১৯শে আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
৪ঠা অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
Home Blog Page 251

সরকার জঙ্গিবাদের নেটওয়ার্ক উচ্ছেদে অনাগ্রহী : রিজভী

আব্দুর রহিম  ‘সরকার জঙ্গিবাদের নেটওয়ার্ক উচ্ছেদে অনাগ্রহী বলেই জঙ্গিরা নির্বিঘ্নে তাদের অপতৎপরতা চালু রেখেছে। জঙ্গিদের অপতৎপরতার বৈশিষ্ট্যের মধ্যেই প্রমাণিত হয় জঙ্গিরা সরকারেরই সৃষ্টি। সরকার বিএনপিসহ বিরোধী দলকে জঙ্গিবাদের সঙ্গে যুক্ত করার জন্যই নিজেরা জঙ্গি সৃষ্টি করে দেশব্যাপী খুনোখুনি করাচ্ছে।’ বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।

বৃৃহস্পতিবার দুপুরে রাজধানীর নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এই অভিযোগ করেন।

রিজভী বলেন, ‘সারা দেশে বছরব্যাপী যেসব চাঞ্চল্যকর হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়েছে, তার কোনোটিতেই সুনির্দিষ্টভাবে কোনো হত্যাকারীকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি সরকার। প্রতিটি হত্যাকাণ্ডই এখন পর্যন্ত রহস্যঘেরা। এসব হত্যাকাণ্ড নিয়ে সরকারের প্রধানমন্ত্রী, মন্ত্রী ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বক্তব্য দেশে-বিদেশে কারো কাছেই বিশ্বাসযোগ্য হচ্ছে না।’

প্রধানমন্ত্রীকে উদ্দেশ করে বিএনপির এই সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব বলেন, ‘আপনি যে কর্মকাণ্ডই করুন না কেন, মানুষ সেটি বিশ্বাস করে না। দেশের যেকোনো হত্যাকাণ্ডে আপনার আইন প্রয়োগকারী সংস্থা যে বিজ্ঞপ্তি দেয়, সেটিও মানুষ বিশ্বাস করে না। কারণ, জনগণ মনে করে আইন প্রয়োগকারী সংস্থা প্রধানমন্ত্রীর পরিকল্পনা অনুযায়ী বিবৃতি দেয়।’

বিএনপির এই নেতা বলেন, সরকার জঙ্গিবাদ দমনের নামে জনগণের ওপর ‘বেপরোয়া ক্র্যাকডাউন চালানোর’ পরও উগ্রবাদীদের তৎপরতা কোনো অংশেই কমেনি বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

রিজভী বলেন, ‘সম্প্রতি ঘটে যাওয়া হত্যাকা- সম্পর্কে সরকার প্রধান ও সরকারি লোকজনদের বক্তব্য এবং তাদের রহস্যজনক ভূমিকার কারণে জনমনে এখন একটি বিষয় স্পষ্ট হয়ে যাচ্ছে যে- এসব হত্যাকাণ্ড সরকারের অগোচরে হচ্ছে না। কারণ, সরকার তার অবৈধ অস্তিত্ব নিয়ে উদ্বিগ্ন। কখন কী ঘটে যায়- এই আশঙ্কায় সরকার সব সময় দেশে একটি অস্থিতিশীল পরিবেশ বজায় রাখতে চায়। নৈরাজ্য এবং অস্থিতিশীলতা সরকারের টিকে থাকার গ্যারান্টি।’

বৌদ্ধবিহারের প্রধানকে হত্যার হুমকির ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেন রিজভী। অবিলম্বে বৌদ্ধবিহারের প্রধানকে যথাযথ নিরাপত্তা প্রদানের দাবি জানান তিনি।

সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, খায়রুল কবির খোকন, সহসাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আব্দুস সালাম আজাদ উপস্থিত ছিলেন।

মাদকের বিরুদ্ধে বর্তমান সরকার জিরো টলারেন্স: সংসদে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

ডেস্ক নিউজ: ইয়াবা পাচারকারীসহ অন্যান্য মাদক অপরাধীরা গ্রেপ্তার এড়াতে কৌশল পরিবর্তন করছে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল। তবে সরকার এর বিরুদ্ধে ‘জিরো টলারেন্স’ নীতিতে কাজ করছে।

বৃহস্পতিবার (৩০ জুন)  জাতীয় সংসদে ভোলা-৩ আসনের সংসদ সদস্য নুরুন্নবী চৌধুরীর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা জানান।

তিনি বলেন, ‘আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে এসব অপরাধীদের কৌশল ধরা পড়লে পরবর্তীতে তারা নতুন কৌশল ব্যবহার করছে এবং মাদক চোরাচালানে আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করছে।’

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, ‘মাদকের বিরুদ্ধে বর্তমান সরকার জিরো টলারেন্স নীতিতে কাজ করছে। মাদকমুক্ত বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে ইতোমধ্যে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরকে ঢেলে সাজানোর উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।’

‘বাংলাদেশের প্রতিটি জেলায় এ অধিদপ্তরের অফিস স্থাপন করা হয়েছে, সাংগঠনিক কাঠামো সংশোধন করে জনবল বৃদ্ধি করা হয়েছে এবং নতুন সাংগঠনিক কাঠামো অনুযায়ী জনবল নিয়োগের লক্ষ্যে নতুন নিয়োগ-বিধি প্রণয়নের কার্যক্রম চলমান’, বলেন তিনি।

পটুয়াখালী-৩ আসনের সংসদ সদস্য আ খ ম জাহাঙ্গীর হোসাইনের এক প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘জলদস্যুতা রোধে কোস্ট গার্ড অন্যান্য আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সাথে সমন্বয় করে গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করছে।’

মন্ত্রী আরও বলেন, ‘জলদস্যুতা রোধে কোস্ট গার্ডের অপারেশন আরও অর্থবহ করতে গোয়েন্দা তথ্যভিত্তিক অপারেশন পরিচালনা করা হচ্ছে। এ জন্য কোস্ট গার্ডের জন্য পৃথক ও স্বতন্ত্র গোয়েন্দা অধিদপ্তর চালুর প্রস্তাবনা বর্তমানে প্রক্রিয়াধীন।

বিশ্বের ৫৭টি দেশে দুতাবাস রয়েছে: সংসদে পররাষ্ট্রমন্ত্রী

ডেস্ক নিউজ: জাতিসংঘভুক্ত সকল সদস্য দেশের সঙ্গে বাংলাদেশের কুটনৈতিক সম্পর্ক রয়েছে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী। তিনি বলেছেন, শুধু মাত্র ইসরাইল ছাড়া বর্তমানে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে বাংলাদেশের ৫৭টি দূতাবাস রয়েছে। এছাড়া ১৫টি কনস্যুলেট, কনস্যুলেট জেনারেল ও উপ ও সহকারী হাইকমিশন রয়েছে।

বৃহস্পতিবার (৩০জুন) দুপুরে সংসদের বাজেট অধিবেশনে বগুড়া-৪ আসনের সংসদ সদস্য এ কে এম রেজাউল করিম তানসেনের প্রশ্নের উত্তরে পররাষ্ট্রমন্ত্রী সংসদে এ তথ্য জানান।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘ভারতের আসাম রাজ্যের রাজধানী গুয়াহাটিতে একটি সহকারী হাইকমিশন খুব শিগগিরই খোলা হবে। এছাড়া দুতাবাসের মাধ্যমে বাংলাদেশ আরো ৯৭টি দেশের সঙ্গে কুটনৈতিক সম্পর্ক রক্ষা করে থাকে। অর্থাৎ পৃথিবীর ১৫৪টি দেশের সঙ্গে বাংলাদেশ কূটনৈতিক যোগাযোগ রক্ষা করে এবং সব দেশের সঙ্গে সর্ম্পক রক্ষার্থে কূটনৈতিক কর্মকর্তা প্রেরণ করা হয়েছে।’

আবুল হাসান মাহমুদ আলী আরো বলেন, ‘এই ১৫৪টি দেশ ব্যতিত অন্যান্য দেশগুলোর সঙ্গে কূটনৈতিক কর্মকাণ্ড পরিচালনার জন্য সুনির্দিষ্টভাবে কূটনৈতিক কর্মকর্তা প্রেরণ করা হয়নি।’

চাঁপাইনবাবগঞ্জ-১ আসনের সংসদ সদস্য মোহাম্মদ গোলাম রাব্বানীর অপর এক প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘সরকারি ছাড়াও বেসরকারি পর্যায়ে ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বারস অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের সঙ্গে বলকান রাষ্ট্রসমূহের মধ্যে সমঝোতাস্মারক চুক্তির মাধ্যমে বাণিজ্য সম্পর্ক বৃদ্ধিতে বাংলাদেশের সংশ্লিষ্ট দূতাবাসগুলো কাজ করে চলেছে।’

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘এই অঞ্চলের প্রত্যেকটি স্বাধীন রাষ্ট্রের সঙ্গে বাংলাদেশের রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক সম্পর্ক সুদৃঢ়করণ ও সম্প্রসারণে বর্তমান সরকার বদ্ধপরিকর।’

ফতুল্লা ছাত্রদল নিয়ে তৈমুরের রাজনীতি

নিজস্ব প্রতিবেদক : নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সভাপতি কেন্দ্রীয় বিএনপির সহ-আইন বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকার গত শনিবার ফতুল্লা থানা ছাত্রদলের একাংশের নেতাকর্মীদের উদ্যোগে আয়োজিত এক ইফতার দোয়া মাহফিলে অশ নিয়ে ফতুল্লা থানা বিএনপির রাজনীতিতে নতুন করে বিভাজন তৈরী করে দিয়েছে। বিশেষ কওে ফতুল্লা থানা ছাত্রদলের রাজনীতিতে। ফতুল্লা থানা ছাত্রদলের নেতাকর্মীদেও অভিযোগ, তৈমুর ছাত্রদলের যে সব নেতাদের ইফতার মাহফিলে অংশ নিয়েছিলেন, তারা ছাত্রদলের রাজনীতিতে সক্রিয় ছিল না। এ ব্যাপারে ফতুল্লা থানা ছাত্রদলের সক্রিয় নেতা আগেই নিষেধ করেছিল। কিন্তু তৈমুর আলম খন্দকার ওনসব নেতা নিদের্শ অমান্য করে শনিবারের অনুষ্ঠানে যোগ দেয়। এ নিয়ে ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের মধ্যে ক্ষোভ দেখা দিয়েছে। এছাড়া বিএনপির রাজনীতিতে নেতিবাচক প্রভাব পরেছে বলে ফতুল্লা থানা বিএনপির বিএনপির একাধিক সূত্রে জানাগেছে।

জানা গেছে, শনিবার ফতুল্লা থানা ছাত্রদলের ব্যানারে বিসিক এলাকায় ইফতার দোয়া মাহফিলের আয়োজন করেন ছাত্রদল নেতা রাসেল মাহামুদ। উপস্থিত ছিলেন জেলা যুবদলের সভাপতি মোশারফ হোসেন, জেলা স্বেচ্ছাসেবকদলের আহ্বায়ক জাহিদ হাসান রোজেল, যুগ্ম আহ্বায়ক রিয়াদ মোহাম্মদ চৌধুরী, মহানগর যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক আনোয়ার হোসেন আনু, জুয়েল রানা, ফতুল্লা যুবদলের সভাপতি শহিদুল ইসলাম টিটু, মহানগর ছাত্রদলের আহ্বায়ক মনিরুল ইসলাম সজল, জেলা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক মাহাবুব রহমান, জেলা শ্রমিকদলের আহ্বায়ক নাসির উদ্দীন, মহানগর শ্রমিকদলের সদস্য সচিব আলী আজগর, জেলা মৎস্যজীবী দলের আহ্বায়ক গিয়াসউদ্দীন প্রধান, সোনারগাঁও থানা যুবদলের সাবেক সভাপতি কাজী নজরুল ইসলাম টিটু প্রমুখ।

এ অনুষ্ঠানের পিছনে ছিলেন ওই অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি তৈমূর আলম খন্দকার নিজেই। ফতুল্লায় অনুষ্ঠিত ওই অনুষ্ঠানে দাওয়াত করা হয়নি থানা বিএনপির শীর্ষ নেতাসহ অঙ্গ সংগঠনের নেতাদের। ছাত্রদলের ব্যানারে ওই অনুষ্ঠান হলেও সেখানে জেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক কিংবা যুগ্ম আহ্বায়কদের দাওয়াত না করা হলেও যুগ্ম আহ্বায়ক মাহাবুব রহমানকে করা হয়েছে প্রধান বক্তা ও মহানগর যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক আনোয়ার হোসেন আনুকে করা হয়েছে বিশেষ বক্তা। যাতে বিএনপি ও এর অঙ্গ সংগঠনের চরম চেইন অব কমান্ড ভঙ্গ করা হয়েছে। তবে এ আয়োজনের পিছনের কারণ হিসেবে জানা গেছে বর্তমানে তৈমূর আলমকে আগের মত মুহাম্মদ শাহআলম তোয়াজ করেন না। তৈমূরের হাতে হাতও মিলান না শাহআলম। মুহাম্মদ শাহআলম কেন্দ্রীয় বিএনপির একজন ডোনার হিসেবে এ জেলায় পরিচিত। গত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে তৈমূর আলম খন্দকার শাহআলমকে শোকজ করলেও কোন জবান দেননি শাহআলম। তৈমূরকে আমলেই নিচ্ছেন না শাহআলম। যে কারণে তৈমূর আলম অনেকটা ক্ষুব্দই শাহআলমের প্রতি। যে কারষে ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের দিয়েই শাহআলমকে সাইজ করলেন তৈমূর। এক সময় মুহাম্মদ শাহআলম তৈমুরকে খুবই তোয়াজ করতেন। কিন্তু তৈমুরকে পাস কাটানোর কারণে এবার তৈমূরও শাহআলমকে পাস কাটিয়েই ওই অনুষ্ঠানে গিযে হাজির হয়েছেন। সাথে যাদেরকে দাওয়াত করা হয়েছে তাদেরকেও নিয়ে গেছেন সেখানে তৈমূর। তবে শাহআলমের ভীত নাড়াতে গিয়ে ছাত্রদলের মধ্যেও শুরু হয়েছে নানা কানাঘুষা। ওই অনুষ্ঠানে গিয়ে চেইন অব কমান্ড ভঙ্গ করেছেন তৈমূর আলম খন্দকার। একই সঙ্গে ছাত্রদলের মধ্যে বিবেদ সৃষ্টিতে উস্কানি দিয়েছেন তিনি। আর ওই অনুষ্ঠানে হোচট খেয়েছেন জেলা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক শাহ ফতেহ মোহাম্মদ রেজা রিপন ও মশিউর রহমান রনি। একজন আনাড়ি ধাচের ছাত্রদলের কর্মীর কাছে এ দুজন যুগ্ম আহ্বায়ক অনেকটাই মানসিক লাঞ্চিত হয়েছেন। এখানে উল্লেখ্য যে, ওই অনুষ্ঠানের আগের দিন শুক্রবার বিকেলে জেলা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক মশিউর রহমান রনির সমর্থক অর্ধশত ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা ওই অনুষ্ঠানে তৈমুুর আলমকে উপস্থিত না হতে অনুরোধ করেন। ওই সময় তৈমূর আলম খন্দকার ছাত্রদলের ওই সব নেতাকর্মীদের ধমক দেন।

নারায়ণগঞ্জে তিন নেতার মুখে ঐক্যের সুর

ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট

এক মঞ্চে দাড়িয়ে ঐক্যের কথা বললেন নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সাংসদ শামীম ওসমান ও নারায়ণগঞ্জ-২ আসনের নজরুল ইসলাম বাবু ও মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি আনোয়ার হোসেন। বিভেদ ভুলে একমঞ্চে এসে নেতাকর্মীদের রাজনীতি করারও আহবান জানালেন আওয়ামী লীগের প্রাভাবশালী এই তিন নেতা। মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি আনোয়ার হোসেনের ইফতার মাহফিলে বক্তব্য রাখতে গিয়ে এই তারা একই সুরে কথা বলেছেন। এ সময় উপস্থিত নেতাকর্মীদেরর বেশ উৎফুল্লা দেখা গেছে। উপস্থিত নেতারাও এই দুই নেতার বক্তব্যেও মৌন সমর্থন জানিয়েছেন। উপস্থিত নেতারাও জেলা আওয়ামী লীগকে একমঞ্চে দেখতে চায় দীর্ঘদিন ধরে। এছাড়া সাংসদ শামীম ওসমান ও নজরুল ইসলা বাবু এক কাতারে থাকলে জেলা আওয়ামী লীগ হবে অন্যান্য জেলা কমিটির জন্য মডেল এবং শক্তিশালী।

সাংসদ শামীম ওসমান তার বক্তব্যে বলেন, আমরা ইফতার মাহফিল নিয়ে রাজনীতি করতে আসিনি। তবে ঈদের পর যোগ্য নেতাদের হাতে জেলা আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে তুলে দেয়া হবে। আজ আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা এক হয়েছে তাই ঈদের পর ভাল মানুষ, যোগ্য নেতাদের হাতে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে তুলে দেয়া হবে। আমরা ভাল মানুষদের নিয়ে রাজনীতি করতে চাই। আওয়ামী লীগের ত্যাগী নেতাকর্মীরাই আজ এখানে এসেছে। আর সময় মতো যারা ১/১১ পক্ষে কথা বলে, ড. কামালদের পক্ষে কথা বলে, নেত্রীর বিরুদ্ধে কথা বলে তারাই আজ এখানে আসেনি। আমরা আওয়ামী লীগের মধ্যে বিভাজন চাই না। ঐক্যবদ্ধ হয়ে রাজনীতি করতে চাই। তিনি নেতাকর্মীরা ঐক্যবদ্ধ হয়ে রাজনীতি করার আহবান জানান। সাংসদ নজরুল ইসলাম বাবু বলেন, সাংসদ শামীম ওসমান নারায়ণগঞ্জের অভিভাবক। তার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা এক মধ্যে দাড়াবে এটা আমার চাই। আমরা আলোকিত নারায়ণগঞ্জ গড়তে চাই। ঐক্যবদ্ধ হয়ে শামীম ওসমানের নেতৃত্বে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদেও একমঞ্চে দেখতে চাই।

অনুষ্ঠানের আয়োজক আনোয়ার হোসেন বলেন, আসুন আমরা বিভেদ পরিহার করে এক মঞ্চে এসে দলীয় কর্মকান্ডে অংশ গ্রহন করি। ঐক্যবদ্ধ হয়ে নারায়ণগঞ্জের উন্নয়ন করতে চাই। তিনি বিরোধ ভুলে নেতাকর্মীদের এক কাতারে এসে সামিল হওয়ার আহবান জানান। তিনি সাংসদ শামীম ওসমান সম্পর্কে বলেন, সাংসদ শামীম ওসমানের রাজনীতিতে হাতেখড়ি আমার হাত দিয়ে, আজ শামীম ওসমানের পরিচিতি দেশ ছাপিয়ে দেশের বাইরে চলে গেছে। তাই আমি শামীম ওসমানকে নিয়ে গর্ববোধ করি।

দেশের সবচেয়ে দুর্নীতিগ্রস্ত খাত হচ্ছে পাসপোর্ট বিভাগ-টিআইবি

দেশের সেবা খাতগুলোর মধ্যে সর্বাধিক দুর্নীতিগ্রস্ত খাত হচ্ছে পাসপোর্ট বিভাগ। এখানে সেবা নিতে গিয়ে প্রায় ৭৭ শতাংশ মানুষকে দুর্নীতি ও ঘুষের শিকার হতে হয়েছে। আজ বুধবার রাজধানীর ধানমন্ডিতে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি) ‘সেবা খাতে দুর্নীতি জাতীয় খানা জরিপ ২০১৫’ প্রতিবেদন প্রকাশ করে। এই প্রতিবেদনে এসব তথ্য তুলে ধরা হয়।

প্রতিবেদনে জানানো হয়, ২০১৫ সালে প্রাক্কলিত মোট ঘুষের পরিমাণ আট হাজার ৮২২ কোটি টাকা। যা ২০১৪-১৫ অর্থবছরের বাজেটের তিন দশমিক সাত শতাংশ। প্রতিবেদনে জানানো হয়, উচ্চ আয়ের তুলনায় নিম্ন আয়ের মানুষের ওপর দুর্নীতি ও ঘুষের বোঝা অনেক বেশি। অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন টিআইবির চেয়ারপারসন সুলতানা কামাল, নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান, উপনির্বাহী পরিচালক সুমাইয়া খায়ের প্রমুখ।

পুলিশ প্রশাসনের সাফল্যের পর মানুষ বিশ্বাস করছে না – গোলাম মোর্তোজা

গোলাম মোর্তোজা : অল্প কিছু দিনের মধ্যে হত্যাকা- ঘটানো আসামিদের গ্রেফতার করা হয়েছে। গ্রেফতারকৃতরা আদালতে জবানবন্দি দিয়ে হত্যাকা- ঘটানোর দায় স্বীকার করেছে। এটা তো পুলিশ বাহিনীর একটা বড় সাফল্য। এমন একটি কাজের পরে তো প্রশংসিত হওয়ার কথা পুলিশ বাহিনীর। কিছুটা হলেও আস্থা ফিরে আসার কথা। বাস্তবে তা কি হচ্ছে? পুলিশ কি প্রশংসিত হচ্ছে? হচ্ছে না। কেন হচ্ছে না?

গণমাধ্যম তার দায়িত্ব পালন করছে না? পুলিশের ভালো কাজ তুলে ধরছে না? হয়তো তুলে ধরছে না বা তুলে ধরতে পারছে না। কাজ করতে গিয়ে পুলিশ যা করছে বা বলছে, তার প্রেক্ষিতে ‘পুরো কাজই’ সন্দেহের মধ্যে পড়ে যাচ্ছে। এক্ষেত্রে গণমাধ্যমের কিছু করার নেই। পুলিশের গুরুত্বপূর্ণ কর্তাদের কথা শুনে, কাজ দেখে-বুঝে, জনমানুষের ভেতরে ‘বিশ্বাসহীনতা’ জন্ম নিচ্ছে। যা ক্ষণস্থায়ী নয়, স্থায়ী হয়ে যাচ্ছে।

আপনি অনেক কিছু করছেন, অনেক কিছু বলছেন-মানুষ কিছুই বিশ্বাস করছে না। এমন একটি ভয়াবহ ‘বিশ্বাসহীনতা’র পরিবেশ বাংলাদেশে বিরাজ করছে। এই ‘বিশ্বাসহীনতা’র প্রেক্ষাপট নিয়ে কিছু কথা।

পুলিশ সুপার বাবুল আক্তারকে রাত সাড়ে বারোটা থেকে বিকেল সাড়ে তিনটা পর্যন্ত জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন। যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে দিয়েছেন। আর মুখে বলছেন, না তেমন কিছু না। গ্রেফতার হওয়া আসামিদের মুখোমুখি করা হয়েছেন। আপনারা যা করেছেন, আর মুখে যা বলছেন- একটির সঙ্গে আরেকটি সঙ্গতিপূর্ণ নয়। স্বাভাবিক কারণেই মানুষ আপনাদের কথা বিশ্বাস করছে না। বিশ্বাস যে করছে না, বিশ্বাস না করার কারণ যে আপনারা তৈরি করছেন-তাও বুঝতে চাইছেন না। জোর করে যে বিশ্বাস করানো যায় না, তা বুঝতে চাইছেন না।

মানুষ যা ভাবে, প্রকৃত ঘটনা কখনও কখনও তার সম্পূর্ণ বিপরীত হয়। পৃথিবীতে এমন অনেক নজির আছে। ‘বাবুল আক্তারই তার স্ত্রী মিতুকে হত্যা করিয়েছে’-এমন একটি ধারণা পুলিশই প্রচার করিয়েছে। অবিশ্বাস্য হলেও, অসত্য নাও হতে পারে। এত স্পর্শকাতর একটি বিষয় সেভাবেই তদন্ত হওয়া প্রয়োজন ছিল। প্রয়োজন ছিল অতিরিক্ত সতর্ক থাকার। যা এক্ষেত্রে একেবারে লক্ষ্য করা যায়নি। একজন পুলিশ সুপার কর্মরত থাকা অবস্থায় ১৫ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদের শিকার হয়েছেন-এমন নজির তো নেই। এটা তো এত স্বাভাবিক ঘটনা নয়। দেশের সব মানুষ তা বুঝতে পারলেও, পুলিশ কেন তা বুঝতে পারছে না, সেটাই বোধগম্য হচ্ছে না।

মিতু হত্যার আসামিদের মুখোমুখি করার জন্যে, তথ্য যাচাই বাছাই করার জন্যে বাবুল আক্তারকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। এটাই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এবং পুলিশের বক্তব্য। কোন আসামিদের মুখোমুখি করা হলো বাবুল আক্তারকে? বাবুল আক্তারকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে শুক্রবার মাঝরাত থেকে শনিবার বিকেল পর্যন্ত। মিতু হত্যায় প্রথম দুজন আসামি ওয়াসিম ও আনোয়ারকে গ্রেফতার করা হয় শনিবার। চট্টগ্রামের পুলিশ সেই তথ্যই জানিয়েছে। তাহলে শুক্রবার রাতে কোন আসামিদের মুখোমুখি করা হলো? তখন পর্যন্ত তো পুলিশ কাউকে গ্রেফতার করার কথা বলেনি। গ্রেফতারকৃত কোনও আসামিকে ঢাকায় আনা হয়েছে, তাও বলেনি পুলিশ।

সুতরাং বাবুল আক্তারকে গ্রেফতারকৃত আসামিদের মুখোমুখি করার জন্যে ডেকে নেওয়া হয়েছিল, তা একেবারেই বিশ্বাসযোগ্য কোনও কথা হচ্ছে না। পুরো বিষয়টির মধ্যে গভীর কোনও ‘রহস্য’লুকিয়ে আছে বলে মানুষের কাছে প্রতীয়মান হচ্ছে।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলছেন, দু’একজন ধরা পড়বে। দুজন ধরা পড়ছে। বিষয়টি খুবই ইন্টারেস্টিং। পুলিশ বলছে, সবকিছু জানে আসামি ‘মুছা’। সে বাবুল আক্তারের পুলিশের সোর্স। মুছার পরিকল্পনাতেই এই হত্যাকা- ঘটেছে। মুছাকে পাওয়া গেলেই সব পাওয়া যাবে-এমন একটি ধারণা বাজারে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু মুছাকে পাওয়া যাচ্ছে না। পাওয়া কি যাবে?

মনে হয় না। পুলিশের একাধিক সূত্রই জানাচ্ছে, মুছাকে সপ্তাহখানেক আগেই গ্রেফতার করা হয়েছে। মুছার ক্রসফায়ারের সম্ভাবনা ছিল, এখন সেই সম্ভাবনা নেই বললেই চলে। সম্ভবত ‘মুছা’ এখন ‘অদৃশ্য’কোনও নাম। কোনও দিনই হয়তো মুছা আর ‘দৃশ্যমান’হবে না। জানাও যাবে না, মিতু হত্যার পরিকল্পনাকারীর নাম।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর গত দু’তিন দিনের কথায়ও তার ইঙ্গিত আছে। বাবুল আক্তার ও পরিবার নিয়ে যে গুঞ্জন চলছিল তার সত্যতা বিষয়ে আগের দিন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, ‘হতেও পারে।ৃ. প্রকাশ করার সময় আসেনি।’পরের দিন বলেছেন, ‘বাবুল আক্তার নজরদারিতে নেই।ৃ. তার সম্পৃক্ততার অভিযোগ এখনও আসেনি।’ ‘হয় জেল অথবা পুলিশ বাহিনী থেকে সরে যাওয়া’ পুলিশের পক্ষ থেকে বাবুল আক্তারকে দেওয়া প্রস্তাবের এই প্রসঙ্গটি সর্বত্রই আলোচিত হচ্ছে।

বাবুল আক্তার যদি সত্যিই হত্যাকা-ে সম্পৃক্ত থাকেন, সেই প্রমাণ যদি পুলিশের কাছে থাকে-তবে বিচার হবে না কেন? কেন তাকে বাহিনী থেকে সরে যেতে হবে? এমন অবিশ্বাস্য সব কর্মকা- করে, এমন অবস্থা প্রতিষ্ঠিত করে দেয়া হয়েছে যে-

মূল হত্যাকারী আড়াল করার চেষ্টা হচ্ছে।

বাবুল আক্তারকে পুলিশ থেকে সরিয়ে দেওয়ার প্রেক্ষাপট পরিকল্পিতভাবে তৈরি করা হচ্ছে।

পুলিশ যা করছে তার কোনও কিছুই বিশ্বাসযোগ্য নয়।

অন্য আর দশটি হত্যাকা-ের মতো মিতু হত্যারও প্রকৃত অপরাধী সনাক্ত হবে না, ধরা পড়বে না, বিচার হবে না।

বাবুল আক্তারের স্ত্রীর চরিত্রহননমূলক কল্পকাহিনী গণমাধ্যম প্রচার করে গর্হিত অপরাধ করেছে। এই গল্প প্রচারে উদ্বুদ্ধ করে পুলিশও কম অপরাধ করেনি। প্রকৃত রহস্য উন্মোচনের চেয়ে, কল্পকাহিনী প্রচার করে, বাবুল আক্তার ও তার পরিবারের নেতিবাচক ইমেজ তৈরি করার দিকে মনোযোগ বেশি।

বাবুল আক্তার সৎ না অসৎ সেটা ভিন্ন আলোচনা। বাবুল আক্তার সাহসী-যোগ্য-দক্ষ পুলিশ অফিসার-এটা প্রমাণিত। বাবুল আক্তার বড় কোনও কর্তা বা বড় কোনও গোষ্ঠীর প্রতিপক্ষ হয়ে গিয়েছিল। বড় শক্তির সঙ্গে যুদ্ধ করার পরিণতি ভোগ করতে হচ্ছে বাবুল আক্তারকে।

কোনটি সত্য, কোনটি মিথ্যা, তার চেয়ে বড় বিষয়-মানুষ বিশ্বাস করছে যে সত্য প্রকাশ করা হচ্ছে না, প্রকাশ করা হবে না। সাধারণ জনমানুষের কাছে এত অবিশ্বাস এবং আস্থাহীনতা নিয়ে-আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী চলতে পারে না।

পুলিশের কর্তাদের বিষয়টি উপলব্ধিতে আসা দরকার।

নামাজে আমিন জোরে বলা যাবে না-আল্লামা ড. এনায়েতুল্লাহ আব্বাসী

নামাজে আমিন জোরে বলা যাবে না, আস্তে বলতে হবে এর পক্ষে সহীহ বুখারী শরীফ থেকে দলীল এবং লা-মাযহাবীদের দাঁতভাঙ্গা জবাব…।।

আলহামদুলিল্লাহ্‌….!! ঐতিহ্যবাহী আব্বাসী মঞ্জিল জৈনপুরী দরবার শরীফ পাঠানটুলী শাহী জামে মসজিদে বিগত ৪০ হাদীসের ২৮টি হাদীসের দারস আপনারা শুনেছেন…।।
গত ১৮ই রমজান পাঠানটুলী শাহী মসজিদে আয়োজিত দারসে বুখারীর বিদায়ী অনুষ্ঠানে বাকী ১২টি হাদীসের উপর খুবই তাত্ত্বিক ও দলীল ভিত্তিক দারস প্রদান করে আল্লামা আব্বাসী হুজুর…।।

দারসের মধ্যে উল্লেখযোগ্য বিষয়গুলো হলঃ—–
১. বিতের নামাজ ১ রাকাত নয় বরং ৩ রাকাত এর পক্ষে সহীহ বুখারী শরীফ থেকে দলীল এবং লা-মাযহাবীদের দাঁতভাঙ্গা জবাব…।।
২. ইকামতের আগে দাঁড়িয়ে কাতার সোজা করা বিদআত, ইকামতের পরে দাঁড়িয়ে কাতার সোজা করা সুন্নাতে মুয়াক্কাদা এর পক্ষে সহীহ বুখারী শরীফ থেকে দলীল এবং লা-মাযহাবীদের দাঁতভাঙ্গা জবাব…।।
৩. নামাজে আমিন জোরে বলা যাবে না, আস্তে বলতে হবে এর পক্ষে সহীহ বুখারী শরীফ থেকে দলীল এবং লা-মাযহাবীদের দাঁতভাঙ্গা জবাব…।।
৪. ইমামের পিছে মুক্তাদীগণকে সূরা ফাতেহা পড়া যাবে না এর পক্ষে সহীহ বুখারী শরীফ থেকে দলীল এবং লা-মাযহাবীদের দাঁতভাঙ্গা জবাব…।।
৫. নবীজী মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামা গায়েব জানতেন এর পক্ষে সহীহ হাদীস থেকে দলীল এবং লা-মাযহাবী ও ওহাবীদের দাঁতভাঙ্গা জবাব…।।
৬. মুসলমানের ঐক্য এবং জিহাদ…।।
৭. খাতমে নুবুওয়্যাত অস্বীকারকারী ইহুদীদের চেয়েও বড় কাফের…।।

সংসদে অর্থবিল পাস

ডেস্ক নিউজ: রপ্তানি খাতের উৎসে কর হ্রাস, মূলধনী যন্ত্রপাতি আমদানিতে বিদ্যমান শুল্ক সুবিধার প্রসার, পোল্ট্রি খাতের পণ্যে রেয়াত সুবিধা, জীবন রক্ষাকারী ওষুধে শুল্ক প্রত্যাহারসহ বেশ কিছু সুবিধা দিয়ে পাস হলো অর্থবিল-২০১৬।

একই সঙ্গে অর্থবিলে ভোজ্য তেল, চিনি, ডাল ইত্যাদি পণ্যে বিদ্যমান শুল্ক অব্যাহতির রেয়াত আগামী বছরও কার্যকর রাখার ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।

বুধবার জাতীয় সংসদে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতের উত্থাপিত বিল কণ্ঠভোটে পাস হয়।

অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত তার বাজেটের ওপর সমাপনী বক্তৃতায় বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী বেশ কয়েকটি প্রস্তাব করেছেন। তার এই প্রস্তাবকে অনুশাসন মনে করে তার সব প্রস্তাবই গ্রহণ করা হলো।’

পরবর্তী সময়ে ডেপুটি স্পিকার মো. ফজলে রাব্বী মিয়ার সভাপতিত্বে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও বিরোধীদলীয় নেতা রওশন এরশাদের উপস্থিতিতে অর্থ বিল পাস হয়।

অর্থমন্ত্রী সমাপনী বক্তৃতায় বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশক্রমে রপ্তানি খাতের উৎসে করের ক্ষেত্রে প্রস্তাবিত ১.৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ০.৭০ শতাংশ ধার্য করা হলো। অর্থ্যাৎ মাত্র ১০ পয়সা বাড়ল। আগে ছিল ০.৬০ শতাংশ। এ ছাড়া পাট ও পাটজাত পণ্য ও  হিমায়িত দ্রব্যসহ অন্যান্য ক্ষেত্রে বিদ্যামান ০.৬ শতাংশ উৎসে কর ২০১৬ পর্যন্ত বহাল থাকবে।

অর্থমন্ত্রী বক্তৃতায় অন্যান্য খাতের বিষয়ে বলেন, রপ্তানিমুখী শিল্পের কাঁচামাল হিসেবে ব্যবহৃত বিভিন্ন কেমিক্যাল আমদানিতে শুল্ক ২৫ শতাংশ কমিযে ১৫ শতাংশ ও স্পিনিং শিল্পের কাচাঁমাল ফ্লাস্ক ফাইবারের আমদানি শুল্ক ১০ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৫ শতাংশ করা হয়েছে। এ ছাড়া ইলেকট্রনিক শিল্পের কাঁচামাল সিলিকন আমদানিতে শুল্ক হ্রাস করা হবে। ই-কমার্সের সঠিক সংজ্ঞা দেওয়া হবে। মেডিক্যাল ও সার্জারি পণ্যের কাঁচামাল আমদানিতে শুল্ক ৫ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ১০ শতাংশ করা হবে। জীবন বাঁচানো ওষুধের ক্ষেত্রে ৫ শতাংশ আমদানি শুল্ক প্রত্যাহার করছি।

তিনি জানান, প্রস্তাবিত বাজেটে অনুচ্ছেদ ২০১৩ এর তথ্য-প্রযুক্তিতে নিয়োজিত স্থাপনা ভাড়ার ওপর ৫৪ শতাংশ ভ্যাট সম্পূর্ণরূপে অব্যাহতি দেওয়া হলো। শিল্প খাতে বিদ্যমান মূলধনী যন্ত্রপাতির ওপর ১ শতাংশ আমদানি শুল্ক অব্যাহত রেখে আরো কতিপয় শিল্পের ক্ষেত্রে এই সুবিধা সম্প্রসারণ করা হবে।

ভোজ্য তেল, চিনি, ডাল, চাল ইত্যাদি ক্ষেত্রে বিদ্যমান শুল্ক অব্যাহতির রেয়াত আগামী বছরও কার্য্কর থাকবে। পর্য্টন শিল্পে সিপার ও যন্ত্রপাতিতে সীমিত রেয়াত সুবিধা অব্যাহত থাকবে। এ ছাড়া ওষুধ শিল্পের কতিপয় কাঁচামাল আমাদানিতে শুল্ক সুষম করা হবে।

সিগারেটের ক্ষেত্রে বিদ্যমান উৎসে কর অব্যাহত রাখার ঘোষণা দিয়ে অর্থমন্ত্রী বলেন, সিগারেটের ক্ষেত্রে বিদ্যমান উৎসে কর অব্যাহত থাকবে। এ ছাড়া বহুজাতিক কোম্পানির আয়ের হিসাব বর্তমানে সার্বজনীন কর বছর জুলাই-জুন তাদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে না। তারা তাদের হিসাব তাদের দেশের কোম্পানিগুলোর সঙ্গে মিলিয়ে রাখতে পারবে।

তিনি আরো বলেন, প্রাকৃতিক রাবার তৈরিতে উৎপাদন পর্যায়ে বিদ্যমান মূল্য সংযোজন কর (মূসক) প্রত্যাহার করা হয়েছে।  দেশে উৎপাদিত প্লাস্টিক পণ্যে ট্যারিফ মূল্য ৩৫ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৪৫ টাকা, প্রণোদনা দেওয়ার লক্ষ্যে চা উৎপাদনে প্রতি কেজি চায়ের ট্যারিফ মূল্য ১.৬ মার্কিন ডলার নির্ধারণ করা হয়েছে। এ ছাড়া ১ কেজি তাজা ফুলের ট্যারিফ মূল্য ১ মার্কিন ডলার নির্ধারণ করা হলো।

নির্মাণ খাতের উপরণ, বিশেষ করে বাঁশ, রড ও অ্যালুমিনিয়ামসহ বিভিন্ন পণ্যে আমদানি শুল্ক বৃদ্ধি করা হয়েছে। অন্যদিকে এর কাঁচামাল আয়কন ও ফ্যারোয়েল ইত্যাদির শুল্ক সুষমভাবে হ্রাস করা হবে।

গত ২ জুন জাতীয় সংসদে ২০১৬-১৭ অর্থবছরের জাতীয় বাজেটের সঙ্গে এই অর্থবিল উত্থাপন করেছিলেন অর্থমন্ত্রী মুহিত। বুধবার সকালে সেই বাজেটের ওপর সংসদ উপনেতা সাজেদা চৌধুরী ও বিরোধী দলীয় নেতা রওশন এরশাদ বক্তৃতা করেন। পরে সংসদ নেতা শেখ হাসিনা তার বক্তৃতায় কয়েকটি প্রস্তাবে সংশোধনী আনতে বলেন। অর্থমন্ত্রী তার সমাপনী বক্তৃতায় প্রধানমন্ত্রীর সুপারিশগুলো গ্রহণ করে অর্থবিল-২০১৬ সংসদে উত্থাপন করেন।

বৃহস্পতিবার পাস হবে ২০১৬-১৭ অর্থবছরের বাজেট। আগামী ১ জুলাই নতুন অর্থবছরের শুরুতে এই বাজেট কার্যকর হবে।

নিষেধাজ্ঞার কবলে চলচ্চিত্র ‘দ্য ফেক’

আর্ন্তজাতিক ডেস্ক:  নিষেধাজ্ঞার কবলে আটকা পড়ল দ্য ফেক আদালতের অন্তবর্তীকালীন নিষেধাজ্ঞা থাকায় সেন্সর বোর্ডের ছাড়পত্র পায়নি মুখোশ মানুষ গল্প অবলম্বনে নির্মিত চলচ্চিত্র দ্য ফেক। গত মাসের শেষ দিকে এই চলচ্চিত্রটির সকল কার্যক্রম বন্ধ রাখতে নিষেধাজ্ঞা জারি করেন ঢাকার জেলা জজ আদালত। আদালতের এ আদেশের প্রেক্ষিতে সেন্সর বোর্ড ছবিটি মুক্তির অনুমতি দেয়নি। বিবেক মিডিয়ার কর্নধার প্রবাসী বাঙ্গালী প্ল্যাসিড পল রোবেরো’র দায়ের করা একটি মামলায় গত ২৬ মে এস এস কুদ্দুস জামানের আদালত এ নিষেধাজ্ঞা জারি করেন। একই সঙ্গে আদালতের এই নোটিশ পাওয়ার সাত দিনের মধ্যে এই সিনেমার পরিচালক ও প্রয়োজককে কারন দর্শাতেও বলা হযেছে। আদালতের আদেশে বলা হয়, দ্য ফেক ফিল্মটির রিলিজ সংক্রান্ত কার্যক্রম আদালত পরবর্তী আদেশ না দেওয়া পর্যন্ত বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। মামলার বিবরনে জানা গেছে, মুখোশ মানুষ নামে একটি খ-কালীন নাটক নির্মানের জন্য উদ্যোগ নেন প্ল্যাসিড পল রোবেরো’র বিবেক মিডিয়া ও জাপানের আরেকটি প্রতিষ্ঠান জাপান-বাংলাদেশ মিডিয়া লিমিটেড। নাটকটি পরিচালনার জন্য এই মামলার ১ নম্বর বিবাদী ইয়াসির আরাফাত জুয়েল ওই দুই মিডিয়ার সাথে চুক্তিবদ্ধ হন। নাটকটি নির্মানে প্রয়োজনীয় অর্থ বরাদ্দ দেন বিবেক মিডিয়া ও জাপান-বাংলাদেশ মিডিয়া লিমিটেড। অথচ পরিচালক ইয়াসির আরাফাত জুয়েল এই নাটকটির কার্যক্রম অসমাপ্ত রেখেই মুখোশ মানুষ এর গল্প দিয়েই বে আইনী ভাবে দ্য ফেক নামে একটি চলচ্চিএ নির্মান করেন। এই চলচ্চিত্রটি নির্মানের জন্য যাতীয় ব্যয়ভার বহন করেন প্রয়োযজক একেএম সামসোদ্দাহা পাটোয়ারী। যিনি এই মামলার দুই নম্বর বিবাদী। চলতি মাসেই এই চলচ্চিত্রটি বাজারে ছাড়ারও পরিকল্পনা ছিল তাদের। এমন পরিস্থিতিতে প্ল্যাসিড পল রোবেরো চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে ঢাকা জেলা জজ আদালতে এই চলচ্চিত্রকে অবৈধ ঘোষনা ও এর সকল কার্যক্রম বন্ধে নিষেধাজ্ঞা চেয়ে মামলা দায়ের করেন। যার নম্বর ১২৮/২০১৬। আদালত নিষেধাজ্ঞা দরখাস্ত শুনানী না করেই ইহা তার গত ২৮ এপ্রিল তারিখের আদেশ দ্বারা বাদ দেন। সেই আদেশের বিরুদ্ধে বাদীগন ঢাকা জেলা জজ আদালতে একটি মিস আপিল দায়ের করেন। যার নম্বর ১১০/২০১৬। এরই প্রেক্ষিতে আদালত অন্তবর্তীকালীন নিষেধাজ্ঞার আদেশ দেন। জানতে চাইলে নির্মাতা জুয়েলের সাথে গতকাল যোগাযোগ করা হলে তার মুঠোফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়। তবে এ বিষয়ে বিবেক মিডিয়ার কর্নধার প্ল্যাসিড পল রোবেরো বলেন, মুখোশ মানুষ নামে একটি খ-কালীন নাটক পরিচালনা জন্য এই মামলার প্রথম বিবাদী ইয়াসির আরাফাত জুয়েল আমাদের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হন। কিছু দিন নাটকের কাজ করার পর পরিচালক জুয়েল জানান যে, তিনি বেশী কাজ করে ফেলেছেন। আরো কিছু টাকা খরচ করে এটা টেলিফিল্ম আকারে নিমার্ণের দাবি জানান। এরপর বিবেক মিডিয়া ও জাপান-বাংলাদেশ মিডিয়া লিমিটেড বিষয়টি নিয়ে আলেচনায় বসেন। এরপর টেলিফিল্ম আকারে নিমার্ণের জন্য আরো কিছু টাকা বিনিয়োগ করে এ দুই প্রতিষ্ঠান। তারপর পরিচালক এটাকে চলচ্চিত্র আকারে নির্মানের দাবি জানায়। তিনি বলেন, সব মিলিয়ে এটার পেছনে ১৫-১৬ লক্ষ্য টাকার মতো বিনিয়োগ করা হয়েছে। কিন্তু পরিচালক জুয়েল মুখোশ মানুষ গল্পটি অবলম্বনে দ্য ফেক নামে একটি চলচ্চিত্র বানান। একেএম সামসোদ্দাহা পাটোয়ারী নামে একজন এটি প্রয়োজনা করেছেন। এতে আমারা বিশাল ক্ষতির সম্মূখীন হয়েছ্ িএমন পরিস্থিতিতে আমরা আদালতের দ্বারস্থ হতে বাধ্য হয়েছি। আদালত এটার সকল কার্যক্রমের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেন।