নরসিংপুরের গেসু হাজী, তার ছেলে শামীম ও ইয়াবা জামান, আরিফ, আওলাদ, মাসুদ, ভোলাইলের সুরুজ মিয়া ও সুমন সহ তাদের সহযোগিরা স্ব স্ব এলাকায় বিভিন্ন অপকর্ম করে বেড়াচ্ছে বলে অভিযোগ রয়েছে।
অনেকের নামে থানায় একাধিক মামলা রয়েছে। কেউ কেউ নানা লেবাস ধরে সমাজে ভদ্রলোকের মুখোশ পড়ে আছে। আর এই মুখোশধারীদের আশ্রয় প্রশ্রয় দিচ্ছে আরো বড় লেবাসধারীরা। যাদের মধ্যে রাজনৈতিক দলের প্রভাশালী নেতা, ব্যবসায়ী নেতা, শ্রমিক নেতাও রয়েছে।
তবে প্রশাসনের কতিপয় সদস্যরাও সন্ত্রাসীদের সাথে আতাঁত করে বলে অভিযোগ রয়েছে।
এদিকে থানা কমিউনিটি পুলিশিং সমন্বয় কমিটির এক শীর্ষ নেতা নাম গোপন রাখার শর্তে জানান, ফতুল্লা থানায় প্রতি রোজায় ইফতার পার্টির আয়োজনে নিমন্ত্রণ পায় তেল চোর ও সন্ত্রাসীরা। তাদেরকে অগ্রাধিকার দেয়া হয় বলে ক্ষুব্দ কন্ঠে জানান তিনি। সময় নারায়ণগঞ্জ

নারায়ণগঞ্জের কাচঁপুরে সিনহা গ্রুপের পোশাক কারখানায় আগুন

নারায়ণগঞ্জের কাঁচপুরে সিনাহ গ্রুপের একটি পোশাক কারখানায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করেছে ফায়ার সার্ভিসের ছয়টি ইউনিট।

সোমবার সকাল সাতটার দিকে সিনাহ গ্রুপের ওই পোশাক কারখানার ১২ তলায় আগুনের সূত্রপাত হয়। ফায়ার সার্ভিস সদর দফতরের ডিউটি অফিসার মাহমুদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

অগ্নিকাণ্ডের ব্যাপকতা ও ক্ষয়-ক্ষতির পরিমাণ সম্বন্ধে প্রতিবেদনটি লেখা পর্যন্ত কোন তথ্য নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

হাসপাতালের অনিয়মের তথ্য সংগ্রহ করতে গিয়ে ৭ সাংবাদিক কারাগারে

তানিয়া আক্তার(ছদ্মনাম) নামের মহিলার বাড়ি মিজমিজি কান্দাপাড়ায়। তিন মাস আগে সাইনবোর্ড এলাকার ফ্যামিলি ল্যাব নামে হসপিটালে এসেছিলেন চিকিৎসার জন্য। সন্তান সম্ভববা এ নারীকে প্রথমে সিজারের কথা বলে ১৪ হাজার টাকা ও পরে পর্যায়ক্রমে ২৫ হাজার টাকা নিয়ে হাসপাতালের কর্তৃপক্ষের নাকানি চুবানী দিয়ে হাসপাতাল থেকে বের করে দেয়।
এমনি ভাবে শুধু তানিয়াই নয় আরো ডজন খানেক মহিলার সাথে হাসপাতালটির প্রতারণার অভিযোগ উঠলে সেই তথ্যের সত্যতা জানতে সাংবাদিকের একটি টিম হাসপাতালে গেলে কোন কথা না বলেই হাসপাতালের ডিরেক্টর বেলাল হোসেন পুলিশকে খবর দিয়ে চাঁদাবাজির অভিযোগ এনে তাদের যড়যন্ত্রমূলক চাঁদাবাজি দিয়ে থানায় পুরে দেয়।
সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ওসি সরাফত উল্লাহও আনন্দের সাথে বাদিকে চা বিস্কিট খেয়ে মামলা নিয়ে নেন কোন প্রকার তদন্ত ছাড়াই। এতে থানায় আগত প্রায় ৩০-৪০জন সাংবাদিকের কোন কথারও কর্নপাত করেন নি তিনি।
গ্রেফতারকৃত সাংবাদিকরা হলেন, দৈনিক ভোরের সময়ের স্টাফ রিপোর্টার নুরূজ্জামান কাউসার, সাপ্তাহিক অপরাধ বিচিত্রার নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি সাইফুল্লাহ মো: খালিদ রাসেল, দৈনিক দেশ কাল পত্রিকার সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টার শাহাদাৎ হোসেন ভুইয়া, দৈনিক বর্তমান এর সিদ্ধিরগঞ্জ প্রতিনিধি আব্দুল হালিম নিশান, দৈনিক রুদ্রবার্তার সিদ্ধিরগঞ্জ প্রতিনিধি ফারুক হোসেন, দৈনিক দিন কালের ডেমরা প্রতিনিধি ও ডেমরা প্রেস ক্লাবের সভাপতি এম আই ফারুক, মানবাধিকার কর্মী আব্দুস সাত্তার।
এদিকে সাংবাদিকদের সাথে এ ধরনের আচরণে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন নারায়ণগঞ্জের সাংবাদিক সমাজ। নারায়ণগঞ্জ প্রেস ক্লাবের নেতা ও বিটিভির নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি মাহফুজুর রহমান বলেন এ ঘটনা অত্যন্ত ন্যক্কার জনক। যারা অহেতুক সাংবাদিকদের হয়রানী করে উদ্দেশ্য প্রণীত ভাবে মামলা দিয়েছে তারা কখনোই সত্যকে আড়াল করতে পারবেনা।
বেসরকারী টেলিভিশন আরটিভির নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি শাহাদাত হোসেন বলেন, সাংবাদিকরা সমাজের সকল খবর তুলে নিয়ে আসে। অসংকোচ প্রকাশে যারা দুরন্ত সাহস নিয়ে সমাজের অন্ধকার ঘুচাতে কাজ করে তারাই হলো সাংবাদিক। সাংবাদিকদের যারা উদ্দেশ্য প্রনীত ভাবে মামলা দিয়েছে তারা কখনোই স্বার্থক হতে পারবেনা বলেও হুশিয়ারী দিয়েছেন তিনি।

 

ফতুল্লার কুতুবপুরে সন্ত্রাসী কিলার মোক্তার অধ্যায়ের অবসান হলেও অধরা তার গডফাদাররা

স্টাফ রিপোর্টারঃ রহস্যজনক নিখোঁজ ফতুল্লার কুতুবপুরের এক সময়ের আতঙ্ক কিলার সজল বাবুর্চির অন্যতম সহযোদ্ধা ছিল গত বুধবার সন্ধ্যায় ডিবি পুলিশের সাথে বন্দুক যুদ্ধে নিহত কিলার মোক্তার। ফতুল্লার এক শ্রমিক নেতার হাত ধরে উত্থান হলেও পরবর্তীতে তোফাজ্জলের ঘনিষ্ঠজন হয়ে ওঠা মোক্তার তোফাজ্জল নিহতের পর সজল বাবুর্চির সাথে সখ্যতা গড়ে তুলে কুতুবপুর, কদমতলী ও সিদ্ধিরগঞ্জে একের পর সন্ত্রাসী কর্মকান্ড করেছে এমন অভিযোগ কুতুবপুরের সাধারন মানুষের। কুতুবপুরের স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা মীরুকে হত্যার উদ্দেশ্যে যে ক’জন কিলার সন্ত্রাসী মিশনে অংশ নিয়ছিল তাদের মধ্যে নিহত কিলার মোক্তার অন্যতম। কিলার মোক্তারের সাথে স্থানীয় এক প্রভাবশালী যুবলীগ নেতারও সখ্যতা রয়েছে। এই নেতার ছত্রছায়া থেকে দিনে দিনে বেপরোয়া হয়ে ওঠে সন্ত্রাসী কিলার মোক্তার ও তার সহযোগী মানিক। সূত্র বলছে, কিলার মোক্তারের সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের পেছনে এখানে শেষ নয়, কিলার মোক্তারের অর্থের যোগানদাতাদের মধ্যে রয়েছে সাইনবোর্ড এলাকর অপর মূর্তিয়মান আতঙ্ক সন্ত্রাসী সুরুজ বেপারী ও মাতুয়াইলের শামীম। সুরুজ বেপরী মোক্তারকে অর্থ ও অস্ত্র দিয়ে সহযোগীতা করতো। সুরুজ বেপারীর হয়ে বেশ কিছু সন্ত্রাসী কর্মকান্ডে অংশ নিতে দেখা গেছে কিলার মোক্তারকে। অভিযোগ উঠেছে, সম্প্রতি কুতুবপুরের এক যুবলীগ নেতাকে হত্যার মিশনে নেমেছিল নিহত কিলার মোক্তার ও তার বাহিনী। ওই যুবলীগ নেতা অল্পের জন্য রক্ষা পেলেও ডিবি পুলিশের হাত থেকে রক্ষা পায়নি কিলার মোক্তার ও তার সহযোগী মানিক। স্থানীয়দেও মতে, ফতুল্লা মডেল থানা পুলিশ যা পারেনি, ডিবি পুলিশ তা করে দেখিয়েছে। তবে থানা পুলিশের একাধিক টিম কিলার মোক্তারকে গ্রেফতাওে বার বার চেষ্টা চালিয়েছে বলে থানার একাধিক পুলিশ কর্মকর্তার সাথে আলাপকালে জানাগেছে। তবে কুতুবপুরবাসীর দাবি, কিলার মোক্তারের যারা গডফাদার এবং আরো যারা সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের সাথে সম্পৃক্ত তাদের আইনের আওতায় আনা হোক। এ ব্যাপারে পুলিশ ও র‌্যাব সদস্যদের অভিযান অব্যাহত রাখার দাবি জানিয়েছে তারা। স্থানীয় সূত্রে জানাগেছে, সন্ত্রাসী কিলার মোক্তার শাহী বাজার আমতলা এলাকার যুবলীগের কথিত নেতা খোকন, সাইবোর্ড এলাকার সুরুজ বেপারী ও মাতুয়াইলের শামীমের ছত্রছায়া থেকে দীর্ঘদিন ধরে কুতুবপুর জুড়ে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছে। হত্যা, ছিনতাই, মাদক ব্যবসার নিয়ন্ত্রণে ব্যবহার হয়েছে কিলার মোক্তার। তোফাজ্জলের মৃত্যুর পর কিলার মোক্তার ভোল পাল্টে সজল বাবুর্চির সাথে সখ্যতা গড়ে তুলে আলোচনায় উঠে আসে। এর আগে বিএনপির বেশ ক’জন নেতার সাথে সখ্যতা ছিল মোক্তারের। তবে বিএনপি ক্ষমতায় না আসায় মোক্তার আওয়ামী লীগের নেতাদেও সাথে ফেল সখ্যতা গড়ে তুলে কুতুবপুরে ফিরে এসে সজল বাবুর্চির দলে ভিরে যায়। এর পর থেকে বেপরোয়া হয়ে ওঠে সন্ত্রাসী কিলার মোক্তার ও তার বাহিনী। স্থানীয়দের অভিযোগ, কিলার মোক্তার কোন দলের না হলেও যখন যে দল ক্ষমতায় আসে তখন সে দলের ক্যাডার হিসেবে ব্যহৃত হয়েছে। একাধিক সন্ত্রাসী কর্মকান্ডে সামনের সাড়িতে থেকে অংশ নিয়ে আলোচনায় উঠে আসে কিলার মোক্তার। যাদের হাত ধরে তার সন্ত্রাসী হয়ে ওঠা এক সময় তাদের জন্যই কাল হয়ে দাড়াঁয় এই সন্ত্রাসী। অনুসন্ধানে জানাগেছে, কুতুবপুরের জমি দখল, মাদক ব্যবসা, লিংক রোডে ছিনতাই কাজে ব্যবহার হয়েছে সন্ত্রাসী কিলার মোক্তার। আর এসব অপকর্ম করতে গিয়ে মোক্তারের হাতে প্রাণ হারিয়েছে অনেক নিরহ মানুষ। সম্প্রতি সাইন বোর্ড এলাকার সুরুজ বেপারী, আমতলার খোকন, ও মাতুয়াইলের শামীমের শেল্টারে থেকেই পুরো কুতুবপুর জুড়ে ত্রাসের রাজত্ব কায়ে করেছিল মোক্তার। স্বেচ্ছা সেবকলীগ নেতা মীরুকে হত্যার চেষ্টার সাথে মোক্তার জড়িত ছিল বলে অভিযোগ রয়েছে। হত্যার চেষ্টা করেছে স্থানীয় অপর এক যুবলীগ নেতাকে। তবে নিলার মোক্তারের গডফাদারদেও আইনের আওতায় আনা গেলে মোক্তারের অস্ত্রের সন্ধান পাওয়া যাবে বলে মনে করছেন কুতুবপুরের বাসিন্দারা।