২৩শে কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
৮ই নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
Home Blog Page 225

৭ খুন মামলা : আসামিদের রশিতে ঝুলিয়ে ফাঁসির আবেদন

নারায়ণগঞ্জের সাত খুনের মামলায় সব আসামিকে রশিতে ঝুলিয়ে ফাঁসির আবেদন করেছে রাষ্ট্রপক্ষ। সোমবার নারায়ণগঞ্জ জেলার দায়রা জজ সৈয়দ এনায়েত হোসেনের আদালতে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে রাষ্ট্রপক্ষ এ আবেদন জানিয়েছে।

সোমবার আদালতের কার্যক্রম সকাল সাড়ে নয়টা থেকে দুপুর ১২টা ৫৫ মিনিট পর্যন্ত চলে। রাষ্ট্রপক্ষের যুক্তিতর্ক শেষে ১৫ জন আসামির আইনজীবীরাও তাঁদের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করেছেন। বাকি ২০ আসামির পক্ষে যুক্তিতর্কের জন্য আগামীকাল মঙ্গলবার দিন ধার্য করেছেন আদালত।

আদালতের যুক্তিতর্ক স্থাপন শেষে এক সংবাদ সম্মেলনে রাষ্ট্রপক্ষে সরকারি কৌঁসুলি ওয়াজেদ আলী খোকন বলেন, সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১২টা ৭ মিনিট পর্যন্ত তিনি যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করেন। ঘটনার পরিকল্পনা, বাস্তবায়নসহ এ ঘটনার প্রতিটি ধাপে আসামিদের সম্পৃক্ততা তিনি প্রমাণ করতে পেরেছেন। তাই বাংলাদেশের প্রচলিত আইন অনুযায়ী, রশিতে ঝুলিয়ে তাঁদের ফাঁসি দাবি করেছেন।

ওয়াজেদ আলী বলেন, চার্জ গঠন থেকে শুরু করে আজ ছিল মামলার ৩৪তম কার্যদিবস। এ মামলার ২১ আসামি এবং ২০ সাক্ষী ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন। রাষ্ট্রপক্ষ মামলার পক্ষে ১৬৪ জন সাক্ষী উপস্থাপন করেছে, যার মধ্যে ৬০ জন প্রত্যক্ষদর্শী সাক্ষী।

বৈঠকে সাড়া দেননি শামীম-আনোয়ার

নারায়ণগঞ্জের সিটি করপোরেশন (নাসিক) নির্বাচন নিয়ে ৫ জনের বৈঠকে সাড়া দেয়নি শামীম ওসমান ও আনোয়ার হোসেন। দুজনই টেলিফোনে এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

সোমবার নাসিক নির্বাচেনে আইভীর পক্ষে কাজ করার জন্যেই সেলিনা হায়াৎ আইভী, শামীম ওসমান, আনোয়ার হোসেনসহ ৫ জনকে নিয়ে এ বৈঠকের ডাক দিয়েছিলেন দলের সাধারণ সম্পাদক ওরায়দুল কাদের।

কিন্তু সেই বৈঠকে যোগ দিচ্ছেন না নারায়ণগঞ্জ সদরের সংসদ সদস্য শামীম ওসমান ও মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি আনোয়ার হোসেন।

বৈঠকে না যাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে শামীম ওসমান জানান, আমি ধানমণ্ডি কার্যালয়ে যাচ্ছি না। দলের সাধারণ সম্পাদকের ডাকা বৈঠকে কেনো যাচ্ছেন না এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি। তবে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে থাকবেন কিনা এ বিষয়ে এখনো সিদ্ধান্ত নেননি বলেও জানিয়েছেন তিনি।

অপর দিকে, নারায়ণগঞ্জ মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি আনোয়ার হোসেন টেলিফোনে জানান, আমি ব্যক্তিগত কাজে ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জের বাইরে আছি। আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর রাজনৈতিক কার্যালয়ে যাওয়ার কথা থাকলেও সেখানে আজ যেতে পারছি না। তবে তিনি বলেছেন, মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে উপস্থিত থাকার চেষ্টা করবো।

উল্লেখ্য, নাসিক নির্বাচনে আওয়ামী লীগের বিবাদ মেটানোর জন্য দলের কেন্দ্র থেকে ৫ নেতার সঙ্গে সোমবার সন্ধ্যায় দলের সাধারণ সম্পাদক বৈঠক ডেকেছিলেন।

সন্ধ্যা ৭টায় বৈঠক শুরুর কথা থাকলেও বৈঠক শুরু হয়নি। এমনকি নারায়ণগঞ্জ থেকে কোনো নেতাও বৈঠকে যোগ দিতে আসেননি। তবে ওবায়দুল কাদের কিছুক্ষণ অপেক্ষার পর ধানমণ্ডি কার্যালয় থেকে বেরিয়ে যান।

নাসিক নির্বাচনে ৫ম দিনে ২২৭ প্রার্থীর মনোনয়ন সংগ্রহ

নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের তফসিল ঘোষনার ৫ দিন পর্যন্ত মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছে ২ জন আর মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন ২২৭ জনপ্রার্থী।

এর মধ্যে মেয়র পদে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন ৬ জন, সাধারণ ওয়ার্ডে ১৮৫ জন ও সংরক্ষিত ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে ৩৬ জন প্রার্থী।

সোমবার (২১ নভেম্বর) মনোনয়ন পত্র সংগ্রহের ৫ম দিন পর্যন্ত সর্বমোট ২২৭ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র গ্রহন করেছেন বলে জানান রিটার্নিং কর্মকর্তা মো: নুরুজ্জামান তালুকদার।

প্রসঙ্গত, আগামী ২৪ নভেম্বর মনোয়নয়ন জমার শেষ দিন, ২৬ ও ২৭ নভেম্বর মনোনয়নপত্র বাছাই, ৪ ডিসেম্বর মনোনয়ন প্রত্যাহার, ৫ ডিসেম্বর প্রতীক বরাদ্দ এবং আগামী ২২ ডিসেম্বর নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।

নাসিক নির্বাচনের মনোনয়নপত্র বিতরণ শুরু

আসন্ন নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন (নাসিক) নির্বাচনের মনোনয়নপত্র বিতরণ শুরু হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৭ নভেম্বর)সকাল ১০টা হতে জেলা প্রশাসকের কার্যালয় সংলগ্ন জেলা নির্বাচন কর্মকর্তারা কার্যালয় (রিটার্নিং অফিসার) থেকে মনোনয়ন পত্র বিতরণ শুরু হয়। এদিন দুপুর ১টা পর্যন্ত কয়েকজন কাউন্সিলর প্রার্থীকে মনোনয়ন পত্র সংগ্রহ করতে দেখা গেছে।

নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা গেছে, মনোনয়নপত্রের জন্য কোন টাকা না লাগলেও প্রতিটি ওয়ার্ডের ছবি ছাড়া ভোটার তালিকার সিডি সংগ্রহের জন্য ইচ্ছুক প্রার্থীদেরকে সোনালী ব্যাংকে ট্রেজারী চালানের কোড নং ১-০৬০১-০০১-২৬৩১ মাধ্যমে ৫০০ টাকা জমাদান পূর্বক মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করতে হবে।

সে হিসেবে একজন মেয়র প্রার্থীকে ১৩ হাজার ৫০০ টাকা, একজন নারী কাউন্সিলর প্রার্থীকে ১ হাজার ৫০০ টাকা ও একজন সাধারণ কাউন্সিলর প্রার্থীকে ৫০০ টাকা ট্রেজারী চালানে সোনালী ব্যাংকে জমা দিতে হবে। এছাড়া প্রতিজন মেয়র প্রার্থীকে জামানতের জন্য ২০ হাজার টাকা, প্রতিজন নারী কাউন্সিলর প্রার্থীকে ১০ হাজার টাকা জমা দিতে হবে।

সাধারণ কাউন্সিলর প্রার্থীদের ক্ষেত্রে যেসকল ওয়ার্ডের ভোটার সংখ্যা ১৫ হাজারের নিচে তাদের ক্ষেত্রে জামানত ১০ হাজার টাকা। যেসকল ওয়ার্ডে ভোটারসংখ্যা ১৫ হাজার থেকে ৩০ হাজারের মধ্যে তাদের ক্ষেত্রে জামানত ২০ হাজার টাকা এবং যেসকল ওয়ার্ডে ভোটারসংখ্যা ৩০ হাজারের উপরে তাদের ক্ষেত্রে জামানত ৩০ হাজার টাকা জমা দিতে হবে। আগ্রহী প্রার্থীরা ট্রেজারী চালানের মাধ্যমে জামানত জমা দিবেন।

নির্বাচনের সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. তারিফুজ্জামান জানান, জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সংলগ্ন জেলা নির্বাচন কর্মকর্তারা কার্যালয় থেকে জেলা রিটার্নিং অফিসারের কার্যক্রম চলবে। এর আগে ২০১১ সালে আমাদের নিজস্ব কোন অফিস ছিলনা বিধায় চাষাঢ়া ডাক বাংলোতে রিটার্নিং অফিসারের কার্যক্রম হয়েছিল। কিন্তু এবছর আমাদের নির্দেশনা রয়েছে আমাদের সার্ভার স্টেশন যেখানে রয়েছে সেখান থেকেই নির্বাচনী কার্যক্রম পরিচালনা করার। তবে ২৪ নভেম্বর মনোনয়নপত্র জমা দানের শেষ দিন নারায়ণগঞ্জ ক্লাব লিমিটেডের কমিউনিটি সেন্টারে মনোনয়নপত্র জমা নেয়া হতে পারে।

নির্বাচনের ভোট হবে ২২ ডিসেম্বর। ২৪ নভেম্বর মনোনয়ন পত্র দাখিলের শেষ তারিখ। যাচাই বাছাই ২৬ ও ২৭ নভেম্বর। ৪ ডিসেম্বর হলো মনোনয়ন পত্র প্রত্যাহারের শেষ তারিখ।
নারায়ণগঞ্জে সিটি করপোরেশন হিসেবে যাত্রা শুরুর পর এটি দ্বিতীয় ভোট। তবে দলীয় প্রতীকে ভোট হবে এবারই প্রথম।

খালেদা জিয়ার গ্রেফতারি পরোয়ানা কালো অধ্যায়ে লিপিবদ্ধ থাকবে : রিজভী আহমেদ

বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পারোয়ানা, আওয়ামী লীগ শাসন আমলের সমাপ্তি হলে কালো অধ্যায় হিসেবে লিপিবদ্ধ থাকবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদ ।

বৃহস্পতিবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে আওয়ামী পার্টি (ন্যাপ ভাসানী) আয়োজিত মওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানীর ৪০তম শাহাদাতবার্ষিকী উপলক্ষে এক আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে তিনি এ অভিযোগ করেন।

রুহুল কবির রিজভী বলেন, রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে সর্বোচ্চ পর্যায়ের নির্দেশেই এই মামলায় গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে। আদালত নিরপেক্ষ থাকলে এ ধরনের মামলায় কখনো গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হতো না।

তিনি বলেন, সরকার দেশকে জঙ্গিবাদী দেশে পরিণত করতে চেষ্টা করছে। আমরা এক অদ্ভুত দেশে বসবাস করছি। যে কোনো ধর্মীয় অনুষ্ঠানেও শাসকগোষ্ঠী রক্ত চক্ষু দিয়ে ভয় দেখিয়ে তাদের ইচ্ছা মতো চালাচ্ছে। ইসলাম আর জঙ্গিবাদকে তারা একাকার করে দিয়েছে।

আয়োজক সংগঠনের চেয়ারম্যান মো. আজহারুল ইসলামের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরো বক্তব্য রাখেন- লেবার পার্টির চেয়ারম্যান ডা. মোস্তাফিজুর রহমান ইরান, এনপিপির চেয়ারম্যান ফরিদুজ্জামান ফরহাদ, কৃষক দলের যুগ্ম-সাধারণ শাজাহান মিয়া সম্রাট প্রমুখ।

নাসিকে প্রার্থীতা বাছাইয়ে বিএনপির চেয়ে আওয়ামী লীগ এগিয়ে

নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের নির্বাচন নিয়ে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ ও বিএনপির শীর্ষ নেতাদের তৎপরতা শুরু হয়েছে। উভয় দলের নেতারাই দলীয় প্রধানের সিদ্ধান্তের দিকে তাকিয়ে রয়েছে। এছাড়া আওয়ামী লীগ ও বিএনপির দলীয় প্রার্থী কে হবে এ নিয়ে চলছে আলোচনা-পর্যালোচনা। ইতোমধ্যে আওয়ামী লীগ সার্কিট হাউজে বর্ধিত সভা করে তিনজনের নাম চূড়ান্ত করেছে। যেখানে বর্তমান মেয়র আইভীর নাম নেই। অন্যদিকে,বিএনপি নিজ দলের কাকে প্রার্থী করবেন এ নিয়ে তৎপর হয়ে উঠেছেন। তবে বিএনপির মনোনিত প্রার্থী কে হবেন তা পুরোপুরি নির্ভর করছে খালেদা জিয়ার উপর। তিনি যাকে মনোনিত করবে দল তার পক্ষেই কাজ করবে বলে বিএনপির ঘনিষ্ঠ সূত্রগুলো নিশ্চিত করেছে। তবে বিএনপি ও আওয়ামী লীগের প্রার্থী কে হচ্ছে তা জানতে আরো ক’দিন অপেক্ষায় থাকতে হচ্ছে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির নেতাকর্মীদের। তবে এবারের নির্বাচনে আওয়ামী লীগে চমক থাতবে বলে মনে করছেন নগরবাসী। অন্যদিকে জেলা বিএনপির সভাপতি এড. তৈমুর আলম খন্দকার বিএনপিতে সম্ভাব্য প্রার্থী হচ্ছে বলে বিএনপির একাধিক সূত্র জানিয়েছে। বিএনপির ঘনিষ্ঠ একটি সূত্রে জানাগেছে, বিগত নির্বাচনে তৈমুর আলম দলীয় সিদ্ধান্তকে গুরুত্ব দেয়ায় এবং বিনা বাধায় নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোয় বিএনপি চাচ্ছে তৈমুর আলমই এবার প্রার্থী হোক। সূত্রমতে, নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের কাউন ডাউন শুরু হয়েছে গত সোমবার থেকে। তফসিল ঘোষণার পর থেকে নির্বাচনী আমেজ বিরাজ করছে নারায়ণগঞ্জে। রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীদের পাশাপাশি সাধারন মানুষের মধ্যেও এবারের নির্বাচন নিয়ে আগ্রহ লক্ষ্য করা গেছে। শহরের বিভিন্ন এলঅকায় চলছে নির্বাচন নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা। চায়ের দোকানগুলোতে নির্বাচন নিয়ে আলোচনার ঝড় বইছে। এদিকে, নির্বাচনী তফসিল ঘোষণার পর আওয়ামী লীগ সাকির্ট হাউজে বর্ধিত সভা ডেকে আওয়ামী লীগের সম্ভাব্য প্রার্থীর নাম চূড়ান্ত করেছে। এই নামের মধ্যে রয়েছে মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি আনোয়ার হোসেন, সিদ্ধিরগঞ্জ থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি মজিবুর রহমান ও বন্দর থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুর রশিদ। মেয়র আইভী নাম না থাকায় অনেকে বিস্ময় প্রকাশ করেছে। তবে আওয়ামী লীগে মেয়র প্রার্থীতা নিয়ে চমক থাকবে বলে মনে করছেন অনেকে। অন্যদিকে, আওয়ামী লীগ ও বিএনপি মেয়র প্রার্থীদের নিয়ে ব্যস্ত সময় কাটালেও উভয় দলের শীর্ষ নেতারাই দলীয় প্রধানের সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় রয়েছে। আওয়ামী লীগের সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বর্তমানে বিদেশে অবস্থান করছেন। খালেদা জিয়া দেশে থাকলেও তিনি এখনো দলীয় প্রার্থীও ব্যাপাওে কোন কথা বলবেন না। তিনি আওয়ামী লীগের প্রার্থী দেখেই সিদ্ধান্ত নিবেন কে হবে বিএনপির প্রার্থী। আর জন্য আগামী শুক্রবার পর্যন্ত অপেক্ষায় থাকছে হবে বিএনপিকে । অন্যদিকে আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনা আজ দেশে আসলে আওয়ামী লীগের নীতিনির্ধারনী ফোরামের সাথে বসে আলোচনার মাধ্যমে প্রার্থী চূড়ান্ত করবেন। তবে তার জন্যও আওয়ামী লীগকে আরো দু’দিন অপেক্ষায় থাকতে হচ্ছে। এর আগেই আওয়ামী লীগ ও বিএনপি নির্বাচনী মাঠে তৎপরতা শুরু করেছে। নির্বাচনী তৎপরতায় আওয়ামী লীগ ও বিএনপির পাশাপাশি সাধারন মানুষের মধ্যেও নির্বাচনী আমেজ চড়িয়ে পরেছে। পাড়া মহল্লাগুলোও এই নির্বাচনী আজেম ছড়িয়ে পরেছে। শুধু নাসিকেই নয় নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের নির্বাচনের দিকে তাকিয়ে রয়েছে গোটা দেশ। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, রাজনৈতিক দিক দিয়ে নারায়ণগঞ্জ বরাবরই আলোচনায় থাকে। প্রাচ্যেরডান্ডি খ্যাত নারায়ণগঞ্জ রাজনীতির সুতিকাঘার হিসেবে পরিচিতি লাভ করায় নারায়ণগঞ্জ নিয়ে রাজনীতিক, ব্যবসায়ীদের মধ্যে মধ্যে আগ্রহ বেশী। আর এবারের নির্বাচনের ক্ষেত্রে তার ব্যত্যয় ঘটবে না বলে মনে করছেন তারা।

শীতলক্ষ্যা নদীতে ব্রীজ হচ্ছে না

শীতলক্ষ্য নদীতে ব্রীজ হচ্ছে, হবে এ নিয়ে ভোটের রাজনীতি হয়েছে অনেক। বিগত চার দলীয় জোট সরকারের সময়ে শীতলক্ষ্যা সেতুর ভিত্তিপ্রস্তর স্থানপনও করেছিলেন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া। নির্বাচন আসলে এই সেতুকে কেন্দ্র করে ভোটের রাজনীতি করে থাকেন অনেকে। সদর-বন্দরের ভোট পেতেই জনপ্রতিনিধিরা এই সেতু নিয়ে রাজনীতি করে থাকে। তবে শেষ পর্যন্ত শীতলক্ষ্যা নদীতে ব্রীজ হচ্ছে না বলে আভাস দিয়েছে সরকারের একটি সংস্থা। তবে নারায়ণগঞ্জ সদর-বন্দরের মধ্যে সেতু বন্ধনের জন্য বিকল্প চিন্তা করছে সরকার। নদীর তলদেশ দিয়ে ক্যানেল নির্মাণের উদ্যোগ নেয়া হবে বলে ওই সংস্থাটি নিশ্চিত করেছে। তবে তা কবে নাগাদ হচ্ছে তা নিশ্চিত করে কিছু জানাযায়নি। তবে হতাশার কিছু নেই। বর্তমান সরকারের সময়ে সদর-বন্দরের সেতু বন্ধনে কাজ শুরু হবে বিভিন্ন সূত্রে জানাগেছে। শীতলক্ষ্যা সেতু সদর-বন্দরবাসীর দীর্ঘদিনের প্রত্যাশা থাকলেও কোন সরকারের সময়ে এই প্রত্যাশা পূরনে সক্ষম হয়নি। এই নদীতে ব্রীজ কিংবা ক্যানেল নির্মাণ না হওয়ায় পর্যন্ত সদর-বন্দরবাসীর মধ্যে সব সময়ই এ নিয়ে হতাশা থেকেই যাচ্ছে। তবে এই হতাশা কাটাতে দ্রæত পদক্ষেপ নেয়া প্রয়োজন বলে মনে করছেন সচেতন মহল। সূত্রমতে, নির্বাচন আসে এবং চলেও যায়। সরকার বদল হয়েছে একাধিক বার। কিন্তু সদর-বন্দরের মানুষের যাতায়াতের জন্য শীতলক্ষ্য নদীতে দ্বিতীয় সেতু আর হয়নি। এই সেতু নিয়ো ভোরটের রাজনীতি করেছে সরতারের শীর্ষ মহল থেকে শুরু করে স্থানীয় অনেক জনপ্রতিনিধি। নির্বাচন আসলেই শীতলক্ষ্যা নদীর সেতুকে ইস্যু করে ভোটারদের দৃষ্টি আকর্ষনের চেষ্টা করা হয়। এই সেতু তৈরীর করা হবে এমন প্রতিশ্রæতি দিয়ে মানুষকে আকৃষ্ট করার চেষ্টা করে থাকে রাজনীতিকরা। নির্বাচনের পর কেউ কথা রাখেনা। আর এ ভাবেই সরকার বদলের পাশাপাশি বদলে যায় এই নদীতে দ্বিতীয় সেতু নির্মাণের সিদ্ধান্ত। প্রয়াত সাংসদ নাসিম ওসমান এই নদীতে সেতু করার স্বপ্ন দেখেন। সেতু নির্মাণে অনেক চেষ্টাও করেন, কিন্তু তার আগেই তিনি মারাযায়। এছাড়া বিগত চারদলীয় জোট সরকারের শেষ সময়ে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া নারায়ণগঞ্জে এসে শীতলক্ষ্যা নদীতে সেতু নির্মাণে ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন এবং বিএনপির প্রার্থী এড.কালামকে আবারো নির্বাচিত করার আহবান জানান। নির্বাচনে চার দলীয় জোট সরকারের ভরাডুবি ঘটলে শীতলক্ষ্যা সেতু নির্মাণ কাজ থমকে দাঁড়ায়। সদর-বন্দরের বর্তমান সাংসদ সেলিম ওসমান শীতলক্ষ্যা সেতু নির্মাণের জন্য সরকারের কাছে বারবার অনুরোধ করে আসছেন। সেতু হচ্ছে হবে বলে নানা জল্পনা-কল্পনা শুরু হয়। এই সেতু নিয়ে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের মেয়র ডা: সেলিনা হায়াত আইভীও প্রতিশ্রæতি দিয়েছিলেন। আর এ ভাবে রাজনৈতি দলের শীর্ষ নেতা থেকে শুরু করে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের আশ্বাসে বন্দরবাসী আশায় বুক বাঁধলেও তা বরাবরই অপূরনীয় থেকে যাচ্ছে। বন্দরবাসী প্রশ্ন আর কতোদিন অপেক্ষায় থাকলে শীতলক্ষ্যা সেতু হবে কবে? তবে সব প্রশ্ন এবং জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে বেড়িয়ে এসেছে থলের বিড়াল। শেষতক এই ব্রীজ আর হচ্ছে না। নদী বন্দরের কথা মাথায় রেখেই এই নদীর নবীগঞ্জ কিংবা মদনগঞ্জ দিয়ে আর সেতু হচ্ছে না। এই এলাকাগুলোতে বড় ধরনের জাহাজ এবং উদ্ধারকারী জাহাজের ঘাঁটি হওয়ায় এসব এলাকায় সেতু করার সম্ভব হচ্ছ না। তবে বিকল্প চিন্তা করছে সরকারের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। এ ক্ষেত্রে নদীর তলদেশ দিয়ে ক্যানেলের মাধ্যমে সদর-বন্দরবাসীর মধ্যে সেতুবন্ধন স্থাপনের চিন্তা করছে সরকার।

৬ ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি মামলা

বরগুনায় বাস কাউন্টারে চাঁদাবাজির ঘটনায় জেলা ছাত্রলীগের প্রথমসারির ৬ নেতাকে আসামি করে বরগুনা থানায় একটি মামলা হয়েছে। এ ঘটনায় আরো ৪ জনকে বহিষ্কার করা হয়েছে।

চাঁদা না দেয়ায় বরগুনা জেলা কৃষক অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক একে আজাদ বাবলুর উপর হামলা চালিয়েছে জেলা ছাত্রলীগের বখাটে সন্ত্রাসীরা।

সোমবার রাত ৮টার দিকে শহরের চরকলোনী এলাকার তাজবিন হোটেলের নীচতলায় গোল্ডেন লাইন বাস কাউন্টারে এ ঘটনা ঘটে।

গুরুতর আহত অবস্থায় একে আজাদ বাবলুকে প্রথমে বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হলে উন্নত চিকিৎসার জন্যে তাকে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।

এ ঘটনায় আহত একে আজাদ বাবলুর পিতা মুক্তিযোদ্ধা মো. দারুল ইসলাম মাস্টার বাদী হয়ে সোমবার রাতেই বরগুনা থানায় একটি মামলা (নং ২০/১৫-১১-১৬) দায়ের করেন।

মামলার বিবরণী সূত্রে জানা গেছে, জেলা ছাত্রলীগ নেতা মেহেদি হাসান, মঞ্জুরুল ইসলাম রাজিব এবং বেলাল হোসেন সুজন ও তাদের সহযোগীরা প্রায়ই কৃষক নেতা একে আজাদ বাবলুর ব্যবসায়ীক প্রতিষ্ঠানে চাদা দাবি করে আসছিলো।

সর্বশেষ সোমবার রাত ৮টার দিকে জেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মেহেদি হাসান, সহসভাপতি মঞ্জুরুল ইসলাম রাজিব, সাংগঠনিক সম্পাদক বেলাল হোসেন সুজন ও রেজোয়ানুল ইসলাম বাবু, সাহিত্য সম্পাদক রম্নহুল আমিন এবং তাদের সহযোগী নোমানসহ ১৫-১৬ জনের একটি দল কৃষক অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক একে আজাদ বাবলুর ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান গোল্ডেন লাইন বাস কাউন্টারে এসে ৫০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করে।

এ সময় চাঁদা দিতে অস্বীকার করায় ধারাল অস্ত্র দিয়ে একে আজাদ বাবলুর উপর হামলা চালায় এবং ভাঙচুর করে। এতে একে আজাদ বাবলুর মাথায় গুরুতর জখম হয়। হামলার সময় একটি স্বর্ণের চেইন, ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান গোল্ডেন লাইনের ক্যাশ কাউন্টার থেকে নগদ অর্থ এবং একটি মোবাইল ছিনিয়ে নেয় হামলাকারীরা।

এ বিষয়ে জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি জোবায়ের আদনান অনিক দাবি করেন, ‘উভয় পক্ষের তর্কবিতর্কের কারণে নিজেদের মধ্যে একটা ভুল বোঝাবুঝি হয়েছিল। আলোচনার মধ্য দিয়ে তা মিমাংসা করা হবে।’

বরগুনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রিয়াজ হোসেন জানান, এ ঘটনায় ছয়জনকে এজাহারভুক্ত এবং আট-দশজনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করে পেনাল কোড ১৪৩/৪৪৮/৩৮৫/৩২৩/৩২৬/৩০৭/৩৭৯/৩৮০/৪২৭/৫০৬ ধারায় একটি মামলা রেকর্ড করা হয়েছে। আসামিদের গ্রেপ্তারে সচেষ্ট রয়েছে পুলিশ।

উৎসব মুখোর হচ্ছে নাসিক নির্বাচন

দীর্ঘদিন ধরে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের নির্বাচন নিয়ে আলোচনা-পর্যালোচনা চলছে। নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থীকে হবেন আর বিএনপি থেকে কে মনোনয়ন পাবেন এ নিয়ে চলছে নানা জল্পনা-কল্পনা। মেয়র প্রার্থীদের পাশাপাশি প্রচারনায় ব্যস্ত রয়েছে সম্ভাব্য কাউন্সিলর প্রার্থীরাও। প্রায় প্রতিদিনই নাসিককের ২৭টি ওয়ার্ডে কাউন্সিলর প্রার্থীরা তাদের নির্বাচনী প্রচারনা চালিয়ে যাচ্ছে। নানা কৌশল অবলম্ভন করে অংশ নিচ্ছে নির্বাচনী কাজে। তবে বিএনপি নাসিক নির্বাচন নিয়ে অনেকটা রহস্যজনক নিবরতা পালন করলেও ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগে মেয়র প্রার্থী নিয়ে জোর প্রচারনা শুরু হয়েছে আরো কয়েক মাস আগে থেকেই। আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা মেয়র প্রার্থী নিয়ে দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে প্রচারনায় অংশ নিচ্ছে। আসন্ন নাসিক নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ণ কে পাচ্ছে এ নিয়েও দলীয় কর্মী ও রাজনৈতিক বোদ্ধাদের মধ্যে চলছে নানা বিশ্লেষন। ইতোমধ্যে নাসিক নির্বাচন নিয়ে আওয়ামী লীগের দুইগ্রæপই নিজ নিজ সমর্থিত মেয়র প্রার্থী ডা: সেলিনা হায়াত আইভী ও মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি আনোয়ার হোসেনের পক্ষে নির্বাচনী প্রচারনা অব্যাহত রেখেছে। নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের নির্বাচনের তফসিল আগামী সপ্তাহে ঘোষণা হতে পারে বলে ধারনা করা হচ্ছে। আর তফসিল ঘোষণার পরই সব জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি থেকে কে হচ্ছে দলীয় প্রার্থী তা জানাযাবে। রাজনৈতিক বোদ্ধা মহলের মতে, বিগত নাসিক নির্বাচনের চেয়ে এবারের নির্বাচনী প্রচারনা ও আলোচনা সব চেয়ে বেশী হওয়ায় নাসিকের ভোটার ও সাধারন মানুষের মধ্যে আগ্রহ বৃদ্ধি পেয়েছে। আর এ কারণে এবারের নির্বাচন হবে অনেকটা উৎসব মুখোর পরিবেশে হবে। সূত্রমতে, দিন যতো সামনের দিকে অগ্রসর হচ্ছে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের নির্বাচন নিয়ে ততোই আগ্রহ বাড়ছে সাধারন মানুষের মধ্যে। নির্বাচন নিয়ে শুরু হয়েছে নানা জল্পনা-কল্পনা। নাসিকের প্রার্থী হতে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি থেকে একাধিক ব্যাক্তি নাম শোনা যাচ্ছে। বিএনপি থেকে তেমন কোন জোরালো আলোচনা না শোনা গেলেও নাসিক নির্বাচন নিয়ে আওয়ামী লীগে সব চেয়ে বেশী আলোচনা-পর্যালোচনা হচ্ছে। আওয়ামী লীগ থেকে কেবল মাত্র মেয়র আইভী ও আনোয়ার হোসেনের নাম আলোচিত হচ্ছে। আসন্ন নাসিক নির্বাচনে কে হবেন আওয়ামী লীগের মনোনিত প্রার্থী এ নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই আলোচনা চলছে। বিভিন্ন সভা-সমাবেশ করে মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি আনোয়ার হোসেনকে নাসিক নির্বানে মেয়র প্রার্থী হিসেবে সমর্থন দিলেও এ দিক দিয়ে মেয়র আইভী অনেকটা নিরবতা পালন করছেন। তবে মেয়র আইভীর কর্মী সমর্থকরা মাঝে মধ্যে মেয়রের পক্ষে প্রচারনা অংশ নিয়ে থাকেন। অন্যদিকে, মেয়র প্রার্থীদের পাশাপাশি জমে উঠেছে নাসিককের সম্ভাব্য কাউন্সিলর প্রার্থীদের নির্বাচনী প্রচারনা। ওয়ার্ড ভিত্তিক এলাকাগুলোতে প্রার্থীরা প্রায় প্রতিদিনই প্রচারনায় অংশ নিচ্ছে। শহরের বাইরের ওয়ার্ডগুলোর পাশাপাশি শহরের বিভিন্ন ওয়ার্ডে প্রার্থী ও তাদের কর্মী সমর্থকরা নানা ভাবে প্রচারনায় অংশ নিচ্ছে। শহরের ১৮ নং ওয়ার্ডে কামরুল হাসান মুন্না, কবির হোসেন, আলহাজ্ব মাকসুদুর রহমান জাবেদ প্রায় প্রতিদিইন নির্বাচনী প্রচারনায় অংশ নিচ্ছে। এই ওয়ার্ডটিতে নির্বাচনী উৎসব শুরু হয়েছে বলে মনে করছেন স্থানীয়রা। ১৪ নং ওয়ার্ডে প্যানেল মেয়র মনিরুজ্জামান মনির, সাবেক কাউন্সিলর শফিউদ্দিন প্রধান, ময়না, বিন্নির কর্মী সমর্থকরা প্রতিদিনই নবর্িাচনী প্রচারনা অব্যাহত রেখেছে। ১৬ নং ওয়ার্ডে প্যানেল মেয়র হাজী ওবায়েদ উল্লাহ, ১৭ নং ওয়ার্ডে আব্দুল করিম বাবু, ওলি ও বর্তমান কাউন্সিলর আলমগীরের কর্মী সমর্থকরা নির্বাচনী প্রচারনায় অংশ নিচ্ছে। আর এভাবে ধীরে ধীরে জমে উঠেছে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের নির্বাচন। রাজনৈতিক বোদ্ধ মহলের মতে, এবারের নির্বাচন হবে সব চেয়ে বেশী উৎসব মুখোর।

নাসিক নির্বাচন ২২ ডিসেম্বর

নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের (নাসিক) নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে আগামী ২২ ডিসেম্বর।সোমবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ের নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের মিডিয়া সেন্টারে এ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী রকিবউদ্দিন আহমদ। নির্বাচনে মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ সময় আগামী ৪ ডিসেম্বর।