পৃথক স্থানে অভিযান চালিয়ে ১০টি দেশীয় অস্ত্র এবং বিপুল মাদদ্রব্যসহ ২ জনকে গ্রেফতার করেছে র্যাব। মঙ্গলবার (১৬ আগষ্ট) দিবাগত রাতে সদর মডেল থানাধীন আলীরটেক ইউনিয়নে র্যাব-১১ সিপিসি-১ এর কোম্পানী অধিনায়ক শাহ মো: শিবলী সাদিকের নেতৃত্বে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়। মঙ্গলবার দিবাগত রাত দেড়টায় আলীরটেক ইউনিয়নের উত্তরপাড়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে নিজ বসত ঘর থেকে মোঃ নজরুল ইসলামের পুত্র চিহিৃত মাদক ব্যবসায়ী মোঃ স্বপন হোসেন (৩৫) কে গ্রেফতার করা হয়। এসময় তার হেফাজতে থাকা প্রায় দেড় লাখ টাকা মূল্যমানের ৪৮৫ পিস ইয়াবা, চুরি, ছিনতাই, মাস্তানী কাজে ব্যবহৃত ১টি রাম দা, ৭ টি চাকু, ১ টি চাইনিজ কুড়াল, ১ চাপাতি এবং মাদক বিক্রির নগদ ২,৫৪২ টাকা এবং ৪টি মোবাইল সেট উদ্ধার করা হয়। অপরদিকে, একই ইউনিয়নে রাত আড়াইটায় আরেকটি অভিযান চালিয়ে একই এলাকা থেকে ৪ কেজি গাঁজাসহ অপর মাদক ব্যবসায়ী মোঃ মন্নাফ হোসেন ওরফে আব্দুল মান্নানের পুত্র মোঃ আকতার হোসেন (৩৫) কে গ্রেফতার করে র্যাব। এব্যাপারে র্যাব-১১, সিপিসি-১, নারায়ণগঞ্জ এর কোম্পানী অধিানায়ক এএসপি শাহ্ শিবলী সাদিক জানান, সদর মডেল থানাধীন আলীরটেক উত্তর পাড়ায় কতিপয় মাদক ব্যবসায়ী আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর চোখ ফাঁকি দিয়ে মাদক ব্যবসার পাশাপাশি চুরি, ছিনতাই, মাস্তানি করে আসছিল। বিভিন্ন সময়ে ঐ এলাকায় মাদক বিরোধী অভিযান চলমান থাকলেও মাদক ব্যবসায়ীরা ধরা ছোঁয়ার বাহিরে থেকে যায়। কিন্তু র্যাবের গোয়েন্দা নজরদারি অব্যাহত রাখায় এই ২জন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হই। তিনি আরো জানান, গ্রেফতারকৃত আসামীদের এলাকা নদী-নালা, খাল-বিল ও যোগাযোগ ব্যবস্থা সুবিধা জনক অবস্থানে না থাকায় এ সকল মাদক ব্যবসা হর হামেশাই করে আসতেছিল। গ্রেফতারকৃত আসামীদের বিরুদ্ধে সদর মডেল থানায় পৃথক দু’টি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
নারায়ণগঞ্জ চলাচলে অযোগ্য হয়ে পরেছে
চলাচলে অযোগ্য হয়ে পরেছে নারায়ণগঞ্জ শহর। হকারদের নিয়ন্ত্রণে ফুটপাত, ড্রেন পরিস্কারের নামে পঁচা দূর্গন্ধযুক্ত ময়লায় রেখে ফুটপত দখল, নরীতে রিকশার সংখ্যা বৃদ্ধি। যেখানে সেখানে সেখানে যানবাহন পার্কিং , দিনের বেশীর ভাগ সময় নগরীতে ভয়াবহ যানজট, নগরীরের অলিগলিকে ডাস্টবিনে পরিনিত করা, সামন্য বৃষ্টিতে জলঅবদ্ধতা সৃষ্টিসহ নানা ধরনের নাগরীক সমস্যায় ভুগছে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের বাসিন্দারা। এসব সমস্যার দেখে মনে হচ্ছে না নারায়ণগঞ্জে কোন নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি কিংবা কোন অভিভাবক রয়েছে। আইনশ্খৃলা বাহিনীর তৎপরতা কম থাকায় শহরের যানজট যেমন রুটিনে পরিনত হয়েছে। একই ভাবে অনিয়মগুলোও নিয়মে পরিনত হয়েছে। নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ফুটপাত দখল মুক্ত রাখতে ব্যর্থ হওয়ায় নগরীতে নানামুখি সমস্যা বৃদ্ধি পেয়েছে এমন অভিযোগ নগরবাসীর। নারায়ণগঞ্জ নগরী নানামুখী সমস্যার কারনে চলাচল কিংবা বসবাসে অযোগ্য হয়ে পরেছে। গত ক’দিন ধরে নগরীর ফুটপাতগুলোতে হকারদের পাশাপাশি ড্রেনের পঁচা ময়লার কারণে এখন আর পায়ে হেটে চলাচল করা যাচ্ছে না। শহরের চাষাঢ়া থেকে শুরু করে কালির বাজার মোড় পর্যন্ত এ অবস্থা থাকলে নাসিক কর্তৃপক্ষের এ নিয়ে কোন মাথা ব্যথা নেই। ফাটপাতে এসব ময়লা দেখে মনে হয়না নাসিকের কোন পরিচ্ছন্ন কর্মী আছে। ফুটপাতগুলোতে ময়লার স্তুপের পাশাপাশি নগরীর অলিগলিতে ময়লার স্তুপ দেখা গেছে। এসব ময়লা সময় মতো অপসারন হচ্ছে এমন অভিযোগ ভুক্তভোগীদের। তাদের মতে, সঠিক সময়ে ময়লা অপসারন না হওয়ায় এসব ময়লার পঁচা গন্ধে বসবাস করা মুশকিল হয়ে দাড়িয়েছে। অন্যদিকে, সড়কের ফুটপাত দিয়ে এখন আর পায়ে হেঁটে চলাচল করা যাচ্ছে না। দিনের বেশীর ভাগ সময়ই নগরীর বিভিন্ন সড়কে যানজট থাকে। যানজটে প্রায় অচল হয়ে পরেছে নগরী। যানজটে নাকাল হয়ে পরেছে গোটা শহর। চাষাঢ়া মোড় থেকে ২ নং রেল গেইট আসতে সময় লাগে প্রায় আধ ঘন্টা কিংবা তারও বেশী সময়। রাস্তায় ট্রাফিক থাকলেও কমছে না যানজট। শহরের যানজট নিরসের লক্ষ্যে শহরের ফুটপাত গুলো হকার মুক্ত করা হলেও এর সুবিধা পাচ্ছে নগরবাসী কিংবা পথচারীরা। ফুটপাতে হকার না থাকলে এখন বিভিন্ন ধরনের যানবাহন পাকির্ং করে রাখা হচ্ছে। ফলে রাস্তায় গুলো অনেকটা অগের মতোই দখলে থাকছে। অনেক স্থানে ফুটপাতেও যানবাহন পার্কিং করে রাখা হচ্ছে। নগরীকে যানজট মুক্ত করতে হলে রাস্তার পাশে যানবাহন পার্কিং বন্ধ করা প্রয়োজন। অন্যথায় শত চেষ্টা করেও যানজট নিরসন সম্ভব নয় বলে মনে করছেন নগরবাসী। এ ব্যাপারে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও সিটি করপোরেশনের হস্তক্ষেপ দাবি করেছে তারা। শহরের বিভিন্ন স্থানে পরিদর্শন করে দেখা গেছে, শহরের সবগুলো ফুটপাত হকারদের দখলে। পাথচারীদেও নিবিঘেœ চলাচলে ফুটপাতগুলোকে হকার মুক্ত রাখতে পারছে না নাসিক ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। এদিকে, সামান্য বৃষ্টিতে নারায়ণগঞ্জ শহরে দেখা দেয় জলাবদ্ধতা। পুরো নগরীজুড়ে হাঁটু পানি জমে যায়। এসব সমস্যাগুলোর কারণে নগরীর বাসিন্দারা সস্যায় ভুগলেও এ নিয়ে কোন জনপ্রতিনিধির মাথা ব্যথা নেই। নাসিকের মেয়র, কাউন্সিলররা নিজেদের মতো করে কাজ করছে। নগরবাসীর সমস্যার কথা কেউ বিবেচনা করছে না বলে ভুক্তভোগীদের অভিযোগ।
বঙ্গবন্ধুকে শ্রদ্ধা, বন্দরে শোক দিবস পালন করলেন সেলিম ওসমান
যথাযোগ্য র্মযাদায় জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমানের ৪১ তম শাহাদাৎ বার্ষিকী পলান করেছে বন্দর উপজেলা প্রশাসন ও বন্দর থানা আওয়ামীলীগ ও অঙ্গ সংগঠনসহ বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ। বঙ্গবন্ধুর শাহাদাৎ বার্ষিকী উপলক্ষে বন্দর উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে সকালে শোক র্যালী অনুষ্ঠিত হয়। শোক র্যালীতে উপস্থিত ছিলেন বন্দর উপজেলা পরিষদের র্নিবাহী কর্মকর্তা মৌসুমি হাবিব, বন্দর উপজেলা পরিষদের ভূমি বিষয়ক কর্মকর্তা হোসনে আরা বেগম, বন্দর থানার অফিসার ইনর্চাজ আবুল কালাম, বন্দর উপজেলা পরিষদের মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার আ, ক,ম নূরুল আমিনসহ আওয়ামীলীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ ও অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ। শোক র্যালী শেষে সকাল সাড়ে ১০টায় উপজেলা সভাকক্ষে জাতির জনকের স্মৃতি চারন নিয়ে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমানের ৪১ তম শাহাদাৎ বার্ষিকী পালন উপলক্ষে নারায়ণগঞ্জ ৫ আসনের এমপি বীরমুক্তিযোদ্ধ আলহাজ্ব সেলিম ওসমান নাসিকের বেশ কিছু ওয়ার্ডে ও উপজেলার বিভিন্ন স্থানে অসহায়দের মাঝে রান্না করা খাবার বিতরন করে। খাবার বিতরণকালে তার সাথে ছিলেন নারায়ণগঞ্জ মহানগর আওয়ামীলীগের সভাপতি আলহাজ্ব আনোয়ার হোসেন, জেলা জাতীয়পার্টির আহবায়ক আবু জাহের, বন্দর থানা আওয়ামীলীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারন সম্পাদক আলহাজ্ব আবেদ হোসেনসহ আওয়ামীলীগ ও জাতীয়পার্টির নেতৃবৃন্দ। এ ছাড়াও নাসিক ২৩নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর সাইফুদ্দিন আহম্মেদ দুলাল প্রধানের উদ্যোগে বন্দর একরামপুর এলাকায় বঙ্গবন্ধুর শাহাদাৎ বার্ষিকী পালন করেছে। এ উপলক্ষে কাউন্সিলর দুলাল প্রধান সকাল থেকে পবিত্র কোরআন খানি খতম ও বিশেষ দোয়া অনুষ্ঠিত হয়। এমপি সেলিম ওসমান এসে অসহায়দের মাঝে রান্না করা খাবার বিতরণ করেন। এ সময় কাউন্সিলর দুলাল প্রধানের সাথে ছিলেন, ২৩নং ওয়ার্ডের সর্বস্তরের লোকজন।বন্দর থানা ছাত্রলীগের যুগ্ন সাধারন সম্পাদক মাহবুর রহমান কমলের উদ্যোগে শাহাদাৎ বার্ষিকী পালন করা হয়েছে। এলাকায় খিচুরি বিতরণ করেন এসময় সাথে ছিলেন মুক্তার হোসেন, সহিদুল ইসলাম, মুস্তাক হোসেন, শামীম, সুমন, আমান, জাকির, রাসেল, শিপলু, আক্তার, শরিফ, সুমন ভূইয়া, আয়নাল, আনোয়ার, সাহিন, মনির হোসেন মনু, সুরুজ, হাসান ও কালাম। কলাগাছিয়া ইউনিয়ন ১নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের উদ্যোগে শাহাদাৎ বার্ষিকী পালন করা হয়েছে। জেলা আওয়ামীলীগ নেতা আরজু রহমান ভূইয়া প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে ফরাজিকান্দা এলাকায় খিচুরি বিতরণ করেন। এ সময় তার সাথে ছিলেন বন্দর থানা আওয়ামীলীগের সাবেক সাধারন সম্পাদক মোঃ মোবারক হোসেন, বন্দর থানা কলাগাছিয়া ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি আমিরুজ্জামান, সাধারন সম্পাদক একেএম ইব্রাহিম কাশেম, মোঃ জাকির হোসেন, আব্দুল হাই, বন্দর থানা যুবলীগ নেতা সাহাদাৎ হোসেন, যুবলীগ নেতা সোহেল, ছাত্রলীগ নেতা রিয়াদ হাসান তপু। একই ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ড ঘারমোড়া ও চরঘারমোড়া আওয়ামী পরিবারের উদ্যোগে ঘারমোড়া ঈদগাহ ময়দানে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমানের শাহাদাৎ বার্ষিকী পালন করেছে। শাহাদাৎ বার্ষিকী পালনকালে এ সময় উপস্থিত ছিলেন, বন্দর থানা যুবলীগ নেতা মাকসুদ, কলাগাছিয়া ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারন সম্পাদক মোক্তার উদ্দিন মুক্ত, যুবলীগ নেতা শামীম সরদার, শ্রমিকলীগ নেতা ডাঃ ওমর ফারুক, ছাত্রলীগ নেতা ইঞ্জিনিয়ার মিনহাজ উদ্দিন, ইকবাল হোসেন, মোঃ কবির হোসেন, মোঃ দায়েন, আমজাদ প্রমুখ। কলাগাছিয়া ইউনিয়ন ৯নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের উদ্যোগে শাহাদাৎ বার্ষিকী পালন করেছে। জাতির জনকের শাহাদাৎ বার্ষিকী পালনকালে দুস্তদের মাঝে রান্না করা খাবার পরিবেশন কালে উপস্থিত বন্দর থানা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারন সম্পাদক শ্রী ভোলা নাথ দাস, আওয়ামীলীগ নেতা আশাদুল্লাহ, মোঃ আলতাফ হোসেন, আবুল হোসেন মাষ্টার, বীরমুক্তিযোদ্ধা আবুল কালাম আজাদ, তাসলিম, আক্তার হোসেন প্রমুখ। কলাগাছিয়া ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের যুগ্ম সম্পাদক মোঃ আক্তার হোসেনের উদ্যোগে আদমপুর এলাকায় শাহাদাৎ বার্ষিকী পালন করেছে। রান্না করা খাবার বিতরণকালে এ সময় উপস্থিত ছিলেন আওয়ামীলীগ নেতা ওবায়দুল্লাহ, লাভলু প্রধান, তাজুল ইসলাম, কৃষকলীগ নেতা মোঃ খোকন, মফিজুল ইসলাম, এবাদুল্লাহ, খাজা মহিউদ্দিন, আনোয়ার, টুটুল, আবু বক্কর ও মোঃ সেলিম প্রমুখ। কলাগাছিয়া ইউনিয়ন জাতীয়পাাটর সভাপতি মোঃ বাচ্চু মিয়ার উদ্যোগে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমানের শাহাদাৎ বার্ষিকী পালন করা হয়েছে। শাহাদাৎ বার্ষিকী উপলক্ষে অসহায়দের মাঝে রান্না করা খাবার বিতরণকালে উপস্থিত ছিলেন কলাগাছিয়া ইউনিয়ন যুবসংহতির সভাপতি মোঃ সফি ঢালী, জাপা নেতা আব্দুস সালাম, আলাউদ্দিন দেওয়ানজী, যুবলীগ নেতা শাহাদাৎ হোসেন। এছাড়াও বন্দরে ঐতিহ্যবাহি শিক্ষাপিঠ হাজী ইব্রাহিম আলম চাঁন স্কুল এন্ড কলেজ র্গভনিং বডির উদ্যোগে জাতির জনকের ৪১ তম শাহাদাৎ বার্ষিকী উপলক্ষে মিলাদ ও দোয়া অনুষ্ঠিত হয়েছে। এ ছাড়াও রচনা প্রতিযোগিতার পুরুস্কার বিতরণ করা হয়েছে। মিলাদ ও দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্কুল এন্ড কলেজ গর্ভনিং বডির সভাপতি ও সমাজ সেবক আলহাজ্ব মঞ্জুর হাসান মঞ্জু, স্কুল এন্ড কলেজ অধ্যক্ষ আলহাজ্ব আহাম্মদ হালিম মজহারের সভাপতিত্বে মিলাদ ও দোয়া মাহফিল এবং পুরুস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বীরমুক্তিযোদ্ধা আলী আক্কাস মীর, বীরমুক্তিযোদ্ধা জাব্বার সরদার, বীরমুক্তিযোদ্ধা মোজাম্মেল, প্রবীন শিক্ষক ও সমাজ সেবক শামছুল হক মাষ্টার, স্কুল শাখার অভিভাবক প্রতিনিধি মোঃ খালিদ, আফজাল হোসেন, মোঃ আশ্রাফ, কলেজ শাখার অভিভাবক প্রতিনিধি মোঃ ফিরোজ ও রবিউল আউয়াল রবি। মিলাদ ও দোয়া এবং পুরুস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানের সঞ্চলনার দায়িত্বে ছিলেন প্রফেসার সাইফুল ইসলাম বাদল। ঘারমোড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির উদ্যোগে শাহাদাৎ বার্ষিকী পালন করা হয়েছে। এ উপলক্ষে চিত্রাঅংকন প্রতিযোগিতার পুরুস্কার বিতরন করা হয়েছে। পুরুস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি ও সাবেক মেম্বার বুলবুল আহাম্মেদ, মোঃ বশির মিয়া, হাজী রফিকুল ইসলাম, বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আমেনা বেগমসহ বিদ্যালয়ের শিক্ষক শিক্ষিকা বৃন্দ। এ দিকে ১নং ফরাজিকান্দা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে চিত্রাঅংকন ও কবিতা আবৃতি অনুষ্ঠানের পুরুস্কার বিতরণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। পুরুস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে এ সময় উপস্থিত ছিলেন জাপা নেতা সফি ঢালী, আব্দুস সালাম, আলাউদ্দিন দেওয়ানজী, অভিভাবক প্রতিনিধি হাসিনা রহমান শিমু ও তাসলিমা নাসরিন, স্কুলের সহকারি শিক্ষক মোঃ আব্বাস, রাজু আহাম্মেদ, মোঃ ওলিউল্ল্যাহ ওলি প্রমুখ।
ফতুল্লায় জাতীয় শোক দিবস পালিত
যথাযোগ্য মর্যাদায় ফতুল্লায় পালিত হয়েছে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শাহাদাৎ বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস। সোমবার দিনব্যাপী কোরআন তেলোয়াত, জাতির জনকের ভাষণ, বিভিন্ন পাড়া মহল্লায় দুঃস্থদের মধ্যে রান্না করা খাবার বিতরণ, মিলাদ ও দোয়া মাহফিলের মধ্য দিয়ে দিবসটি পালিত হয়েছে। তবে ফতুল্লায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শাহাদাৎ বার্ষিকীর কাঙ্গালী ভোজে স্থানীয় এমপি শামীম ওসমান রাজনৈতিক ও ব্যক্তিগত কারনে কোন স্পটে যেতে না পারলেও তার প্রতিনিধি হিসাবে ফতুল্লা থানা আওয়ামীলীগের সভাপতি এম সাইফউল্লাহ বাদল, সাধারন সম্পাদক শওকত আলী প্রতিটি এলাকায় ঘুরে কাঙ্গালীভোজের উদ্বোধন করেন এবং গরীব ও দু;স্থদের মাঝে রান্না করা খাবার বিতরণ করেন। তারা সকালে কাশিপুর হাটখোলা হতে যাত্রা শুরু করেন।পরে সাইফউল্লাহ বাদল ও শওকত আলীর নেতৃত্বে নেতাকর্মীদের একটি বিশাল গাড়ি বহর নিয়ে ফতুল্লার বিভিন্ন এলাকায় দোয়া ও মিলাদে অংশ গ্রহন করেন। কাশিপুর হাটখোলায় স্থানীয় আওয়ামীলীগসহ অঙ্গসংগঠনের উদ্যেগে আয়োজিত কাঙ্গালীভোজে উদ্বোধন করেন। এতে সার্বিক তত্ত্বাবধায়নে ছিলেন মজিদ ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান শাহাদাৎ হোসেন শ্যামল। এসময় উপস্থিত ছিলেন ফতুল্লা থানা আওয়ামীলীগের দপ্তর সম্পাদক জাহিদুল হক খোকন, কাশিপুর ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান মোমেন শিকদার, কাশিপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক আইয়ুব আলী, ভারপ্রাপ্ত সাধারন সম্পাদক এমএ সাত্তার প্রমুখ। মধ্যনরসিংপুর এলাকা স্থানীয় আওয়ামীলীগ ও যুবলীগের উদ্যেগে দোয়া ও কাঙ্গালীভোজের আয়োজন করেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন নজরুল ইসলাম, সেলিম মিয়া, মনির হোসেন প্রমুখ।কাশিপুর ইউনিয়ন পরিষদের সামনে ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি আলামিনের উদ্যেগে দোয়া ও মিলাদসহ রান্না করা খাবার বিতরণ করেন এম সাইফউল্লাহ বাদল। পরে কাশিপুর খিলমার্কেট এলাকায় স্থানীয় আওয়ামীলীগসহ অঙ্গসংগঠনের উদ্যেগে মিলাদ ও দোয়া ও রান্না করা খাবার বিতরণ করা হয়। সার্বিক তত্ত্বাবধায়নে ছিলেন কাশিপুর ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি আনিছুর রহমান শ্যামল, বাংলাবাজার আমবাগান এলাকায় স্থানীয় আওয়ামীলীগের উদ্যেগে দোয়া ও কাঙ্গালীভোজের আয়োজন করেন। এতে সার্বিক তত্ত্বাবধায়নে ছিলেন যুবলীগ নেতা শ্যামল। ভোলাইল এলাকায় ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারন সম্পাদক শামীম আহম্মেদের উদ্যেগে দোয়া ও কাঙ্গালীভোজের আয়োজন করেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন আওয়ামীলীগ নেতা হারুন অর রশিদ, মোক্তার হোসেন প্রমুখ। পরে তারা পঞ্চবটিস্থ ফতুল্লা থানা আওয়ামীলীগের কার্যালয়ের সামনে থানা আওয়ামীলীগের উদ্যেগে মিলাদ, দোয়া ও কাঙ্গালীভোজের আয়োজিত অনুষ্ঠানে হাজির হন। এসময় উপস্থিত ছিলেন ফতুল্লা থানা আওয়ামীলীগের সহসভাপতি শহিদুল্লাহ মেম্বার, সাংগঠনিক সম্পাদক এইচ এম ইসহাক, বদিউল আলম বদু, কুতুবপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি জসিম উদ্দিন, ফতুল্লা থানা সেচ্ছাসেবকলীগের সভাপতি ফরিদ আহম্মেদ লিটন, থানা ছাত্রলীগের সভাপতি এমএ মান্নান, আওয়ামীলীগ নেতা সালাউদ্দিন প্রমুখ।ফতুল্লা ডিআইটি মাঠে আওয়ামীলীগ,যুবলীগ, ছাত্রলীগের উদ্যেগে দোয়া ও কাঙ্গালীভোজ আয়োজন করেন। এতে ফতুল্লা থানা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক শওকত আলী প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত হয়ে উদ্বোধন করেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন থানা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সম্পাদক লুৎফর রহমান স্বপন, ফতুল্লা থানা যুবলীগের সভাপতি মীর সোহেল, থানা ছাত্রলীগের সভাপতি আবু মো: শরীফুল হক, স্থানীয় মুরুব্বী মীর মোজাম্মেল আলী প্রমুখ। দাপা এলাকায় ফতুল্লা থানা সেচ্ছাসেবকলীগের সভাপতি ফরিদ আহম্মেদ লিটনের উদ্যেগে দোয়া ও কাঙ্গালীভোজের আয়োজন করেন। নন্দলালপুরে থানা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এইচ এম ইসহাকের উদ্যেগে দোয়া ও কাঙ্গালীভোজের আয়োজন করা হয়। সস্তাপুরে আওয়ামীলীগ নেতা মজিবুর রহমানের উদ্যেগে দোয়া ও কাঙ্গালীভোজের আয়োজন করা হয়। মাসদাইরে মোস্তফা কন্ট্রাকটারের উদ্যেগের দোয়া ও কাঙ্গালীভোজের আয়োজন করেন। পশ্চিম মাসদাইর বাড়ৈভোগে আওয়ামীলীগ নেতা রঞ্জিত মন্ডলের উদ্যেগে কাঙ্গালীভোজের আয়োজন করা হয়।
সিদ্ধিরগঞ্জে জাতীয় শোক দিবস পালিত
জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর শেখ মজিবুর রহমানের ৪১তম শাহাদাত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস পালন করেছে আওয়ামীলীগ, সহযোগী সংগঠন, ব্যবসায়ী সংগঠন ও ব্যক্তিগত উদ্যোগে বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্যে দিয়ে সিদ্ধিরগঞ্জে দিবসটি পালন করা হয়। সোমবার সকাল থেকে সন্ধ্যা ৬ টা পর্যন্ত পাঠানতুলী, আইলপাড়া, চৌধুরীবাড়ি, ২নং ঢাকেশ্বরী বাসষ্ট্যান্ড, এসও রোড, সুমিলপাড়া, আদমজী সিএমবি ব্যবসায়ী সমাজ, মিজমিজি. মৌচাক, সানাড়পাড়, মুক্তিনগর, হিরাঝিল, জালকুড়ি, সিদ্ধিরগঞ্জ কবরস্থান সংলগ্ন ঈদগাঁ মাঠসহ ২শতাধিক স্থানে কোরআন খানি, মিলাদ মাহফিল ও গরীব- দুঃখিদের মাঝে খাবার বিতরন করে দিবসটি পালন করা হয়। নারায়ণগঞ্জ ৪ আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ্ব একেএম শামীম ওসমান প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত থেকে খাবার বিতরন করেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন, কেন্দ্রীয় শ্রমিকলীগের সাবেক সভাপতি আব্দুল মতিন মাষ্টার, মহানগর আওয়ামীলীগের ত্রাণ ও সমাজ কল্যাণ সম্পাদক কাজী আতাউর রহমান সিদ্ধিরগঞ্জ থানা আওয়ামীলীগের সভাপতি আলহাজ্ব মজিবুর রহমান, সহ সভাপতি সাদেকুর রহমান,আলহাজ্ব অশহ আলম সাধারন সম্পাদক ইয়াছিন মিয়া, যুগ্ন-সম্পাদক জহিরুল হক, সাংগঠনিক সম্পাদক আবু বক্কর সিদ্দিক, সিদ্ধিরগঞ্জ থানা যুবলীগের সভাপতি আলহাজ্ব মতিউর রহমান মতি, থানা শ্রমিকলীগের সভাপতি আবদুল সামাদ ব্যাপারী, ঢাকা বিভাগ শ্রমিকলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির মহিলা সম্পাদক শামীম আরা লাভলী, থানা কৃষক লীগের সাধারন সম্পাদক ইয়াছিন মিয়া, সেচ্ছা সেবক লীগের সভাপতি মিজানুর রহমান মিজান, নাসিক ৮নং ওয়ার্ড কাউন্সিল রুহুল আমিন মোল্লা, ৬নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর সিরাজুল ইসলাম মন্ডল, পাঠানটুলী আইলপাড়ায় যুবলীগ নেতা, শাহজাহান, শহিদুল্লাহ, সাইদুল ইসলাম, এমদাদ হোসেন, মোতালিব, নাছিরসহ দলের নেতাকর্মীরা। বামষ্ট্যান্ড এলাকায় বাংলাদেশ ট্যাংকলরী ওনার্স এসোসিয়সনের উদ্যোগে মিলাদ মাহফিল ও রান্না করা খাবার বিরতন করা হয়। এসময় উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ ট্যাংকলরী ওনাস এসোসিয়সনের সভাপতি আনোয়ার হোসেন মেহেদী, সাধারন সম্পাদক মাসুদ পারভেজ, ট্যাংকলরী শ্রমিক ইউনিয়নের পদ্মা শাখার সভাপতি জাহিদ হোসেন, সাধারন সম্পাদক ফারুক হোসেন। এদিকে বিকাল সাড়ে ৫ টায় ব্যবসায়ী ও সমাজ সেবক শিক্ষানুরাগী আলহাজ্ব আনোয়ার হোসেনর নিজ উদ্যোগে নাসিক ১নং ওয়ার্ড মিজমিজি কবরস্থান ঈদগাঁ মাঠে মিলাদ মাহফিল ও বঙ্গবন্ধু ও সকল শহিদদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে বিশেষ দোয়া করা মধ্যে দিয়ে জাতীয় শোক দিবস পালন করা হয় । এ সময় তিনি মাদ্রাসার ছাত্র ও গবীর দুঃখিদের মাঝে রান্না করা তবারক বিতরন করা হয়। এদিকে আদমজী সিএমবি ব্যবসায়ী সমাজের উদ্যোগে সংগঠনের কার্যালয়েগবীর দুঃখি মানুষের মাঝে রানাœ করা খবার বিতরন করা হয়েছে। এ সময় উপস্থিত ছিলেন,সভাপতি লিটন আহমেদ,সহ সভাপতি ওয়াছেক, সাধারন সম্পাদক স্বপন আহমেদ,সাংগঠনিক সম্পাদক বাদল,সহ ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দ। দুপর ২ টায় আদমজী কোমল মিনিবাস মালিকÑশ্রমিক যৌথ উদ্যোগে সংগঠনের কার্যালয় প্রাঙ্গনে মিলাদ মাহফিল ও জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমানসহ সকল শহিদদের প্রতি বিশেষ দোয়া ও খাবার বিতর করা হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন, মালিক সমিতির চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান, এমডি জাহাঙ্গীর আলম, তৌহিদ ভুঁইয়া, আমানুর হক মন্ডল, আলিম, মাহবুব, ইব্রাহিম, শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি সালাউদ্দিন, সহ সভাপতি জাহাঙ্গী আলম, সাধারন সম্পাদক শাহাজালাল, যুগ্ন সম্পাদক সামসুল, সাংগঠনিক সম্পাদক রহম আলী, অর্থ সম্পাদক সাত্তার, প্রচার সম্পাদক নবী হোসেন, সহ প্রচার সম্পাদক রাসেল, মিলন। বিকালে শিমরাইল মোড়ে রেন্ট এ কার ষ্ট্যান্ডে মালিক সমিতির উদ্যোগে মিলাদ মাহফিল অনুষ্টিত হয়। এসময় বঙ্গবন্ধুর জন্য দোয়া করা হয়। এসময় উপস্থিত ছিলেন, সমিতির সভাপতি আমিনুল কহ রাজু, সাধারন সম্পাদক সালাউদ্দিন, সাংগঠনিক সম্পাদক বিশু বাবু, মাইন উদ্দিন, সাইফুলম লিটন প্রমুখ। অপরদিকে, সিদ্ধিরগঞ্জ মিজমিজি কবরস্থান ঈদগাহ মাঠে মাদ্রাসার ছাত্র, এতিম, দুস্থ ও গরিবদের মাঝে রান্না করা খাবার বিতরণ করেন বিশিষ্ট শিক্ষানুরাগি ও সমাজ সেবক হাজ্বী আনোয়ার ইসলাম। এসময় উপস্থিত ছিলেন সিদ্ধিরগঞ্জ থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি আলহাজ্ব মুজিবুর রহমান, সাধারন সম্পাদক হাজ্বী ইয়াছিন মিয়া, সোহেল পারভেজ। এসময় বঙ্গবন্ধুর রুহের মাগফেরাত কামনা করে মোনাজাত করা হয়। এর আগে হাজ্বী আনোয়ার ইসলাম দুপুর থেকে বিকেল পর্যন্ত নারায়নগঞ্জ-৪ আসনের মাননীয় সাংসদ আলহাজ্ব এ.কে.এম শামীম ওসমানের সাথে সিদ্ধিরগঞ্জের বিভিন্ন ওয়ার্ডের নেতাকর্মী কর্তৃক আয়োজিত শোক দিবসের বিভিন্ন অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন।
১৫ আগস্ট খালেদা জিয়া জন্মদিনের কেক কাটবেন না
বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার ৭১তম জন্মদিন সোমবার। দেশের এই চলমান সঙ্কট, বর্ন্যাত মানুষের প্রতি সহমর্মিতা, জঙ্গিবাদ, দলের নেতা কর্মীরা জেল, হামলা, মামলা গুম ও হত্যার দিক বিবেচনা করে দলীয় নেতা কর্মীদের জন্মদিন পালন করতে নিষেধ করেন তিনি। দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তিন বছর আগে খালেদা জিয়ার সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলার সময়ও ১৫ আগস্ট শোকের দিন কেক না কাটার আহ্বান জানিয়েছিলেন। সর্বশেষ গত ৪ আগস্ট খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করতে গিয়ে তাকে ১৫ আগস্ট জন্মদিনের কেক না কাটতে পরামর্শ দেন কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী। এছাড়া এবার জাতীয় ঐক্যে উদ্যোগ নেওয়ার আহ্বান সরকার প্রত্যাখ্যান করার পর বিএনপি সমর্থক অন্যতম পেশাজীবী নেতা জাফরুল্লাহ চৌধুরীও কেক না কাটতে খালেদা জিয়াকে পরামর্শ দিয়েছিলেন।
বিএনপি চেয়ারপারসনের এ্ই সিদ্ধান্তের কারণে সোমবার দিবাগত রাতে কেক কেটে তার জন্মদিন উদযাপন করা হচ্ছে না। প্রতি বছর ১৫ আগস্টে দলীয় নেতাকর্মীদের নিয়ে আসা কেক কেটে নিজের জন্মদিন পালন করলেও এ বছর এ ধরণের সকল অনুষ্ঠান বাতিল করার সিদ্ধান্ত নেন তিনি। এরআগে গত বছর জন্মদিনের প্রথম প্রহরে কেক না কেটে নিজের জন্মদিন আগামীতে পালন না করার বিষয়ে ইঙ্গিতও দিয়েছিলেন খালেদা জিয়া। তবে ওই বছরের ১৫ আগস্ট শনিবার সন্ধ্যায় রাজনৈতিক কার্যালয়ে নেতাকর্মীদের নিয়ে কেক কাটেন তিনি। চলতি বছরের এপ্রিলে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে খালেদা জিয়া বলেছিলেন, জাতীয় নেতাদের বিতর্কের ঊর্ধ্বে রাখতে হবে। তাদের নিয়ে বিতর্ক বন্ধ করতে হবে।
এদিকে চেয়ারপারসনে কার্যালয় সূত্র জানায়, প্রতি বছর খালেদা জিয়া নেতাকর্মীদের আনা কেক কেটে নিজের জন্মদিন পালন করতেন। গ্রহণ করতেন নেতাকর্মীদের ফুলেল শুভেচ্ছা। কাটা কেক তিনি এতিমখানাসহ দরিদ্র অনেকের মাঝে বিলিয়ে দিতেন। তবে এবার সেটি হচ্ছে না। দেশের বর্তমান সংকট, বন্যা পরিস্থিতি মিলিয়ে তিনি নিজের জন্মদিন উদযাপন বাতিল করেছেন।
সূত্র আরও জানায়, দেশের সঙ্কটময় পরিস্থিতির দিকে লক্ষ্যে রেখে তার প্রয়াত ছোট ছেলে আরাফাত রহমান কোকোর জন্মদিনও তিনি পালন করা থেকে বিরত থাকেন তিনি ও দলের নেতাকর্মীরা।
র্দীঘদিন আওয়ামী লীগসহ দেশের বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ বিএনপি নেত্রীকে জাতীয় শোকের দিনে তার জন্মদিন পালন না করার আহ্বান জানিয়ে আসছিলেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, উত্তরাঞ্চল-মধ্যাঞ্চলে ব্যাপক বন্যায় মানুষের দুর্দশা, সর্বত্র গুম-খুনে মানুষের লাশ আর লাশ, দলের নেতা-কর্মীদের ওপর গ্রেফতার-নিপীড়ন-নির্যাতনের সার্বিক অবস্থা বিবেচনা করেই ম্যাডামের জন্মদিনে এবার আমরা কেক কাটার অনুষ্ঠান করছি না। খালেদা জিয়ার এই নির্দেশনা পাওয়ার পর যুবদল, মহিলা দল ও ছাত্রদল সহ বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠনের নেতারা জানান, এবছর কেক কাটার কোনো কর্মসূচি রাখেনি। তবে তারা বিভিন্ন মসজিদ ও মন্দিরে প্রার্থনা সভা করবে বলে জানিয়েছে।
গত দুই যুগ ধরে ১৫ আগস্ট খালেদা জিয়ার জন্মদিন উদযাপন হলেও তার আরও কয়েকটি জন্মদিনের হদিস পাওয়া যায়। তার জন্ম সাল নিয়েও দুই রকম তথ্য পাওয়া যায়। খালেদা জিয়ার জন্ম ১৯৪৬ সালে বলে তার নতুন করা পাসপোর্টে থাকলেও দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় গত বছর জানান, তার নেত্রীর জন্ম ১৯৪৫ সালে। বাংলা পিডিয়াসহ খালেদা জিয়ার জীবনীর ওপর রচিত কয়েকটি গ্রন্থে তার জন্ম বছর ১৯৪৫ সালের ১৫ আগস্ট দেখানো হয়েছে।
হাসপাতালে আল্লামা শফী, দোয়া কামনা
হেফাজতে ইসলামের আমির আল্লামা শাহ আহমদ শফীকে (৯০) চট্টগ্রামের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বার্ধক্যজনিত শারীরিক দুর্বলতার কারণে চিকিৎসকদের পরামর্শে তাকে শনিবার রাত সাড়ে আটটার দিকে নগরীর সিএসসিআর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
হেফাজতের সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা আজিজুল হক ইসলামাবাদী জানান, ‘হুজুর কয়েকদিন ধরে শারীরিকভাবে দুর্বল অনুভব করায় হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি উচ্চ রক্তচাপ ও ডায়াবেটিসসহ বার্ধক্যজনিত নানা রোগে ভুগছেন।
অসুস্থ আহমদ শফীকে হাসপাতালের এইচডিইউতে (হাই ডিপেনডেন্সি ইউনিট) রেখে সেবা দেওয়া হচ্ছে বলে জানান তিনি।
হেফাজত আমিরের প্রেস সচিব মাওলানা মুনির আহমদ গণমাধ্যমেক বলেন, হুজুরের অসুস্থতা নিয়ে নেতা-কর্মীদের উদ্বেগের কিছু নেই। সবাই দোয়া করলেই হবে। হাসপাতালে অযথা ভিড় করার প্রয়োজন নেই।
শাহ আহমদ শফী আল জামিয়াতুল আহলিয়া দারুল উলুম মঈনুল ইসলাম-এর প্রধান। সাধারণভাবে এটি হাটহাজার
যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে ইমাম হত্যার ঘটনাকে ‘টার্গেট কিলিং’ ভাবছে পরিবার
যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কের একটি মসজিদের ইমামসহ দুইজন বাংলাদেশি অজ্ঞাত সন্ত্রাসীর গুলিতে নিহত হয়েছেন শনিবার স্থানীয় সময় দুপুরে। এই দু্ই বাংলাদেশীর আত্মীয়-পরিজন এই ঘটনায় একেবারেই হতবিহ্বল হয়ে পড়েছেন। নিহতরা ‘টার্গেট কিলিং’ এর শিকার বলে মনে করছে পরিবার।
যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমানোর আগে বাংলাদেশের উত্তর পূর্বাঞ্চলীয় হবিগঞ্জে একটি বড় মসজিদের ইমাম ছিলেন আলাউদ্দিন আকুঞ্জি। ছেলেমেয়েদের সাথে বসবাসের উদ্দেশ্যে সস্ত্রীক নিউইয়র্কে পাড়ি জমানোর পরও ধরে রেখেছিলেন পুরনো সেই পেশা।
কুইন্সের ওজোন পার্কের মসজিদে নামাজ পড়িয়ে বের হয়েই আততায়ীর গুলিতে নিহত হয়েছেন ৫৫ বছর বয়স্ক মি: আকুঞ্জি। ওই মসজিদটি ছিল ইমাম হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রে তার দ্বিতীয় কর্মক্ষেত্র।
বাংলাদেশের সিলেটে হবিগঞ্জের নিজ বাড়িতে বসে টেলিফোনে বিবিসিকে এসব কথা জানান মি. আকুঞ্জির ছোট ছেলে ফয়েজ উদ্দিন আকুঞ্জি। পিতার হত্যাকাণ্ডকে ‘টার্গেট কিলিং’ বা পরিকল্পিত হত্যা বলে মনে করছেন ফয়েজ।
মি: আকুঞ্জির এই একটি ছেলেই বাংলাদেশে রয়ে গেছেন, বাকি চার ছেলে এবং আরো দুই মেয়ে পরিবার নিয়ে নিউইয়র্ক থাকেন। তাদের বাসার দুরত্ব ওজোন পার্কের ওই আল ফোরকান জামে মসজিদ থেকে ৫ মিনিটের হাঁটা পথ।
মি: আকুঞ্জির নিউইয়র্ক প্রবাসী ছেলেদের একজন নাইম উদ্দিন আকুঞ্জি জানাচ্ছেন, পুলিশ তাদেরকে জানিয়েছ যে তার পিতার মৃতদেহ তাদের কাছে হস্তান্তর করতে আরো সময় লাগবে। মৃতদেহ পেলেই তারা ঠিক করবেন তাদের বাবাকে যুক্তরাষ্ট্রে দাফন করবেন নাকি বাংলাদেশে নিয়ে আসবেন। নাইম উদ্দিন কথা বলতে বলতে এক পর্যায়ে কেঁদে ফেলেন। তার বাড়িতে শোকাবহ পরিস্থিতি, তার মা শোকে অজ্ঞান হয়ে পড়ে আছেন বলে জানান মি: নাইম।
নিহত আরেক বাংলাদেশী তারা মিঞা ইমাম আলাউদ্দিন আকুঞ্জির প্রতিবেশী ছিলেন এবং প্রতিদিন দু’জনে একসঙ্গে মসজিদে যেতেন নামাজ পড়তে, জানিয়েছেন নাইম। তারা মিঞার বয়স ৭৫। তিনি বছর চারেক আগে সিলেটের গোলাপগঞ্জ থেকে নিউইয়র্ক প্রবাসী ছেলেমেয়েদের কাছে পাড়ি জমান। বার্ধ্যক্যজনিত নানা অসুখ-বিসুখে ভোগা এই ব্যক্তি তেমন কোনো কাজকর্ম করতেও অক্ষম ছিলেন।
গোলাপগঞ্জ থেকে মি: মিঞার একজন জামাতা ইমরান হোসেন শাহীন বিবিসিকে বলছিলেন, ঘটনার আকস্মিকতায় তারা বিস্ময়ে বিমূঢ় হয়ে পড়েছেন।
মি: হোসেনের সাথে কথা বলতে বলতেই তার বাড়িতে র্যাবের সদস্যরা যান জিজ্ঞাসাবাদের জন্য, এর আগে পুলিশও এক দফা জিজ্ঞাসাবাদ করে এসেছে।
কেন এই জিজ্ঞাসাবাদ জানতে চাইলে গোলাপগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জানান, যেহেতু নিহতদের পরিবারের সদস্যরা বাংলাদেশে থাকেন এবং এখানে তাদের বাড়িঘর আছে, তাই তারা ঘটনা সম্পর্কে স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে অবহিত হচ্ছেন এবং তথ্য সংগ্রহ করছেন।
নারায়ণগঞ্জের রাজনীতি আহবায়ক আর আংশিক কমিটির বেড়াজালে আবদ্ধ
ট্রেনের ছাদ থেকে ছোড়া ঢিলে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে রেল লাইনের পাশের বাসিন্দা-যানবাহন
ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ রেল সড়কের ট্রেনের ছাদে টোকাইদের ছোড়া ঢিলে আহত হচ্ছে হচ্ছে সড়কের পাশে বসবাসকারী বাসিন্দা ও যানবাহন। ট্রেনের ছানে ভ্রমনকারী এসক টোকাইরা ট্রেনের টিটিদের সাথে আতাঁত করেই সব সময় ট্রেনের ছাদে অবস্থান নিয়ে থাকে বলে ভূক্তভোগীদের অভিযোগ। এসব টনার জন্য রেল কর্তৃপক্ষের উদাসিনতা ও তদারকিকে দায়ি করছেন ভুক্তভোগী মহল। এদিকে, ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ রেল সড়কের এ ঘটনা প্রতিনিয়ত ঘটলেও ভুক্তভোগীরা এর কোন প্রতিকার পাচ্ছে না। যে কারনে ট্রেনের ছাদ থেকে ছোড়া ঢিলে একের পর এক দূঘর্টনা অব্যাহত রয়েছে। আর ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে যান ও মালের। এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্টদের হস্তক্ষেপ দাবি করেছে ভুক্তভোগী মহল। এদিকে, ট্রেনের ছাদা থেকে ঢিল ছুড়ে মানুষকে হতাহত ও যানবাহনের ক্ষতি করায় ফতুল্লার ষ্টেশন এলাকার বাসিন্দা সাবের হোসেন নামে এক ভুক্তভোগী ফতুল্লা মডেল থানায় একটি সধারন ডায়েরী দায়ের করেছে। যারা নং ৭৫৭। সূত্রমতে, ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ রেল সড়কের পাশে প্রায় সময়ই হতাহতের ঘটনা ঘটে থাকে। এ নিয়ে রেল কর্তৃপক্ষের কোন মাথা ব্যাথা নেই। ভূক্তভোগীদের অভিযোগ, এই সড়ক দিয়ে চলাচলকারী ট্রেনের ছাদে সব সময়ই কিছু টোকাই অবস্থান নিয়ে থাকে। এসব টোকাইরা ইটের টুকরো, পাথরের টুকরো নিয়ে ট্রেনে ছাদে অবস্থান নিয়ে রেললাইনের পাশে অবস্থিত দোকান, বসত বাড়ি কিংবা যান বাহন লক্ষ্য করে ঢিল ছুড়ে মারে। এর ফলে প্রায় সময়ই রেল লাইনের পাশে অবস্থিত বাসিন্দা, পথচারী গুরুতর আহত হয়। সম্প্রতি, কদমতলীর চাকদা এলাকায় ট্রেনের ছাদ থেকে ছোড়া ঢিলে (ঢাকা মেট্রো-ম-১১-০৫৯৭) ট্রাক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এছাড়া প্রায় সময়ই টোকাইদের ছোড়া ইট, পাথরের আঘাতে যানবাহন ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ভূক্তভোগীদের অভিযোগ, রেল কর্তৃপক্ষের চরম উদাসিনতার কারনেই টোকাইরা সব সময় ট্রেনের ছাদে অবস্থান নিয়ে এসব অঘটনের জন্ম দিচ্ছে। এর জন্য ট্রেনে টিটিদেরও দায়ি করেছে অনেকে। একাধিক যাত্রীর সাথে আলাপকালে জানাগেছে, এসব টোকাইরা শুধু ট্রেনের ছাদেই অবস্থান নিয়ে ক্ষ্যন্ত হয় না। এরা ট্রেনের প্রবেশ পথগুলোতেও অবস্থান নিয়ে যাত্রীদের পকেটে থাকা ম্যানিব্যাগ, মোবাইল রেখে দিচ্ছে। টিটিরা এসব টোকাইদের ব্যাপারে সব সময়ই উদাসিন। তাদের মতে, টিটিরা যদি একটু সতর্ক এবং কঠোর হতো তা হলে এসব ঘটনার সূত্রপাত হতো না। এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্টদের হস্তক্ষেপ দাবি করেছে ভুক্তভোগী মহল।