২১শে আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
৬ই অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
Home Blog Page 179

চলতি বছরেই নবীগঞ্জে সেতু নির্মাণে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত দিবেন সেতুমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ  নারায়ণগঞ্জ ও বন্দরের মধ্যে যোগাযোগ ব্যবস্থা সহজতর করতে নবীগঞ্জ খেয়াঘাট দিয়ে আরো একটি সেতু নির্মাণের ব্যাপারে চলতি বছরেই চুড়ান্ত সিদ্ধান্ত দেওয়া হবে বলে স্থানীয় সংসদ সদস্যকে আশ্বস্ত করেছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। অপরদিকে সেতু নির্মাণ না হওয়া পর্যন্ত বন্দর সেন্ট্রাল খেয়াঘাট ও নবীগঞ্জ খেয়াঘাট দিয়ে ফেরী সার্ভিসের মাধ্যমে যানবাহন ও সাধারণ যাত্রীদের নিরাপদে পারাপারের ব্যবস্থা করা হবে জানিয়েছেন নৌ-পরিবহন মন্ত্রী শাহাজাহান খাঁন।
রোববার ২৯ অক্টোবর সকালে ঢাকায় বাংলাদেশ সচিবালয়ের যোগাযোগ মন্ত্রনালয় ও নৌ-পরিবহন মন্ত্রনালয়ের স্ব স্ব কার্যালয় কক্ষে নারায়ণগঞ্জের সাধারণ মানুষের চাহিদা ও দাবী নিয়ে মন্ত্রীদের সাথে আলোচনায় নারায়ণঘঞ্জ-৫ আসনের সংসদ সদস্য সেলিম ওসমানকে মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের ও শাহজাহান খাঁন এ আশ্বাস দেন।
মন্ত্রীদের সাথে আলোচনায় এমপি সেলিম ওসমান তার নির্বাচনী এলাকার আওতাধীন বন্দর থানা এলাকা থেকে প্রতিদিন শহরে আসা লাখো মানুষের নদী পারাপারে দুর্ভোগের কথা তুলে ধরেন। সেই সাথে সাধারণ মানুষের চাহিদার কথা উল্লেখ করে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের কাছে নবীগঞ্জ খেয়াঘাট দিয়ে আরো একটি পূর্ণাঙ্গ সেতু নির্মাণের ব্যাপারে ইতোপূর্বে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে তার দেওয়া ডিও লেটারের বিষয়টি স্মরণ করিয়ে দিয়ে জোর দাবী রাখেন।
পরিপ্রেক্ষিতে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের চলতি বছরেই নবীগঞ্জ খেয়াঘাট দিয়ে সেতু নির্মাণের ব্যাপারে তাদের চুড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানানো হবে বলে এমপি সেলিম ওসমানকে আশ্বস্ত করেন। এছাড়াও আগামী মাসের যে কোন দিন তিনি সরেজমিনে নবীগঞ্জ খেয়াঘাট ও বন্দর সেন্ট্রাল খেয়াঘাট পরিদর্শনে আসার কথা উল্লেখ করেন। একই দিন এমপি সেলিম ওসমানের আমন্ত্রনে বন্দর এলাকায় তার ব্যক্তিগত তহবিল থেকে নির্মিত স্কুল গুলোর মধ্য থেকে মুছাপুর ইউনিয়নে শামসুজ্জোহা এমবি ইউনিয়ন উচ্চ বিদ্যালয়, মদনপুর ইউনিয়নে নাগিনা জোহা উচ্চ বিদ্যালয় ও ধামগড় ইউনিয়নে শেখ জামাল উচ্চ বিদ্যালয়টি আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করার ব্যাপারে মত দেন।
অপরিদকে সেলিম ওসমান নবীগঞ্জ খেয়াঘাট দিয়ে সেতু নির্মাণ না হওয়া পর্যন্ত সাধারণ যাত্রীদের নিরাপদে নদী পারাপার নিশ্চিত করতে বন্দর সেন্ট্রাল ও নবীগঞ্জ খেয়াঘাট দুটি দিয়ে অচীরেই ফেরী সার্ভিস চালু করার জন্য নৌ-পরিবহন শাহজাহান খাঁনের কাছে জোর দাবী রাখেন। পরিপ্রেক্ষিতে নৌ-মন্ত্রী নবীগঞ্জ ও বন্দর খেয়াঘাট দিয়ে যত দ্রæত সম্ভব ফেরী সার্ভিস চালু করার ব্যাপারে দ্রæত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের প্রতিশ্রæতি প্রদান করেন।
এ সময় সেলিম ওসমানের সাথে ছিলেন বিকেএমইএ এর প্রথম সহ-সভাপতি মনসুর আহম্মেদ, দ্বিতীয় সহ-সভাপতি ফজলে শামীম এহ্সান।
শীতলক্ষ্যা নদীতে নবীগঞ্জ দিয়ে আরো একটি সেতুর ব্যাপারে সেলিম ওসমান সাংবাদিকদের বলেন, ইতোমধ্যে আমি সিটি করপোরেশনের মেয়র ডাক্তার সেলিনা হায়াৎ আইভীর সাথে আলোচনা করে একমত হয়েছি যে জনগনের সুবিধার্থে এ ব্রিজটি অত্যন্ত প্রয়োজনীয় এবং গুরুত্বপূর্ণ। এছাড়াও নারায়ণগঞ্জ শহরের ভেতরের অপরিকল্পিতভাবে শিল্প কারখানা ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠার কারনে নগরীতে অসহনীয় যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে। আমরা সেই সকল শিল্প ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের মালিকদের সাথে আলোচনা করবো। আমাদের বন্দরে মদনগঞ্জে শান্তিরচরে অর্থনৈতিক অঞ্চল (প্রস্তাবিত নীটপল্লী) নির্মাণের কাজ দ্রæত এগিয়ে চলেছে। সৈয়দপুর-মদনগঞ্জ দিয়ে শীতলক্ষ্যা সেতু-৩ সম্পন্ন হলে ফতুল্লা, সিদ্ধিরগঞ্জ, নারায়ণগঞ্জ, বন্দর ও সোনারগাঁও থানা এলাকা জুড়ে বিশাল শিল্পজোন তৈরি হবে যা কিনা সরাসরি চট্রগ্রামের সাথে সম্পৃক্ত হবে। শীতলক্ষ্যা সেতু-৩ একদিকে যেমন ঢাকার উপর চাপ কমাবে তেমনি নারায়ণগঞ্জের যানজট অনেকাংশে কমে যাবে বলে আমি মনে করি। নীটপল্লীর কাজ দ্রæত গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে এবং বন্দর ও সোনারগাঁও এলাকায় অনেক অনাবাদী জমি অরক্ষিত অবস্থায় রয়েছে সেই গুলোতে পরিকল্পিতভাবে শিল্পায়ন করা হবে এবং সেটা ব্যক্তি উদ্যোগেও সম্ভব বলে আমি মনে করি। আর এসব কিছু বাস্তবায়নে সব থেকে বেশি প্রয়োজন নারায়ণগঞ্জের সর্বস্তরের সাধারণ মানুষ সহ সকল রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দদের সহযোগীতা। সকলের আন্তরিক সহযোগীতা আগামী ১ বছরের মধ্যে নারায়ণগঞ্জকে একটি পরিকল্পিত নগরী গড়ে তোলা সম্ভব বলে আমি বিশ্বাস করি। এর মধ্য দিয়েই প্রাচ্যেরডান্ডি নারায়ণগঞ্জ নগরী পুনরুজ্জীবিত হবে।

ফতুল্লার অলিগলিতে ছড়িয়ে পরেছে মাদক 

স্টাফ রিপোর্টারঃ ফতুল্লার দাপা এলাকায় এখনো চলছে জমজমাট মাদক ব্যবসা প্রশাসনের সাড়াঁশি অভিযান কিছু মাদক ব্যবসায়ী কারাগারে, আবার কেউ মাদক ব্যবসা ছেড়ে কর্মজীবনের মাধ্যমে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে গেলেও এ ব্যবসা থেমে নেই। বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করে অভিনব কায়দায় চালিয়ে যাচ্ছে এ ব্যবসা। এছাড়া বেশ কিছু মাদক ব্যবসমা পুলিশের গ্রেফতার এড়াতে আত্মগোপনে থাকলেও মাদক ব্যবসায় নতুন করে বেশ কিছু যুবক যুক্ত হয়েছে বলেও বিভিন্ন সূত্রে জানাগেছে। তবে বর্তমানে প্রশাসনের নানামুখী তৎপরতায় সাধারন মানুষ স্বস্তি প্রকাশ করলে রাজনৈতিক দলের ছত্রছায়ায় এখনো ভিন্ন কৌশলে নারায়ণগঞ্জের মাদক ব্যবসা অব্যাহত রয়েছে বলে অনুসন্ধানে জানাগেছে। তবে জেলা পুলিশ প্রধান মঈনুল হকের দাবি, মাদক ব্যবসা নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। এছাড়া মাদক ব্যবসায়ী যেই হোক কাউকে ছাড় দেয়া হবে না।

স্থানীয়দের অভিযোগ, পাইলট স্কুলের পশ্চিম পাশে লিটন চৌধুরী ওরুফে সাইকেল ও তার ছেলে রিফাতের মাদক ব্যবসা চলছে দীর্ঘদিন ধরে। রিফাত নিজেকে থানা পুলিশের সোর্স দাবী করে মাদক ব্যবসা করছে বলে স্থানীয়দের অভিযোগ। পাইলট স্কুলের পূর্ব পাশে চন্দ্র বাড়ীতে এখন চলছে মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রন অধিদপ্তর এর সোর্স পরিচয় দিয়ে ফজলার ছেলে পান্নার মাদক ব্যবসা। এছাড়া খোঁজপাড়া এলাকায় করিম ড্রাইভারের পোলা নয়ন ও স্বপন আজগরের হাসান, রওশন আলী, কমুর ছেলে আহসান উল্ল্যাহ্, লাদেন হারুন, হযরতের ভাতিজি জামাই জসিম ওরফে বরিশাইল্ল্যা জসিম, এছাক হাজীর ছেলে সবুজ বরিশাইল্ল্যা কালামের পোলা সোহেল। রেল ষ্টেশন, বটতলা এলাকায় মাদক ব্যবসা চলছে শুভ ওরফে ইয়াবা শুভ, হানিফ, সোলেমান ওরফে মাইচ্ছ্যা সোলেমানের মাধ্যমে, রেল ষ্টেশনের কলাবাগান, ব্যাংক কলোনী, জোড়পুল এলাকায় হেরোইন, গাজাঁ, চরস ও ইয়াবার ব্যবসা পরিচালিত হচ্ছে মাদক সম্রাঞ্জী পারভীন, তার দেবর শাহীন ওরফে ডাকাত শাহীন গ্রæপের মাধ্যমে। রিফুজিপাড়া এলাকায় মুন্না ওরফে বুইট্যা মুন্না, শুভ ওরফে ইয়াবা শুভ, মাসুদ ওরফে গাল কাটা মাসুদ, খাঁ বাড়ীর রাসেল, রিফাত, হানিফ,আহসান, রায়হান ওরফে ভাগিনা রায়হান, রিয়াদ, ফারুক, দেলু ওরফে ভাগিনা দেলু ও রওশন আলীর মতো মাদক ব্যবসায়ীদের নিয়ন্ত্রনে চলছে এখন দাপা এলাকার মাদকের ব্যবসা।

অপদিকে, পিলকুনী,ব্যাংক কলোনী এলাকায় হিটলারের ভাই জনি, বাবু, ডাকাত তুজুর নেতৃত্বে বিশাল একটি সিন্ডিকেট দীর্ঘদিন ধরে ব্ল্যাক মেইলিং, মাদক ব্যবসা, দেহ ব্যবসা পরিচালনা করে আসছে। ডাকাত তুজু, জাহাঙ্গীর, খোকনের বিরুদ্ধে গত কিছুদিন আগে সমির চক্রবর্তী নামে এক ব্যবসায়ী ফতুল্লা মডেল থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের হলেও এখনো এই বাহিনী বহাল তবিয়তে রয়েছে।

জেলা পুলিশ সুপার মঈনূল হক বলেন, মাদক নির্মূলে প্রশাসনের অভিযান অব্যাহত রয়েছে, অনেক মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, মাদক উদ্ধার করা হয়েছে, অনেক মাদক ব্যবসায়ীকে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দেওয়া হয়েছে, মাদক ব্যবসায়ীরা যতোই প্রভাবশালী হোক তাদের আইনের আওতায় আনা হবে।

ফতুল্লা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কামাল উদ্দিন জানান, মাদক বিরোধী অভিযান অব্যাহত রয়েছে। আগের তুলনায় ফতুল্লায় মাদকের তৎপরতা কমে গেছে। তবে মাদক ব্যবসায়ীদের সাথে আমাদের কোন আপোষ নেই।

মুসলিমনগরে ক্যাবল ব্যাবসায়ীর উপর হামলা

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লার মুসলিম নগরে সন্ত্রাসীদের হামলায় আহত হয়েছেন এক ক্যাবল লাইন ব্যবসায়ী। আহত ব্যবসায়ীর নাম আওলাদ হোসেন। তিনি এনায়েতনগর ইউনিয়নের মুসলিমনগর এলাকার মৃত: কালু মাদবরের ছেলে। ঘটনাটি গত ১৮ অক্টোর মুসলিমনগর এলাকার দেলু মিয়ার বাড়ির সামনে। এ ঘটনায় ফতুল্লা মডেল থানায় আওলাদ হোসেন নিজে বাদী হয়ে সন্ত্রাসীীদের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। জানাযায়, প্রায় ২০ বছর ধরে মুসলিমনগর এলাকায় ক্যাবল লাইনের ব্যবসা করে আসছেন আওলাদ হোসেন। এ.এস.সি ক্যাবল টিভি নেটওয়ার্ক নামে প্রতিষ্ঠানটি দীর্ঘদিন ধরে সরকারী সনদ (লাইসেন্স) ও ভ্যাট-ট্যাক্স পরিশোধ করে ব্যবসা পরিচালনা করে আসছেন আওলাদ হোসেন। গত দুই বছর পূর্বে বিটিআরসি থেকে লাইসেন্স নিয়ে ক্যাবল টিভির পাশাপাশি এলাকায় ইন্টারনেট সংযোগের ব্যাবসাও শুরু করেন আওলাদ হোসেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশ- ঘরে ঘরে ইন্টারনেট সেবা পৌঁছে দেয়ার লক্ষ্যে তিনি কয়েক লাখ টাকা খরচ করে ইন্টারনেট সংযোগের লাইসেন্স সংগ্রহ করেন। এরপর মোটা অংকের পুঁজি খাটিয়ে ইন্টারনেট লাইন সম্প্রসারন শুরু করেন। কিন্তু কয়েক বছর পূর্ব থেকে একই এলাকার আজিম উদ্দিন মাদবরের সন্ত্রাসী পুত্রদ্বয় সোহেল, সেলিম, শাসনগাঁও এলাকার আলমাস মিয়ার ছেলে আহম্মদ, ফজলুল হকের ছেলে সোহেল ও ফজলু মিয়ার ছেলে আনিস দেওয়ান ঐক্যবদ্ধ হয়ে আওলাদ হোসেনের ডিসের ও ইন্টারনেটের ক্যাবল রাতের আঁধারে কাটতে শুরু করে। গ্রাহক সেবায় বিঘœ ঘটাতেই এ অপতৎপড়তা শুরু করে সন্ত্রাসীরা। এ নিয়ে বেশ কয়েকবার থানায় অভিযোগও করা হয়েছিল। ফতুল্লা মডেল থানার তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আকতার হোসেন তাদের থানায় ডেকে এনে বিষয়টি মিমাংসা করে দিয়েছিলেন।
আহত আওলাদ হোসেন তার অভিযোগে বলেন, ‘সম্প্রতি এ সন্ত্রাসীরা আবারো বেপরোয়া হয়ে উঠে। চলতি মাসের তৃতীয় সপ্তাহে তারা এক সন্ধ্যায় মুসলিমনগর এলাকার দেলু মিয়ার বাড়ির সামনে এসে আমার ডিস লাইনের প্রায় ৭০০ মিটার ক্যাবল ও চারটি মেশিন খুলে নিয়ে যাচ্ছিল। এমন খবর পাওয়ার সাথে সাথে আমার অফিসের ম্যানেজার মামুন ঘটনাস্থলে গিয়ে তাদের বাঁধা প্রদান করলে সন্ত্রাসীরা তাকে বেধরক পিটিয়ে মারাত্বকভাবে আহত করে। এ ঘটনা শুনে আমি নিজে মামুনকে উদ্ধার করতে গেলে সন্ত্রাসীরা আমাকেও লাঠি ও হকি ষ্টিক দিয়ে পেটাতে থাকে। তাদের হামলা থেকে আমি নিজেও রক্ষা পাইনি। এলাকার লোকজন এসে আমাকে উদ্ধার করে নারায়ণগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে ভর্তি করেছিল সেদিন।’
বর্তমানে এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। সন্ত্রাসীরা যে কোনো সময় আবারো তার ক্যাবল লাইনের অফিসে হামলা ও তার চুরি করে নিয়ে যেতে পারে বলে শংকা প্রকাশ করেন আওলাদ হোসেন। তবে তিনি কোন ঝামেলা নয়, বরং বিধি মোতাবেক শান্তিপূর্ণভাবে ব্যাবসা করতে চান। সরকারী লাইসেন্স, ইনকাম ট্যাক্স, বিটিআরসির লাইসেন্সসহ যাবতীয় কাগজ-পত্র যার সঠিক থাকবে, প্রশাসন এবং স্থাণীয় সংসদ সদস্য যেনো তাকেই ব্যাবসা করার অনুমতি দেন- সে প্রার্থনা করেছেন আওলাদ হোসেন। নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্থাণীয় মুসলিমনগর কে.এম উচ্চ বিদ্যালয়ের এক শিক্ষক জানান, ‘আওলাদ হোসেন নব্বই দশক থেকে ক্যাবল লাইনের ব্যাবসা করে আসছেন। ব্যাবসা পরিচালনা করতে গিয়ে তিনি কখনো প্রভাবও দেখাননি। তারা নিজেরাই পারিবারিকভাবে অনেক সমৃদ্ধশালী। ওসমান পরিবারের ঘনিষ্ট হওয়া সত্বেও সেই পরিবারের দাম্ভিকতা কখনোই প্রকাশ করেননি। কারন, তার কারনে ওসমান পরিবারের কোন বদনাম কেউ করবে সেটা কখনোই চান না তিনি।

 

ফতুল্লায় মঞ্জুরী বেগম আত্মহত্যা করেনি

নিজস্ব সংবাদদাতা : ফতুল্লার ধর্মগঞ্জ এলাকায় মঞ্জুরী বেগম আত্মহত্যা নয় শ্বাসরোধ করে হত্যা করেছে পাষন্ড স্বামী মাসুদ খান ও তার পরিবার। এ ঘটনায় মঞ্জুরী বেগমের ভাই ফরিদ শেখ গত ২২ অক্টোবর অপমৃত্যু মামলা দায়ের করেছে। এই অপমৃত্যু মামলাটি আবার ফতুল্লা মডেল থানায় ২৪ অক্টোবর হত্যা মামলায় রূপার্ন্তিত হয়েছে।

এ মামলার সূত্রে জানানযায়, ফতুল্লার ধর্মগঞ্জ এলাকায় স্বামীর সাথে অভিমান করে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে মঞ্জুরী বেগম (২৩)। এ ব্যাপারে মঞ্জুরী বেগমের বড়ভাই শেখ ফরিদ বাদী হয়ে ফতুল্লা মডেল থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের করেছে। পরে পুলিশ লাশটি ময়না তদন্তের জন্য মর্গে প্রেরন করে গত ২২ অক্টোবর । কর্তব্যরত চিকিৎসক এই লাশটির ময়না তদন্ত রির্পোটে আসে তাকে শ্বাস রোধ করে হত্যা করেছে।

এলাকা সূত্রে জানাযায়, রাজবাড়ী জেলার কল্যাণপুর এলাকার মো.মাসুম খান(৩০)। সে গত ৮ বৎসর আগে ফরিদপুর জেলার ভদ্রসন ভাঙ্গিরচর গ্রামের শেখ মান্নানের মেয়ে মঞ্জুরী বেগম কে বিবাহ করেছে। বিয়ের পর থেকে তারা স্বামী স্ত্রী মিলে ফতুল্লার ধর্মগঞ্জ এলাকায় ভাড়া থাকে। দুই জনের মধ্যে সাংসারিক বিষয়দি নিয়ে প্রায়ই ঝগড়া বিবাদ হতে বলে জানায় প্রতিবেশি ভাড়াটিয়ারা। গত ২১ অক্টোবর রাতে মঞ্জুরী বেগমকে তার স্বামী মাসুদখান ও তার পরিবার শ্বাসরোধ হত্যা করে গোসলখানার আড়ার সাথে ওড়না জড়িয়ে গলায় ফাঁস লাগিয়ে রাখে। এরপর তার স্বামী ও আসে পাশের লোকজনদের ডেকে লাশটি উদ্ধার করে তাদের রুমের খাটে রাখে। অতঃপর মঞ্জুরী বেগমের বড় ভাই ফরিদকে জানালে ফরিদ এসে পুলিশ খবর দেয় পরে থানায় এসে একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের করেছে। এই অপমৃত‚্য মামলাটিই হত্যা মামলায় রূপার্ন্তিত হয়েছে। এই মামলায় পাষন্ড স্বামী মাসুদ খান ও তার শ্বশুর অহিদুল ইসলাম খানকে আসামী করে মামলা করা হয়। প্রধান আসামী মাসুদ খান বর্তমানে জেল হাতে আছে। তাকে গত ২২অক্টোবর গ্রেপ্তার করা হয়।

ফতুল্লার আজাদ ডাইংয়ের বিষাক্ত পানিতে পৌষারপুকুরপাড় সয়লাব

 

নিজস্ব সংবাদদাতা : ফতুল্লা বাজার আজাদ ডাইংয়ের বিষাক্ত পানিতে লালপুর ,পৌষার পুকুরপাড় এলাকায় বৃষ্টির পানির সাথে মিশে জনজীবনের ক্ষতি সাধন হচ্ছে বলে জানান এলাকাবাসী।

এলাকা সূত্রে জানাযায়, ফতুল্লা মডেল থানা থেকে মাত্র ৫০গজ দূরে আজাদ ডাইং এন্ড এ্যামবোটারী নামক প্রতিষ্ঠান । আর এই প্রতিষ্ঠানের বিষাক্ত রঙ্গিন পানি লালপুর ,পৌষারপুকুর পাড় আবাসিক এলাকায় ছড়িয়ে পড়েছে। এই বিষাক্ত পানিতে রাস্তায় চলাচল করে স্কুল মাদ্রাসার ও পথিকের পায়ে নানা রকম চর্ম রোগ দেখা দিয়েছে। আজাদ ডাইংয়ের পানি আর বৃষ্টির জমে থাকা পচাঁ পানি মিলে একাকারন হয়ে গেছে ফলে নানা রোগ জিবানুতে আক্রান্ত হচ্ছে পায়ে হেটে চলা সাধারন মানুষের ।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ফতুল্লার প্রভাবশালী ব্যবসায়ী আজাদ মিয়ার মিলের পানিতেই এই বিষাক্ত ক্যামিকেলের রঙ্গিন পানি লালপুর ও পৌষারপুকুর পাড় এলাকায় ছড়িয়ে পড়েছে। ফতুল্লার কেহ তার বিরুদ্ধে মুখ খুলছেন না। লালপুরের সড়ক গুলো এখন এই বিষাক্ত পানিতে রঙ্গিন হয়ে আছে। আর এই পানির ওপর দিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে সাধারন মানুষের। ফলে অনেকেরই পায়ে চরম রোগে আক্রন্ত হয়ে পড়েছে। এই বিষাক্ত পানিতে হাটলে পায়ের পাতাসহ জ্বালাতন করে বলে পথিকরা জানান।

এ্যাড.কাজী রাসেল জানান, এ ব্যাপারে বেশ কয়েকবার আমরা প্রতিষ্ঠানের মালিকের কাছে বলেছি কিন্তু তিনি আজও প্রতিকার করেনি। এখন আমাদের বাড়ির ঘরেও এই বিষাক্ত পানি ঢুকে গেছে। এই রাস্তায় স্কুল মাদ্রাসার ছাত্র-ছাত্রীরা চলাচল করে। এই গরম ও রঙ্গিন পানিতে পা দিলেই পা চুলকায় ।

এব্যাপারে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আজাদ ডাইংয়ের এক কর্মকর্তা জানান, বৃষ্টির পানিতে ডাংইয়ের ড্রেনের পানি মিলে যাওযায়, এমন অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে। তবে জলাবদ্ধতার পানি কমে গেলে আমাদের ড্রেনের পানি আর মহল্লায় ঢুকবে না।

ফতুল্লায় দেয়াল ধসে ৪ জনের মৃত্যু

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ ফতুল্লার পাগলায় পুরাতন দেয়াল ভাঙ্গার সময় ধসে পরে একই পরিবারের তিন বোনসহ ৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। এসময় আরো একজন আহত হয়েছেন। সোমবার বেলা ১১টার দিকে পাগলা শান্তিনিবাস এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন- সাইফুল ইসলামের মেয়ে লামিয়া (১২), লাবনী (৮) ও লিমা (৩) এবং গোলাম মোস্তফা (৪০)। এছাড়া ইউনুস(৩৫) আহত হয়েছে।

প্রত্যক্ষদর্শী ও এলাকাবাসী জানান, পাগলা শান্তির নিবাস সংলগ্ন চানু মিয়ার মালিকানাধীন জায়গায় একটি পুরাতন ভবন ভাঙার কাজ চলছিল। পাশেই বস্তির কয়েকজন শিশু খেলা করছিল। দেয়াল ভাঙার সময় কোনো ধরনের নিরাপত্তা বেষ্টনি না দেয়ায় এ মর্মান্তিক দূর্ঘটনা ঘটে।

ফতুল্লা মডেল থানার এসআই দিদার হোসেন জানান, পাগলা শান্তি নিবাসের পাশে একটি পুরানো ভবন ভাঙার কাজ চলছিল। পাশেই বস্তিতর লোকজন ছিল। এসময় দেয়াল ধসে ঘটনাস্থলেই দুইজন মারা যায়। পরে হাসপাতালে নেয়ার পথে আরও দুজনের মৃত্যু হয়।

ডিএনডি প্রকল্পের কাজ শুরুর আগে আবারো জলাবদ্ধতা

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ ডিএনডি এলাকায় বসবাসরত প্রায় ২০ লাখ মানুষয়ের দুর্ভোগ লাঘবে মাননীয় প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনা সম্প্রতি ৫শ ৫৮ কোটি টাকার একটি প্রকল্প পাশ করেছেন। তারই প্রেক্ষিতে ১৫ই অক্টোবর সিদ্ধিরগঞ্জে প্রধানমন্ত্রীকে কৃতজ্ঞতা জানানোর জন্য নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের এম পি শামীম ওসমানের উদ্যোগে আয়োজন করা হয় একটি জনসভার। জনসভায় ডিএনডি উন্নয় প্রকল্পের কাজ শুরুর ঘোষণা দিয়েছিলেন পানি সম্পদ মন্ত্রী ব্যারিষ্টার নজরুল ইসলাম মাহমুদ এমপি। ওই জনসভার ৪ দিন পর (১৯ অক্টোবর) ফতুল্লাতে একই রকম একটি জনসভার আয়োজন করা হয় প্রধানমন্ত্রীকে কৃতজ্ঞতা জানানোর জন্য। সেখানেও উপস্থিত ছিলেন পানি সম্পদ মন্ত্রী। দুটি সমাবেশে মন্ত্রী ও স্থানীয় সংসদ সদস্য থেকে শুরু করে রাজনীতিকদের কৃতজ্ঞতা আর উচ্ছাসের বেশ আবেগঘন পরিবেশ দেখা গেলেও এই প্রজেক্টের কাজ শুরুর আগেই আরেক দফা জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে ডিএনডির সিদ্ধিরগঞ্জ সহ বেশ কয়েকটি এলাকায়।

১৫ অক্টোবর সিদ্ধিরগঞ্জ ও সবশেষ বৃহস্পতিবার ১৯ অক্টোবর ফতুল্লাতে আলাদা দুটি সমাবেশ হয়। সমাবেশে পানি সম্পদ মন্ত্রী আনিসুল হক মাহমুদ, প্রতিমন্ত্রী নজরুল ইসলাম হিরু, রাজধানীর দুই এমপি সানজিদা খানম, সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা সহ স্থানীয় এমপি শামীম ওসমানসহ অনেক রাজনীতিবিদ উপস্থিত ছিলেন। ডিএনডি বাধের ৫৭ বর্গ কিলোমিটার এলাকার মধ্যে বেশীরভাগই সিদ্ধিরগঞ্জ ও ফতুল্লা এলাকাতে। ওই দুটি সমাবেশে এসে মন্ত্রী প্রতিমন্ত্রীরা বেশ আস্থার সাথে বলেছেন, অক্টোবরের মধ্যেই এই উন্নয়ন প্রজেক্টের কাজ শুরু হবে। ৫শ ৫৮ কোটি টাকার প্রকল্প হলেও এর উন্নয়নের জন্য যদি আরো টাকার প্রয়োজন হয় সেটার ব্যবস্থা করা হবে। কারণ প্রধানমন্ত্রী নিজেই এ বিষয়টা নিয়ে বেশ আন্তরিক। তাই বাজেট কোন সমস্যা নয়। আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রীও চান এ প্রকল্পটি দ্রুত বাস্তবায়ন হোক এবং ডিএনডিবাসী জলাবদ্ধতা থেকে দ্রুত মুক্তি পাক।
১৯ অক্টোবর (বৃহস্পতিবার) জনসভা শেষ হওয়ার পর সন্ধ্যা থেকে শুরু হওয়া বৃষ্টি শুক্রবার রুপ নেয় বর্ষণে। শুক্রবার সারাদিনের বর্ষণে আবারো পানিতে তলিয়ে যায় সিদ্ধিরগঞ্জের বেশ কিছু এলাকা। সরেজমিনে সিদ্ধিরগঞ্জের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে আগের সেই চিত্র। সিদ্ধিরগঞ্জের মিজমিজি,সিআইখোলা,হিরাঝিল, পাইনাদি,কদমতলী, জালকুড়ি,শান্তিনগরসহ বিভিন্ন এলাকার চিত্র প্রায় একই রকম। প্রায় সব জায়গাতেই চলাচলের রাস্তাগুলো রয়েছে পানির নিচে। কোথাও কোথাও দেখা গেছে হাটু সমান পানি দিয়েই মানুষ চলাফেরা করছে। সিদ্ধিরগঞ্জের শান্তিনগর এলাকার মঞ্জুর হোসেন বলেন, এমপি ও মন্ত্রীরা কথা দিয়েছেন কাজ শুরু করবেন। তবে সেটা বাস্তবায়ন হবে সেনাবাহিনী যখন কাজ শুরু করবেন তখন থেকে। কিন্তু শুক্রবারের বৃষ্টিতেই আমরা তলিয়ে গেছি।  কদমতলী এলাকার বাসিন্দা বেসকারী চাকুরিজীবি  মঈনুল ইসলাম পলক জানান, কোরবানির ঈদের পর থেকে বৃষ্টি না হওয়ায় এবং ৬নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মতিউর রহমানের আন্তরিক প্রচেষ্টায় এ এলাকার জলাবদ্ধতা কিছুটা নিরসন হয়েছিল। কিন্তু গত দুইদিনের বৃষ্টিতে আবারো জলাবদ্ধতা দেখা দিয়েছে। নাসিকের প্যানেল মেয়র-২ মতি তার নিজ অর্থায়নে তার নির্বাচনি এলাকার বাইরে আমাদের এই ৭নং ওয়ার্ডের জলাবদ্ধতা নিরসনে পাম্প বসিয়েছেন। তার প্রতি আমরা কৃতজ্ঞ। কিন্তু আমাদের ৭নং ওয়ার্ডের কাউন্সিল আলী হোসেন আলার কোন উদ্যোগ নেই এই বিষয়ে। সম্প্রতি পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের মাননীয় মন্ত্রী মহোদয় এবং আমাদের সংসদ সদস্য ঘোষনা দিয়েছেন এই এলাকার জলাবদ্ধতা নিরসনে কাজ শুরু হবে। কিন্তু যতদিন এই প্রজেক্ট বাস্তবায়ন না হবে ততদিন আমরা এই এলাকার জনগণ তথা ডিএনডি বাসি জলাবদ্ধতার এই অভিশাপ থেকে মুক্তি পাবো না। তাই তাদের কাছে সবিনয় আবেদন থাকবে যাতে দ্রুত এই প্রজেক্ট বাস্তবায়নের লক্ষ্যে কাজ শুরু করা হয়। সিদ্ধিরগঞ্জ হিরাঝিল এলাকার বাসিন্দা সোহেল আহমেদ জানান, অনবরত গত দুই দিনের অনবরত বৃষ্টির কারণে নতুন করে আবার জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। তাই আমি আমাদের মাননীয় সংসদ সদস্যর কাছে বিনিত অনুরোধ করবো যাতে করে ডিএনডির জলাবদ্ধতা নিরসনে যেই প্রজেক্ট পাশ হয়েছে তা আর কালক্ষেপণ না করে অতি দ্রুত শুরু করা হোক।

নতুন করে সৃষ্টি জলাবদ্ধতা নিয়ে কথা হয় সিদ্ধিরগঞ্জের শিমরাইলস্থ ডিএনডি পাম্প হাউসের উপ-সহোকারী প্রকৌশলী রাম প্রসাদ বাছারের সাথে। তিনি বলেন, গত দেড় মাস আগে একটানা সাতদিনে যতটুকু বৃষ্টি হয়েছিল তার চেয়ে বেশি বৃষ্টি গত দুই দিনে হয়েছে এবং এখনো হচ্ছে। গত মাসে বৃষ্টি না হওয়ায় পানি অনেকটাই কমে গিয়েছিলো। যার কারণে আমাদের পাম্পগুলোও বন্ধরাখতে হয়েছে। গত দুদিনের বৃষ্টিতে আবারো জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। এরই মধ্যে আমাদের চারটি বড়ো পাম্পের মধ্যে তিনটি চালু করেছি। এবং আরো কয়েকটি অস্থায়ি পাম্প আছে সেগুলো আজ দুপুরের মধ্যে চালু হয়ে যাবে। এবং ডিএনডির বিভিন্ন স্থানে

হোটেল সোনারগাঁয়ে খালেদা-সুষমা স্বরাজের বৈঠক চলছে

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ বাংলাদেশে সফররত ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুষমা স্বরাজের সঙ্গে বৈঠকে বসেছেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। রাজধানীর সোনারগাঁও হোটেলে রোববার রাত ৮টায় বৈঠকটি শুরু হয়। রাত পৌনে ৮টায় ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সুষমা স্বরাজের সঙ্গে বৈঠকে অংশ নিতে হোটেল সোনারগাঁয়েপ্রবেশ করেন বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া।

বৈঠকে খালেদা জিয়ার সঙ্গে বিএনপি প্রতিনিধি দলে মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ড. মঈন খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, উপদেষ্টা রিয়াজ রহমান, সাবিহ উদ্দিন আহমেদ উপস্থিত রয়েছেন।

আমতলীর খুরিয়া খেয়াঘাট-ধানখালীর নমোরহাট সড়কের বেহাল অবস্থা

এ.আর.কুতুবে আলম : বরগুনা জেলার আমতলী উপজেলার খুরিয়ার খেয়াঘাট হতে কলাপাড়া উপজেলার ধানখালী নমোরহাট পর্যন্ত সড়কের বেহাল অবস্থা । দেখার কেউ নেই। ভোটের সময় জনপ্রতিনিধিদের নানাভাবে বিভিন্ন ভঙ্গিতে সস্তা প্রতিশ্রæতি দিয়ে জনগনের ভোটে নির্বাচিত হলেও ,জনগনের সমস্যা সমাধানে প্রতিনিধিরা নেই এমনটাই বলছেন স্থানীয় ভুক্তভোগিরা ।

প্রত্যক্ষদর্শীওএলাকাবাসী জানান,গত দুই দিনের মুষলধারায় বৃষ্টিতে আমতলী উপজেলার খুরিয়া খেয়াঘাট হতে কলাপাড়া উপজেলার ধানখালী নমোরহাট পর্যন্ত সড়কের বিভিন্ন স্থানে নালা খন্দল সৃষ্টি হয়েছে। এই সড়কে প্রতিদিনই হাজার হাজার মানুষ কলাপাড়া ও আমতলী পটুয়াখালীর উদ্দেশ্যে চলাচল করে আসছে। আর এই রাস্তা ভেঙ্গে রাস্তার মাঝখানে ডোবায় পরিনত হয়েছে। এই সড়কে চলাভাঙ্গা তালুকদার বাড়ী হতে মরিচবুনিয়া বাজার পর্যন্ত বেহাল অবস্থা বিরাজ করছে। এই সড়কে মটরসাইকেল ও টমটম ও অটো রিক্সাসহ যানবাহনে চলাচল করতে হলে বুকের পাটা পিঠে নিয়ে চলতে হয়। চলাভাঙ্গা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় ,পশ্চিম চিলা মাদ্রাসার ছাত্র ছাত্রীদের চলা চলে ভীষন ভাবে সমস্যা হচ্ছে। স্কুল মাদ্রাসায় যাওয়ার রাস্তাটির বেহাল অবস্থায় থাকায় বৃষ্টির দিনে এমনকি খড়ার দিনেও উপস্থিতি অনেক কম বলে জানান, ঐ প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক ও অভিভাবকরা। ঢাকা হতে আমতলীর লঞ্চের যাত্রী ধানখালীগামী যারা,এরা রাস্তা ভাঙ্গা ও নালা খন্দল হওয়ায় বেশি ভাড়াগুনে ধানখালীর ৯টি ওয়ার্ডের যাত্রীদের যেতে হয়।

এই রাস্তা হামজাসহ বড় যান চলাচলের কারনে রাস্তাটির বিভিন্ন স্থানে নালা খন্দল সৃষ্টি হয়েছে বলে জানান যাত্রীরা। এই অঞ্চলের জনপ্রতিনিধিরা কাঠের চশমা পড়ে চলা ফেরা করেন এমনটাই বলছেন সাধারন জনগণ ও যাত্রী সাধারন। তা না হলে রাস্তাটি রাস্তা এমন বেহাল অবস্থা থাকবে কেন? এমন প্রশ্ন এখন সবার।

বাংলাদেশ সরকারের প্রধান মন্ত্রী সারা বাংলাদেশের রাস্তাঘাট উন্নয়নের মডেল রোল সৃষ্টি করেছে। কিন্তু আমতলী ও কলাপাড়া উপজেলার জনপ্রতিনিধিরা নিজের এলাকার সমস্যা তাদের চোখেই দেখেন না এমন মন্তব্য পথচারীদের। তারা তাদের নিজের ভাগ্যের চাকা পরিবর্তন করেছে এমনটাই বলছেন সাধারন জনগন।
এব্যাপারে সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি কামনা করেন ধানখালী, চিলা ,চলাভাঙ্গা ,খুরিয়া খেয়াঘাট ও টেপুরা বাসী।

ফতুল্লা প্রেস ক্লাবে নতুন কমিটির দায়িত্ব গ্রহন

প্রেস বিজ্ঞপ্তি
ফতুল্লা প্রেস ক্লাবের নব-নির্বাচিত কমিটিকে দায়িত্ব বুঝিয়ে দিয়েছে বিদায়ী কমিটি। শনিবার দুপুরে ক্লাবের সদস্যদের উপস্থিতিতে এই দায়িত্ব হস্তন্তর করা হয়। ফতুল্লা প্রেস ক্লাবের বিদায়ী সভাপতি সৈয়দ ওবায়েদ উল্লাহ ও বিদায়ী সাধারন সম্পাদক আনিসুজ্জামান অনু ক্লাব সদস্যদের উপস্থিতিতে নতুন সভাপতি এম সামাদ মতিন ও সাধারন সম্পাদক আব্দুর রহিমকে ক্লাবের দায়িত্ব বুঝিয়ে দেয়।

এসময় উপস্থিত ছিলেন সহ-সভাপতি এড.সৈয়দ মশিউর রহমান শাহিন(দৈনিক দিনকাল), যুগ্ম সম্পাদক রিয়াদ মো: চৌধুরী(আমাদের নারায়ণগঞ্জ ডট কম), সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল আলিম লিটন(দৈনিক অগ্রবানী), অর্থ সম্পাদক শাকিল আহমেদ ডিয়েল(দৈনিক খবর প্রতিদিনি), প্রচার সম্পাদক জি,এ রাজ(দৈনিক রুদ্রবার্তা)ু, ক্রীড়া সম্পাদক নিয়াজ মো: মাসুম(আমাদের নারায়ণগঞ্জ ডট কম), কার্যকরী সদস্য সেলিম মুন্সি(দৈনিক যায়যায়দিন),আলামিন প্রধান(দৈনিক যুগান্তর),মনির হোসেন(দৈনিক খবরপত্র),সাবেক সহ-সভাপতি রুহুল আমীন প্রধান(দৈনিক খবর প্রতিদিন), সাবেক যুগ্ম সম্পাদক আবুল কালাম আজদ(দৈনিক নয়াদিগন্ত), প্রতিষ্ঠাতা সদস্য এ, আর মিলন(দৈনিক আজকের বানী),পিয়ার চান(দৈনিক সচেতন), মাসুদ আলী(দৈনিক ডান্ডিবার্তা)।